নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ডায়েরী- ১১৮

০৯ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:২৪

ছবিঃ আমার তোলা।

আমার একটা লাল বোতাম দরকার।
সুই সূতা আমার আছে। কিন্তু লাল বোতাম নেই। লাল বোতাম কিনতে গিয়েছিলাম, পাইনি। আমার একটা লাল শার্ট আছে, ঠিক লাল না, মেরুন রঙের। টেইলার্স থেকে বানানো শার্ট। তারা শার্টে মেরুন রঙের বোতাম না দিয়ে লাল বোতাম দিয়েছে। সেই শার্টের একটা বোতাম কোথায় যেন খুলে পড়ে গেছে। শার্টটা আমার বিশেষ প্রিয়। আজ তিন মাস হলো শার্টটা পরতে পারছি না একটা লাল বোতামের অভাবে। তাই একটা বোতামের ভীষন অভাব বোধ করছি।

পা কামড়ানো বা পা চাবানো।
এই সমস্যা আমার আছে। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা নিয়ে বেঁচে আছি। রাতে এত পা চাবায় যে ঘুম ভেঙ্গে যায়। তখন মনে হয় কেউ যদি পা-টা টিপে দিতো তাহলে আরাম লাগতো। কিন্তু কে টিবে দেবে? পা চাবানো সমস্যা আমার বাবারও ছিলো। আমার দাদারও ছিলো। আমার দাদাকে দেখতাম কাজের ছেলেটা সারাক্ষণ দাদার পা টিপে দিচ্ছে। ছেলেটাকে রাখাই হয়েছিলো পা টিপে দেওয়ার জন্য। আব্বার পা কামড়ালে বা চাবালে আমরা টিপে দিতাম। কিন্তু আমার পা চাবালে কেউ টিপে দেওয়ার নেই। আমি কষ্ট পাই। যন্ত্রনা হয়।

অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি।
ডাক্তার আমাকে ক্যালসিয়ামের ওষুধ দেয়। সেই ওষুধ খেয়ে কোনো উপকার পাইনি। সম্ভবত এটা আমার বংশগত সমস্যা। দাদার ছিলো, বাবার ছিলো, এখন আমার আছে। আমি ডাক্তারকে বলেছি ক্যালসিয়ামের ওষুধ খেয়ে আমার পা চাবানো কমে না। তবু ডাক্তার আমাকে ক্যালসিয়ামের ওষুধ দেয়। এখন রাগ করে আর ডাক্তারের কাছে যাই না। প্রায় প্রতিদিনই পা চাবায়। অসহ্য যন্ত্রনা। আমার দিনের বেলায় পা তেমন চাবায় না। রাত হলেই চাবানো শুরু হয়। ভোরের দিকে এবং ঘুম থেকে উঠার পর চাবানোর মাত্রা অনেক বেশি।

কত রকম ঘটনা ঘটে যাচ্ছে চারিদিকে!
মানুষের ক্ষমতা অসীম। মানুষ যে কত রকম কান্ড ঘটাতে পারে! মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি বেড়েই চলেছে। কিছু মানুষ ঈশ্বরের মতো। দিন দিন মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি বেড়েই চলেছে। আহ মানুষ! বেচে থেকেও কেমন করে যেন কিছু মানুষ একে অন্যের কাছে মরে যায়। এই যে মরে যাওয়াটা, এটা কিন্তু তেমন খারাপ লাগে না। আসল মরার পর তো কিছু টের পাওয়া যাবে না। এই জীয়ন্ত মরার মধ্যে একটা মজা আছে কিন্তু। জীয়ন্ত থাকতে থাকতেই নিজের মরাটা কেমন তা বেশ উপভোগ করতে পারা যায়।

আমি সাধারণত কাউকে উপদেশ দেই না।
উপদেশ দিলে অনেকেই বিরক্ত হয়। এজন্য আমি মানুষকে পরামর্শ দেই। অনুরোধ করি। আমি মনে করি- আমার অনুরোধ রক্ষা করলে সে উপকার পাবে। এজন্য আমি অনেককেই অনুরোধ করি। সব সময় সত্য কথা বলবেন। সহজ সরল জীবনযাপন করবেন। মানে জটিলতা কুটিলতা মুক্ত জীবন। প্রচুর বই পড়বেন। যা মন চায় লিখবেন। সময় সুযোগ পেলেই ভ্রমন করবেন। প্রতিদিন দুটা টিভি চ্যানেলের নিউজ শুনবেন। দৈনিক পত্রিকা পড়বেন। পৃথিবীর সেরা মুভি গুলো দেখবেন। প্রতিটা মুভি ২/৩ বার করে দেখবেন। যেমন ধরুন, লাইফ ইজ বিউটিফুল, অথবা দ্যা শশাঙ্ক রিডেম্পশন এই টাইপ মুভি গুলো।
ভালো ও উন্নত চিন্তার মানুষদের সাথে মিশবেন। আড্ডা দিবেন। দুষ্ট লোকজন ও মন্দ লোকজনদের কাছ থেকে দূরে থাকবেন। ধর্ম নিয়ে কারো সাথে তর্ক করবেন না। অলসতা করবেন না। প্রচুর পরিশ্রম করবেন। নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলবেন। অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের পাশে থাকবেন। সূযোগ পেলেই তাদের সাহায্য সহযোগিতা করবেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:০৬

কামাল১৮ বলেছেন: পুরনো বোতাম যারা বিক্রয় করে তাদের কাছে পেতে পারেন।নয়তো সব বোতাম পাল্টে ফেলুন।
ক্যালশিয়ামযুক্ত খাবার বেশি খেয়ে দেখতে পারেন।

১০ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ রাইট।
সারাদিন কড়া রোদ থাকে। তাই কোথাও যেতে ইচ্ছা করে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.