নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিয়ের পর স্ত্রীলোক স্বামী সন্তান নিয়ে আলাদা হয়ে যেতে চায় কেন?

০৪ ঠা মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯



৫১বর্তী পরিবার গুলো আজ আর খুঁজে পাওয়া যায় না।
খুব দুঃখ হয় আমার। সবাই একসাথে মিলেমিশে থাকাটা বড় আনন্দের। বড় শান্তির। আমার বাপ চাচা ফুপুরা মোট ১১ জন। দেখা গেলো তারা বিয়ের পর সবাই আলাদা হয়ে গেলো। আমার দাদার বিশাল পরিবার ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেলো। তাঁরা সব ভাই বিয়ের পর আলাদা হয়ে একেকজন একেক জায়গায় চলে গেলো। অথচ বিয়ের আগে তাঁরা সবাই একসাথে থাকতো। একজনের আরেকজনের জন্য কি টান ছিলো। বিয়ের পর ছেলে গুলো বদলে যায়। তখন তাদের কাছে বউই আপন, বাবা মা ভাই বোন পর হয়ে যায়। এই ধরনের ছেলেরা জীবনে আনন্দ পায় না। তাদের অনেক ভূগতে হয়।

স্ত্রীদের বুঝা উচিৎ যে একা সে-ই সামান্য।
দেবর, ননদ, শ্বশুর শ্বাশুরি নিয়ে একসাথে থাকা উত্তম কাজ। হ্যাঁ একটা পরিবারের সবাই সমান না। হয়তো কেউ ঝগড়াটে, কেউ ছোট মনের, কেউ ইনিয়ে বিনিয়ে কটূ কথা কয়। কিছু সমস্যা থাকবেই। তবুও আমি বলব পরিবারের সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। সংসার করা মানেই তো মেনে নেওয়া, মানিয়ে নেওয়া। 'ছাড়' দেওয়া। আমি বুঝি না স্ত্রীলোকদের সমস্যা কি? তাঁরা কেন বিয়ের পর স্বামী সন্তান নিয়ে আলাদা থাকতে চায়? যদি স্ত্রীরা তাদের স্বামী নিয়ে আলাদা হয়ে যায়, তাহলে বুড়ো বাবা মায়ের কি হবে? তাদের কে দেখবে? তাঁরা কি ছেলে জন্ম দিয়ে ভুল করেছেন? স্ত্রীলোকদের বুঝা উচিৎ। যে স্ত্রী আলাদা থাকতে চায়, খেয়াল করে দেখবেন তাঁরা বাবা মা-ও এরকম পরিস্থির স্বীকার।

যেসব স্ত্রী আলাদা হতে চায়- তাদের বুঝাতে হবে।
আসলে বুঝানোরও কিছু নেই। স্ত্রী তো আর বাচ্চা মেয়ে না। তার নিজ থেকেই বুঝা উচিৎ। আমার নিজের চোখে দেখা একটা ঘটনা বলি- বিয়ের দুই দিন পর স্ত্রী বলছে- তোমার বাবা মাকে গ্রামে পাঠিয়ে দাও। তাদের জন্য আমি রান্নাবান্না করে খাওয়াতে পারবো না। তাঁরা খুবই আনস্যোসাল। এবং তোমার বোনকে হোস্টেলে পাঠিয়ে দাও। আমার সংসার আমি নিজের মনের মতো করে গুছাবো। স্বামী বাধ্য হয়ে বউ এর কথা মতো তার বাবা মাকে গ্রামে পাঠিয়ে দিলো। বোনকে পাঠিয়ে দিলো হোস্টেলে। সুন্দর একটা সংসার নতুন বউ এসে তছনছ করে দিলো। স্ত্রী এখন তার স্বামীকে গ্রামে বাবা মাকে দেখতে পর্যন্ত যেতে দেয় না। কি নিমর্ম! এই ধরনের স্ত্রীলোকদের আমি ঘৃণা করি।

আরেকটা ঘটনা বলি- ছেলে নিজে প্রেম করে বিয়ে করেছে।
সেই ছেলের বউ শ্বশুর শ্বাশুড়িকে বাড়িতে জায়গা দেয় না। শ্বশুর শ্বাশুরি দুজনেই বয়স্ক মানুষ। এখন তাঁরা যাবে কোথায়? শেষে আমাদের বাসায় এসে আশ্রয় নিয়েছে। যে ছেলে বউয়ের কথায় বাবা মাকে ঘরে জায়গা দেয় না, অথচ বাবা মা সেই ছেলের চিন্তায় অস্থির। ছেলে মাঝে মাঝে লুকিয়ে লুকিয়ে তার বাবা মাকে আমাদের বাসায় দেখতে আসে। কখনও মুড়ি, কখনও আলু এক কেজি আলু কিনে দিয়ে যায়। সেই মুড়ি ও আলু নিয়ে বাবা মা খুশিতে আধখানা। আমার খুব ইচ্ছা হয় ছেলেটাকে একটা থাপ্পড় দেই। বলি, হারামজাদা বাপ মা তোর জন্য কত কষ্ট করেছে, আর তুই বউয়ের কথায় উঠিস বসিস! প্রয়োজনে বউকে বাড়ি থেকে বের করে দে। বউ এর চেয়ে বাবা-মা বেশি আপন।

আমার বউ যদি একবার বলতো- আলাদা বাসা নাও।
আমি আমার বউকে কান ধরে বাসা থেকে বের করে দিতাম। দরকার নেই আমার বউ। বাবা মা আমার জন্য যা করেছেন, সেটা আমি সাত জনমেও শোধ করতে পারবো না। বউ এর কথায় যারা উঠবস করে তাঁরা গাধা। বাইরের একটা মেয়ে এসে আমাদের সংসার ভেঙ্গে দেবে সেটা আমি কিছুতেই মেনে নিবো না। যারাই বিয়ের পর আলাদা হয়ে যায়, দিনশেষে তাদের ভালো হয় না। তাদের কপালে অনেক দুঃখ থাকে। যে মেয়ে তার স্বামীকে আলাদা হতে বলে, সেই মেয়ে তার পরিবার থেকে সঠিক শিক্ষা পায়নি। যে মেয়ে বিয়ের পর আলাদা হয়ে যায়। যখন তার সন্তান হবে। সেই সন্তান বড় হয়ে সেও তার বাবা মার কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাবে। সহজ হিসাব। প্রকৃতি কাউকে ক্ষমা করে না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বাবা-মায়ের থেকে আলাদা থাকা খুব মন্দ কাজ।

১২ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:২২

রাজীব নুর বলেছেন: কিছু স্ত্রী লোক সেটা বুঝতে চায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.