নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
প্রিয় কন্যা আমার-
অনেকদিন পর তোমাকে নিয়ে লিখতে বসেছি। তুমি প্রায় একমাস ধরে বাসায় নেই। বাসাটা খালি। তুমি গিয়েছো তোমার নানা বাড়ি। এবার দেড় মাস থাকবে। তোমার খালা এসেছে বিদেশ থেকে, খালার তিনটা ছেলেমেয়ে, ওদের সাথে তুমি খেলাধূলায় ব্যস্ত। এতই ব্যস্ত যে, আমি ফোন দিলে আমার সাথে ঠিক করে কথা বলো না। তুমি আমাকে ফোন দাও না। আমি ফোন দিলেও ঠিক করে কথা বলো না। আজিব! বড় দুঃখ লাগে। খালি বাসা আমার ভালো লাগে না। দম বন্ধ হয়ে আসে। একটা প্রজেক্ট্বের কাজে আমার তুরস্ক যাওয়ার কথা। টানা দুই বছরের জন্য। তোমার জন্য আমি যাইনি। অথচ সেই তুমি নানা বাড়িই গিয়ে আমাকে ভুলে গেলে! গত একমাসে আমি দুবার গিয়ে তোমাকে দেখে এসেছি। আবারো যাবো। অবশ্য আমাদের বংশে ছেলেরা শ্বশুরবাড়ি খুব একটা যায় না।
আর কয়েকদিন পর কোরবানীর ঈদ।
আমার অনেক শখ ছিলো তোমাকে নিয়ে হাঁটে যাবো। হলো না। অবশ্য আমি শাবিরকে নিয়ে একবার হাঁটে গিয়েছি। আজও একবার যেতে পারি। শাবিরের বয়স পনের মাস মাত্র। শাবির আবার গরু খুব পছন্দ করে। শাবির গরু বলতে পারে না। সে বলে হামবা। ইউটিউবে শাবির গরু দেখে। শাবিরের সাথে আমিও গরু দেখি। মিউজিকের তালে তালে গরু গুলো নাচছে, গাইছে, আকাশে উড়ছে, সাইকেল চালাচ্ছে। গরু কিন্তু আমাদের জীবনে অনেকখানি জড়িয়ে আছে। ইউটিউবে শুধু মাত্র গরু নিয়ে বেশ কিছু চ্যানেল আছে। তাদের সাস্ক্রাইবারের সংখ্যাও অনেক। এক ইউটুবার সারা বাংলাদেশের গরুর হাঁটে হাঁটে ঘুরে বেড়ায়। ভিডিও করে। সেগুলো লোকজন ইউটিউবে দেখে। আমি নিজেও ইউটিউবে ফানি গরু দেখি। বেশ মজা পাই। কোরবানীর গরু ছুটে গেছে, সেই গরু ধরার জন্য লোকজন ছুটছে। গরু গ্রাম থেকে শহরে এসে মাথা আউলায়ে ফেলেছে। কিছুতেই ধরা দিচ্ছে না।
গতকাল আরিশকে দেখি গরু রচনা মুখস্ত করছে।
আমি বললাম এত এত রচনা থাকতে গরু রচনা কেন? আরিশ বলল, এটা তার পরীক্ষায় আসবে। ছোটবেলায় আমিও গরু রচনা মুখস্ত করেছিলাম। অবাক ব্যাপার হচ্ছে সেই রচনা আমার আজও মুখস্ত আছে। ''The Cow is a very useful animal and gives us milk. Milk considered a complete and nutritious food. She eats green grasses, foods, grains, hay, and other eatable things. Cow uses her one pair of strong, tight horns to attack the people as a defense organ to save her child. She also uses her tail sometimes to attack. She has long hair on the tip of her tail. অনেক রচনাই মুখস্ত করেছিলাম কিন্তু গরুর রচনাটাই মনে আছে। গরুর মাংস আমার খুব পছন্দ। গরুর দুধ আমার ভীষন পছন্দ। ঢাকা শহরে তো আর খাটি দুধ পাওয়া যায়া না। আমি গ্রামে গেলে খাটি দুধ নিয়ে আসি। গতকাল রাতে হঠাত ক্ষুধা লাগলো। ফ্রিজে দেখি আম আছে, আর এক বোতল দুধ আছে। আমি এক গ্লাস দুধ গরম করে খেয়ে নিলাম। তারপর ঘুমিয়ে গেলাম।
প্রিয় কন্যা ফারাজা তাবাসসুম,
সম্প্রতি একটা সাবমেরিন সমুদ্রের গভীরে ধ্বংস হয়ে গেছে। সাবমেরিনে মোট পাঁচজন মানুষ ছিলেন। আমরা জানি, সূর্যের আলো এক হাজার মিটারের বেশি গভীরে প্রবেশ করতে পারে না। এরপর ঘন গভীর অন্ধকার। আলো ফেলেও পর্যাপ্ত দেখা যায় না। এছাড়া সমুদ্রের গভীরে পানির চাপ থাকে অনেক বেশি। প্রযুক্তির এত উন্নতিতেও মানুষ কত অসহায়। এই সাবমেরিনে এক বাবা ও তার একমাত্র ছেলে ছিলো। এই সাবমেরিনে যদি আমি থাকতাম! আমার সাথে যদি তুমি থাকতো। ভাবতেই বুকের মধ্যে দুমড়ে মুচড়ে ওঠে। মহাকাশ এবং সমুদ্র হলো রহস্যের আঁধার। পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে কিন্তু এসব রহস্যের কোনো সমাধান হবে না। ধর্মগ্রন্থ গুলোতেও এরকম কথা লেখা আছে। বিজ্ঞান যতই ভাব নিক আমরা সব পেরে বসে আছি, আসলে এই বিশ্বাস বড় ঠুনকো। বিজ্ঞান আসলে অন্ধের হাতে লাঠির মতো। অন্ধ লোক লাঠি দিয়ে পথ চলে, আবার সেই লাঠি দিয়েই কাউকে পিটিয়ে মেরে ফেলা যায়।
প্রিয় ফারাজা তাবাসসুম খান (ফাইহা)-
তুমি আমার বড় আদরের মেয়ে। আমার কলিজার টুকরা। এখন তোমার বয়স দুই বছর ছয় মাস। ফারাজা, আমি দেশটাকে বুঝতে চেষ্টা করি। এত দুঃখী মানুষ আর কোনো দেশে নেই। আমরা ভাতে দুঃখী, কাপড়ে দুঃখী, চিন্তায় দুঃখী, প্রেম ভালোবাসায় দুঃখী, কাজে দুঃখী। উন্নত দেশের সাথে আমরা কোনো কিছুতেই পারি না। লেখাপড়ায় পারি না, অলিম্পিকে পারি না, ফুটবলে পারি না, বিজ্ঞানে পারি না, সততায় পারি না। তুমি পারবে, তোমরা পারবে। এই বিশ্বাস আমার আছে। এই প্রজন্ম জ্ঞান বিজ্ঞানে অনেক দূর যাবে। তোমাকে লেখাপড়া শিখতে হবে। কাজ করতে হবে, সমাজের জন্য, দেশের জন্য, বিশ্বের জন্য। নিজেকে ছোট্র গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ করে রাখবে না। আকাশ দেখো কত বিশাল। আপাতত লেখা এখানেই শেষ করছি।
২৫ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: বাবা মায়ের অনেক গুলো সন্তান থাকলে এরকম হয়। বাবা মা তার সব সন্তানকে এক চোখে দেখেন না।
আমার এরকম কোনো সমস্যা নেই।
২| ২৫ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩৮
কামাল১৮ বলেছেন: এই যে তারা সমুদ্রের এতো ঘভিরে গেলো, এটাও বিজ্ঞানের উন্নতির কারনেই গেলো।ঈশ্বরের কোন দোয়ার গুনে যায় নাই।
বিজ্ঞানের বদৌলতে এতো সুযোগসুবিদা পেয়েও সুযোগ পেলেই বিজ্ঞান এটা পারা নাই ওটা পারে না বলা ঠিক না।তাছাড়া বিজ্ঞান দাবিও করে নাই আমি সব পেরে গেছি।
ধর্ম যেমন দাবি করে সকল সমস্যার সমাধান এই কিতাবে আছে,কিন্তু একটা কিছুই করতে পারে না।বিজ্ঞান যখন করে দেখায় তখন বলে কিতাবের ঐ চিপায় এটা লেখা ছিলো।এমরা জানতে পারি নাই,ইহুদি নাসারারা কেমনি জানি জানতে পারছি।
২৫ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: আরেহ স্যার, আমি জানি। বুঝি।
ধর্ম মগজহীণদের জন্য। বিজ্ঞান জ্ঞানী মানুষদের জন্য।
৩| ২৫ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: এক মাসের বেশী সময় ধরে নানাবাড়ি!!! ঈদে আসবে না?
২৫ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: ঈদের বারো দিন পর আসবে।
৪| ২৫ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:৫৩
এইযেদুনিয়া বলেছেন: অনেকগুলো সন্তান না থাকলেও হয়। আমাদের বাবারা নিজেদের সামন্তবাদী প্রভু ভাবেন।
২৫ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: হতে পারে। হয়।
আমি সেসব জানতে চাই না। আমি চাই আমার কন্যা বলুক- আমি একজন বেস্ট বাবা।
৫| ২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ২:৪৭
কাছের-মানুষ বলেছেন: কাছাকাছিই আছেন গিয়ে প্রায় দেখে আসতে পারেন মেয়েকে! ছোট বাচ্চারা ফোনে সাধারণত মনোযোগ দিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না!
২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ যাই। এক সপ্তাহ পর পর যাচ্ছি।
৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছোট্ট ফারাজার ছবিটা খুব কিউট!
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৯
এইযেদুনিয়া বলেছেন: আমিও এক সময় এ রকম কলিজার টুকরা ছিলাম। এখন নিজের অধিকার বুঝে নিতে গিয়ে হয়েছি ঘৃণার বস্তু। বাবারা আসলে আসলে সন্তানকে খেলার পুতুল হিসেবেই দেখতে ভালোবাসে। পুতুল হয়ে যতদিন থাকবে ততদিন ঠিক। আর যেদিন সে মানুষ হয়ে উঠতে থাকবে, তখন আর ভাল্লাগবে না।
জানি, সবার অভিজ্ঞতা একই রকম নয়। অনেকের অনেক সুন্দর অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই থাকুক। এখন আপনার কন্যাকে যেমনভাবে ভালোবাসছেন, ভবিষ্যতেও যেন একইভাবে ভালোবেসে যেতে পারেন, এই কামনা করি। অনুভূতিগুলো যেন না পালটায়।