নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
হুমায়ূন আহমেদ একজন গ্রেট লেখক।
তার তুলনা হয় না। বাংলাদেশে তার সমতুল্য কোনো লেখক নেই। তিনি লেখালেখি করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরী ছেড়ে দেন। বাংলাদেশে এখন যারা লেখালেখি করছেন, তাঁরা সকলেই চাকরী করেন। চাকরী না করলে খাবে কি? সংসার চলবে কেমন করে? বর্তমান লেখকদের হুমায়ূন আহমেদের মতো আত্মবিশ্বাস নেই যে, শুধু মাত্র লেখালেখি করে উন্নত জীবনযাপন করা যায়।
'বৃহন্নলা' মিসির আলি সিরিজের একটি জনপ্রিয় উপন্যাস।
উপন্যাসটি ১৯৮৯ সালের আগস্ট মাসে প্রথম প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসে মিসির আলি লেখকের কাছে শোনা অতিপ্রাকৃত এক ঘটনার রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করেন। মিসির আলি অসাধারন এক চরিত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজির পার্টটাইম শিক্ষক মিসির আলি। সহজ সরল একজন ভালো মানুষ তিনি। লোভহীন মানুষ। মানুষের প্রতি তাঁরা সীমাহীন ভালোবাসা রয়েছে। রহস্যের মীমাংসা করতে পছন্দ করেন। তবে কোনো পারিশ্রমিকের বিনিময়ে নয়, নিতান্তই শখের বশে। এরকম চরিত্র বাংলাদেশের আর কোন লেখক তৈরি করতে পারেন নাই। হুমায়ূন আহমেদ রচিত প্রথম উপন্যাস 'নন্দিত নরকে' ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয়।
বৃহন্নলা মানে হিজড়া।
অনেকে বৃহন্নলা উপন্যাসটিকে ভৌতিক মনে করেন। আমি নিজেও হরর উপন্যাস ভেবেছিলাম। অথচ বৃহন্নলা সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার গল্প। বৃহন্নলা উপন্যাসে হুমায়ুন আহমেদের সাথে মিসির আলী দেখা হয়েছিল। হুমায়ুন আহমেদ সম্পর্কে মিসির আলী নোট করেছিলেন- নামঃ হুমায়ুন আহমেদ, বিবাহিত, তিন কন্যার জনক, পেশা অধ্যাপনা, বদমেজাজি, অহংকারী। অধ্যাপকদের যেটা বড় ত্রুটি, অন্যদের বুদ্ধিমত্তা খাটো করে দেখা, ভদ্রলোকের তা আছে।’ শহীদ জননী জাহানারা ইমাম বলেছিলেন- হুমায়ূন আহমেদ এর মিসির আলি উপন্যাস গুলো কোনোদিন হারিয়ে যাবে না। বৃহন্নলা উপন্যাসটি আমি এখন পর্যন্ত পাঁচ বার পড়েছি। এবং পাঁচ বারই মুগ্ধ হয়েছি। হুমায়ূন আহমেদ গল্প বলতে জানেন।
আমার মিসির আলির সবচেয়ে প্রিয় বই, 'বৃহন্নলা' ও 'নিশীথিনী'।
বৃহন্নলা নিয়ে একটি নাটক/সিনেমা বানানো হয়েছিলো। যা অতি অখাদ্য হয়েছে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প উপন্যাস নিয়ে অনেকেই নাটক সিনেমা বানিয়েছেন। সেগুলো একটাও ভালো হয়নি। হুমায়ূন আহমেদ যেভাবে দরদ দিয়ে নাটক/সিনেমা তৈরি করেন সেটা অন্য কারো পক্ষে সম্ভভব না। হুমায়ূন আহমেদ তার বইয়ের নাম গুলো নেন রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা, গল্প ও উপন্যাস থেকে। একথা হুমায়ূন আহমেদ নিজেই বলে গেছেন। বৃহন্নলা নামের সাথে এই উপন্যাসের কি সম্পর্ক সেটা আমি জানি না। হুমায়ূন আহমেদ খেয়ালি মানুষ। হয়তো, এই নামটা তার ভালো লেগেছে, তাই বইটির নাম দিয়েছেন- বৃহন্নলা।
১৬ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: এজন্য দায়ী কে?
শেখ হাসিনা? নাকি জনগন?
২| ১৬ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৬
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: না তিনি বা তার সরকার এককভাবে নন। পরীক্ষায় নকলের উৎসব শুরু হয় মূলত এরশাদের শাসনের কাল থেকে। নিম্নগামী শিক্ষা একটি প্রতিফলন ছিল সেসময়, বিষয়টি অত্যন্ত জটিল ও ব্যাপক।
৩| ১৬ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: তবে গত ১২ বছরে শিক্ষার মান তলানিতে এসে ঠেকেছে।
একটা মাস্টার্স পাশ করা ছেলে একপাতা দরখাস্ত লিখতে পারে না ইংরেজিতে।
৪| ১৮ ই মে, ২০২৩ রাত ৩:১৬
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: তাঁরা বাংলাতেও নির্ভুল দরখাস্ত লিখতে পারবে না। তবে দেশে আমাদের সময়ে ইংলিশ শেখানোর পদ্ধতি ভুল ছিল, গ্রামার দিয়ে ইংলিশ শেখা যায় না। বাংলা, ইংলিশ উভয় বিষয়ে গ্রামার শেখানো ভুল চিন্তাভাবনা। কানাডায় স্কুলে ইংলিশ শিখানো হয় না, কিন্ত গল্প, কবিতা লেখানো শেখানো হয়।
১৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার কি শিক্ষক?
৫| ২৪ শে মে, ২০২৩ ভোর ৪:৩৮
চারাগাছ বলেছেন:
"তন্ময় আসছে। সে আগে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটত। এখন আর হাঁটছে না। সে দোতলায় উঠে এল। সে দাঁড়িয়ে আছে মিসির আলির কাছে। দেব-শিশুর মতো কী সুন্দর মুখ! ঘন কালো চোখ, দীর্ঘ পল্লব।
মিসির আলি মনে মনে বললেন, প্রকৃতি অসুন্দর সহ্য করে না। তারপরেও অসুন্দর তৈরি করে, অসুন্দর লালন করে। কেন করে?"
বলুন তো এটা কোন বইয়ের অংশ। এই বইয়ে তন্ময় ছেলেটা বৃহন্নলা। ছোট থাকতে তার মা গলা টিপে ধরেছিল।
বৃহন্নলা বইটা আরেকবার পড়ুন। সুধাকান্তবাবু কেই বৃহন্নলা বলা হয়েছে। সেই কারণেই বইয়ের নামকরণ। কেন করা হয়েছে বুঝতে পারবেন নিশ্চয়ই।
আপনারা কয়েকজন ব্লগার। হুমায়ুন আহমদ নিয়ে ভাবেন লেখেন। তাদের প্রতি আলাদা ভালোলাগা কাজ করে।
ধন্যবাদ।
২৪ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমি এবং আমরা বইটা কি পড়েছেন? মিসির আলির বই।
৬| ২৫ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:১২
চারাগাছ বলেছেন: আমি এবং আমরার কথাই প্রথমে কোট করেছি।
ওটা সেরা বই।
২৬ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: আমার কাছে সেরা হচ্ছে নিশীথিনী।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই মে, ২০২৩ ভোর ৫:২৯
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: উনার মত আরেকজন লেখক বাংলাদেশে আর আসবে কিনা সন্দেহ। লেখক তৈরি হতে লাগে মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা, যা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।