নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
খালিস্তান হলো পাঞ্জাবি শব্দ যার অর্থ হলো বিশুদ্ধ ভূমি।
খালিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার পাঞ্জাব অঞ্চলে জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে প্রস্তাবিত একটি স্বতন্ত্র ও সার্বভৌম দেশ। পাঞ্জাব অঞ্চল শিখদের ঐতিহ্যগত মাতৃভূমি। ভারত এবং পাকিস্তনের বিরোধপূর্ণ দুটি প্রদেশ খালিস্তান ও বেলুচিস্তান। সেই সাতচল্লিশ সাল থেকে তারা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করে আসছে। খালিস্তান আন্দোলন শিখদের একটি পৃথক জাতি গঠনের ধারণার ভিত্তিতে তৈরি। এই ধারণার অনুপ্রেরণা এসেছে মুসলমানদের জন্য মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর আলাদা রাষ্ট্রের পরিকল্পনা থেকে।
ভারতের প্রধান দুই জাতীয় দল বিজেপি ও কংগ্রেস কেউই পাঞ্জাবে সবল নয়।
অনেক শিখরা বিশ্বাস করে থাকেন, ৪৭-এ ভারত ভাগ হওয়ার সময় তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে, তাদেরকেও একটি স্বাধীন রাষ্ট্র দেওয়া হবে। পরবর্তীতে তা থেকে তারা বঞ্চিত হয়েছে। কানাডার রাজনীতিতে ব্যাপক আধিপত্য রয়েছে ভারতীয় শিখদের। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়ে থাকে খালিস্তান আন্দোলনে সর্মথন দানের। বর্তমানে ১৩ লাখের বেশি শিখ কানাডার রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলছে।
৩০ বছর বয়সী অমৃতপাল সিং শিখদের জন্য একটি পৃথক মাতৃভূমির দাবিতে খালিস্তানি আন্দোলনের একজন কড়া সমর্থক।
খালিস্তান আন্দোলন হল -একটি শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন। যে আন্দোলনের দাবি শিখ ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠন করা। ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পরে, জগজিৎ সিং চোহানের পাকিস্তান সফরেই ভারতসহ আন্তর্জাতিক মহলে প্রথমবার মতো খালিস্তান আন্দোলন পরিচিতি পেয়েছিল। পাকিস্তানের তরফ থেকেও খালিস্তানি আন্দোলনকে সমর্থন করা হয়েছে। আলাদা দেশ হিসেবে খালিস্তানিপন্থীদের দাবিকে কার্যত মেনে নিয়েছে পাকিস্তান।
জঙ্গিবাদের পাশপাশি বিদেশের মাটিতে খালিস্তানপন্থীরা বহু সভা, সমিতি, মিছিল আয়োজন করে থাকেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিখ ফর জাস্টিস নামে একটি সংগঠন তৈরি হয়েছে, যাকে ২০২০ সালে জঙ্গি সংগঠনের তালিকাভুক্ত করেছে ভারত। খালিস্তান ইস্যুটি কাশ্মীর ইস্যুর মতই। কানাডায় বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ শিখ বসবাস করে। তাদের মধ্যে খালিস্তান আন্দোলনের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। বৌদ্ধ বা জৈনধর্মের মত শিখধর্মের উৎপত্তি হিন্দুধর্মের থেকেই। স্বাধীনতার পর আর একটি সমস্যা দেখা দেয়। ভারতীয় পঞ্জাবে শিখেরা হয়ে পড়েন সংখ্যালঘু (বর্তমান পঞ্জাব, হরিয়ানা আর হিমাচল প্রদেশ নিয়ে গঠিত হয়েছিল পূর্ব পঞ্জাব)।
অমৃতপাল তাঁর সাক্ষাৎকারে বলেছেন,
দীর্ঘ সময় ধরে ভারতে শিখ ধর্মাবলম্বীদের অপমান করা হচ্ছে এবং তাঁদের চুল এবং দাড়ি কাটতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। শিখ ধর্মকে ধীরে ধীরে ‘শেষ’ করে দেওয়ার পাশাপাশি পাঞ্জাবের আরও একাধিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত-চীন সঙ্কটের কারণে এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। খালিস্তান প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দেয়া হলে খালিস্তানিরা খুশি মনেই চীনের সাথে সহযোগিতা করবে। খালিস্তান সামরিকভাবে ভারতের মনোবল ভেঙে দেবে। এটি সামরিকভাবে পাকিস্তান ও চীনের জন্য ব্যাপকভাবে কল্যাণকর হবে। উল্লেখ্য, ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে শিখরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
তথ্য সুত্র- উইকিপিডিয়া-ইন্টানেট।
©somewhere in net ltd.