নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকের এই পোষ্টে আলোচনা করব হযরত খাদিজা রাযিয়াল্লাহু আনহার জীবনের কিছু অংশ নিয়ে।
সময়টা তখন ৫৯৬ সাল।
আমাদের নবীজির প্রথম স্ত্রী ছিলেন খাদিজা রাঃ। উনি ব্যবসা করতেন। একজন সফল ব্যবসায়ী। ইয়েমেনে এবং সিরিয়ায় তার পণ্যের অনেক চাহিদা ছিলো। খাদিজা রাঃ একবার ব্যবসায়ীক কাজে সিরিয়া যাবার পথে নবীজিকে সাথে করে নিয়ে যান। এখানেই দুনজের সাথে প্রথম দেখা ও পরিচয় হয়। নবীজির কারনে খাদিজা রাঃ দ্বিগুন লাভ হয়। নবীজি ২৫ বছর বয়সে খাদিজা রাঃ কে বিবাহ করেন। খাদিজা রাঃ এর বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় নেতা। ৫২৫ সালে আমাদের নবী খাদিজাকে বিয়ে করেন। খাদিজা রাঃ সব সময় দরিদ্রদের সাহায্য সহযোগিতা করতেন। নবীজির মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার পর খাদিজা তার ৭০% সম্পদ দান করে দেন হাসিমুখে। বিয়ের পর খাদিজার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন আমাদের নবী।
নবীজিকে বিয়ে করার আগে খাদিজা (রাঃ) আরো দুটি বিয়ে করেন।
সেখানে খাদিজা (রাঃ) এর তিনটি এবং দুটি মোট পাঁচ সন্তান হয়। খাদিজার দুই স্বামী অল্প বয়সে রোগে ভূগে মারা যান। খাদিজা (রাঃ) তার বান্ধবীকে দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। নবীজি হাসিমুখে বিয়েতে রাজী হোন। তখন খাদিজার চল্লিশ বছর। মুহাম্মদ এর ঘরে খাদিজা ৬ জন সন্তানের জন্ম দেন। সন্তানদের দেখা শোনা করার জন্য খাদিজা (রাঃ) দাসী রেখেছিলেন দুইজন। নবীজির যখন ত্রিশ বছর তখন নবীজি বেশির ভাগ সময় ঘরে থাকতেন না। গুহায় থাকতেন। ধ্যান করতেন। খাদিজা (রাঃ) নবীজিকে খাবার দিয়ে আসতেন। নবীজি তার স্ত্রী খাদিজার সম্পদ দরিদ্রদের মাঝে দান করে দেন। তাতে খাদিজা (রাঃ) খুশি ছিলেন। খাদিজাকে বিয়ের পনের বছর পর নবীজি নবুয়াত প্রাপ্ত হোণ। মুসলিম বিশ্বে একজন আদর্শ স্ত্রী খাদ্দিজা রাঃ।
৫২ বছর বয়সে খাদিজা রাঃ মারা যান।
তখন রমজান মাস ছিলো। সেই সময় জানাজা পড়ার নিয়ম ছিলো না। নবীজি নিজে তার স্ত্রীকে কবরে নামিয়েছেন। পৃথিবীতে প্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন খাদিজা রাঃ। জাহেলী যুগের কোন প্রকার অন্যায় বা পাপ তাকে স্পর্শ করেনি। বিয়ের সময় খাদিজা রাঃ নবীজিকে ২০টি উট উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। সেই সাথে বেশ কিছু নগদ দিয়েছেন অর্থ শপিং করার জন্য। খাদিজা বুঝতে পেরেছিলেন, হযরত মুহাম্মদ সাঃ হচ্ছেন আরবের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ও সৎ একজন পুরুষ। পাড়াপ্রতিবেশীরা খাদিজাকে বলেছিলো- দরিদ্র একটা ছেলেকে কেন বিয়ে করছো? তখন খাদিজা তাদের দাওয়াত করে খাওয়ালেন আর বললেন- তার মতো সুন্দর ও সৎ মানুষ আরবে আর নাই। তার তুলনা হয়। তিনিই সেরা।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর যদি কোন কারনে মন খারাপ থাকতো-
খাদিজা রাঃ নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করতেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ও তাঁর মন ভালো করার। বিয়ে করার সময় নবীজির হাত একদম খালি ছিলো। বিয়ের সমস্ত খরচ বহন করেন খাজিদা। নবীজি নবুয়াত প্রাপ্ত হলেন। প্রথম বার তিনি এতই ভীত হয়ে পড়েন যে, হেরা গুহা থেকে কাঁপতে কাঁপতে নিজ গৃহে প্রবেশ করেই খাদিজাকে কম্বল দিয়ে নিজের গা জড়িয়ে দেওয়ার জন্য বলেন। যাইহোক, ৬১৯ সালে খাদিজা মারা যান। খাদিজার সাথে নবীজি ২৫ বছর সংসার করেছিলেন। খাদিজার মৃত্যুতে নবীজি ভেঙ্গে পড়েছিলেন। মূলত খাদিজা কিশোরী বয়সে স্বপ্নে দেখেছিলেন ইসলামের ধারক বাহক একজন সুপুরুষের সাথে তার বিবাহ হবে। চল্লিশ বছর বয়সে খাদ্দিজা নবীজির দেখা পান। তারপর আমৃত্যু তার হাত ছাড়েননি।
খাদিজা (রাঃ) এমনই এক নারী যে সকল ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ, বরকত ও সৌন্দর্য্যে ভরপুর।
খাদিজা আরবের ধনী নারী ছিলেন। তার উটের সংখ্যাই ছিলো ৭০ হাজার। রাসূল রাঃ যেভাবে ভাল মনে করতেন সেভাবে হযরত খাদিজার রাঃ সম্পদকে ব্যয় করতেন। এই মহীয়সী নারীর মৃত্যুর পর আল্লাহর পক্ষ কাফনের কাপড় এসেছিল। আমাদের প্রিয় নবী সাঃ বলতেনঃ ''আমি যখন কাফেরদের নিকট থেকে কোন কথা শুনতাম এবং আমার নিকট অসহনীয় মনে হতো তখন আমি তা খাদিজাকে রাঃ বলতাম। সে আমাকে এমনভাবে সাহস যোগাতো যে আমার অন্তর শান্ত হয়ে যেত। আর এমন কোন দুঃখ ছিল না যা খাদিজার রাঃ কথায় আসান এবং হাল্কা হতো না''। বর্তমান দুনিয়ায় নারীরা খাদিজা রাঃ কে ফলো করলে তাদের সংসার হবে দীর্ঘস্থায়ী ও আনন্দময়।
৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:১১
কামাল১৮ বলেছেন: হাত ছাড়লে খাবার কোথাথেকে আসতো।পরবর্তিতে গনিমতের মাল ছাড়া আরতো কোন আয় রোজগার করতেন বলে জানা যায় না।
৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: বিশ্বের মহামানব তিনি।
তিনি দরিদ্র ছিলেন। মানুষের কাছ থেকে আস্থা ভরসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। আমাদের দিয়েছেন কোরআন, হাদীস। এবং মিরাজে গিয়ে আমাদের জন্য এনেছেন নামাজ।
আমরা তার উম্মত। আমাদের ছাড়া নবীজি বেহেশতে যাবেন না।
৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৫৮
কামাল১৮ বলেছেন: বেহেশতটা কোথায় যে যাবেন।যার কোন প্রমান নেই আছে শুধু বিশ্বাস।যে কোন লোক যে কোন কিছু বিশ্বাস করতে পারে।বিশ্বাস করলেই তা সত্যি হয়ে যায় না।সত্যি হবার জন্য প্রমান লাগে।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: কবি বলেছেন, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু- তর্কে বহুদূর।
৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: খাদিজা ছাড়াও নবীজির আরও ১২/১৩ জন স্ত্রী ছিলেন, তাদের নিয়েও পোস্ট করবেন আশা করি।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: রাইট।
খাদিজার কাছ থেকে নবীজি তার ব্যবসা পেয়েছেন। কিন্তু অন্যান্য স্ত্রীদের কাছ থেকে কি কোনো সম্পদ পেয়েছেন?
৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৪
ধুলো মেঘ বলেছেন: তার সম্পর্কে বলা হয় যে তিনি সম্পদের লোভে খাদীজা (রা) কে বিয়ে করেছিলেন। তিনি মারা যাবার পরে তার সম্পদ বেঁচেই সংসার চালিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে আপনি কি জানেন?
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের নবীজি খাদিজাকে বিয়ে করেছেন অর্থের জন্য। তাকে বিয়ে করার পর নবীজির অভাব দূর হয়।
নইলে এত বয়স্ক মহিলাকে নবীজি কেন বিয়ে করতে যাবেন? তাছাড়া খাদিজার আগে আরো দুটা বিয়ে হয়েছিলো। সেখানে তার ৫/৬ টা সন্তান হয়েছিলো।
৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৩
কিরকুট বলেছেন: খাদিজা কে কেনো মা ডাকা হয়? আবার ফাতেমা কেও মা ডাকা হয় । কারন কি ? ইহা কি ভারতীয় ধর্ম রীতি পালনের কোন অংশ ?
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: মা ডাকা হয় সম্মান করে। যেহেতু সে আমাদের নবীজির স্ত্রী। চাচী বা খালা তো আর ডাকা যায় না।
৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কিছু তথ্যগত ভুল মনে হয় আছে।
হজরত খাদিজা (রা) নিজে সফরে যেতেন না। আমাদের রসূলকে (সা) সাথে নিয়ে তিনি কোন সফর করেন নি। এটা আপনি পরীক্ষা করে দেখেন আবার। ওনারা একে অপরের আত্মীয় ছিলেন। তাই আগে থেকেই পরিচয় ছিল। পরিচয় ছিল না বলাটা বোধ হয় সঠিক না।
রসূলের (সা) সাথে বিবাহের আগে হজরত খাদিজার (রা) আরও ৩ বার বিয়ে হয়েছিল। তবে শিয়ারা বলে দুইবার।
উম্মুল মুমিনিন খাদিজার (রা) সম্মান এতো বেশী ছিল যে হজরত জিবরাইল তাকে সালাম জানিয়েছেন। এই সম্মান আর কোন মানুষ পায় নি। তিনিই প্রথম মুসলিম। ওনার আরেক নাম ছিল তাহেরা অর্থাৎ পবিত্র। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আগে থেকেই ওনার এই উপাধি ছিল। রসূলের (সা) সকল স্ত্রীদের মধ্যে রসূল (সা) ওনাকে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন এবং স্মরন করেছেন। হজরত খাদিজার (রা) মৃত্যুর পরে প্রায়ই ওনার অবদান এবং ত্যাগের কথা রসূল অন্যান্য স্ত্রীদের বলতেন।
আয়িশা রাযিয়াল্লাহু আনহা বলেন,
“আমি খাদিজাকে দেখিনি। তা সত্ত্বেও
আমি তাকে যে পরিমাণ ঈর্ষা করতাম, রাসূলের অন্য কোনাে স্ত্রীকে সে পরিমাণ ঈর্ষা করিনি। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে খুব বেশি বেশি স্মরণ করতেন। তিনি যখনই কোনাে ছাগল জবেহ করতেন, তার কিছু অংশ কেটে খাদিজার বান্ধবীদের কাছে পাঠাতেন,কখনাে আমি রাসূলকে বলতাম, “দুনিয়ায় যেনাে খাদিজা ছাড়া আর কোনাে নারী নেই!” তিনি বলতেন, “তার (খাদিজা) মতাে কে হতে পারবে? আল্লাহ তার চেয়ে উত্তম নারী আমাকে দান করেননি। মানুষ যখন আমাকে মানতে অস্বীকার করেছে, তখন সে আমার প্রতি ঈমান এনেছে। মানুষ যখন আমাকে মিথ্যাবাদী বলেছে, সে আমাকে সত্যবাদী বলেছে। মানুষ যখন আমাকে বঞ্চিত করেছে, তখন সে তার সম্পদে আমাকে অংশীদার করেছে। আল্লাহ তার মাধ্যমে আমাকে সন্তান দান করেছেন।
সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৮১৮
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার মনে হয় আপনি সঠিক।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এই মহিয়সী নারী সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানা যাবে
এই লিংক হতে http://imam.gov.bd/singlepost/5411