নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় কন্যা আমার- ৫৭

০১ লা জুন, ২০২৩ রাত ১১:৪৪



প্রিয় কন্যা আমার-
দক্ষিণে সমুদ্র, পশ্চিমে সমুদ্র, উত্তরে সেই হিম পাহাড়ের ঢেউ। মাঝখানে মোটা থেকে সরু হয়ে আসা এক দেশ। বাংলাদেশ। আমাদের দেশ। কিন্তু যে যেখানেই বীজ বপন করবে, সেইখানেই বৃক্ষের উৎপত্তি হবে। খেয়াল করলে বুঝতে পারবে- সব মানুষই এক অসমাপ্ত কাহিনি। কোনও মানুষই তার জীবনের সব ঘটনা, সব কাজ শেষ করে যায় না! চারিদিকে কত অন্যায় হচ্ছে তাই না? সব অন্যায় কি শুধু গায়ের জোরে ঠেকানো যায়? আগে নিজে ন্যায়বান হতে হয়, সাহসী হতে হয়, মানুষকে ভালবাসতে হয়। মানুষ কোথা থেকে জোর পায় জানো? ভালোবাসা থেকে। মা-বাবাকে যদি ভালোবাসো, ভাইবোনদের যদি ভালোবাসো, সবাইকে যদি ভালোবাসো- তাহলে দেখবে গায়ের জোরের তত দরকার হয় না। মানুষের সবচেয়ে বড় অস্ত্র'ই হচ্ছে ভালোবাসা। আর একটা জিনিস আছে, সেটা ছাড়া মানুষের কোনো মূল্য নেই। বলতো কি? সেটা হচ্ছে 'জ্ঞান'। জ্ঞানের চেয়ে সুন্দর আর কিছু হয় না।

প্রিয় ফারাজা তাবাসসুম,
আজ প্রচন্ড গরম পড়েছে। ৩৮ ডিগ্রী তাপমাত্রা। আমি ৩৩/৩৪ ডিগ্রী পর্যন্ত সহ্য করতে পারি। এর বেশি তাপ হলে আমার কষ্ট হয়। ঝুম ঝুম বৃষ্টি দরকার। নইলে এই গরম কমবে না। গরমে তোমারও নিশ্চয়ই কষ্ট হচ্ছে। আমাদের ঘরে এসি নেই। অবশ্য সারা বছর তো আর অতি গরম পড়ে না। সব মিলিয়ে বছরে একটা মাস খুব বেশি গরম থাকে। অন্য সময় ফ্যান'ই যথেষ্ঠ। যাদের ঘরে ফ্যান নেই, তাদের কি কষ্ট বুঝ। সে ঘর যদি আবার তোমার মতো ছোট বাচ্চা থাকে, তাহলে সেই বাচ্চাটার কত কষ্ট। ঢাকা শহরে অনেক মসজিদে এসি আছে। দুই টন এসি। অথচ মসজিদে মানুষ যায় ৫/১০ মিনিটে নামাজ শেষ করে চলে আসে। আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী হলে ঘোষনা করতাম- এই গরমে যাদের খুব কষ্ট হয়, তাঁরা মসজিদে এসে ঘুমান। এসি আছে। আরামের ঘুম হবে। মসজিদে ধনী গরীব সব লোকের দাবী আছে। কত লোক রাস্তায় ঘুমায়। তারা মসজিদে ঘুমালে সমস্যা কি? তাতে কি আল্লাহ রাগ করবেন?

প্রিয় কন্যা আমার-
কানাডাতে একটা মসজিদ আছে। বিশাল মসজিদ। সেই মসজিদে লাইব্রেরী আছে। লাইব্রেরীতে সব রকমের বই পাওয়া যায়। যে কোনো ধর্মের লোক এ মসজিদের লাইব্রেরীতে বসে বই পড়তে পারে। কোনো সমস্যা নেই। শুধু লাইব্রেরী না খেলার জন্য ইনডোর গেমসের ব্যবস্থা আছে। সেখানে যে কেউ গিয়ে ফুটবল, ক্রিকেট, বলিভল ইত্যাদি খেলা খেলতে পারে। যারা এই সমজিদের সদস্য তাদের কোনো টাকা লাগবে না। কিন্তু যারা সদস্য না তাদের কিছু টাকা দিতে হয়। এই মসজিসে জিমও আছে। যে কেউ ইচ্ছা করলে এখানে এসে ব্যয়াম করতে পারবে। ক্যান্টিন আছে। ক্ষুধা লাগলে খাওয়া যাবে। অর্থ্যাত মসজিদ শুধু নামাজের জন্য না। এখানে খেলা যায়, ব্যয়াম করা যায়, বিশ্রাম নেওয়া যায়। বই পড়া যাবে। আমাদের দেশের মসজিদ গুলো এরকম করলে বেশ হতো। যার ভালো লাগবে বই পড়বে, যার ভালো লাগবে ব্যয়াম করবে, যার ভালো লাগে খেলবে। তাহলে সমাজ থেকে বখাটেদের সংখ্যা কমতো। গলির মোড়ে দুষ্ট পোলাপানদের আড্ডা দেওয়া বন্ধ হতো। মাদকসেবীদের সংখ্যা কমতো। দেশ ভেদে হুজুরদের রুচি, শিক্ষা, মন ও মানসিকতায় প্রার্থক্য আছে।

প্রিয় ফারাজা তাবাসসুম খান (ফাইহা)
এবার আমের ফলন মনে হয় ভালো হয়েছে। রাস্তায় বের হলেই শুধু আম আর আম। আমি প্রতিদিন আম কিনছি। এ পর্যন্ত মনে হয় ৬০ কেজি আম কিনে ফেলেছি। আমার পছন্দ হিমসাগর আম। তোমারও পছন্দ হিমসাগর আম। তোমার মায়েরও হিমসাগর আম খুব পছন্দ। আমি বাসায় আম নিয়ে প্রবেশ করা মাত্র তুমি খুশিতে লাফাতে থাকো। এবং আমাকে বলো- বাবা তোমাকে ভালোবাসি। তুমি আম খাও খুব সুন্দর করে। ছোট একটা টুলের উপর বসো। আমি তোমার সামনে বসি। ছুরি দিয়ে আম কেটে তোমার হাতে দেই, আর তুমি খাও। খেতে খেতে আমাকে জিজ্ঞেস করো, বাবা এটা কি আম? আমি বলি, হিমসাগর। তখন তুমি বলো- খুব মিষ্টি আম। বাবা আমি হিমসাগর পছন্দ করি। যখন তোমাকে হিমসাগর আম কেটে কেটে দেই। তখন আমার মনে হয়- আমার বাবাও কি আমাকে এভাবে আম কেটে দিতো? তোমার এখন আড়াই বছর। আমার যখন আড়াই বছর, সেই সময়ের সৃতি আমার মনে নেই।

প্রিয় কন্যা আমার-
তোমার খালা এসেছেন ইটালি থেকে। তোমার খালার তিন ছেলে মেয়ে। ছোট মেয়েটার নাম তাহিয়াত। তাহিয়াত তোমার চেয়ে কয়েক মাসের বড়। তোমার খালা এবার কোরবানীর ঈদ বাংলাদেশে করবেন। তুমি তোমার কাজিনদের খুব পছন্দ করেছো। সারাক্ষণ ওদের সাথে খেলায় ব্যস্ত। আমি খেয়াল করে দেখেছি, তুমি সবাইকে পছন্দ করো না। হোক সে বাচ্চা বা একজন বড় মানুষ। যদি তাকে তোমার ভালো লাগে, পছন্দ হয় এবং নিরাপদ মনে হয়- তাহলেই তুমি তার সাথে মিশো, কথা বলো। এটা তোমার একটা গুণ। অবশ্যই ভালো গুণ। লেখা আজ এখানেই শেষ করছি। ক্ষুধা লেগেছে। ভাত খাবো। তোমার মা আমাকে রেখেই আজ ভাত খেয়ে নিয়েছে। সন্ধ্যা থেকেই সে কেমন রেগে রেগে আছে। আমি কি দোষ করেছি বুঝতে পারছি না। স্ত্রী তো স্বামীর উপর রাগবেই, এটাই তো স্বাভাবিক।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০২৩ সকাল ১০:১০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


৫৭ পর্ব হয়ে গেলো।

০৩ রা জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ। আর কন্যার বয়সও তো আড়াই বছর হয়ে গেলো।
কন্যার জন্মের সময় লেখা শুধু করেছিলাম।

২| ০৩ রা জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৪৮

ধুলো মেঘ বলেছেন: নিচের ছবিটা আপনার এ যাবত তোলা সবচেয়ে কিউট ছবি। এরকম ছবি ব্লগে না দিলে ভালো হয়। আমার নিজেরও মেয়ে আছে তো, আমি চাই তার সৌন্দর্য অন্য কেউ না দেখুক।

মসজিদ সম্পর্কে আপনার একটা ভুল ধারণা আছে। মসজিদে যে কেউ যেতে পারেনা। মসজিদে যেতে হলে পবিত্র হতে হয়। নাপাক কেউ মসজিদের ভেতরে যেতে পারেনা। কোন হিন্দু কখনই মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেনা। তাতে মসজিদের অবমাননা হয়।

০৩ রা জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: ছবিটা আমি তুলিনি।
সুরভি তুলেছে।

মানুষ কি নাপাক থাকে? কতক্ষন থাকে?
আর মসজিদে হিন্দু যেতে পারবে না কেন? আমি অনেক মসজিদে হিন্দুদের যেতে দেখেছি। এই তো কলকাতাতে হিন্দুরা মসজিদে গিয়ে ইফতারী পর্যন্ত খায়। কানাডাতে মসজিদে সব শ্রেণীর মানুষ যায়। বই পড়ে, খেলে।

৩| ০৩ রা জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:১৩

ধুলো মেঘ বলেছেন: মসজিদ কমপ্লেক্স বলতে অনেক কিছু বুঝায়। মসজিদের যে টয়লেট, সেটাও মসজিদ কমপ্লেক্সের মধ্যে পড়ে। সেখানে তো সবাইই নাপাক থাকে, তাই না? কমপ্লেক্সের ভেতর লাইব্রেরী, শপিং মল, বাগান, সুইমিং পুল - এগুলোতে তো কেরো যেতে কোন বাধা নেই। কিন্তু যে জায়গাটাতে মানুষ নামাজ পড়ে, সেই জায়গাটা হচ্ছে মসজিদ। নাপাক অবস্থায় সেই জায়গায় যাওয়া উচিত নয়। আর হিন্দুরা যেহেতু সব সময়ই নাপাক থাকে, তাদেরকে কোন অবস্থাতেই সেই জায়গাতে নেয়া যাবেনা। তাহলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।

০৩ রা জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:০২

রাজীব নুর বলেছেন: হিন্দুরা সব সময় নাপাক থাকে, এই কথাটা সঠিক নয় জনাব।

৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:২০

ধুলো মেঘ বলেছেন: মুত্রত্যাগ করার পরে হিন্দুরা লিঙ্গের অগ্রভাগ কিভাবে পরিষ্কার করে? আপনি কি দেখেছেন? পুরো চামড়া গুটিয়ে পরিষ্কার করার মত কষ্টকর কাজ সিংহভাগ হিন্দুরা করেনা বিধায় ধরে নেয়াই যায় যে সব হিন্দুই (বিশেষ করে পুরুষেরা) সব সময়ই নাপাক থাকে। তাই তাদেরকে কোন অবস্থায়ই নামাজের ঘরে প্রবেশ করতে দেয়া আমাদের উচিত না।

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ১১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: একজন মুসলিম যখন ওজু করে নামাজ পড়ে। তখনও কিন্তু তার পেটে গু মুত থাকে।

৫| ০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:৩৬

ধুলো মেঘ বলেছেন: গু মুত যতক্ষণ ভেতরে থাকে, ততক্ষণ সে নাপাক নয়, বেরিয়ে গেলেও নাপাক নয়। নাপাক হবে যদি বেরিয়ে যাবার পরেও তার কিছু অংশ শরীর বা কাপড়ের সাথে লেগে থাকে।

০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: উফ---
আমি আপনাকে বুঝাতে পারবো না।

৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্ঞান আর ভালোবাসা- শুরুতেই এই দুই গুণের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে কন্যাকে পরামর্শ দিয়েছেন, এটা ভালো লাগল। তবে গরম পড়লেই সবাই মাসজিদের এসির ঠাণ্ডায় শুয়ে ঘুমাতে যাবে, এ কথাটি গ্রহণযোগ্য নয়। অনেক মানুষকে দেখেছি, বিশেষ করে রমজান মাসে, নামাযের পর কিছুক্ষণ সটান শুয়ে থেকে (অবশ্যই মাসজিদের আদব মেনে) ক্ষণিকের তরে কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে তারপর বাড়ি অথবা কাজে চলে যায়। সেটা ঠিক আছে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.