নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আমি এক পাপী বান্দা।
জেনে শুনে বুঝে দোষ করেছি ঘরে-পরে জনম জনম। আমি এক নাদান আজ লিখতে বসেছি আমার রবকে নিয়ে। ভুল ত্রুটি যা আছে প্রভু আমাকে ক্ষমা করে দেবেন নিশ্চয়ই। নবীজি জন্মের পর আমরা কোরআন পাই। নবীজির উছিলায় আমাদের হাতে আসে আল্লাহর বানী। পবিত্র কোরআন। আল কোরআন। এই আল কোরআনে আছে পৃথিবীর সমস্ত সমস্যার সমাধান। পবিত্র কোরআনে যা লেখা আছে, সেগুলো আল্লাহর বানী। যুগে যুগে অনেক নবী রাসুল আল্লাহ পাঠিয়েছেন আমাদের হেদায়েতের জন্য। সবশেষ নবী আমাদের হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)।
আমরা যেন পৃথিবীতে সুন্দরভাবে চলতে পারি এজন্য আল্লাহপাক দয়া করে আমাদের কোরআন দিয়েছেন।
আর কোরআন এর কথা মতো না চললে কি হবে, সেটা আল্লাহপাক কোরআনে বলে দিয়েছেন। দুষ্টলোকদের মৃত্যুর পর কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। কুদরত মানে শক্তি। এ বিশ্ব, এর গতি ও স্থিতি সবই আল্লাহ তাআলার অসীম কুদরত। আমাদের দূর্ভাগ্য আমাদের দেশ কোরআনের নিয়মে চলে না। চলে সংবিধান অনুযায়ী। পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশ চলে তাদের নিজস্ব সংবিধান অনুযায়ী। এযুগের পিতামাতারা তাদের ছেলে মেয়েদের কোরআন হাদীস পড়ায় না। পড়ায় বাংলা অংক ইংরেজি আর সমাজ বিজ্ঞান। ধর্ম থেকে তাঁরা দূরেই সরে গেছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা নিজেই নিজের পরিচয় দিয়েছেন।
তিনি এক। এবং অদ্বিতীয়। তার কেউ নেই। তিনি কাউকে জন্ম দেননি, কেউ তাকে জন্ম দেয়নি। আল্লাহ সপ্তম আকাশকে স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। সারা বিশ্বের মালিক আল্লাহপাক। এই গ্রহ, নক্ষত্র, আসমান জমিন সবই আল্লাহপাক বানিয়েছেন। কোরআনে যা বলা হয়েছে সেগুলো ১০০% বিনা দ্বিধায় বিশ্বাস করতে হবে। কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। নবীজি আল্লাহর ম্যাজিকে একরাতের মধ্যে- আসমানে চলে গেছেন। আর নাসা মহাকাশ নিয়ে কত নাচানাচি করে চলেছে। অথচ কোরআনে সব বলা হয়েছে। বিজ্ঞান মূলত ধর্মের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। এগুলো কাফেরদের ষড়যন্ত্র। মুসলিম হিসেবে আমাদের দায়িত্ব কাফেরদের ধোকায় পড়া যাবে না।
আল্লাহ্ ক্ষমাশীল কিন্তু রোজ হাশরের ময়দানে আল্লাহ দুষ্টলোকদের আগুনে পুড়বেন।
হাশরের ময়দানে হায় হায় পড়ে যাবে। মানুষ চিৎকার করবে, কাঁদবে। মাটিতে গড়াগড়ি খাবে। ক্ষমা চাইবে, কিন্তু তাদের ক্ষমা করা হবে না। অপরাধের শাস্তি পেতেই হবে তাদের। এমনকি কবরের আযাব থেকেও তাদের মুক্তি নেই। আর যারা পৃথিবীতে ভালো কাজ করেছে, আল্লাহর বিধান মতো চলেছে, তাঁরা বেহেশতে এঞ্জয় করবে। যা চাইবে তাই পাবে। আমাদের নবীজি কত কষ্ট করছেন। তার আমলে ইন্টারনেট ছিলো না। কম্পিউটার ছিলো না। উড়োজাহাজ ছিলো না। টেলিভিশন, ফ্রিজ, এসি, মোবাইল ফোন- কিছুই ছিলো না। সীমাহীন কষ্ট করেছেন তিনি। আরবে ছিলো অনেক গরম। চারিদিকে শুধু মরুভূমি। আমরা যারা এযুগে জন্মেছি, তাঁরা ভাগ্যবান।
আল্লাহর পরিচয় লাভের ওপর নির্ভর করছে ব্যক্তির ইহকালীন ও পরকালীন সাফল্য।
আল্লাহ্ পাকের পবিচয় আছে কোরআনে। আর আল্লাহর পরিচয় লাভের অর্থ হলো- তাঁর নাম, গুণাবলি, কাজ ও বিধান সম্পর্কে জানা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ শব্দটি ২৬৮৪ বারের বেশি এসেছে। আল্লাহর পরিচয় সংক্রান্ত একমাত্র সুরা হচ্ছে সুরা ইখলাছ। নবীজি বলেছেন, আল্লাহ আসমানে থাকেন। বহু লোক নব্জির কাছে নানান সমস্যা নিয়ে আসতেন। নবীজি তাদের সমস্যার সমধান দিতেন। তখন গুগল ছিলো না। নবীজি নিজেই তার অলৌকিক ক্ষমতা দিয়ে সমাধান দিতেন। দুটা উদাহরণ দেই।-
একবার একলোক এসে নবীজিকে বললেন,
হুজুর আমি নতুন বিয়ে করেছি। কিন্তু একলোক আমার ঘরে প্রতিদিন রাতে উঁকি দেয়। নবীজি বললেন, তাকে ভালো করে বুঝাও। তিনবার ভালো করে বুঝানোর পরও, সেই লোক রাতে স্বামী স্ত্রীর ঘরে উঁকি দিলো। তখন নবীজি বললেন, তার চোখ উপড়ে ফেলো। আরেকটা হাদীস বলি- একলোকের মাথায় উকুন হয়েছে। নবীজির কাছে গেলেন সমাধানের জন্য। নবীজি বললেন, রোজা রাখো, মাথার চুল ফেলে দাও। বরকি কোরবানী দাও। লোকটা তাই করলো। এখন অবশ্য চুলে উকুন হলে- রোজা রাখতে হয় না, চুল ফেলে দিতে হয় না, অথবা বরকি কোরবানী দিতে হয় না। পাঁচ টাকা দিয়ে একটা উকুন নাশক শ্যাম্পু কিনলেই হয়।
©somewhere in net ltd.