নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্তমান প্রজন্মের ভবিষ্যৎ অন্ধকার

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৩৬



বর্তমান প্রজন্মের সমস্যার শেষ নেই।
এদের প্রধান সমস্যা হলো- এরা নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ করার আগেই বিয়ে করে ফেলে। তারপর সংসারে অভাব। অভাব থেকে অশান্তি। ফলাফল ডির্ভোস। এই প্রজন্ম সময় ব্যয় করে ফেসবুক, টিকটক, আড্ডা আর ইউটিউব দেখে। নিজেকে যে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে, প্রতিষ্ঠিত করতে হবে সেটা তাঁরা বুঝেই না। এই প্রজন্ম কোনো রকমে লেখাপড়া করলেও কর্মক্ষেত্রে গিয়ে ধাক্কা খায়। অনার্স পাশ করলেও একপাতা দরখাস্ত লিখতে পারে না ইংরেজিতে। অবশ্য ক্ষমতাবান মামা চাচার জোরে অনেকে টিকে যায়। আর যাদের মামা চাচার জোর নাই তাঁরা হায়-আফসোস করে।

এই প্রজন্মের কিছু ছেলেপেলে আছে, তাদের রুচি এতই খারাপ যে-
তাঁরা একটা নৌকা ভাড়া করে। সেই নৌকাতে অশ্লীল গান বাজায় আর দুটা পতিতা ভাড়া করে নেয়। তারপর নৌকা চলে, সেই সাথে চলে তাদের নোংরা নাচ গান আর হাতাহাতি। সেগুলো তাঁরা ভিডিও করে। ইউটিউবে দেয়। লাখ লাখ মানুষ সেই ভিডিও দেখে বিনোদন নেয়। এক এলাকার এই ঘটনা দেখে আরেক এলাকার পোলাপান উৎসাহ পায়। তাঁরা চারজন মেয়ে ভাড়া করে। এই প্রজন্মের রুচিবোধ অতি কুৎসিত। এরা জ্ঞানহীন। এরা মগজহীণ। এরাই জাতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। এদের আরেক নাম বখাটে। এরা রাস্তার মোড়ে মোড়ে আড্ডা দেয়। জটলা পাকিয়ে একজন আরেকজনের মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকে।

টিকটক ক্ষতি করেছে এই প্রজন্মের সবচেয়ে বেশি।
নিজেকে জনপ্রিয় করতে গিয়ে এরা সব রকম নোংরামি করতে প্রস্তুত। এরা বিভিন্ন দল করে নিয়েছে। চাঁদা তুলে এরা দলবেঁধে 'হ্যাংআউট' নাম দিয়ে বদমাইশি করে। এতটা নির্ল্লজ হয় কি করে মানুষ? এরাই সৃষ্টির সেরা জীব? এদের মাথার ঠিক নেই। এরা রান্নাঘরে, ছাদে, ব্যস্ত রাস্তায়, শপিংমলে, ওয়াশরুমে যে কোনো জায়গায় এরা টিকটক করে। কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করে। এদেরকে জুতা পিটা করা দরকার দুইবেলা। বয়স্ক মহিলা, পুরুষ- এরাও কম যায় না। নোংরামিতে এই প্রজন্ম অনেক এগিয়ে আছে। দশ মিনিট এদের টিকটক দেখলে সেটা পরিস্কার বুঝা যায়। ফেসবুক, টিকটক আর ইউটিউব জুড়ে আছে এই প্রজন্মের নোংরামি। নোংরামি করে দশজন আর সেই নোংরামি দেখে দশ লাখ মানুষ।

জ্ঞান অর্জন নিয়ে এদের কোনো মাতামাতি নেই।
সরকারও এদের বিরুদ্ধে কোনোও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আরেক শ্রেনীর প্রজন্ম আছে তাঁরা মেয়ে পাগল। এরা দল বেঁধে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিয়মিত যায়। সেক্স করে। এটাই তাদের কাছে আধুনিকতা। আরেক শ্রেনীর প্রজন্ম মজেছে নেশায়। মাদক ছাড়া তাদের চলেই না। হোক সেটা গাঁজা, ইয়াবা অথবা মদ। প্রতিদিন খেতেই হবে। এটাই তাদের ফ্যাশন। এটাই তাদের স্টাইল। প্রতিটা এলাকায় যেমন মাদক পাওয়া যায় ঠিক তেমনি প্রতিটা এলাকায় আছে কিশোর গ্যাং। কিশোর গ্যাং হচ্ছে ছাত্রলীগের প্রতিচ্ছায়া। প্রায়ই এরা দা, চাপাটি নিয়ে ধাওয়া করে। এই প্রজন্ম বই পড়ে না। স্কুল কলেজের লেখাপড়ায় তাদের মন নেই। তাঁরা জানে সরকার কাউকে ফেল করাবে না। পরীক্ষা দিলেই পাশ।

প্রেম ভালোবাসা এই প্রজন্মের মাথা খেয়ে ফেলেছে।
স্কুল পড়ুয়া ছোট ছোট ছেলেমেয়ে প্রেম ভালোবাসা করছে। তাদের প্রেম ভালোবাসার মধ্যে সুন্দর কিছু নেই। স্কুল ইউনিফর্ম পড়েই পার্কে যাচ্ছে, ফাস্টফুডের দোকান অথবা চলন্ত রিকশার মধ্যেই চুম্মাচাট্রি করছে। কোনো লজ্জা শরম নেই। কোনো বিকার নেই। কোনো দ্বিধা নেই। এইসব ছেলেমেয়েদের কি বাবা মা নেই? তাঁরা কেন তাদের ছেলেমেয়ের খোজ নিচ্ছে না? বাবা মা জন্ম দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। ছেলেমেয়ে নোংরামি করে বেড়াচ্ছে। এদের বাবা মায়ের শাস্তি হওয়া উচিৎ সবার আগে। জন্ম নেওয়া সহজ। কিন্তু জন্ম দিয়ে সঠিক ভাবে শিক্ষা দিয়ে বড় করা সহজ নয়। এই প্রজন্ম হচ্ছে অশ্লীল প্রজন্ম। এদের কর্মকান্ড দেখে বিনা দ্বিধায় বলা যেতে পারে- বেজন্মা প্রজন্ম।

এই প্রজন্মের মুখের ভাষা অনেক খারাপ।
এরা কুৎসিত গালি ছাড়া কথাই বলতে পারে না। হাতে হাতে মোবাইল। আছে ইন্টারনেট। রাত জেগে এরা পর্ণ ভিডিও দেখে। বিনা দ্বিধায় বলা যেতে পারে এই প্রজন্ম পঙ্গু প্রজন্ম। মেয়ে গুলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে সিগারেট খায়। এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের দেখলে মনে হয় লজ্জা শরম দুনিয়া থেকে উঠেই গেছে। মূলত স্মার্ট ফোন, ইন্টারনেট এই প্রজন্মকে জাহান্নামে নিয়ে গেছে। প্রতিটা এলাকার চ্যাংড়া চ্যাংড়া পোলাপান রাজনীতি করে, অমুক ভাইয়ের আণ্ডারে। বড় ভাইরা তাদের সাহস দেয়, ভরসা দেয়। সব কিছু মিলিয়ে এই প্রজন্ম অন্ধকারে যাচ্ছে। এজন্য দায়ী তাদের বাবা মা এবং অবশ্যই সরকার।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৪৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এরা সারাদিন বসে বসে শুধু বিয়ের কথা চিন্তা করে।

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভুল চিন্তা করে।
সবার আগে চিন্তা করতে হবে নিজেকে কি করে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলা যায়।

২| ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১:৩১

কামাল১৮ বলেছেন: প্রেম ভালোবাসা খারাপ কিছু না।অন্যায় না করলেই হলো।প্রতি মুহুর্তে নিজেকে আবিস্কার করছে।স্কুলে থাকতেই সেক্স সম্পর্কে শিক্ষা দিলে ভালো মন্দ বুঝতে পারবে।

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:২০

রাজীব নুর বলেছেন: স্কুল জীবনে প্রেম ভালোবাসা অবশ্যই ভালো কিছু না।
সবচেয়ে ভালো হয় লেখাপড়া শেষ করে প্রেম ভালোবাসা করা।

৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ২:০২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সহমত।

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।

৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,




সমকালীন বাস্তবতা নিয়ে চমৎকার লেখা।
ঠিকই বলেছেন , বর্তমান প্রজন্মের ভবিষ্যৎ আমাবশ্যার মতো অন্ধকার....... এরা আলোর মুখ দেখবেনা কখনও।

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: এদের কে ভুল পথ থেকে টেনে আবা দরকার।

৫| ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:২৮

রাজসিংহ ২০২৩ বলেছেন: যার যার ভবিষ্যত তার হাতে। ব্যক্তিগত ব্যর্থতার দায়ভার অন্যজন কেন নিবে?

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: কেউ ভুল পথে গেলে তাকে সঠিক পথ দেখানো আমাদের সবার কর্তব্য।

৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: পরিবার-সমাজ-সরকার দায় সবার।

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: ইউ রাইট।

৭| ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:১০

Muksedul rehman বলেছেন: প্রেম ইচ্ছেকরে হয়না,মানুষ প্রেমে পরে। আর সেটার কোন বয়েস নেই।

ভবিষ্যৎ অন্ধকার যদি কেউ করেথাকে তারা মুর্খ গরিব ছাড়া আর কেউ নয়। সন্তান উৎপাদন যাদের জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য।
গরিব হওয়া পাপ নয় গরিব উৎপাদন করা পাপ।

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: এখনকার প্রেম চিন্তা পরিকল্পনা করেই করা হয়।

৮| ৩০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৩৩

Muksedul rehman বলেছেন: তা ঠিক। তবে স্কুল জীবনে কিভাবে হচ্ছে তা সঠিক বলতে পারছিনে। স্কুল জীবনে কবেথেকে প্লানকরে প্রেম শুরুহলো এ নিয়ে আর্টিকেল দরকার

৩০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: চোখ কান খোলা রাখুন নিজেই দেখতে পাবেন।

৯| ৩০ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:১৪

সোহানী বলেছেন: প্রদ্যেকটা পয়েন্টে সহমত।

৩০ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

১০| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:২১

রানার ব্লগ বলেছেন: দেশ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে তখন অনেক আবর্জনাও জমে । এরা আবর্জনা । এই সময়ের প্রজন্ম অনেক জানে বোঝে । তারা মেধাবী । দৃশ্যমান সংখ্যায় আবর্জনার পরিমাণ বেশি মনে হলেও আসলে এই প্রজন্ম অনেক বেশি পরিমাণ অগ্রগামী আমাদের পুর্ববর্তি প্রজন্ম থেকে ।

৩১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: হতে পারে। তবে আমি এদের নিয়ে সংশয়ে আছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.