নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় কন্যা আমার- ৫৬

১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:১৮



প্রিয় কন্যা আমার-
অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করে একটা মেয়ের ভবিষ্যৎ কেমন হওয়া উচিৎ। তাঁরা তাদের জীবন কিভাবে গড়ে তুলবে? আমি তাদের বলি- ১৮ বছর হলেই বিবাহ করিবেন না। যদি আপনার বাবা-মা বিয়ের কথা বলে, তবুও বিয়ে করবেন না। নো নেভার। নিজের পায়ের নিচের মাটি শক্ত করার আগে কোনো মেয়ের বিয়ে করা উচিত না। বিয়ে করা মানেই আপনি বন্দী হয়ে গেলেন। আগে সুন্দর ভাবে ভালো সাবজেক্ট নিয়ে লেখাপড়া শেষ করবেন। তারপর ভালো চাকরী বা বিজনেস করবেন। যদি উদ্যোক্তা হতে চান, হতে পারেন। টাকা ইনকাম করা শিখতে হবে। নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। যেন কেউ চোখ রাঙ্গিয়ে কথা বলতে না পারে। হোক সে আপনার পিতা, ভাই, প্রেমিক অথবা আত্মীয়স্বজন। যোগ্য ও দক্ষ মানুষ সব জাগায় সম্মানিত। কাজেই আপনাকে সফল হতে হবে। যেন পরিবারের সদস্যরা আপনার উপর ভরসা রাখে।

মেয়েদের হতে হবে তুখোড়।
যেসব মেয়েরা নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ করার আগেই বিয়ে করে তাদের কপালে নানান ভোগান্তি থাকে। শ্বশুর বাড়িতে সম্মান পায় না। দেবর, ননদ এবং শ্বশুর-শ্বাশুরি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্ল করে। মুখ বুঝে সহ্য করে যেতে হয়। কিন্তু এই মেয়েটা যদি আজ প্রতিষ্ঠিত হতো তাহলে শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি বা দেবর ননদ তুচ্ছ তচ্ছিল্য করতে পারবে না। অনেক সময় স্বামীও কম যায় না। স্বামী চায় স্ত্রী তার হাতে বন্ধী থাকুক। তার কথা মতো উঠবস করুক। কিন্তু একজন প্রতিষ্ঠিত নারীকে কোনঠাসা করে রাখা যায় না। প্রতিষ্টিত নারীকে চোখ রাঙ্গানো যায় না। অত্যাচার করা যায় না। কেউ জোর করে নিজের ইচ্ছা মেয়েটার উপর চাপিয়ে দিতে পারবে না। একজন মেয়ের কারো উপর ভরসা রাখা সঠিক কাজ হবে না। সে ভরসা রাখবে শুধু নিজের উপর। লেখাপড়া মেয়েদের সাহসী করে দেয়। ভালো চাকরী বা বিজনেস করে টাকা ইনকাম করতে শিখলে মেয়েদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যায়।

লেখাপড়া শেষ করার আগে কোনো মেয়ের প্রেম ভালোবাসা করা একদমই উচিৎ না।
প্রেম ভালোবাসা করতে গেলেই লেখাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর লেখাপড়ার ক্ষতি মানে নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়ে যাওয়া। যেসব মেয়ে নির্বোধ তাদের লক্ষ্য থাকে কোনো রকম লেখাপড়া শেষ করে, পাশ করে, বিয়ে করে ফেলা। তারপর ঘর সংসার। রান্না করো, খাও, খাওয়াও আর বাচ্চা লালন পালন করো। আর বুদ্ধিমতি মেয়েরা আগে নিজেকে গোছায়। লেখাপড়া শেষ করে। এরপর চাকরী অথবা বিজনেস করে নিজেকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। মেয়েদের উচিৎ পুরুষ জাতিকে বিশ্বাস না করা। কারন পুরুষ হচ্ছে কুকুরের জাত। প্রেম করার সময় পুরুষ নায়ক নায়ক ভাব দেখায়। আর সেই প্রেমিক পুরুষ বিয়ের পর সম্পূর্ন বদলে যায়। তার আচরণ হয়ে যায় ভিলেনের মতোণ। এজন্য মেয়েদের খুব সাবধান থাকতে হবে। কারো মিষ্টি কথায় গলে যাওয়া যাবে না।

একটা মেয়ে যদি ডাক্তার হয়, একটা মেয়ে যদি সরকারী বড় পদে চাকরী করে, মেয়েটা কলেজের শিক্ষিকা হয়, অথবা বিজনেস করে- তখন এই মেয়ের পায়ের নিচের মাটি শক্ত হবে। এই মেয়েকে কোনো পুরুষ চোখ রাঙ্গাতে পারবে না। দাবিয়ে রাখতে পারবে না। এমনকি বিয়ের পর এই মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে মাথা উঁচু করে থাকতে পারবে। আর যে মেয়ে প্রতিষ্ঠিত নয় তাকে সমাজ নানান ভাবে অপমান অবহেলা করে। শ্বশুড় বাড়ীতেও যথাযথ সম্মান পায় না। এজন্য প্রতিটা মেয়ের আগে নিজেকে সঠিক ভাবে গড়ে তুলতে হবে। বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরন করতে হবে। নিজের স্বপ্ন পূরন করতে হবে। পরিবারের প্রতি যে দায়িত্ব আছে সেটা যথাযথ ভাবে পালন করতে হবে। এরপর সমাজের জন্য ভালো কিছু করতে হবে। কোনো মেয়ের যেন এরকম স্বপ্ন না থাকে সামান্য কিছু লেখাপড়া, তারপর বিয়ে এবং ঘরসংসার করা। এরকম চিন্তা বাদ দিতে হবে। উন্নত চিন্তা করতে হবে। আর কতকাল মেয়েরা পিছিয়ে থাকবে?

আমাদের সমাজটা উন্নত নয়।
এই সমাজের পুরুষ গুলো অতি কুৎসিত। যাকে ভালো মনে হবে, সে আরো বেশি কুৎসিত। মেয়েদের মন দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে। ভালো রেজাল্ট করতে হবে। জীবনের একটা লক্ষ্য ঠিক করে সেদিকে এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে। পড়াশোনার বিকল্প কিছু নাই। এই পড়াশোনাই সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে দিবে। যে মেয়ে বাবা মায়ের কথা মেনে চলে না, সে মেয়ের কপালে দুঃখ থাকে। এই সমাজে মেয়েদের অনেক দোষ। মেয়েটা কি বাজে জামা পড়েছে, দ্যাখ মেয়েটা কিভাবে হাঁটে, মেয়েটা প্রেম করে, মেয়েটা ওড়না পড়ে না। ইত্যাদি নানান ফালতু টাইপ কথা। এজন্য মেয়েদের উচিৎ এমন ভাবে চলাচল করা যেন কেউ কিচ্ছু বলতে সাহস না পায়। মেয়েদের চলার পথ মসৃন নয়। শত বাঁধা আসবেই। সেই বাঁধা ডিঙ্গিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। থেমে যাওয়া যাবে না। থেমে যাওয়া মানে হেরে যাওয়া। কিছুতেই হেরে যাওয়া যাবে না।

নিজেকে একটা ভালো পজিশনে না নিয়ে বিয়ে করা যাবে না।
যদি বয়স বেড়ে ত্রিশ পার হয়ে যায়, তো যাক। তবু নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগে বিয়ে নয়। এই সমাজ আজও মনে করে- মেয়েদের ঘর দুটা আঁতুড়ঘর আর রান্নাঘর। এই আধুনিক যুগে এসেও একটা মেয়ে রাস্তায় একা চলাচল করতে ভয় পায়। মেয়েদের এতটাই প্রতিষ্ঠিত হতে হবে- যেনতেন পুরুষ সামনে এসে দাঁড়াতে সাহস না পায়। মেয়েরা আর কত কাল অবুঝ থাকবে? ভুল করবে? বালিশে মুখ গুঁজে কান্না করবে? মেয়েরা কেন বিয়ের আগে বাবা আর বিয়ের পর স্বামীর উপর ভরসা করে জীবনযাপন করবে? ভরসা রাখতে হবে নিজের উপর। বাবা বা স্বামীর উপর নয়। যে মেয়ে নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ করে প্রতিষ্ঠিত করে তোলে সে কারো উপর ভরসা করে না। ধনী না দরিদ্র ঘরের মেয়ে সেটা বড় কথা নয়। তীব্র ইচ্ছা থাকলে একটা মেয়ে নিজেকে অবশ্যই সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: পুরুষ হচ্ছে কুকুরের জাত - এমন একটা ঢালাও মন্তব্য মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। ভালোমন্দ উভয় লিঙ্গেই থাকতে পারে। বরং নারীরা নিজেই উপলব্ধি করতে পারে, পুরুষ কত সুন্দর হতে পারে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: রাইট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.