নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কি খালেদা জিয়াকে সম্মান করেন? সম্মান করলে কেন আর না করলে, কেন নয়?

১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৫০



ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি নয়াবস্তি এলাকায়-
ছোট একটা বাচ্চা উঠানে একাএকা আপন মনে খেলছে। বাচ্চাটি নতুন হাঁটা শিখেছে। দু' পা হেঁটেই পরে যাচ্ছে আবার উঠে দাড়াচ্ছে- আবার পড়ে যাচ্ছে। উঠা আর পড়ে যাওয়ার খেলা খেলে শিশুটি বেশ মজা পাচ্ছে। এই ফুটফুটে বাচ্চাটির ডাক নাম পুতুল। দেশ ভাগের দুই বছর আগে পুতুলের জন্ম। তিন বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে পুতুল তৃতীয়। তাদের বাবা ইস্কান্দর মজুমদার একজন ব্যবসায়ী। ইস্কান্দর মজুমদার ১৯১৯ সালে ফেনী থেকে জলপাইগুড়ি যান। পুতুলের স্কুল জীবন শুরু হয় পাঁচ বছর বয়সে দিনাজপুরের মিশন স্কুলে। এরপর দিনাজপুর গার্লস স্কুলে ভর্তি হন। এই স্কুল থেকেই অস্টম শ্রেনী পাশ করেন পুতুল।

১৯৬০ সালের আগস্ট মাসে পুতুলের বিয়ে হয়-
কমল নামের এক হাসি খুশি তরুনের সাথে। পুতুলের বয়স তখন সতের বছর বয়স। জিয়াউর রহমানের ডাক নাম কমল। জিয়া তখন ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন। ডিএফআই এর অফিসার হিসাবে তখন দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। পাঁচ ভাইদের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর পিতা কলকাতা শহরে এক সরকারি দপ্তরে রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর শৈশবের কিছুকাল বগুড়ার গ্রামে ও কিছুকাল কলকাতা শহরে অতিবাহিত হয়।

জিয়াউর রহমান পশ্চিম জার্মানি থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
১৯৭০ সালে দেশে ফিরে আসার পর তাকে (তদানীন্তন মেজর) অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয়- অধিনায়ক হিসেবে চট্টগ্রামে বদলি করা হয়। স্বভাবতই জনসাধারণের কাছে জিয়াউর রহমান নামটি অপরিচিত ছিল। কিন্তু তিনি একজন তাৎক্ষণিক জাতীয় ব্যক্তিত্বে রূপান্তরিত হলেন, যখন তিনি ১৯৭১ এর ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন।

তাঁর ঘোষণাটি ছিল এই রকমঃ ''আমি মেজর জিয়া, বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মির অস্থায়ী সর্বাধিনায়ক, এতদ্বারা শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। ‘‘আমি আরও ঘোষণা করছি, আমরা ইতিমধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে একটি সার্বভৌম ও বৈধ সরকার গঠন করেছি। এই সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় আইন এবং শাসনতন্ত্র মেনে চলায় অঙ্গীকারাবদ্ধ। নতুন গণতান্ত্রিক সরকার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে জোট নিরপেক্ষ নীতির প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ। এ সরকার সকল দেশের সাথে বন্ধুত্বের প্রত্যাশী এবং আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য চেষ্টা করবে। আমি সকল সরকারের কাছে আবেদন করছি তারা যেন বাংলাদেশে নৃশংস গণহত্যার বিরুদ্ধে তাদের নিজ নিজ দেশে জনমত গড়ে তোলেন। ‘‘শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে গঠিত সরকার বাংলাদেশের সার্বভৌম ও বৈধ সরকার এবং এই সরকার পৃথিবীর সকল গণতান্ত্রিক দেশের স্বীকৃতি লাভের অধিকার সংরক্ষণ করে।’’

একটা কথা উল্লেখ করতে চাই-
বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হিসেবে দলে যোগ দেবার পর থেকে মোট চার বার বেগম খালেদা জিয়া গ্রেফতার হন। সর্বশেষ তিনি ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে তার ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। আমি সাধারণত সকল নারীকে সম্মান করি। হোক সে আমার বাসার বুয়া বা গার্মেন্সে চাকরী করা মেয়ে। অথবা শেখ হাসিনা কিংবা খালেদা জিয়া। আমি এক অফিসে চাকরী করতাম। সেই অফিসে এক মহিলা আমার চাকরী খেয়ে ফেলেছে। সেই মহিলার প্রতি আমার কোনো রাগ নেই। এই সমাজে বহু দুষ্ট নারী আছে। তাঁরা নানান রকম অপরাধ করে। তবু আমি এদের উপ রাগ করি না। আমি বিশ্বাস করি নারীরা হচ্ছে ধরনী। তাদের মাঝেই আমাদের বসবাস। তাঁরা না বুঝেই অনেক রকম ভুল করে ফেলে, অনেক রকম অন্যায় করে ফেলে।

আমাদের পাশের বাসার এক মহিলা তার শ্বাশুড়িকে ঝাড়ু দিয়ে মারতে গিয়েছিলো।
ঘটনাটা সংক্ষেপে খুলে বলি। রুবি ভাবী শিক্ষিত মানুষ এবং আধুনিক। হঠাত করে একদিন রুভি ভাবী খুব ধার্মিক হয়ে যায়। আগের মতো গান বাজনা নিয়ে মেতে থাকেন না। জন্মদিন পালন করেন না। সারাক্ষণ ধর্মকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আমি ভাবিকে কোনোদিন দেখি নাই, তারা স্বামীকে সালাম দিতে। এখন ভাবী প্রতিদিন তার স্বামী অফিস থেকে ফিরলেই সালাম দেন। এমনকি স্বামীর সাথে ফোনে কথার বলার সময়ও সালাম দেন। কিন্তু আগে দিতেন না। যাইহোক, সালাম দেওয়া ভালো। কিন্তু আমি জানি যারা হঠাত করে খুব ধার্মিক হয়ে যায়, তাঁরা ভয়ঙ্কর হয়ে যায়। রুবি ভাবী আমার সামনেও হিজাব পড়েন। একসময় এই রুবি ভাবী আর আমি অনেক আড্ডা দিয়েছি।

রুবি ভাবীর শ্বাশুড়ি অন্যান্য শ্বাশুড়িদের মতোই।
একদিন এই ধার্মিক রুবি ভাবীকে দেখি ঝড়ু দিয়ে শ্বাশুড়িকে মারতে যাচ্ছেন। আমি সামনে গিয়ে দাঁড়াই। ভাবীর হাত থেকে ঝাড়ু কেড়ে নিই। শ্বাশড়ি সমানে মুখ খারাপ করে কথা বলে যাচ্ছে। রুবি ভাবীও সমানে মুখ খারাপ করে কথা বলে যাচ্ছে। আমি দুজনেরর কাউকেই থামাতে পারছি না। তাঁরা দুজনেই নারী। আমি তাদের সম্মান করি। আপন কফি হাউজের সামনে যে মহিলাটা রাস্তার মোড়ে তার তিন বছরের বাচ্চাকে নিয়ে রাস্তায় চা সিগারেট বিক্রি করে। আড়ালে ইয়াবা বিক্রি করে- আমি সেই দরিদ্র অসহায় মহিলাকেও সম্মান করি। আমি একা ভালো থাকতে চাই। আমি সকলকে নিয়ে ভালো থাকতে চাই। নারীরা আপনাতেই খারাপ হয়ে যায় না। এজন্য দায়ী পুরুষরা।

নারীদের এমনিতেই দুঃখ কষ্টের শেষ নেই।
বিশেষ করে দরিদ্র দেশের মেয়েরা খুব দুঃখী হয়। তাঁরা ভাতে দুঃখী, কাপড়ে দুঃখী। প্রেম ভালোবাসায় দুঃখী। স্বামী দিয়ে দুঃখী। ছেলেমেয়ে দিয়ে দুঃখী। ধর্ম নারীদের কোনঠাসা করে রেখেছে। নারীদের দুঃখের শেষ নেই। তাই নারীদের আমি দুঃখ দিতে চাই না। অসম্মান করতে চা না। তাদের সম্মান করতে চাই। ভালোবাসতে চাই। হোক সে রাজনীতিবিদ খালেদা বা হাসিনা। রুবি ভাবী অথবা তার শ্বাশুড়ি। আমাদের বাসায় কাজ করে যে বুয়া তাকেও আমি সম্মান করি। আমি চাই পৃথিবীর সমস্ত নারীরা ভালো থাকুক, সুখে থাকুক, আনন্দে থাকুক। মায়ের পেট থেকে একটা অবুঝ নাদান শিশুর জন্ম হয়। তার কোনো পাপ নেই। এই সমাজ তাকে মন্দ বানায়। লোভী বানায়। চতুর বানায়। বদমাশ বানায়।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:০৩

পলাশ রহমান বলেছেন: উনি বেশি সুন্দরী তাই! :)

১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা---

২| ১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শিরোনাম আর পোস্টের বিষয়বস্তু এক ছিল না।তবে নারীর প্রতি আপনার সন্মান জানানোর যে চিত্র ফুটে উঠেছে তা ভালো লেগেছে।

১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৩| ১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৩৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: একজন সিনিয়র সিটিজেন এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি সম্মানের যোগ্য এবং দাবীদারও বটে। সেই হিসাবে উনাকে আমি অবশ্যই সম্মান করি। অপরদিকে তিনি একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির স্ত্রী,একজন নারী এবং একজন মা। আর ইসলামে নারীর এবং মায়ের সম্মান সবার উপরে।

অবশ্য শুধু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কিংবা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির স্ত্রী হিসাবেই তিনি সম্মানের যোগ্য - এমনটা নন। তিনি একজন বয়ষ্ক মানুষ। সেই হিসাবেও তিনি সম্মানের যোগ্য । আর অন্যকে সম্মান দেয়ার পাশাপশি নিজেকেও সম্মানিত করা হয় / যায়।

১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল মন্তব্য করেছেন।

৪| ১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৫৫

মোগল সম্রাট বলেছেন:



রা-নু ভাই,

শুরু করলেন ম্যাডাম জিয়ারে দিয়া আর শেষ করলেন কাজের বুয়ার গল্প দিয়া। ভেরি ইন্টারেষ্টিং :D B-)

তয়, মানুষ বয়স্ক হোক আজ জুয়ান মর্দ হোক সে সম্মান পাবে কিনা সেটা নির্ভর করে তার বিগত জীবনের কৃত কর্মের উপরে। নিশ্চয়ই কোন বয়স বিবেচ্য বিষয় হতে পারে না । প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতি হিসাবে আইনগত সম্মান আর মানুষের আন্তরিক সম্মান দুটোই বিরাট তফাৎ।


১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:০০

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

৫| ১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:০৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: উনাকে আমার ভালো লাগে না, আমি চাই না উনার মত কেউ এই দেশের ক্ষমতায় আসুক।

১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

৬| ১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:২৮

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: চমৎকার লেখেছেন রাজীব দা
ভাল থাকবেন---------

১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ আমি ভালো আছি। ভালো থাকি। ভালো খাই।

৭| ১১ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:১৩

জিনাত নাজিয়া বলেছেন: যাক অন্তত রাজীব ভাই'র মতো একজনকে পাওয়া গেলো,যিনি মেয়েদেরকে অনেক সন্মান করেন।
আপনার লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা থাকলো।

১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

৮| ১১ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৩

আমি সাজিদ বলেছেন: সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দুইজনেই বেশ সুন্দরী ছিলেন।

১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: জুয়ান বয়সে সবাইকে সুন্দর লাগে। বুড়ো হলে চামড়া কুচকে যায়।

৯| ১১ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:০৪

শাওন আহমাদ বলেছেন: যে সম্মান পাবার কাজ করবে সে না চাইলেও মানুষ তাকে সম্মান করবে ভালোবাসবে।

১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: রাইট।

১০| ১১ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:১৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: শুধু নিজদ্র দলকে দিনে দিনে বৃহত্তর জামাত ইসলামী বানানোর কারণে উনার সম্মান কমে গেসে বলে আমার ধারণা।

১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: জামাতের সঙ্গ যে নিবে তারই সর্বনাশ হবে।

১১| ১১ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

কামাল১৮ বলেছেন: আমি তার অনেক কিছুকেই সমর্থন করি না।সবথেকে বেশি অপছন্দ করি জন্মদিন পালন করার তারিখ।
আর পছন্দ করি,শেখ মুজিবকে ধরে বিয়েটা টিকিয়ে রাখা।

১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: উনি শেখ মুজিবের মৃত্যু দিনে জন্মদিন পালন করে নিজেকে নির্বোধ প্রমান করেছেনে। সেই শাস্তি তিনি এখন পাচ্ছেন।

১২| ১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৫৬

তানভির জুমার বলেছেন: অত্যন্ত নম্র-ভদ্র একজন মহিলা। মুখের ভাষা অন্যদের তুলনায় অনেক অনেক ব্যাটার, ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি, প্রতিশোধ পরায়ন নয় ওনি, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লুটপাট করেনি, অর্থনীতিকে মোটামুটি ভালো রেখেছেন, ওনার নাম বিক্রি করে মানুষ সুবিধা নিয়েছে। সবসময়ের জন্য জনপ্রিয় একজন মানুষ, ওনাকে তেমনভাবে ভোটে কেউ পরাজিত করতে পারেনি। শুধুমাত্র প্রতিহিংষা বসত কোন অপরাধ ছাড়াই ওনাকে জেলে বন্দী করা হয়েছে। হ্যাঁ জীবনে ওনারও কিছু ভুল সিদ্ধান্ত আছে,

১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার কথা সব মানলাম। সব বুঝলাম।
কিন্তু উনি অযোগ্য ও অদক্ষ দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে।

১৩| ১২ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:০৭

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: একজন মানুষ হিসেবে সবাই সম্মান পাবেন। সে ঝাড়ুদার হোক কিম্বা প্রধানমন্ত্রী।

১২ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: রাইট।

১৪| ১২ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:২৯

শার্দূল ২২ বলেছেন: আমাদের গ্রামের বাড়ি এক জেঠাজি আছেন তিনি আলু বিক্রি করেন বাজারে বাজারে, ওনাকে জিজ্ঞাসা করলাম জেঠাজি আপনি বিএনপি করেন কেন, উনি চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে বলে-

কিয়ারে কয় এতে, আই খালেদা জিয়ারে ভোট দিত্তান্ন তো কারে দিমু? হুলন দেবি (ফুলন দেবি)মার্কা চেহারা ঐ সেইক্কার মাইয়া হাসিনারেনি দিমু?। আন্ডা ( আমরা) ভাত খাই বাচি,ভাতরেই ভোট দিমু, (নৌকা কে নোয়াখালি ভাষায় কি বলে ভুলে গেছি) নৌকা দি কিরুম, খাল আসেনি? হানি আসেনি?

যাইহোক আমি ব্যক্তিগত ভাবে খালেদা জিয়াকে পছন্দ করি, একজন গৃহীনি হিসেবে ওনার যতটুকু গুন থাকা দরকার সেসব ওনার মধ্যে আছে। শেখ হাসিনা হলো পলিটিটশিয়ান, অনেক পেঁচ গোছের মানুষ, অনেক জটিল শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়া সেই অর্থে একদম সহজ সরল মানুষ। জিয়ার রহমান মৃত্যুর পরেই একটা ইন্টারভিউ দেখেছি, তারেক কোকো সোফায় বসা, খালেদা জিয়ার সেই সরলতা আমার চোখে ভাসে। কিন্তু এই সহজ সরল রমনি দিয়ে আমরা কি করবো? জিয়াউর রহমানের রান্না করেছে উনি, এখন উনি ১৭ কোটি মানুষের রান্না কিভাবে করবে? জিয়াউর রহমান এর সহজ সরল পরিবারকে বিক্রি করে তথা কথিত মান্নান ভুইয়ারা টাকা বানিয়েছে, সে যখন এলজিআরডি মন্ত্রী ছিলো তখন ২৯ হাজার সেতু কালভার্ট এর শুধু ফলক উম্মোচন করে টাকা উঠিয়ে নিয়ে গেছে, প্রথম আলো সেসব সেতু কালভার্টের ছবি টানা ছাপিয়েছিলো ।

সে যাই হোক সরল মানুষ সব জায়গায় বসানো যায়না, যেমন একটা উদাহারণ দেই,বাংলাদেশে আমাদের হসপিটালে একটা ওটি বয় ছিলো, রাশেদ , সে রাতে এক্সিডেন্ট এর রুগি গুলো আসলে নিজেই সেলাাই ড্রেসিং করে বিদায় করে দিতো, ডিউটি অফিসার ডাকতোনা, খবর পেলাম সে সেখান থেকে কিছু টাকা সরাতো। আমরা তাকে বাদ দিয়ে একজন নামাজি সৎ ওটি বয় রাখলাম। জাফর সৎ নামাজি তাতে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু সে দিনে ৫ বার নামাজের জন্য ৫০ বার ঘড়ি দেখতো। শুক্রবার নামাজের জন্য সে বৃহস্পতিবারে ওজু করে বসে থাকতো ( একটু বাড়িয়ে বলছি কারণ তার কাজের কট্টরতা বোঝানোর জন্য) রাতে এক্সিডেন্টের রুগী গুলো রাখতোনা, যদি এমন রুগি এসে যায় তার ট্রিটমেন্ট করতে করতে ফজরের আযান দিয়ে ফেলে তার নামাজ মিস হবে। আমরা মাস শেষে দেখলাম রাসেদের সময় আমাদের ওটি তে ভালো টাকা আসতো কিন্তু জাফরের সময় আমাদের পকেট থেকে যাওয়া শুরু করলো।

খালেদা জিয়া নিয়ে আর কিছু বলার নেই।

পরের ঘটনায় যাই- হুট করে ধার্মিক কতটা বিপদ জনক। বাস্তবতা দিয়ে উদাহারণ দেই- আবারও আমাদের গ্রাম। আজাদ কামরুল দুই ভাই, আজাদ দেখতে মাশাল্লাহ, পুরাই প্লে বয়, নারী মদ প্রেম এসব তার নেশা। কামরুল ভাই এসব করেনা আবার খুব বেশি ধার্মিকও না, শুক্রবারের নামাজ বাদ যায়না, একদিন আযাদ ভাই আমার সামনে, লম্বা জুব্বা, মাথায় পাগড়ি হাতে তাজবিহ, মুখে ঝাঝাকাললাহ, আমিতো অবাক, কিভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটলো, কবে ঘটলো, ভাইয়াকে প্রশ্ন করলাম, কেমনে কি? ভাইয়া বিশাল নিশ্বাস নিয়ে বললো শার্দুল দুনিয়া কিছুইনা, আল্লার রাস্তায় সুখ, আর সব মিথ্যা। আমি আবার হুট করে বট গাছ হয়ে যাওয় দেখলে আমার সন্দেহ থেকেই যায়। যাইহোক আমেরিকা চলে আসলাম। তার ৭ মাস পর কামরুল ভাইয়াকে একটা কাজে ফোন দিলাম, উনি বল্লো শার্দুল ফোন দিয়েছিস ভালো হইসে একটা উপকার কর। আযাদ কে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে একটু ফোন কর ওসি সাহেবকে, আমি ভেবেছি অতি ধর্মে জঙ্গী হয়ে গেছে মনে হয় তাই ধরে নিয়েছে, পরে শুনলাম এলাকার এক প্রবাসী বউএর সাথে মশারীর ভিতরে পেয়েছে গ্রামবাসী তাই মেরে মুরে পুলিশকে ধরায় দিসে।

আপনার আরেকটা পোষ্ট আছে যেখানে আমার অনেক কথা বলার আছে, সময় করে মন্তব্য করবো

ভালো থাকবেন

১২ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: দূর্নীতির কথা বলে লাভ নাই।
যে দল ক্ষমতায় থাকবে সে দল দূর্নীতি করবে। এটা একটা অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নতুন নতুন দল ক্ষমতায় আসে, আর নতুন নতুন নব্য ধনী তৈরি হয়। ফালু কত টাকার মালিক? নির্জা আব্বাস কত টাকার মালিক? সাবেক এলজিডি মন্ত্রী কত টাকার মালিক? এবং তার দ্বারা কত লোক ধনী হয়েছেন?

ধর্ম আমাদের কোনো উপকার করছে না। ক্ষতি করছে। অথচ ধর্ম নিয়ে মানুষের নাচানাচি বেশি।

আপনি ভালো মন্তব্য করেন।
আপনি পোস্ট লিখেন না কেন? লিখলে ভালো করবেন।

১৫| ১২ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭

প্রামানিক বলেছেন: দলগুলোর দলাদলি নিয়ে দেশের মানুষ বড়ই বিপদে আছে। কাজেই ভালোমন্দ কিছু বলতে পাবো না।

১২ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:২১

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ নিরপেক্ষ থাকাই ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.