নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
প্রিয়তমাসু,
লেখার ভাষা আমি হারাইয়া ফেলিয়াছি। কাগজ কলম সবই আছে ঠিকঠাক। শুধু ভাষা নাই। আমার যখন যাহা মনে লয় তাহাই লিখিয়া ফেলি। কি লিখি তাহা বিচার বিবেচনা করিতে ইচ্ছা করে না। আজ যা লিখিলাম কাল তাহা ভুল মনে হইলেও তাতে দোষ কি? কি অদ্ভুত ভাবেই না দিনরাত কাটিয়া যাইতেছে। ভাবিলে অবাক হইতে হয়। আমি খুবই তুচ্ছ ইহাতে কোনো প্রকার সন্দেহ নাই। দিন দিন আমার মানসিক আর শারীরিক অবস্থা নড়বড়ে হইতে চলিতেছে।
কেহই আমারে বুঝিতে পারে না ভাবিলেই বুকে ব্যাথা হয়।
টন টন করিয়া। আমার মন খারাপ হইলেই আমি আসমানের দিকে তাকাইয়া ইশ্বরকে খুঁজিয়া বেড়াই। আর মনে মনে জপ পাড়িতে থাকি, আমায় শান্ত কর।আমায় দয়া কর। পথ দেখাও। আমার মন শান্ত হয় না- তখন ইশ্বরকে কামড়াই দিতে ইচ্ছা হয়। ইদানিং বারবার বড় ইচ্ছা জাগিছে- দুরে কোথাও চলিয়া যাইবার। কিন্তু যাওয়া আর হইতেছে না। চোখের পাতা ভিজিয়া উঠে।মাথার ভেতর উঁই পোকা ঝিঁঝিঁ করে সারাক্ষন ডাকিতে থাকে। উফ্ কি যন্তনা। এতো কিছুর পরেও তবু স্নায়ু গুলি টান টান স্পর্শ কাতর যে সামান্য শব্দে বারবার চমকিয়া উঠি। কি কারনে এই রুপ ঘটিতেছে তাহা বাহির না করা পর্যন্ত আমি শান্ত হইব না।
'নীলা' আর জানুক বা না মানুক তুমি তো জানো আমি কতো সরল সুন্দর বোকা জ্ঞনী।
তুমি দূরে চলিয়া যাইবার পর'ই তোমার অভাব খুব বোধ করিতেছি প্রতিনিয়ত। বলতে লজ্জা হয় না তোমাকে আমার প্রয়োজন। তুমি সব সময় আমার পাশে থাকিবে হাসিবে খেলিবে গীত গাইবে। আহা এই কথা ভাবিতেও মনে সুখ বোধ হয়। আমি অনেক ভাবিয়া দেখিয়াছি সারাক্ষন তুমি আমার পাশে থাকিলে- আমার সকল অস্থিরতা সব নিভিয়া যাইবে।নিশিথে আর জাগিয়া থাকিতে হবে না। তুমি আপন হাতে আমার মাথায় হাত বুলিয়া দিবে। আর কেউ না জানুক আমি তো জানি তোমার ঐ দু'হাতে কত মায়া।'নীলা' তোমার স্পর্শেই আমার জীবন হবে মঙ্গলময়। আমি অপেক্ষায় আছি। অপেক্ষা করতে আমার ভালোই লাগে।
আমি জানি, তুমি আমার হাত ধরিলেই আমার সু-সময় শুরু হইবে।
তুমি তো জানো আমি কারো কোনো ক্ষতি করি নাই। কারো অমঙ্গল কামনা করি নাই। সবাই কে ভালোবাসিতে চেয়েছি সর্বক্ষন। আমার কি হইয়াছে নিজেই বুঝিতে পারিতেছি না। নিজেকে শয়তান বলিয়া মনে হইতেছে। অতি নিষ্ঠুর বলিয়া বোধ হইতেছে। এমন মনে হওয়াই স্বাভাবিক। মাঝে মাঝে আমি পাগলের মতো হইয়া যাই। তখন বারবার বলিতে থাকি খুন করিয়া ফেলিব, খুন করিয়া ফেলিব...। ক্রোধ খুব খারাপ জিনিস। তোমার কাছে ক্ষমা চাহিতে আমার লজ্জা লাগে না।আপন মানুষের কাছে আবার লজ্জা কিসের? আমি জানি, -তরল পর্দাথের মধ্যে কোনো বস্তু নিমজ্জিত করলে সেই বস্তু কিছু পরিমানে ওজন হারায় যে পরিমানে ওজন হারায় সেই পরিমান ওজন বস্তু'র অপসারিত তরল পর্দাথের ওজনের সমান। এক বৃষ্টির রাতে তুমি আমার কন্ঠে গান শুনতে চাহিয়াছিলে। আমি গেয়ে ছিলাম আমার সবটুকু সুর দিয়ে।-
বঁধুয়া আমার চোখে জল এনেছে
হায় বিনা কারনে
নীল আকাশ থেকে একি বাজ এনেছে হায় -বিনা কারনে
দিনে দিনে মূল্য বিনে,সে যে আমায় নিলো কিনে-
এ মনে যতন করে
নিটোল প্রেমের বীজ বুনেছে
আমি তো খুঁজি কারন,মন আমার করে বারন
বলে কেন এমন মরন বিনা কারনে
আমি বাদী আমি বিবাদী,কোথাও অপরাধী
কেন সেই রুপের আগুন বুকে জ্বেলে আছি বেঁচে বিনা কারনে...
বঁধুয়া আমার চোখে জল এনেছে
হায় বিনা কারনে।
কেন, তুমি আজ আমার কাছ হইতে দূরে তাহা অনেক বার ভাবিয়াছি।
আর নিজেকে নিজেই গালমন্দ করিয়াছি।তারপরও আত্নার শান্তি মিলে নাই। এই মন নিয়ে তোমার হাত ধরিয়াও শান্তি পাইব না। তুমি মনে করিও না আমি কোনো রুপ আবেগ বা মোহে পড়িয়া তোমাকে এই রকম বলিতেছি। সব'ই হৃদয়ের কথা।'নীলা' কিছু দিনের জন্য আমি নীলগিরি পাহাড়ে চলে যাইব। ফিরিয়া আসিয়া তার কারন ব্যাখ্যা করিব।
আমি মানুষটা খেজুর গাছের মতোন।
খোঁচা না দিলে রস বেরোয় না। তাড়া না দিলে মাথায় আসে না নতুন কিছু।আমি খুব ব্যস্ত আবার অকর্মা, এই দু'ভাবেই আমাকে দেখিতে হইবে। আমাকে যদি না চিনিতে পারো, তাহলে আমার কাছে এসেও আমার আসল কাছে আসা হইবে না তোমার। আবার আমি খুব ছোটও বটে -,তুমি আমাকে দেখবে শুনবে, খাওয়াইবে, পরাইবে, সাজাইবে- আমার সে বয়সও আছে। রাতে যখন তুমি আমার সাথে নানান বিষয়ে গল্প বলে যাও, সে আমার খুব ভালো লাগে। রাতের আকাশের তারা ইশ্বরের খুব বড় সৃষ্টি, কিন্তু তোমার মুখের কথা গুলি আমার কাছে আকাশের তারার মতো। ঐ তারার আলো যেমন কোটি কোটি যোযন দূরের থেকে আসে- তেমনি তোমার হাসি,তোমার কথা শুনতে শুনতে মনে হয় যেন কত জন্ম -জন্মান্তর থেকে তার ধার সুধা স্রোতের মতন বয়ে এসে আমার হৃদয়ের মধ্যে এসে জমেছে।
আমার মনে অনেক গ্লানি থাকিলেও আক্ষেপ নাই।
আমার সব দুর্বলতা তো তোমার'ই কাছে। তুমি তো জানো আমি কখনো কোনো কাজ'ই ভাবিয়া করিনা। তুমি আমার পাশে আছো- ভয় কি! তাই আমি তোমাকে এতোটুকু বলতে পারি-দায় সবটুকু আমার'ই ছিল না। আচ্ছা, নীলা সম্রাট শাজাহান কি মমতাজ কে ভালোবাসিতেন?ভালোবাসিলে তার জীবনে অন্য নারী কেন আসিয়াছিল? সেই নারীদের সাথে সম্রাট শাহজাহান যখন সুখবিহার করিতেন, তখন কি মমতাজের কথা মনে পড়িত? আর একারনে কি মমতাজ খুব দুঃখ পাইতেন না? সম্রাটের অপেক্ষায় নয়, স্বামীর পথের দিকে তাকাইয়া তার বিনিদ্র রাত যখন কাটত-,তখন বুকে কান্না ছটফট করিত না?সেই মমতাজ মারা যাইবার পর যমুনা'র ওপাশে শাজাহান পৃথিবীর অন্যতম আশ্চর্য সৃস্তিসৌধ নির্মাণ করিয়া নাম রাখিলেন 'তাজমহল'। যুগ যুগ ধরিয়া মানুষ সেই তাজমহলের সামনে দাঁড়াইয়া বলিতেছে, আচ্ছা,এই হইলো ভালোবাসা? ভালোবাসা'র মানুষের জন্য তার সমস্ত ভালোবাসা উজার করিয়া তাজমহল বানাইয়া মমতাজ কে জীবিত রেখেছে শত শত বছর ধরিয়া। কিন্তু বাঁচিয়া থাকিতে যার প্রতি একনিষ্ঠ হইলাম না। মৃত্যুর পর তাকে নিয়া লাফা লাফি করা কি রকম ভালোবাসা?
সবাই আপন আপন লইয়া আছে।
আমি কেন আপন নিয়া থাকিব না? নীলা সাফাই গাইতেছি না। দোষ আমার একার না। আজ আমার মনে হইতেছে আমার আরো অনেকদিন বাঁচিয়া থাকিতে হইবে। এখনো আমার অনেক কাজ জমিয়া আছে। আমি নির্বোধ না, আমি জানি,যখন আত্নবিশ্বাস চলিয়া যায় -তখন আয়ু বড় দুর্বল বলিয়া বোধ হয়। নীলগিরি পাহাড়ে ভ্রমন আমার অস্থিরতা কতক উওমশ করিতে পারে বলিয়া বাহির হইব। নচেৎ অন্য উপায় চিন্তা করিব।
এই সব লেখার একটি কারন আছে-
আমি তোমার কাছ হইতে একটি কথা'র জবাব চাই। শুধু তোমার মনোভাব টুকু জানিতে চাই। আমার এই সমস্ত প্রলাপে বিরক্ত হইও না। আমি বড় অসহায়, বড় হতাশ। আমার সব গ্লানি'র অবসান ঘটিয়ে দাও।
হে নক্ষএের রানী!
অন্ধকার আকাশ হতে তোমার শুচিশুভ্র
চোখ মেলে তাকাও।
যাকে আমি সারা জীবন ধরে খুঁজে চলেছি।
আমার সেই প্রিয়তমার নামাঙ্কিত পএ রেখে দিচ্ছি আমি।
১২ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:১১
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখা। প্রিয়তে রাখলাম। সময় করে আবার পড়তে হবে। ++