নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ধরুন, আপনি নামাজি হয়েই গেলেন।
তাতে আপনার কি উপকার হবে? আপনার পরিবারের কি উপকার হবে? এই সমাজের কি উপকার হবে? কাজেই নামাজি না হয়ে চেষ্টা করে দেখুন একজন ভালো মানুষ হতে পারেন কিনা। দেশ ও দশের উপকার করতে পারেন কিনা। আপনি নামাজি হলে পাচবেলা নামাজ পড়বেন। আর যদি আপনি একজন যোগ্য ও দক্ষ লোক হতে পারেন তাহলে সমাজের জন্য দেশের জন্য সর্বোপরি নিজের পরিবারের জন্য ভালো ভূমিকা রাখতে পারবেন। তাতে কি আল্লাহ্ খুশি হবেন না? নাকি আপনার বেহেশতে যাওয়া আটকে যাবে? হুর পাবেন না?
কোরানে হাফেজ হওয়া সহজ।
নামাজি হওয়া সহজ। নামাজ পড়তে পড়তে কপালে স্থায়ী দাগ বসিয়ে ফেলাও সহজ। তাতে আপনি আপনার পরিবারের জন্য ভালো কিছু করতে পারবেন না। সমাজ বা দেশের জন্য কিছু করা তো দূরের কথা। 'জ্ঞান' অর্জন করুন। জ্ঞানের চেয়ে সুন্দর আর কিছু নেই। নিজেকে প্রতষ্ঠিত করুণ। টাকা আয় করতে শিখুন। অন্যের ভালো করতে চেষ্টা করুণ। আইনস্টাইন, রবীন্দ্রনাথ, মেন্ডেলা, চার্লি চ্যাপলিন, লালন, এরিস্টটল, পিথাগোরাস কোনোদিন নামাজ পড়েননি। কিন্তু তাঁরা দারুন ভূমিকা রেখেছেন সারা বিশ্বের জন্য। চেষ্টা করে দেখুন না উনাদের মতো হতে পারেন কিনা।
নামাজের চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিন।
জাতির মঙ্গল হয় এমন কিছু করুণ। আপনার পরিবারের ভালো হবে এমন কিছু করুণ। আপনার নিজের ভালো হবে এমন কিছু করুন। ধরেই নিলাম আপনি সারাদিনে পাঁচ বার উঠাবসা করলেন, মানে নামাজ পড়লেন। এবং এক সময় মরে গেলেন। পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য দেশের জন্য কিছুই করলেন না। তাহলে লাভটা কি হলো? শুধু নামাজ পড়ে গেলেন। আর যদি আপনি সঠিক জ্ঞান অর্জন করে, সেই জ্ঞান দ্বারা বিশ্বের জন্য ভালো কিছু করতে পারেন, তাহলে মৃত্যুর পরও মানুষ আপনাকে ভালোবেসে স্মরণ করবে। মহৎ কাজ করুণ। সস্তা কাজ করা বাদ দেন। নিজেকে বদলে ফেলুন। উন্নত চিন্তা ভাবনা করুন। ১৪ শ' বছর আগের যুগে বন্ধী হয়ে যাবেন না। চিন্তা চেতনা উন্নত করুণ।
ইসলামে মাত্র দুটা গ্রন্থ।
কোরআন আর হাদীস। তাও হাদীসে ঘাপলা আছে। দুটা বই পড়বেন, আর নামাজ পড়বেন- এই কি জীবন? এজন্যই কি আপনি পৃথিবীতে এসেছেন? এজন্যই আপনার জন্ম হয়েছে? কোরআন, হাদীস অথবা নামাজ পড়া সহজ, পারলে ভালো কিছু করে দেখান, মহৎ কিছু করে দেখান? আমার ওস্তাদ বলেন, ''যারা ধর্ম নিয়ে ব্যস্ত তারা তো মাদ্রাসা করে জাতিকে পঙ্গু করে ফেলেছে। ধর্ম মানুষ সৃষ্টি করেছে, মানুষ ইহাকে ভুলে যাবে। সামন্তবাদের সময় মানুষের যতটুকু জ্ঞান ছিলো সেটার ফসল ধর্ম, আজকে মানুষ যতটুকু বুঝে সেটা হচ্ছে আধুনিক জীবন। যখন ধর্মীয় গ্রন্থ লিখেছেন মানুষ, তখন জ্ঞানের অনেক শাখা অনুপস্থিত কিংবা দুর্বল ছিলো। সেই আমলে কোনো টেকনোলোজী ছিলো না। ধর্মচর্চা মানে অপুর্ণজ্ঞানের মাঝে বসবাস। সব ধর্ম প্রচারকেরা বলেছেন, ধর্ম সৃষ্টিকর্তার কাছে থেকে এসেছে, আসলে, ধর্ম মানুষই লিখেছেন।
সুযোগ যখন পাওয়া গেছে, তাহলে আমার ওস্তাদের আরো কিছু কথা আপনাকে জানিয়ে দেই-
''ধর্মীয়দের ভাবতে হয় না, স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা ওঁদের জন্য ভেবেচিন্তে সব ঠিক করে পুস্তকের ভেতর লিখে দিয়েছেন। পড়তে পারলেই কেল্লা ফতে। ইসলামের জন্ম যেখানে হয়েছিলো, সেখানে বালি ও পাথর ব্যতিত কিছু ছিলো না। তাই তারা অণ্য এলাকা দখল করতে বেরিয়ে সফল হয়েছিলো। সেটা ধর্মের অংশ হয়ে গেছে। আধুনিক মানুষের চিন্তার জগত থেকে এই ঈশ্বর নামের বিদঘুটে বিশ্বাসটিকে একেবারে ফিনাইল দিয়ে ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে ফেলা উচিত? ঈশ্বর নামে এই ভূতটাই তো মানুষের প্রধানতম শত্রু ! ধর্ম চিন্তা মানুষের কমন সেন্স লোপ করায়।
©somewhere in net ltd.