নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
এক কামিলদার হুজুর মসজিদে নামাজ পড়ে বের হয়ে এসে বলছেন, যা যা।
একলোক দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য দেখলো। বলল, হুজুর এখানে তো কেউ নেই, আপনি কাকে যা যা বলছেন? হুজুর বললেন, আমি দেখলাম মক্কা শরীফের ভেতর একটা কুকুর ঢুকতে যাচ্ছিলো। আমি তাকে তাড়িয়ে দিলাম। লোকটা হুজুরের ক্ষমতায় মুগ্ধ হয়ে গেলো। তারপর অনেক অনুনয়-বিনয় করে বলল- হুজুর, আজ রাতে আপনি আমার বাসায় খানা খাবেন। প্লীজ মানা করবেন না। আল্লাহর দোহাই লাগে।
হুজুর খানা খেতে রাজী হলেন।
রাতে হুজুরকে খানা দেওয়া হলো। হুজুরর খেতে বসে দেখেন প্লেট উঁচু করে ভাত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো মাছ দেওয়া হয় নাই। তখন হুজুর বললেন, শুধু ভাত খাবো কি করে? মাছ কোথায়? মাছ? তখন লোকটার স্ত্রী এসে হুজুরকে বললো- হারামজাদা হাজার মাইল দূরে মক্কার ঘরে কুকুর প্রবেশ করে সেটা দেখে ফেলিস আর তোর ভাতের নিচে মাছ আছে, সেটা দেখিস না? আজকা তোরে খাইছি। তখন ভন্ড হুজুর এক দৌড়ে পালিয়ে গেলো।
ইসলাম নারীকে অনেক কিছু দিয়েছে। যা অন্য কোনো ধর্ম দেয়নি।
ধার্মিকেরা গায়ের জোরে অনেক কথা বলেন। আসলে ইসলাম নারীকে কোণঠাসা করে ফেলেছে। ইসলাম নারীদের অসম্মান করেছে। ইসলাম মনে করে নারীকে শুধু ভোগ করা যায়। স্রেফ দাসী বান্দী মনে করে ইসলাম নারীকে। নারীর বোরকা পড়ে থাকতে হবে। হাত মোজা পড়তে হবে। কেউ যেনে নারীকে না দেখে। দেখলেই পাপ হবে। এমনকি নারীর কন্ঠ যদি কেউ শুনে সেটাও পাপ বলে গন্য হয়। নারী যদি রান্নায় ব্যস্ত থাকে, এমন সময় যদি তার স্বামী তাকে সহবাস করার জন্য ডাকে তাহলে রান্না ফেলে স্বামীর কাছে দৌড়ে যেতে হবে। স্বামীকে বলা হয়েছে স্ত্রীকে প্রহার করো। আবার কিছুটা দয়াও দেখিয়েছে, খেয়াল রাখতে বলেছে, যেন প্রহারে শরীরে দাগ বসে না যায়। নারীকে অনেক সস্তা এবং এরা সংখ্যায় বেশি তাই অনেক গুলো করে বিয়ে করো। ইচ্ছা মতো ভোগ করো। ভোগেই শান্তি।
নারীকে তুলনা করা হয়েছে জমির সাথে।
বলা হয়েছে, তোমার জমিতে তুমি ইচ্ছা মতো চাষ করো। লাঙ্গল চালাও। যদিও আজকাল নারীরা আর চুপ থাকতে চাচ্ছে না। তাঁরা পুরুষের সাথে সমান তালে কাজ করছে। ধার্মিকেরা বুঝে না- নারীরা হচ্ছে ধরনী। তাদের মধ্যেই আমাদের বসবাস। নারীরা ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকবো। নারীরা ভালো থাকলে সারা বিশ্ব ভালো থাকবে। তবে এটা সত্য কথা- এই বিজ্ঞানের যুগে এসে ইসলাম সহ অন্যান্য সব ধর্ম চিপায় পড়ে গেছে। ধার্মিকেরা বেশ বেকায়দায় আছে। আপনিই চিন্তা করে দেখুন- আমাদের চারপাশে অসংখ্য মসজিদ। এই মসজিদ গুলো সমাজের জন্য কোনো অবদান রাখছে না। মুসলিমদের মাথায় ঢুকে গেছে, হজ্ব করো, পাপ মুক্ত হবে। আর মসজিদ নির্মান করো, তাহলে বেহেশত নিশ্চিত। বলা হয় মসজিদ আল্লাহর ঘর। আল্লাহ্ তো নিরাকার। তিনি ঘর দিয়ে কি করবেন? আল্লাহর ঘর খালি পড়ে থাকে। আর আল্লাহর বান্দারা ঘুমায় ফুটপাতে।
বাংলাদেশে মসজিদের অভাব নাই।
দেশে চাকরির অভাব। টোকাইদের থাকা-খাওয়ার অভাব। পাবলিক টয়লেটের অভাব। কিন্তু মসজিদের অভাব আমাদের নেই। অথচ ধার্মিকেরা মসজিদ নির্মানে পাগল হয়ে যায়। কারন মসজিদ হচ্ছে ধান্দার জায়গা। নামাজের আড়ালে ভালো ইনকাম। সেই ইনকামের কোনো হিসাব তাদের দিতে হয় না। এখন বাংলাদেশে অনেক মসজিদ- কিন্তু মুসল্লীর বড় অভাব। আমাদের দরকার মডেল স্কুল, মডেল ক্লিনিক, মডেল লাইব্রেরী, মডেল রাস্তাঘাট। আমাদের দরকার চাকরী। মসজিদ নয়। বাংলাদেশে প্রয়োজনের চেয়ে মসজিদ অনেক বেশী। মুসলিম জাতি পেছনে পড়ে আছে, কারণ তাদের জীবনটা অনেক ভুল ধারণায় ভর্তি। ধার্মিকদের বুঝতে হবে- মানুষ ধর্মের থেকে বড়। তাই এখন মানুষকে ধার্মিক হলে চলবে না। মানুষকে হতে হবে আধুনিক, কুসংস্কার মুক্ত এবং মানবিক ও হৃদয়বান।
এযুগে যারা জন্মেছেন তাঁরা ভাগ্যবান।
জন্মের পর তাঁরা সবকিছু হাতের কাছে পেয়ে গেছে। ধর্মীয় বিশ্বাসীরা আসলে আদি যুগের মানবের মতো থাকবে হাজার বছর। নবীজির যখন জন্ম হয়, তখন কম্পিউটার ছিলো না। ইন্টারনেট ছিলো না। উড়োজাহাজ ছিলো না। মোবাইল ফোন ছলো না। জাহাজ ছিলো না। উন্নত কিছুই ছিলো না। তাই তখন মানুষ রুপকথা বিশ্বাস করতো। এছাড়া তাদের আর উপায় ছিলো না। ধার্মিকেরা লজিক বুঝে না। তাদের আছে বিশ্বাস। যারা বিনা দ্বিধায় শুধু বিশ্বাস করে তাঁরা মূলত কমজ্ঞানী। মগজহীন। নবীজির বহু আগে জন্ম নিয়েছেন, মহামতি এরিস্টটল। প্লেটো। কনফুসিয়াস। গৌতম বুদ্ধ। পীথাগোরাস। তাঁরা নিজদের গবেষণা ও জ্ঞান দিয়ে বিশ্বের মঙ্গল করেছেন। তাঁরা কোনো রুপকথার গল্প শোনান নি। তাদের ছিলো সৎ চিন্তা। মহৎ চিন্তা। উন্নত চিন্তা। তাঁরা নারী ভোগ নিয়ে তাঁরা মাথা ঘামাতো না। দাসী রাখত না। অনেক গুলো বিয়ে করতো না। তাঁরা যুদ্ধের নাম দিয়ে লুটপাত করতো না। দাসী ভোগ করতো না।
যেখানে জ্ঞান নেই, সেখানেই বাসা বাঁধে কুসংস্কার আর রুপকথার দুনিয়া।
ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করার জন্য হাদীসের প্রয়োজন আছে। যেসব হাদীস একটু সাংঘর্ষিক সেগুলোকে হুজুরেরা চালাকি করে বলে দেন- এগুলো জাল হাদীস। আর যেসব হাদীস নিজেদের অনুকূলে সেগুলোকে বলেন এগুলো সহী হাদীস। কোরআনের নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্র চলে না। রাষ্ট্র চলে মানুষের তৈরি সংবিধান অনুযায়ী। আমাদের মতো মুসলিম দেশও কোরআনের নিয়মে চলে না। এক হিসেবে দেখা যায়- যারা নিজস্ব সংবিধান দিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন তাঁরা ভালো আছে। আর যারা কোরআনের নিয়ম মতে দেশ চালাচ্ছেন তাঁরা ভালো নেই। লোকজন কম শিক্ষা, অন্ধ বিশ্বাস ও নির্বোধ হওয়ার কারনে রুপকথা গুলো বিশ্বাস করে। যদি তাঁরা জ্ঞানী হতো তাহলে তাঁরা অলৌকিক ঘটনা গুলো বিশ্বাস করতো না। দুনিয়া চলে লজিকে। অন্ধ বিশ্বাসে নয়। হুজুরদের কাছ থেকে আমরা অনেক বিনোদন পাই। ইউটিউবে সার্চ দিলেই ভিডিও গুলো পেয়ে যাবেন।
বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। আধুনিক যুগ।
এই যুগে মানুষ রুপকথা বিশ্বাস করে না। লাঠি সাপ হয়ে গেছে, একলোক মাছের পেটে ঢুকে গেছে, বোরাক নামের যান দিয়ে মহাকাশে যাওয়া যায়। খারাপ জ্বিন টয়লেটে থাকে। তাঁরা মৃত মানুষের হাড় খায়। শয়তান মানুষকে দিয়ে সকল মন্দ কাজ করিয়ে নেয়। ইত্যাদি। মূলত বিজ্ঞান ধর্মকে কোনঠাসা করে ফেলেছে। নবীজির সময় যদি ইন্টারনেট থাকতো, মোবাইল ফোন থাকতো, উড়োজাহাজ থাকতো, নাসা থাকতো, মানুষজন জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত থাকতো- তাহলে লোকজন রুপকথা বিশ্বাস করতো না। নবীজি অনেক কথা বলে গেছেন, আরবে যে তেলের খনি আছে সেই কথা বলে যাননি। মূলত অজ্ঞতা থেকে আসে কুসংস্কার। মিথ্যা ও বানোয়াট কাহিনী থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে শিক্ষা। সঠিক শিক্ষা। জ্ঞান মানুষকে উন্নত করে। মানবিক ও হৃদয়বান করে। ধর্ম মানুষকে নির্বোধে পরিনত করে।
(লেখাটি আমার নয়। আমি শুধু সংগ্রহ করে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। ধন্যবাদ।)
১৩ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এই প্রশ্নের উত্তর আগামীকাল দিবো।
২| ১৩ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: বেশ বলেছেন রাজীব দা
১৩ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া কবি।
৩| ১৩ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:০৫
রানার ব্লগ বলেছেন: ইসলাম কোথাও নারীকে আপাদমস্তক ঢাকতে বলে নাই। মুখমন্ড খোলা রাখতে হবে, হাতের কবজি পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে এবং পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। লোকাল কিছু খুচড়া চোর মোনাই মুরিদ টাই খেজুর নারীকে কাথার নিচে লুকিয়ে রাখার পন্থ্যা আবিষ্কার করেছে।
১৩ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: একদম সঠিক কথা বলেছেন।
৪| ১৩ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:১১
শাওন আহমাদ বলেছেন: সমাজের সবজায়গায়ই ভালোমন্দের অবাধ বিচরণ, হোক তা ধর্মীয় কিংবা সামাজিক প্রতিষ্ঠান। যারা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে তারা ধর্ম ব্যবসায়ী কিন্তু ধর্ম নিয়ে সবাই ব্যবসা করেনা। যারা ধর্মের কথা বলে নিজের স্বার্থে সমস্ত কিছুর ঢালাও ব্যাখ্যা দেয় তারা নিঃসন্দেহে ভণ্ড কিন্তু সবাই আবার ভণ্ড না। আপনার এই মক্কার গল্পটি সেই ছোটবেলা থেকে শুনে বড় হয়েছি আমি।
১৩ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:০০
রাজীব নুর বলেছেন: এরকম গল্প অনেক আছে।
ধরুন, পৃথিবীতে কোনো ধর্ম নেই, তাতে পৃথিবীর কোনো ক্ষতি হবে না। আবার ধরুন, পৃথিবীতে কোনো গাছ নেই, তাহলে পৃথিবীতে কোনো মানুষ বেঁচে থাকতে পারবে না। অর্থ্যাত ধর্ম ছাড়া মানুষ সুন্দর বেঁচে থাকতে পারবে। অবশ্য ধর্ম না থাকলে কোটি কোটি লোক বেকার হয়ে যাবে। অনেকে ধর্ম বেঁচে খেয়েপরে বেঁচে আছে।
৫| ১৩ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
কামাল১৮ বলেছেন: সহজ সরল ভাষায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন এই লেখায়।সবগুলোই পাওয়া যাবে সংশয় ডট কমে।
দাসপ্রথা ইসলামের অনেক আগে থেকেই ছিলো।কিন্তু দাসির সাথে বিবাহ ছাড়া সংঙ্গম করা যাবে তার অমতে এটা ছিলো না।এটা ইসলাম সংযোজন করেছে।
বর্তমানে মসজিদ বানায় পাপমুক্তির আশায়।তাই এতো মসজিদ।
১৩ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:০২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি একজন আধুনিক মানুষ। আপনার মধ্যে কোনো কুসংস্কার নেই। আপনার চিন্তা ভাবনা উন্নত। আমার মনে হয়, লিখে লিখে সমাজ বদলে দেওয়া সম্ভব। অথচ আপনি আলসেমি করেন, কিছুই লিখেন না।
ইসলামে সব কিছুই সংযোজন করা হয়েছে।
আমাদের মসজিদের চেয়ে বেশি দরকার লাইব্রেরী, বিজ্ঞানাগার, আধুনিক স্কুল-কলেজ।
৬| ১৩ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৫৮
শার্দূল ২২ বলেছেন: লেখাটা যেহেতু আপনার নয় সেহেতু এই লেখার উপর মন্তব্যে করে মজা পাবোনা, আর তাছাড়া এখানে লেখকের হতাশা বেশি প্রকাশ পেয়েছে সাথে ক্ষোভ। ক্ষোভ হতাশা দিয়ে কখনো কোন কিছুর সমধান করা যায়না। উনি ইসলাম ধর্মের যেসব বিষয় গুলো তুলে এনেছে সেগুলো আদৌ ইসলাম ধর্মের নয়। কোরাণ এর অনুবাদ দিয়ে যা বলেছেন সেসব কিছু শতভাগ কোরাণের সঠিক মানে নয়। কোরাণ এর অনুবাদ এত সহজ নয় নুর ভাই, যেমন ধরুন ইংরেজি হেড মাষ্টার এই দুটো শব্দকে আমি আলাদা আলাদা ভাবে বাংলা করতে গেলে কি দাড়াবে? হেড মানে মাথা ,মাষ্টার মানে শিক্ষক, তার মানে মাথার শিক্ষক। এইভাবে ঘটনা কাল সময় ব্যাক্তি বিষয় নিয়ে জ্ঞান না থাকলে অনুবাদ হেয়ে যাবে এমন। আরো বিষয় হলো কোরাণ যখন নাজিল হয় তার কোন দাড়ি কমা ছিলোনা, সুরা গুলোর নাম ছিলোনা। সুরার নাম, দাড়ি ,কমা এবং নক্তা এসব মানুষের দেয়া। একটা বাক্যের মধ্যে না বুঝে দাড়ি কমা বসালে তার অর্থ উলটো হয়ে যায়। আগেই বলেছি কোরাণ বুঝতে হলে আপনাকে তিনটা বিষয়ের উপর জ্ঞান রাখতে হবে, বিজ্ঞান ,গনিত এবং ইতিহাস। আর কোরাণ দেখবেন একটা ঘটনা থেকে আল্লাহ আরেকটা ঘটনায় ঝাম্প দিয়েছে, কিছু দুর গিয়ে আল্লাহ আবার সেই ঘটনায় ফিরে এসেছে। মানে কোরানের তিনটা স্টারকচার আছে। নিচে একটা ফ্রেম তার উপর একটা তার উপর আরেকটা। নিচের ফ্রেমর সাথে নিচের ফ্রেমটাই মিলবে। সেই যাইহোক অনেক লম্বা কথা এত সব এখানে বলে বুঝানো যাবেনা।
এসব কিছুর উপর জ্ঞান না থাকলে আপনি শুধু সারাবান তাহুরা হুর বেহেশ্ত বুঝবেন, আর হুর বেহেশ্ত দুনিয়াতে নাই, সেটা মরনের পরের কারবার।
নুর ভাই বিশ্বাস করেন কোরানের একটা আয়াত নেই যা পৃথিবীতে সমস্যা তৈরী করবে। এমন একটা আয়াতও নেই যা দিয়ে আপনি জীবন যাপন করলে অসুখি বা সমস্যায় পড়বেন। ইসলামের যত সমস্যা সব হাদিস থেকে। আর হাদিসের সাথে বেশি মিলে গসপেল এর সাথে। যত হালাল হারাম নেক গুনাহ সব কিছু বাইবেলের থেকে আসছে। এই হাদিসের জনকরা হলেন মুয়াবিার দল। হাদিস কোরানে বর্ণিত আহালে বাইত থেকে আসেনি।
হাদিস কি তাহলে? একটু ইতিহাস বলি তারপর বুঝবেন...
আমাদের নবীজি চলে যাওয়ার সময় বেশ কিছু দিন অসুস্থ্য ছিলেন। এবং উনি বুঝতে পেরেছেন উনি আর বেশিদিন নেই। তাই চলে যাওয়ার আগে উনি বার বার কন্ফার্মড করতেন যখনি আবু বকর ওমর ওসমান আলি রাঃ ওনারা নবিজির সামনে আসতেন। তাদের বলতেন এই তোমাদের কাছে কি আল্লাহর কোরাণ ব্যাতিত কিছু আছে? সবাই সাফ জবাব- না হুজুর, আল্লাহর কোরাণ আর বিবেক ছাড়া আমরা আর কিছুই রাখিনি, সব পুড়ে ফেলেছি। সালফেহ সালেহিনদের পুরো আমল কেটে গেছে হাদিস ছাড়া। যেই হাদিস লেখার জন্য চেষ্টা করেছে হযরত ওমর তাদের প্রকাশ্য শাস্তি দিয়েছেন। সেই নিয়মে আবু হানিফাকেও শাস্তি দেয়া হয়েছিলো।
নবীজির চলে যাওয়ার ৯০ বছর পর ইমাম মুয়াত্তা মালিক সর্ব প্রথম হাদিস সংগ্রহ শুরু করেন। উনি ১লক্ষ উনিশ হাজার হাদিস জোগাড় করেন, এসব নিয়ে উনি কোরান এর সাথে এবং বিবেক দিয়ে বিচার করতে বসে দেখেন তার মধ্যে থেকে মাত্র ১৮০০ হাদিস নেয়া যায়। তার মানে ১ লক্ষ ১৭ হাজার এর চেয়ে বেশি হাদিস নবীজির নামে মিথ্যা কথা বলা হয়েছে, সেটা কখন ? মাত্র ৯০ বছর পর, কোথায়? খোদ মদিনায়। কাদের শাষন আমল? সালফে সালেহিনদের শাষন আমলে। একটু ভাবেন তো নুর ভাই।
এরপর প্রায় ২০০ বছর পর তাশখান্দ থেকে উঠে আসলেন ইসলামের দরদি মানুষ মোহাম্মদ ইবনে ইসমাইল বোখারী সাহেব। উনি মুসলিম উম্মাহকে উদ্ধার করতে হেটে হেটে ১২০০ কিমি পাড়ি দিয়ে আসলেন আরবে। সংগ্রহ করলে ৭ লক্ষের বেশি হাদিস। সেখান থেকে বাচাই করে রাখলেন প্রায় ৭ হাজারের মত হাদিস। তার মানে ৬ লক্ষের চেয়ে বেশি মিথ্যা কথা তার হাতে ছিলো। এই ৭ হাজার তিনি কিভাবে নিলেন? যার থেকে পেয়েছেন তার চরিত্র বিচার করে, যেই বিষয় গুলো কোরানে নেই সেগুলো মিলিয়েছেন বাইবেলের সাথে। সর্বপরি উনি ধ্যনে বসে তার হাদিস বইটি সম্পুর্ন করেন। নুর ভাই তিনি ধ্যানে বসে জাতির জন্য নিয়ম লিপিবব্ধ করে যান, যেই কাজ আমাদের নবিজীও করেননি।
আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো ওনার লেখা বোখারী শরীফ থেকে ওনার নিজের ছাত্র মুসলিম সাহেব বাদ দিয়ে দেন অনেক গুলো হাদিস, প্রায় সাড়ে তিন হাজার হাদিস দিয়ে তিনি বানিয়ে রেখে যান আরেকটি হাদিস গ্রন্থ্য মুসলিম শরীফ। কেউ বোখারী কোন হাদিস নিয়ে কথা বললে তাকে অমুসলিম ঘোষনা দিয়ে দেয় ,আমার প্রশ্ন তাহলে মুসলিম সাহেব কেন বোখারী সাহাবের হাদিস বাদ দিলো এবং তিনি কিভাবে মুলসিম হয়েই মারা গেলেন?
একজন ইমানদার মানুষ সৎ জীবন যাপন করার জন্য কোরান যথেষ্ট্য। আমি এমন কিছু দেখিনা যা কোরাণে নেই। যা নেই তার জন্য আল্লাহ আপনাকে বিবেক দিয়েছেন। যার কথা আল্লাহ বলেছেন আমি আদম কে সব শিখিয়ে দিয়েছি।
হাদিস নিয়ে বাড়া বাড়ি করা মানুষ গুলো বলে কোরাণে তো কুকুর নিয়ে কিছু বলেনি তাহলে কুকুর কি হালাল? সাধারণ জ্ঞান। দুনিয়াতে এত নিরীহ প্রানী গরু ছাগল হাস মুরগি পাখি থাকতে আপনি জলাতংক রোগ হয় বা তেড়ে এসে কামড়ে দিতে চায় এমন প্রানীর পিছে কেন হাটবেন তাকে খেতে। আর পারলে খান আপনাকে তো নিষেধ করেনি। আপনার রুচি কুলালে আপনি খান।
আরবরা গুই শাপের মত একটা ছোট প্রানী নাম সান্ডা,ওটা খায় সেক্সুয়াল পাওয়ার নাকি বাড়ে ওটা খেলে, তাদের আবার অনেক সেক্স লাগে, বউ বেশি তাই, বহু বিবাহ নিয়ে পরে আসবো । এক সাহাবা নবীজিকে রান্না করে খেতে দিলো, নাবীজি খেলননা, তিনি বলেন আমি হারাম বলবোনা , কিন্তু আমার রুচি আসেনা আমি খাবোনা, তোমরা খাও। সুতারাং খাবার রুচির বিষয়। কেউ যদি এসে আপনাকে বলে কিং কোবরা শাপ কি হালাল? আপনি বলে দেন বাবা তুমি ধরতে পারলে খাও। উঠনে নিরীহ মুরগি বাদ দিয়ে তুমি যখন জঙ্গলে কোবরা শাপ দেখ তোমার জন্য ঐ শাপটাই হালাল। আর বিপদে পড়লে সব কিছুই হালাল আল্লাহ নিজে বলেছেন - এসব হারাম, কিন্তু অপারগতায় আমি ক্ষমাশীল।
এত সমস্যা হলে তাহলে হাদিস দিয়ে আমরা কি করবো? হাদিস আমাদের ইতিহাস পড়বো,ভালো কিছু ঘটনা থেকে ভালো কিছু করার অনুপ্রাণীত হবো। এই টুকুই,। যেদিন মুসলিম বুঝবে হাদিস শুদুই ইতিহাস, এবাদতের বই নয় সেদিন ইসলাম দেশে কোন সীমানা থাকবেনা।
যাইহোক মুল কথায় আসি- ইসলাম ধর্মের মত এত সহজ সরল সুন্দর ধর্ম আর নেই।
আমি আসছিলাম আপনার আগের পোষ্টের অহংকার নিয়ে বলতে, সেটাই বলিনি। আসছি আবার
১৪ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২২
রাজীব নুর বলেছেন: একটা দামী কথা বলেছেন- ''ইসলামের যত সমস্যা সব হাদিস থেকে।''
বোখারী সাহেব হাদিস তৈরি করে, ইসলামের ক্ষতি করেছেন। নইলে মানুষ শুধু কোরআন নিয়ে থাকতেন।
আমি এই পোষ্টে রাগ না করে, কটু কথা না বলে- সুন্দর ভাবে বলে গেলেন। এটা আপনার একটা গুণ।
আপনাকে চুপি চুপি আপনাকে বলি লেখাটা আমারই।
আমি ইচ্ছা করেই লিখেছি, যে এটা আমার 'সংগ্রহ'। নইলে এডমিন সাহেব আমাকে আবার ফ্রন্ট পেজ ব্যান করে দিবেন।
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৭| ১৪ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৪১
রিদওয়ান খান বলেছেন: যে এই লিখাটা লিখছে তার বাবা কোন ধর্মের অনুসারী ছিলো কিনা জানার ইচ্ছা। যদি তার বাবা কোন ধর্মের অনুসারী হয়ে থাকে তাহলে সে হিসেবে তার ছেলে যথার্থই হয়েছে। কারণ বাবা ধর্মের অনুসারী ভন্ড ছিলো আর ভন্ডের ছেলে কলা বৈজ্ঞানি হয়ে আইনস্টাইন হয়েছে।
১৪ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম দিয়ে মানুষকে ভাগ করবেন না।
আপনার আমার আমাদের সকলের আসল পরিচয় আমরা ''মানুষ''।
অনেকেই ধার্মিক হয়েছে, মুসলিম হয়েছে। কিন্তু 'মানুষ' হতে পারেনি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৩
নতুন বলেছেন: (লেখাটি আমার নয়। আমি শুধু সংগ্রহ করে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। ধন্যবাদ।)
কোথা থেকে সংগ্রহ করলেন সেটা তো লিখলেন না।
লেখাটির প্রতি লাইনেই রানু ভাইয়ের স্টাইল পাইতেছি আমি...