নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই সমাজ- ৫৭

০৩ রা জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:২৫


ছবিঃ আমার তোলা।

প্রতিটা মেয়েই সহজ সরল আবার কুটিল ও জটিল।
আমি নারীকে সম্মান করি। হোক সে বুয়া অথবা একজন গার্মেন্টস কর্মী। আমার মা আছেন, স্ত্রী আছেন, বোন আছেন, একটা ছোট কন্যা আছে। আমি যদি নারীদের অসম্মান করি, অবহেলা করি- তাহলে আমার মা, স্ত্রী, বোন এবং কন্যা কোথাও না কোথাও অসম্মানিত ও অবহেলিত হবে। প্রকৃতির বিচার অতি সুক্ষ্ম। এমনিতেই বাংলাদেশের নারীদের দুঃখ কষ্টের শেষ নেই।

আপনি যদি আপনার নিজের ভুল গুলো চোখে না দেখেন সেটা অন্যায় হবে।
আপনি নামাজ পড়েন, রোজা রাখেন, কোরআন তেলায়ত করেন, হিজাব পড়েন, সব মিলিয়ে ধর্মকর্ম ভালোই করেন। অর্থ্যাৎ আপনি নীতিহীন মানুষ নন। যদিও একসময় না বুঝে নাচানাচি করতেন। এখন আপনার বোধশক্তি বেড়েছে। আল্লাহপাক হেদায়েত করেছেন। কিন্তু আপনার আরো হেদায়েত দরকার। আপনি আপনার বাবা মায়ের দিকে তাকিয়ে কিছু শিখুন। যদি শেষ বয়সে আপনার ভাগ্য আপনার বাবা মায়ের মতো হয়। আপনার বাবা মা মূলত বোকা মানুষ। কিন্তু আপনি তো বোকা নন। কাজেই অন্যের বুদ্ধিতে চলবেন না। কানকথা শুনবেন না। তাতে আপনার সংসার পর্যন্ত ভেস্তে যেতে পারে। কাউকে শত্রু ভাববেন না। শত্রু ভাবলেই শত্রু, বন্ধু ভাবলেই বন্ধু।

ধরুন আপনি স্বামীর কল্যানে আমেরিকা গেলেন। লন্ডন গেলেন।
দুই হাতে টাকা উড়াতে পারছেন, বিলাসিতা করতে পারছেন, তাই বলে আপনি ধরাকে সরা জ্ঞান করবেন? হ্যা আপনি দরিদ্র পিতা মাতার সন্তান। আপনার বাবা মা আপনাকে খাইয়ে পড়িয়ে বড় করতে, লেখাপড়া শেখাতে অনেক কষ্ট হয়েছে। তাই বলে সেটা ভুলে যাবেন? যার দ্বারা আপনি বিলাসিতা করছেন, আপনার স্বপ্ন গুলো পূরণ হচ্ছে তাকে ও তার পিতামাতাকে সম্মান করুন। সম্মান না করলে শেষমেশ এই দুর্ভোগ ভোগ করবে আপনার পিতা মাতা। অর্থ্যাৎ আপনার পিতামাতার করুন পরিনতির জন্য অদৃশ্যভাবে আপনিই দায়ী।

আজ যদি আপনার বদমেজাজি স্বামী আপনাকে তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে আপনি কোথায় যাবেন?
কোথায় থাকবেন? আপনার বয়স প্রায় চল্লিশ হয়ে গেছে। চাকরী খুব সহজে পাবেন না। আপনার কি অবস্থা হবে একবার ভেবে দেখেছেন? তখন বিলাসিতা, বাহাদুরি কি করে করবেন? কে আপনাকে আশ্রয় দেবে? যাদের খাতির করছেন- বিশ্বাস করুন, তারা আপনার দিকে ফিরেও তাকাবে না। মন্দ সময়ে আপনার বাবা মাও আপনাকে সাপোর্ট দিবে না। কাজেই কপাল চাপড়ানোর আগে নিজেকে সংশোধন করে নিন। নইলে সামনে ভয়াবহ বিপদে পড়বেন। আমার কথা গুলো হয়তো আপনার বিরক্ত লাগবে, রাগ লাগবে। কিন্তু এটাই বাস্তবতা। রাগ না করে একবার ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখুন। প্লীজ।

আপনি যদি আপনার শ্বশুর শ্বাশুড়ির সাথে মন্দ আচরণ করেন,
তাহলে আপনার বাপ মায়ের কপালে মন্দ আচরণ অবধারিতভাবে ফিরে আসবে। প্রকৃতি কাউকে ক্ষমা করে না। এরকম ঘটনা চারপাশে ভালো করে খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন। বুড়ো বয়সে বাবা মা অসহায় হয়ে পড়ে। তখন ছেলেমেয়েদের দায়িত্ব তাদের বাচিয়ে রাখা। অথচ কতিপয় নালায়েক সন্তান বয়স্ক বাবার মার দায়িত্ব পালন করে না। বাবা মা সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দিতে পারেনি বলেই কি আজ এই অবস্থা। নাকি এটা আপনার অন্যায়ের শাস্তি প্রকৃতি দিয়ে দিচ্ছে? কথায় বলে যেমন কর্ম তেমন ফল। আপনি যদি আপনার শ্বাশুড়ি কে ঝাড়ু দিয়ে মারেন, তাহলে আপনার মাকেও তার ছেলের বউ দ্বারা ঝাড়ুর বারি খেতে হবে। সহজ হিসাব। একেই বলে নিয়তি। একেই বলে প্রকৃতি। যা করবেন, সেটাই ফিরে পাবেন। অনেক সময় শ্বশুর শ্বাশুড়িও ভয়ংকর দোষ অথবা অন্যায় করে থাকে। বয়স্ক মানুষ হিসেবে তাদের ক্ষমা করে দেওয়া উচিত।

তুমি বাহির নিয়ে মেতে আছো।
আর তোমার পিতা মাতা শত কষ্টে আছে। বাহিরে তুমি নিজেকে বড় করে দেখাতে চাও, মহৎ সাজতে চাও, ধনী সাজতে চাও, ক্রেডিট কার্ডের পাওয়ার দেখাও। বাবার কল্যাণে এসব দেখাতে পারোনি। স্বামীর কল্যানে দেখিয়ে দিচ্ছো। তোমার পাপ ও অন্যায় গুলো থেকে বেচে থাকতে পারবে না। অতীত মুছে যায় না। ফিরে ফিরে আসে। মানুষ যেমন তার ভালো গুন গুলো লুকিয়ে রাখতে পারে না, তেমনি মন্দ দিক গুলোও লুকিয়ে রাখতে পারে না। সবাই সব দেখে, বুঝে। অথচ আপনি এই সহজ ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন না। আপনি পিঠ নিচু না করলে কেউ আপনার পিঠে চড়তে পারবে না। তাই আগে নিজেকে শুধরান। রাজপ্রাসাদ থেকে পথে নামিয়ে দিতে আপনাকে আল্লাহর এক মিনিট সময় লাগবে না। অনেক বোকা পিতা মাতা সন্তানকে বুদ্ধি দেয়। বিশ্বাস করুন, অনেক সময় সেই বুদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। কাজেই বিবেকটা সব সময় জাগ্রত রাখুন, তাহলে কারো বুদ্ধির প্রয়োজন হবে না।

কাজেই শান্ত হোন। ভাব কম দেখান। বাস্তবে আসুন।
আগে দেখুন নিজের পায়ের নিচে মাটি আছে কিনা? নিজের শ্বশুর শ্বাশুড়ি কে সম্মান করেন, তাহলে আপনার পিতা মাতাও সম্মান পাবে তার ছেলের বউয়ের কাছ থেকে। আজ যে আপনার বাবা মায়ের করুন দশা সেটার জন্য মূলত আপনিই দায়ী। আবার আপনার অন্যায়ের শাস্তি গুলো যেন আপনার ছেলেমেয়ের উপর না গিয়ে পড়ে। আল্লাহপাক আপনার অন্যায়ের শাস্তি এভাবেই দিয়ে থাকেন। চেষ্টা করে দেখুন না একজন সত্যিকারের ভালো মানুষ হতে পারেন কিনা। তাহলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। আপনার আল্লাহ আপনাকে সমস্ত বিপদ থেকে মুক্তি দিয়ে দিবেন। দেরী হোক যায়নি সময়। ক্ষমা চেয়ে নিন। একবার খেয়াল করে দেখুন, আপনি ভালো নেই। অথচ কি নেই আপনার! কাজেই নিজেকে শুদ্ধ করুন। তাতে সকলের কল্যাণ হবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০২৩ রাত ৮:৪১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার তো দু’কন্যা থাকার কথা। আপনার বড় মেয়েটির খবর কি?

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: বড় মেয়ে ভালো আছে।
তার জীবন শুধু লেখাপড়াময়।

২| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৩:২৭

কামাল১৮ বলেছেন: অস্থির হয়ে না লিখে শান্ত হয়ে কিছু লিখুন।লেখায় বৈচিত্র আনুন।

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.