নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
বর্ষাকালটা প্রকৃতি উপভোগ করার মৌসুম।
একবার গ্রামের মাঠে বর্ষাকালে ফুটবল খেলতে গিয়ে আমার ডান পা মচকায়। সেই মচকানো পায়ের ব্যথায় ছটফট করতে থাকলাম। গ্রামের ডাক্তার ব্যথা কমাতে পারলো না। আমার দাদা দোয়া পড়ে বেশ কয়েকবার ফুঁ দিলেন। আমার দাদী তেল মালিশ করে দিলেন। কোনো কাজ হলো না। শেষে ঢাকা থেকে এক ডাক্তার আনা হয়। সেই ডাক্তার আমাকে অনেক গুলো ব্যথার ওষুধ খাওয়ালেন। আমি হাসিমুখে ব্যথার ওষুধ খেয়ে গেলাম। একশো পঁচিশটা ওষুধ খাওয়ার পর ব্যথা কমে গেলো।
আমি ঢাকা ফিরে এলাম কিন্তু এরপর শুরু হলো আমার পেট ব্যথা।
রাত যত বাড়ে ব্যথা তত বাড়ে। আমি সেই ডাক্তারকে খুজে বের করলাম। ডাক্তার বললেন, দূর এটা কোনো সমস্যাই না। এক বোতল অ্যানটাসিড খেতে দিলেন। কিন্তু তাতে ব্যথা কমলো না। বরং ব্যথা বাড়তে থাকলো। অসহ্য হয়ে উঠলো। টানা দুই বছর ব্যথা সহ্য করে গেলাম। একদিন আজমী শরীফ থেকে আসা এক ফকিরের দেখা পেলাম। তিনি আমাকে কি একটা খেতে দিলেন, আমার পেটে হাত রাখলেন আর সাথে সাথে ব্যথা নাই হয়ে গেল!! সেই থেকে আমার কোনো অসুখ বিসুখ হয় না।
দাদার কাছে দাদার বাবার হজ্বে যাওয়ার গল্প শুনেছিলাম।
দাদার বাবা হজ্বে গেলেন। তখন উড়োজাহাজ ছিলো না। খুব কষ্ট করে হজ্বে যেতে হতো। কলকাতা হয়ে বোম্বে। বোম্বে থেকে জাহাজ যাত্রা শুরু। টানা ৫/৬ মাস জাহাজে থাকতে হতো। জাহাজে থাকা ভীষণ কষ্টের। বমিটমি হয়ে একাকার অবস্থা। প্রতিটা হজ্ব যাত্রীর একই দশা। অসুস্থ হয়ে মক্কায় যেতো। আরব গিয়েও শান্তি নেই। মক্কা মদীনায় রুক্ষ প্রকৃতি। প্রচন্ড গরম। কি কষ্ট! কি কষ্ট! হিন্দুরা তীর্থে যায়। কষ্ট নেই, খরচও কম। গয়া, কাশি আর বৃন্দাবন। সেবার হজ্বে গিয়ে দাদার বাবা ভীষণ বিপদে পড়লেন। বোম্বে থেকে জাহাজে উঠার আগেই হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা লেগে গেলো। দাঙ্গার কারন হিন্দুরা বলছে মুসলমানরা ভারতে গরু জবাই করতে পারবে না। দুপক্ষকেই উসকে দিচ্ছে ইংরেজ আর রাজনীতিবিদরা।
মেয়েরা কিছু বুঝতে চায় না। তারা বড় অবুঝ।
যদিও তারা নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। মেয়েদের জীবনে সবচেয়ে বড় কষ্ট হলো- অবহেলা। পুরুষের কাছ থেকে তারা অবহেলা একেবারে সহ্য করতে পারে না। মেয়েরা যাকে পছন্দ করে, ভালোবাসে, এবং যে পুরুষের উপর দুর্বলতা থাকে সেই পুরুষকে নানা রকম কাল্পনিক গুন দিয়ে মহামান্যা করে তোলে। মেয়েরা কখনো একজন ছাড়া দ্বিতীয় পুরুষকে ভালোবাসতে পারে না। আর যেসব মেয়ে অনেক পুরুষের সঙ্গে ঢলাঢলি করে বা একটা ছেড়ে দুইটা ধরে অথবা তিন চারটে করে বিয়ে করে তারা আসলে কোনো পুরুষকেই ভালোবাসতে পারে না কখনো। শুধু ভালোবাসার অভিনয় করে।
একদিন সন্ধ্যা নদীর পাড়ে আমি আর লাবনী বসে ছিলাম।
শীতকাল। আকাশ স্বচ্ছ নয়। কিছু পাখি দল বেধে উড়ে যাচ্ছে। মাছ ধরার নৌকা গুলো ফিরে আসছে ঘাটে। শীতের ঠান্ডা বাতাস তীরের মতো এসে বিধছে গায়ে। আমারা চেয়েছিলাম খরস্রোতা নদীর দিকে! লাবনী বলেছিলো, আমি আর কাউকে চাই না। আর কিছু চাই না। শুধু তোমাকে চাই। আমি সামান্য হেসে বলেছিলাম, তোমাকে অনেস্ট হতে হবে। লাবনী বলেছিলো, আমি তোমার সাথে থাকতে চাই। তোমার সঙ্গ আমার ভালো লাগে। আমি বললাম, তোমার স্বামী বেচারার কি হবে? আর আমারও তো স্ত্রী আছে। লাবনী বলল, তোমার তো অনেক বুদ্ধি, তুমি কোনো কৌশল শিখিয়ে দাও। আমি বলেছিলাম, আমার পক্ষে কোনো অন্যায় করা সম্ভব নয়। লাবনী কাদছে। তার চোখ থেকে টপ টপ করে পানি পড়ছিলো! আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছিলো। লাবনী বুকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলা, কাদে না। কাদে না। আমি আছি। ভয় নেই।
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:১২
রাজীব নুর বলেছেন: ছবিটা মেঘ মুক্ত আকাশের ছবি।
২| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:২২
বাকপ্রবাস বলেছেন: শেষের লাইনটা গোলমেলে লাগছে, লাবনী কাদছে আবার উল্টো শান্তনা দিচ্ছে। ডায়ালগ কারটা কার ঘাড়ে গেছে বুঝতে পারছিনা
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: গোলমাল হে ভাই। সব গোলমাল হে।
৩| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৮
শাওন আহমাদ বলেছেন: একের ভেতর পাঁচ।
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: সঠিক।
৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৪৪
কামাল১৮ বলেছেন: গাজী সাহেবের মতো একটা বিষয় নিয়েই একটা পোষ্ট দিন।প্রয়োজনে বিষয়টাকে একটু বিস্তারিত ব্যাখ্যা করুন।প্রথমে সূচনা।এমন একটা বাক্য দিয়ে শুরু করুন যেনো আকর্ষণীয় হয়।তার পর বর্ণনা করুন সব শেষে উপসংহার।অনেক বিষয় থাকলে তাল গোল পাকিয়ে যায়।
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। ভালো কথা বলেছেন। এরপর থেকে তাই করবো। ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:২৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ছবিটা সুন্দর হয়েছে।