নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
চারিদিকে অনেক গাছপালা। সুন্দর মাটির সবুজ পথ।
বড় বড় ঘাসে পা যেন ডুবে যায়। বেশ কাছেই একটা নদী। বাতাস অতি মনোরম। স্বচ্ছ গাঢ় নীল আকাশ! একসাথে অনেক গুলো টিয়া পাখি উড়ে গেল। এ জায়গাটার নাম কি? এখানে আমি এলাম কি করে!
একটা মেয়েকে দেখা গেলো।
মেয়েটা সহজ সরল সুন্দর। মাথা ভরতি চুল। চোখ দুটো ভীষণ মায়াময়। মেয়েটা হাটতে হাটতে আমার পাশে চলে এলো। মিষ্টি একটা গন্ধে চারপাশ ভরে গেল। মেয়েটা আর আমি নদীর কাছে এসে থামলাম। নদীতে বেশ স্রোত। নদীটার নাম যেন কি?
আমি একটা সিগারেট ধরাতেই মেয়েটা বলল, প্লীজ পরিবেশ টা নষ্ট করবেন না। আমি সিগারেটটি ছুড়ে নদীতে ফেলে দিলাম। সিগারেট গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। মেয়েটা বলল, ট্রেন কখন আসবে? আমি বললাম, আজ ট্রেন আসতে অনেক দেরী হবে। মেয়েটি বলল, দেরী কেন হবে?
আমি বললাম, এখানে কোনো রেললাইন নেই।
স্টেশন নেই। মেয়েটি বলল, আছে। আছে। ওই যে ডান দিকে চেয়ে দেখুন। কৃষ্ণচূড়া গাছের কাছে একটা ছোট্ট প্ল্যাটফর্ম দেখা যাচ্ছে। একটা সবুজ টিউবওয়েলও আছে। আমি বললাম, এখানে কোনো মানুষ নেই। যাত্রী নেই। কুলি নেই। টিকিট কাউন্টার নেই।
আমি আর মেয়েটি হাটছি।
মেয়েটি বলল, আসুন আমরা জুতো খুলে খালি পায়ে হাটি। পায়ের নিচে শিশির ভেজা নরম ঘাস। আমি বললাম, নরম ঘাস পায়ে সুড়সুড়ি দিবে। মেয়েটি আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। আমিও আকাশের দিকে তাকালাম। মেঘমুক্ত স্বচ্ছ শরতের আকাশ।
আমরা প্ল্যাটফর্মে এসে দাড়ালাম।
দূরে দুটা হরিণ দেখা যাচ্ছে। হরিণটা এক আকাশ বিস্ময় নিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। মেয়েটা বলল, হরিণটা দেখে আমার বড্ড ভয় করছে। কত বড় আঁকাবাকা শিং। আমি বলল, ভয় নেই। আমি ঢিল মেরে হরিণটা তাড়িয়ে দিচ্ছি।
মেয়েটা বলল, ঢিল মারার দরকার নেই। হরিণটা আমাদের কোনো ক্ষতি করবে না। তাছাড়া আমরা নিরাপদ দূরত্বে আছি। আচ্ছা ট্রেন আসছে না কেন? আমি বললাম, ট্রেন আসবে না। কারণ আমাদের কাছে টিকিট নেই। মেয়েটা বলল, টিকিট নেই কেন? হেসে বললাম, টিকিট কাউন্টার নেই। স্টেশন মাস্টার পর্যন্ত নেই।
মেয়েটা বলল, ট্রেন না এলে আমরা বাড়ি যাবো কি করে?
আমি বললাম, বাড়ি যাওয়ার দরকার নেই। আমরা এখানেই থেকে যাবো। মেয়েটা বলল, আপনার সাথে! লোকে নিন্দা করবে যে! আমি বললাম, এখানে লোক নেই। শুধু হরিণ আছে। মেয়েটা বলল, আচ্ছা হরিণ নিয়ে কি কোনো কবিতা আছে? হ্যা আছে।
আমি হরিণ নিয়ে কবিতা আবৃত্তি করলামঃ
এখানে বনের কাছে ক্যাম্প আমি ফেলিয়াছি;
সারারাত দখিনা বাতাসে
আকাশের চাঁদের আলোয়
এক ঘাইহরিণীর ডাক শুনি—
কাহারে সে ডাকে!
২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৪:৫৪
কামাল১৮ বলেছেন: হরিনকে ডাকে।যেমন মানুষ ডাকে আরেক মানুষ কে।
২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: হরিণ অতি নিরীহ প্রানী।
৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৫৩
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: কাব্যিক ভাষায় হরিণী সুন্দর রাজীব দা
২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৪৩
বাকপ্রবাস বলেছেন: হরিণি হলো মেয়েটি, আর সে ডাকে মনেমনে আপনাকে
২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে হে---
৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:০৪
জাহিদ অনিক বলেছেন: সুন্দর জীবনানন্দ কচড়া
২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: সবই বিভ্রম।
৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:১২
শাওন আহমাদ বলেছেন: তারপর কী হলো?
২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:১২
রাজীব নুর বলেছেন: বাকিটুকু লিখে ফেলল।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:০৩
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ভালো লিখেছেন।