নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৪



যখন আমি মৃত, পৃথিবীতে আমার সমাধি না খুঁজে, আমাকে মানুষের হৃদয়ে খুঁজে নাও।

এরিস্টটল, পিথাগোরাস এদের জন্মের বহু বছর পর জন্ম নেন আমাদের নবীজি।
নবীজি জন্মের বহু বছর পর জন্ম নেন, মাওলানা রুমী। রুমীকে এখন সারা বিশ্ব চিনে, জানে। এখন পর্যন্ত আমেরিকাতে রুমীর বই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। রুমী নামের আরবিক অর্থ বলা যেতে পারে রোমান। ১২০৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ সেপ্টেম্বর বর্তমান (আফগানিস্তান) বাহা উদ্দিন ওয়ালাদ এবং মুইমিনা খাতুনের কোল জুড়ে আসে এক ফুটফুটে সন্তান। পিতা তার নাম রাখেন জালাল উদ্দিন। রুমী পড়তে পছন্দ করতেন। প্রচুর পড়াশোনা আর দুনিয়াকে জানার চেষ্টাই রুমী যেতে পেরেছেন জ্ঞানের গভীরতম শাখায়। রুমির সাহিত্যকর্ম বেশির ভাগই ফার্সি ভাষায় রচিত হলেও তিনি তুর্কি, আরবি এবং গ্রিক ভাষায়ও রচনা করেছেন। কবি কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পাকিস্তানের জাতীয় কবি আল্লামা ইকবালসহ বিশ্বের অনেক খ্যাতনামা লেখক ও ব্যক্তিরা রুমির লেখা দ্বারা বিভিন্নভাবে প্রভাবিত হয়েছেন। রুমির বয়স যখন ২৫ বছর তখন তার বাবা মৃত্যুবরণ করেন।

মাওলানা রুমির জন্ম অত্যন্ত সচ্ছল পরিবারে।
১২২৫ সালে রুমি গওহর খাতুনকে বিয়ে করেন।
তাদের দুজন ছেলে- সুলতান ওয়ালাদ এবং আলাঊদ্দিন চালাবী। এরপর গওহর খাতুন মারা গেলে রুমি এক বিধবা মহিলাকে বিয়ে করেন, যার আগে একটি মেয়ে ছিল, কিমিয়া খাতুন নামে। এখানে রুমির এক ছেলে আমির আলিম চালাবী এবং এক মেয়ে মালাখী খাতুনের জন্ম হয়। মাওলানা রুমির বয়স যখন মাত্র ১১ বছর, সে সময় মঙ্গোলরা মধ্য এশিয়ায় আক্রমণ করে। ফলে মাওলানা রুমির বাবা তার কিছু অনুসারীসহ তাদের বাসস্থান ছেড়ে অন্যত্র রওয়ানা হন। সে সময় রুমি চলার পথে অনেকের সান্নিধ্যে আসেন, যা তার জ্ঞানের গভীরতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। মাওলানা রুমি প্রাথমিক জীবনে সারা দিন হাদিস, তফসির ইত্যাদি ধর্ম গ্রন্থের কিতাব পাঠে সময় ব্যায় করতেন। মাওলানা রুমির আশে পাশে লক্ষ লক্ষ মুরিদান, আলেম, মুহাদ্দিস বসে থাকতেন শুধু তার মুখের একটু বানী শোনার জন্য।

১২৪৪ সালের ১৫ই নভেম্বর তার সাথে পরিচয় হয়ে যায় 'শামস তাবরিজি'র।
শামস তাবরিজি ছিলেন একজন চালচুলোহীন ভবঘুরে সাধু, লোকে যাকে ‘পাখি’ বলে ডাকতো। শামস তাবরিজির সংস্পর্শে এসে রুমির আমুল পরিবর্তন হয়। ১২৪৮ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতে রুমি এবং শামস কথা বলছিলেন, এমন সময় কেউ শামসকে পিছনের দরজায় ডাকে। তিনি বের হয়ে যান এবং এরপর আর কোথাও কখনো দেখা যায়নি। গুজব শোনা যায় যে রুমির পুত্র আলাউদ্দিন এর মৌন সম্মতিতে শামসকে হত্যা করা হয়। রুমি প্রায়ই তার অনুসারীদের নিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে যেতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে প্রকৃতির মাঝে ঈশ্বর অদৃশ্য জগতের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন। রুমি প্রকৃতিকে ঈশ্বরের ভালোবাসার প্রতিফলন রূপে দেখতেন এবং সেখান থেকে কবিতা গজল রচনা করার অনুপ্রেরণা পেতেন।

রুমি জীবনের শেষ পঞ্চাশটি বছর কাটিয়েছেন তুরস্কের কোনিয়ায়।
রুমি আনন্দ ও প্রেমের কবি। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ এই সাধক ১২৭৩ খ্রিস্টাব্দে ৬৮ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। আজও যেখানে তাঁর মাজার, সেই কোনিয়াতে রুমী ফেস্টিভ্যাল হয় প্রতি বছর। সারা পৃথিবী থেকে সেখানে মানুষ জড়ো হোন। রুমির জানাজায় অংশ নিতে প্রায় সব ধর্মের মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, রুমির কবিতা তাঁদের নিজ নিজ ধর্মের প্রতি আরও গভীরভাবে বিশ্বাসী করে তুলেছে। রুমির কবিতার শক্তি এ জায়গাতেই।

রুমি আমাদের দেশে অবহেলিত।
খেয়াল করে দেখবেন আমাদের দেশে কেউ ঘরের মধ্যে রুমির ছবি টানিয়ে রাখে না। কিন্তু অনেক পরিবারে আপনি রবীন্দ্রনাথের ছবি দেখতে পাবেন। এমনকি কবি কাজী নজরুলের ছবিও দেখতে পাবেন। কলকাতায় অনেক বাড়িতে আপনি রবীন্দ্রনাথ আর স্বামী বিবেকানন্দের ছবি দেখতে পাবেন। মহাত্মা গান্ধীর ছবিও পাবেন। কিন্তু রুমিকে খুঁজে পাবেন না। রুমি কি দেখতে সুন্দর ছিলেন না? আমাদের দেশের সাধারন মানুষ লালনকে চিনে কিন্তু রুমিকে চিনেন না। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে জাতির উন্নতি হচ্ছে না। আমেরিকার মানুষ রুমি পড়ে কিন্তু আমরা পড়ি না। আফসোস। রুমি যা বলে গেছেন তা আমাদের জন্য অমূল্য সম্পদ। তার কথা হৃদয়ে ধারন করলে আমরা পাপ থেকে মুক্তি পাবো। আমাদের ভালো হবে। আমাদের হৃদয় শীতল হবে।

রুমির পাঁচ টি জনপ্রিয় বই-
১। মসনবী, (৬ খণ্ড)
২। দিওয়ানে কবির, (৪০০০০ কবিতার লাইন)
৩। ফিহি মা ফিহি, (বিভিন্ন সভা ও মসলিসে দেয়া বক্তব্য)
৪। মাজালিশ-ই শব, (সাতটি বড় বক্তৃতা)
৫। মাকতুবাত, (১৪৭ টি চিঠি)

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উনি ভুল পথের সুফি ছিলেন। ভুল পথের সুফিরা ইসলামের ক্ষতি করেছে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: বুঝতে পেরেছি।
আসলে উনি আপনাদের ধর্ম নিয়েও বেশ রসিকতা করেছেন।

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৬

বিষাদ সময় বলেছেন: এখন পর্যন্ত আমেরিকাতে রুমীর বই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে।

গুগল করে যা বুঝলাম। তথ্যটি অথেনটিক না।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: গুগলে কি আর সব থাকে?

৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: লেখায় খুব বেশী তাড়াহুড়ো করেছেন। আরেকটু মনোযোগ দিয়ে লিখুন- বিশেষ করে এসব ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব বা ঘটনা নিয়ে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি সঠিক কথা বলেছেন।

৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @সাড়ে_চুয়াত্তর ,

ভাইজান , ভুল পথের সুফী কেন বললেন ? আর সঠির পথের সুফি কারা জুনায়েদ বাগদাদী ও হাসান আল বসরী রাঃ -রা ? রুমি যে তরিকা অবলম্বন করেছিলেন সেই তরিকা একেবারে বায়েজীদ বোস্তামি থেকে শুরু করে চিশতী ও নিজামুদ্দীনরা করেছেন । তো ভুল বলবার মানদণ্ড কী ? অধিকাংশ সুফীই তো এই পথেই সাধনা করেছেন । আর এরা ইসলামের ক্ষতিটা করলো কোথায় ? ইসলাম প্রচারে ও ইসলামের দর্শনে এদের অবদান তো ইতিহাস নন্দিত ! আপনার এই বক্তব্যের পক্ষে ব্যাখ্যা করলে ভালো হত !

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: সঠিক কথা বলেছেন।

৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



মাওলানা রুমিকে তাঁর আত্ম-গরিমা প্রদর্শন থেকে ফিরিয়ে আনেন শামস তাব্রিজি (রহঃ)।

শামস তাব্রিজি (রহঃ) ছিলেন রুমির চেয়ে উঁচু মাপের দরবেশ। তাঁকে নিয়ে চর্চা করলে অনেক কিছু জানা যায়।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: সঠিক।
শামস তাব্রিজি (রহঃ) রুমির জীবন দর্শন বদলে দিয়েছিলেন।
শামস তাব্রিজি (রহঃ) না থাকলে তুমি জনপ্রিয় হতে পারতেন না।

৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৪

কামাল১৮ বলেছেন: রুমি পড়া হয়নি।তবে নজরুলের অনুবাদে ওমর খৈয়াম পড়েছি।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: রুমি পড়ুন। আপনার পছন্দ হবে। ভালো লাগবে।

৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নিবর্হণ নির্ঘোষ -

সুফি জালালউদ্দিন রুমির কিছু উক্তি আপত্তিকর। সত্য কি না জানি না। তবে যদি সত্যি হয়ে তাহলে তার সুফি চিন্তার মধ্যে সমস্যা আছে। ইসলাম বিরোধী কথা এগুলি।
১। What shall I say, O Muslims, I know not myself, I am neither a Christian, nor a Jew, nor a Zoroastrian, nor a Muslim.
২। আমার নির্দিষ্ট কোন ধর্ম নেই, প্রেমই আমার ধর্ম।
৩। কামেল পীরের প্রতি সিজদাবনত হও, এবং নৈকট্য অর্জন করো।
৪। I have lost myself in God, and now God is mine.
Don't look for Him in every direction, for He is in my soul.
I am the Sultan. I would be lying.
If I said that there is someone who is my sultan.

৫। The infidels aren't lost. You are lost. That's why everyone else seems lost to you.
৬। This world is teeming with the presence of Christ.
৭। A true lover doesn't follow any one religion, since in the religion of love, there is no mosque or priest.
৮। Mansur was such a master, that on the path of God.
He split each thread from the fabric of his soul.
What did Mansur proclaim? "I am the truth."
Who was Mansur? He was God. He was God.

৯। In the path of union, the wise man and the mad man are one.
In the way of love, close friends and strangers are one.
That one who has tasted the wine of union with the supreme soul.
In his faith, the Kaaba and an idol temple are one.

১০। To that beloved
flower and thorn are one.
A verse from the Koran and the Brahmin's thread are one.
Don't try to impress him, to that beloved hero and fool are one.

১১। If I pray it's only so my heart would turn toward you.
If I face the Kaaba it's only so my eyes might turn toward you.
Otherwise, I'll rid the world of prayer.
I'll tear down the Kaaba.

১২। Alas, don't say those treading the path are not the chosen ones.
That the followers of Christ, or the faithless are not the chosen ones.
Because you are not chosen to be the keeper of secrets.
You think that others are not the chosen ones.

১৩। This is you, making me drunk in a monastery.
Turning me into an idol worshiper while I am seated at Kaaba.
I have no control in this game of good and bad.

১৪। প্রার্থনায় তো ধরাবাঁধা নিয়মের কোন দরকার নেই, তিনি তো শুনতে পান ছলনাহীন অন্তরের সকল কথা।

১৫। প্রকৃতপক্ষে আমার আর তোমার আত্মা একই, তুমি আমার মাঝে আছো আর আমি আছি তোমার মাঝে , আমরা একজন আরেকজনের মাঝে পরস্পর লুকিয়ে আছি !“

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে ধর্ম নিয়ে রুমি অনেক রসিকতা করেছেন।
তার রসিকতা গুলো বাস্তব। এবং সঠিক।

৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



লেখাটিতে মাওলানা রুমিকে নিয়ে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে । তবে লেখায় তথ্য সুত্র উল্লেখ না করলে
নিশ্চিতভাবেই বিবিধ প্রশ্নের সন্মুখীন হতে হবে ।

যাহোক, তিনি যে ১৩শ শতাব্দীর একজন ফার্সি সুন্নি মুসলিম কবি, আইনজ্ঞ, ইসলামি ব্যক্তিত্ব, ধর্মতাত্ত্বিক,
অতীন্দ্রিয়বাদী এবং সুফী ছিলেন সে বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত ।

এটাও ঠিক যে, তাঁর আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গির কিছু দিক সম্প্রসারিত হয়েছে সাম্প্রদায়িক সংস্পর্শে।
তার একটি কবিতায় বলা হয়েছে
অন্বেষণকারীদের পথে জ্ঞানী- মূর্খ সব একই।
তাঁর ভালোবাসায় পরিচিত-অপরিচিত সব একই।
এগিয়ে যাও! ভালোবাসার অমৃত সুধা পান করো।
সে বিশ্বাসে, মুসলিম-পৌত্তলিক সব একই।

সুত্র 53 Secrets from the Tavern of Love, poems from the Rubaiyat of Mevlana Rumi,
trans. by Amin Banani and Anthony A. Lee(2014), page 3

তাঁর এ কবিতাটিই জন্ম দিয়েছে তাঁকে নিয়ে বেশ কিছু আলোচনা , সমালোচনা ও তাঁকে প্রতিপন্ন করেছে একজন
আপত্তিকর সুফী দরবেশ হিসাবে ।

এখানে উল্লেখ্য পবিত্র কোরআন অনুযায়ী, হযরত মোহাম্মদ সাল্লালাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সৃষ্টিকর্তা পাঠিয়েছেন
সকল সৃষ্টির জন্য, যার মধ্যে সমগ্র মানবাজাতি রয়েছে।
সুত্র : সুরা আমবিয়া, আয়াত ১০৭ Chapter (21) sūrat l-anbiyāa (The Prophets)
And We have not sent you, [O Muhammad], for no other reason but to be a mercy
for mankind.
এ সম্পর্কে তাই মাওলানা রুমি বলেনঃ
"মুহাম্মদের আলো কোন অগ্নিপুজারি বা ইহুদিকে পরিত্যাগ করে না।
তাঁর সৌভাগ্যের ছায়া যেন সবার উপর উজ্জ্বল হয়!
তিনি সুপথে নিয়ে আসেন যারা পথভ্রষ্ট হয়েছিল মরুভূমিতে।"

সুত্র Ibrahim Gamard (2০০4) Rumi and Islam: Selections from His Stories, Poems,
and Discourses , পৃষ্ঠা ১৬৩

তবে দিন শেষে বলা যায় রুমির অনেক কবিতাই তুলে ধরে বাহ্যিক ধর্মীয় রীতি এবং কোরাআনের প্রধান
বিষয়ের গুরুত্বকে। মাওলানা রুমী বলেন -
আল্লাহর কোরআনের কাছে যাও, তাতে আশ্রয় নাও
সেখানে নবীর আত্নার সাথে মিশ
গ্রন্থটি বহন করে নবীর বিভিন্ন অবস্থার কথা
সমুদ্রের ন্যায় তাঁর পবিত্র মহিমা প্রকাশ কর।

সুত্র Franklin Lewis, Rumi: Past and Present, East and West —
The Life, Teachings, and Poetry of Jalal al-Din Rumi, Oneworld Publications, 2000,
Chapter 7.page 408

মাওলানা রুমি আরো বলেন
যতক্ষণ পর্যন্ত আমার প্রাণ আছে আমি কোরআনের দাস।
আমি মোহাম্মদের রাস্তার ধূলিকণা, নির্বাচিত ব্যক্তি।
যদি কেউ আমার বলা বাণী ছাড়া অন্য কিছু আমার নামে চালায়,
আমি তাকে ত্যাগ করব সেসকল শব্দের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে।

সুত্র Ibrahim Gamard, Rumi and Self Discovery, Dar al Masnavi
At Click This Link

মাওলানা রুমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেষ্ট সেলিং পয়েট কেন?
বিবিসি ডট কমে প্রকাশিত দুটি সংবাদ ভাষ্য পাঠ করলে তা কিছুটা জানা যাবে
Why is Rumi the best-selling poet in the US?
সুত্র Click This Link
এবং
The roar of Rumi - 800 years on
সুত্র Click This Link

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: এখানে তথ্য সুত্রের কিছু নেই।
কিছু কমন কথা লিখেছ যা সর্বজনবিদিত।

৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের ধর্ম নিয়ে রসিকতা করছেন বুঝলাম। আপনার ধর্ম নিয়ে রসিকতা করে নি তো আবার?

১০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর ,

হ্যাঁ ভাই এসব নিয়ে বিতর্ক আছে । তবে সমস্যা হলো এগুলো কবিতার ছোট্ট পঙক্তি । উনার সব কথা কবিতার মধ্যে বলা । এবং সেখানে অনেক চরিত্র এসে যায় । এখন চরিত্রের মুখ দিয়ে অনেক সময় চরিত্রকে বোঝাতে অনেক পঙক্তি উচ্চারণ করাতে হয় । তো এইসব করাতে বলা তো যায় না যে এইসব কবির মতামত । আসলে পশ্চিমে এই রুমীকে ধর্মনিরপেক্ষ প্রমাণ করতে গিয়ে এমন অনেক কথা বলেছেন যা রুমির কোন লিখাতেও পাওয়া যায় না বলে অনেক গবেষক বলেছেন ।

আর প্রেমকে বড় করে দেখেছেন রুমী । আমি নিজেও রুমীর প্রেমের কয়েকটা কবিতা অনুবাদ করেছি । বাংলাদেশে রুমীর একটা অনুবাদ সমগ্র পাওয়া যায় যেখানে সরাসরি ফার্সি থেকে অনুবাদ করা সেসব পড়লে বুঝা যায় অনুবাদে কতটা ভুল করা হচ্ছে । রুমির সব কাব্যই আসলে ঘটনার বর্ণনা । আমি এমনও দেখেছি একটা ঘটনা বলতে গিয়ে তিনি প্রাসঙ্গিকভাবে অন্য ঘটনা বর্ণনা করেন এবং এর মাঝে দার্শনিক অনেক বক্তব্য দেন আর এর থেকে কেঁটেছিঁড়ে কিছু নিয়ে প্রচার করা হয় যার কারণে অনেক ভুল ধারণা জন্মে যায় । আর সিজদার ব্যাপারটা আসলেই বিশ্বাসযোগ্য না । কারণ রুমীরা শিরকের প্রতি বেশ সচেতন ছিলেন । আমাদের দেশে যেসব মাজারপন্থী এইসব অনুবাদ করেন তারা এভাবে লিখেন ।

১১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: একটা বানোয়াট মিথ্যা কথা হলো রুমী ধর্মকে কটাক্ষ করেছেন । এটা একদম ভিত্তিহীন । তিনি কটাক্ষ কাউকেই করেননি ।

১২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৮

Bondi বলেছেন: মাওলানা রুমী একজন বড় মাপের বুজুর্গ/ওলী ছিলেন। তিনি কখনোই ভুল পথের সুফী ছিলেন না। হয়তো আপনার জানায় ভুল আছে। তাঁর জীবনাচরণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকলে তাঁর ওই উক্তি গুলোর সঠিক মমার্থ বোঝা যাবে। আক্ষরিক অর্থ নিলে ভুল হবে , ভাবার্থ নিতে হবে. সোজা বাংলায় বলতে গেলে তিনি আগাগোড়া আল্লাহর প্রেমে পাগল ছিলেন। @সাড়ে_চুয়াত্তর

১৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: তথ্য সুত্র দিন ।
কিছু তথ্য ভুল আছে। কিমিয়া খাতুন , রুমির সেকেন্ড ওয়াইফের মেয়ে নয়। কিমিয়া রুমির বাসায় একজন আশ্রিতা । শামস তাবরিজির সাথে এই কিমিয়ার বিয়ে দেন রুমি।

১৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ বন্দি - মওলানা রুমির বই সৌদি আরব সহ অনেক আরব দেশে নিষিদ্ধ ছিল। হয়তো এখনও আছে। কারণ তার আকিদাগত সমস্যা ছিল।

১৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২২

Bondi বলেছেন: @সাড়ে_চুয়াত্তর। হতে পারে; কারণ তাঁর তাসাউফ চর্চার পদ্ধতি এবং বিশ্বাস সউদী আরব এর আলেমগণের আকীদার এবং বিশ্বাসের সাথে কিছুটা মতপার্থক্য রয়েছে। এরকম ছোট আকীদাগত মতপার্থক্য অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় বিভিন্ন মাসলাকের আলেমগণের মধ্যে। এটা মৌলিক পার্থক্য না। সউদী আরব এর আলেমগণের তাঁদের ব্যাখ্যাকে প্রাধান্য দিবে এবং এটাই প্রচারণা করবে। তাই তাঁরা তাঁর বই কে নিষিদ্ধ করে রাখতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.