নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের নবীজি (সাঃ)

১০ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৪



নবীজি (সাঃ) বেশি লম্বা ছিলেন না।
তবে তার স্বাস্থ্য ভালো ছিলো। নবীজি খেতে ভালোবাসতেন। নবীজিকে কোনো সাহাবী দাওয়াত দিলে নবীজি হাসিমুখে দাওয়াত গ্রহন করতেন। খেয়ে রান্নার প্রশংসা করতে কার্পন্য করতেন না। ধারনা করা হয় নবীজি পাঁচ ফিট ছয় ইঞ্চি লম্বা ছিলেন। নবীজি সাঁতার জানতেন না। তখন তো গাড়ি ছিলো না, তাই নবীজি উটের পিঠে চড়ে একস্থান থেকে অন্য স্থানে যেতেন। একবার ইয়েমেনে গিয়েছিলেন নবীজি। তাকে মাছ খেতে দেওয়া হয়েছিলো, নবীজি মাছ খাননি। বলেছিলেন মাছে গন্ধ। আরেকবার মক্কার হাফার এলাকায় নবীজিকে এক সাহাবীর স্ত্রী মাছ কড়া করে ভেজে দিয়েছিলেন, নবীজি খেয়ে আরাম পেয়েছিলেন। নবীজি বললেন, এই মাছে তোমার স্ত্রী ভিনেগার দিয়েছে। তাই গন্ধ ছিলো না।

নবুয়াত প্রাপ্তির পর নবীজি জনসমক্ষে কম আসতেন।
হেরা গুহায় থাকতেই বেশ পছন্দ করতেন। ধ্যান করতেন। যখন নবীজির উপর কোনো সূরা নাজিল হতো, তখন নবীজির শরীর গরম হয়ে যেতো অথবা খুব শীত লাগতো। হাদীসে আছে নবীজি তার তিন নং স্ত্রীকে বলতেন আমাকে বস্ত্রাবৃত করো। নবীজি তার স্ত্রীদের সম্মান করতেন। তাদের আবদার রক্ষা করতেন। একবার ঈদের দিন বেদুইনরা মরুভুমিতে নাচ গান করছিলো। নবীজি আর তার স্ত্রী সে পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। নবীজির স্ত্রী আবদার করলেন, আমি বেদুইনদের নাচ গান দেখতে চাই। নবীজি তার স্ত্রীকে নিয়ে গেলেন নাচ গান দেখাতে। একবার নবীজি ফযরের নামাজ পড়তে দেরী করে ফেললেন। আসলে ঘুম ভাঙতে দেরী হয়ে গিয়েছিলো। এজন্য ফযরের নামাজ পড়তে দেরী হলেও সমস্যা নেই। নবীর কারনে আমরা এ সুযোগ পেয়েছি। আল্লাহ নবীজির উপর এতই খুশি ছিলেনে যে, নবীজিকে দোস্ত বলে ডাকতেন।

চল্লিশ বছরের পর থেকে নবীজি ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়তেন।
নবীজি তাঁরা সাহাবীদের সাথে অনেক রসিকতা করতেন। নবীজিকে কোনো সাহাবী প্রশ্ন করলে নবীজি খুব খুশি হতেন। বেশির ভাগ দিন আছরের নামাজ শেষে নবীজি মসজিদের বারান্দায় বসতেন, সাহাবীদের প্রশ্নের জবাব দিতেন। সাহাবীরা বড় অদ্ভুত অদ্ভুত প্রশ্ন করতেন। যেমন- জ্বীনরা কি খায়? শয়তান কেন ওয়াশরুমে থাকে? ইত্যাদি। নবীজি জন্মের বহু বছর আগে জন্মেছিলেন মহান কতিপয় দার্শনিক। তাঁরা হলেন- এরিস্টটল, পিথাগোরাস, প্লেটো, গৌতম বুদ্ধ। নবীজি এদের সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। আরবের অবস্থা করুণ ছিলো। জ্ঞানে বিজ্ঞানে একটুও উন্নত ছিলো না। তখন তো আর ইন্টারনেট ছিলো না, কম্পিউটার ছিলো, উড়োজাহাজ ছিলো না, মোবাইল ছিলো না। লিমুজিন গাড়ি ছিলো না। এযুগে যারা জন্মেছে তাঁরা ভাগ্যবান। আমাদের নবীরা অনেকে কষ্ট করেছেন।

কিশোর বয়স থেকেই নবীজি দেখতে এতই সুন্দর ছিলেন যে তাকে সবাই বিয়ে করতে চাইতো।
এমন কি বয়স্ক মহিলারাও। প্রয়োজনে তাঁরা তাদের বিষয় সম্পত্তি দিয়ে দিতে রাজী। বাধ্য হয়ে নবীজি তাদের বিয়ে করেছেন। নবীজির জন্ম দরিদ্র পরিবারে। নবীজির জন্মের আগেই তার পিতা মারা যান। ছোটবেলাটা তার খুব অভাবে কেটেছে। কিশোর বয়সে অন্যের ভেড়াকে ঘাস খাওয়াতেন নিয়ে যেতেন পাহাড়ে। বিনিময়ে খাবার পেতেন। একজন বয়স্ক ব্যবসায়ী মহিলাকে বিয়ে করে নবীজির জীবন বদলে যায়। নবুয়াত প্রাপ্তির পর নবীজির জীবন আরেকবার বদলে যায়। নবীজি আমাদের দিয়েছেন আল কোরআন। আমাদের দিয়েছেন নামাজ। আমেরিকার নাসা মহাকাশে যেতে কত রকম দিকদারি করে। কত রকম আয়োজন তাদের। আর আমাদের নবীজি বোরাকে করে এক রাতের মধ্যেই মহাকাশে চলে গেছেন। সুবাহানাল্লাহ। এজন্যই আল্লাহকে পাওয়ার আগে আমাদের নবীজিকে পেতে হবে। আমাদের ভাগ্য ভালো আমরা তার উম্মত।

আমার ধারনা, নবীজি স্কুলে লেখাপড়া না করলেও অল্প বিস্তর লেখাপড়া জানতেন।
কারন একজন মূর্খ মানুষের চালচলন আর কথাবার্তা এবং একজন শিক্ষিত মানুষের চালচলন আর কথা বার্তার মধ্যে প্রার্থক্য আছেই। নবীজি সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলতেন। তার সাহাবীদের বলতেন সব সময় সিরিয়াস থাকবে না। সামান্য মুচকি হাসি হলেও দিবে। এক সাহাবী নতুন বিয়ে করেছিলো, কিন্তু তার যৌন সমস্যা ছিলো। নবীজি বললেন, কালোজিরা আর মধু খাও বিসমিল্লাহ্‌ বলে। সে সাহাবী মধু আর কালোজিরা খেয়ে উপকার পেয়েছিলো। এখন আমরা যে মধু ও কালোজিরা খাই, সেগুলো নকল, তাই উপকার পাই না। যীশু অন্ধ ব্যাক্তির চোখ ঠিক করে দিতে পারতেন, এমনকি মৃত ব্যাক্তিও দাড়া করিয়ে দিতে পারতেন। লাঠি সাপ হয়ে যেত। লাঠি দুষ্টলোকদের সমানে পিটাতো। তিমি মাছের পেটে ঢুকে যেত এবং মুক্তি পেতো। আমাদের নবীজি মহাকাশে গিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন। নবীজির মতোন এরকম ক্ষমতা আর কারো ছিলো না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ২:০৩

কামাল১৮ বলেছেন: এসব জানা যায় হাদিস সিরাত থেকে যা লিখা হয় দেড় দুইশ বছর পর।তিন লক্ষ হাদিসের মধ্যে ২৯৩০০০ হাদিস নকল বলা হয়।এখন সহী হাদিসের অনেক হাদিসকে মমিনরা নকল বলে।

১৩ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: সব হাদীস গুলোই বানোয়াট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.