নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ডায়েরী- ১২২

০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:১৮


ছবিঃ আমার তোলা।

ইদানিং রাতে প্রায়ই দুঃস্বপ্ন দেখছি।
অবশ্য দিনের বেলায় স্বপ্ন গুলোকে ততটা ভয়ঙ্কর মনে হয় না। কিন্তু রাতে যখন স্বপ্নটা দেখি এবং ঘুম ভেঙ্গে যায়, তখন বেশ ভয় ভয় লাগে। গতকাল টায় তিনটায় বিছানায় ঘুমাতে গেলাম। সাথে সাথে ঘুমিয়ে গেলাম। কারন, দুদিন ধরে ঢাকায় মেঘলা আবহাওয়া। বৃষ্টিও হচ্ছে। তবে ঝুম ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে না। তাতেই অবশ্য রাস্তায় পানি জমে যাচ্ছে। পুরো বর্ষাকাল গেলো কড়া রোদে। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বর্ষাকাল আছে আর সাত দিন। মনে হয় বর্ষাকাল ভুলেই গিয়েছিলো, যে এটা বর্ষাকাল। শেষ সময়ে তার মনে পড়েছে। তাই সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি দিয়ে পুরো শহর ভাসিয়ে দিচ্ছে। আমি শেষ সময়ের বর্ষাকালটা বেশ উপভোগ করছি।

শীতকাল এবং বর্ষাকালে আমার চা খেতে বেশি ভালো লাগে।
বৃষ্টি হচ্ছে আর আমি ব্যলকনিতে বসে চা খাচ্ছি। গান শুনছি। প্রিয় কবিতা গুলো আবৃত্তি করছি। চা নিয়ে আমি সুরভিকে বিরক্ত করি না। আসলে আমি কাউকেই বিরক্ত করি না। একেকবার একেকজনকে চায়ের কথা বলি। তবে সুরভির হাতের চা আমার বেশি ভালো লাগে। দুপুরে খিচুড়ি খাচ্ছি। গরুর মাংস দিয়ে একসাথে রান্না করা খিচুড়ি। তাও আবার গরম গরম। দারুন স্বাদ। প্রয়োজনের চেয়ে বেশিই খেয়ে ফেলি। তারপর হাঁসফাঁস লাগে। এটাই আমার দোষ, এক কথা থেকে আরেক কথায় চলে যাই। এলোমেলো কথা বলতে বলতে আসল কথা হারিয়ে যায়। যাইহোক, স্বপ্নে কি দেখলাম সেটা বলি- আমি আর আমার কন্যা একটা যাদুঘরে গিয়েছি।

জর্জ নামের একলোক একটা ব্যাক্তিগত যাদুঘর করেছেন।
সেই যাদুঘর দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। যাদুঘর থেকে বের হতে চাচ্ছি কিন্তু পারছি না। আমাদের বন্ধী করে ফেলা হয়েছে। চারিদিক বেশ অন্ধকার। বাইরে থেকে আসা আবছা আলোয় দেখলাম একটা মৃত দেহ পড়ে আছে। চারপাশে রক্ত শুকিয়ে জায়গাটা কালো হয়ে আছে। আমি বেশ ভয় পাচ্ছি। আমার আড়াই বছরের কন্যা ফারাজা আমার কোলে। সে অনেক ভয় পেয়েছে। আমি বললাম, কোনো ভয় নেই। তোমার সাথে তোমার বাবা আছে। আমি থাকতে তোমার কিচ্ছু হবে না। নো নেভার। কন্যাকে সাহস দিলাম কিন্তু আমি ভিতরে ভিতরে অনেকটা ভয় পাচ্ছি। এমন সময় একটা দরজা খোলার আওয়াজ হলো।

আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে জর্জ।
তার এক হাতে ধারালো ছুরি, আরেক হাতে চায়নিজ কুড়াল। জর্জ বলল, আমার এই যাদুঘর দেখতে প্রতিদিন অনেক লোক আসে। তাদের মধ্যে আমি বেছে বেছে এক বা দুজনকে খুন করি। এটা আমার দীর্ঘদিনের অভ্যাস। আজ তোমাকে এবং তোমার কন্যাকে খুন করবো। আগে তোমার চোখের সামনে তোমার কন্যাকে খুন করবো। তাকে টুকরো টুকরো করবো। তারপর তোমাকে। এই বলেই জর্জ একটা কুৎসিত হাসি দিলো। আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। আমার দম যেন বন্ধ হয়ে আসছে। শুধু এটুকু জানি আমার কন্যাকে বাঁচাতে হবেই। ছটফট করতে করতে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। দেখি, আমার কন্যা আমার পাশে ঘুমিয়ে আছে। আমি ঘুমন্ত কন্যার কপালে একটা চুমু খেলাম।

প্রত্যেক সপ্তায় আমাকে বাজারে যেতে হয়।
বাজার দর আমি খুব ভালো জানি। এ সপ্তাহে এক ডজন ডিম ১৬০ টাকা। দুই কেজি ওজনের একটা রুই মাছ ৮/৯ শ' টাকা। সেই রুই মাছ কাটাতে ৫০ টাকা লাগে। একটা দেশী বাচ্চা মূরগী ৫৫০ টাকা। সোনালী মূরগী ৩৫০ টাকা কেজি। টেংরা মাছ এক কেজি ৮শ' টাকা। ৯শ' গ্রামের একটা ইলিশ মাছ ১৫শ' টাকা। নাজিরশাইল চাউল ৮৮ টাকা কেজি। এক কেজি আপেল ৩৫০ টাকা। মালটা ২৬০ টাকা। নাসপাতি ৩৫০ টাকা। ড্রাগন ফল বড় টা ৪৫০ টাকা কেজি, ছোট্টা ২৫০ টাকা কেজি। হাফ কেজি সার্ফ এক্সেল ১৫০ টাকা। এক ডজন সাগর কলা ১২০ টাকা। খোলা মুড়ি কেজি ৯০ টাকা। একটা নারকেল ১২০ টাকা। হাফ কেজি গুড়ো দুধ ৪২০ টাকা।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: বাজারে জিনিস পত্রের দাম মোটামুটি ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই আছে। চীন এবং ভারতের বন্যার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি অনেকদিন দেশে নাই। দেশের অবস্থা জানেন না। ৩০/৪০ হাজার সেলারি দিয়ে সংসার চালানো অনেক কষ্ট।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩

রানার ব্লগ বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: বাজারে জিনিস পত্রের দাম মোটামুটি ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই আছে। চীন এবং ভারতের বন্যার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে।

আমরা যারা টাকায় আয় করি তাদের জন্য মরন ফাঁদ এই দ্রব্য মূল্য !

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: রাটই।

অলরেডি বাংলাদেশে কক্সবাজার চিটাগাং সড়ক পথ ডুবে গেছে।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:০৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: রাজিব ভাই , অভাগা দেশে আপনি এক মহাভাগ্যবান মানুষ যে মোটামুটি সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করে পরিবার-পরিজন( পরির মত পরি (কন্যা) ও সুরভী ভাবীর মত লক্ষী একজন বউ নিয়ে রাতে ভরপুর খেয়ে আপনজনদের সাথে ঘুমাতে গিয়েও দুঃস্বপ্ন দেখে জেগে উঠেন। আর আমরা?

আসেন ভাই , আপনার কপালের লগে অভাগার কপালটা একটু ঘষে দেখি কিছু পরিবর্তন হয় কিনা?

ভাই বাজার দর নানা কারনে নিয়ন্ত্রণ করা যায়না তা ঠিক আছে তবে এই দুঃস্বপ্নটাকে কি কোনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়না? আপনি একটু ভেবে দেখেন এটা কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিংবা শুধু ভাল স্বপ্ন দেখা যায়।

অবশ্য রাজীব ভাই , একটা কথা ঠিক। মাঝে মাঝে কিছুটা দুঃখ কিংবা দুঃস্বপ্ন থাকা/দেখা উচিত , জীবনকে উপলব্ধি করার জন্য।

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আজ রাতে পরিবার নিয়ে 'লেক শোর' হোটেলে ডিনার করবো। চলে আসেন।

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:০৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ছোটদের কদর বেশি, এজন্য ছবিতেও মাঝখানে থাকতে হচ্ছে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি বুঝতে পারিনি।

৫| ১০ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:০০

শুভ্রকথা শুভ্রর দিনলিপি বলেছেন: আপনি স্বপ্নগুলো মনে রাখতে পারেন। ভালো
আপনার লেখার সরলতা মুগ্ধকরার মতো...

১০ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: স্বপ্ন তো আর পুরোপুরি মনে থাকে না। কিছু অংশ মনে থাকে।

ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.