নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ডায়েরী- ১২৪

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৯

ছবিঃ আমার তোলা।

পিজা খাবারটা আপনার কাছে কেমন লাগে?
আমার কাছে খুবই ফালতু লাগে। এক কামড় খাওয়ার পর আমার আর দ্বিতীয় কামড় খেতে ইচ্ছা করে না। অথচ এই খাবারটা লোকজন পাগলের মতো খায়। আমাদের বাসার সকল সদস্য দেখি আরাম করে খায়। সাথে আবার সস নিয়ে নেয়। আমার ছোট ভাইয়ের ছেলে আরিশ। ৭ বছর। আরিশ পিজা পাগলের মতো খায়। সে আস্তো একটা পিজা একাই খেয়ে ফেলে। তার কাছে কোনো ব্যাপারই না। পিজা হাটে সারারাক্ষন পোলাপান পিজা খেতেই থাকে। ওদের পিজা খাওয়া দেখে আমি ভীষন অবাক হই। এই খাবারটা কেন আমার ভালো লাগে না? আবার আমি বার্গারটা আগ্রহ নিয়ে খাই। খেয়ে আরাম পাই। মজা পাই।

কথায় কথায় ''আলহামদুলিল্লাহ'', ''ইনশাআল্লাহ'', ''মাশাল্লাহ'' বলা-
মানুষ গুলো কি নীতিবান? মহৎ? মানবিক? ভালো? অবশ্যই না। এদের মধ্যে ব্যাপক ঘাপলা আছে। এসব কথা বলা ব্যাক্তির চরিত্রের মানদণ্ড নয়। এমনকি খুবই ধার্মিক ব্যাক্তি হওয়ার অর্থ এই নয়- সে ভাল মনের মানুষ। বরং যারা অতিরিক্ত ধর্মকর্ম করে তারা করাপ্ট হয়। এদের থেকে সাবধান থাকাই ভালো। আমার এক চাচী একসময় খুব ফ্যাশন করতেন। নাচ, গানও করতেন। গত ৩/৪ বছর ধরে ধার্মিক হয়েছেন। হিজাব পড়েন। অনলাইনে আরবী শব্দের উচ্চারণ শিখেন। চাচী খালি ধর্মের কথা বলেন। অথচ এই চাচী বিরাট বদ। আমি জানি তার আসল কুকীর্তি গুলো। মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে তার মুখোশটা খুলে দেই।

আজ দুপুরে সুরভি খিচুড়ি রান্না করেছে।
সকাল থেকেই আজ আকাশ মেঘলা। ঘুম থেকে উঠে দেখি রোদ নাই। আকাশ বেশ মেঘলা মেঘলা। যে কোনো সময় বৃষ্টি নামবে এমন- ভাব। আকাশ মেঘলা হলেই সুরভি খচুড়ি রান্না করে। আমি নিশ্চিত আজ দুপুরের খাবার হবে খিচুড়ি আর গরুর মাংস। দুপুরে খেতে বসে দেখি সুরভি খিচুড়ি রান্না করেছে। দারুন স্বাদ হয়েছে। একদম গরম গরম। ধোঁয়া উড়ছে। পর্যাপ্ত মাংস। আমি ইচ্ছা মতো খেলাম। প্রচুর খেলাম। সুরভিকে বললাম, আজ রান্নাটা দারুন হয়েছে। সামান্য একটা কথায় সুরভি খুশিতে ঝলমল করছে। বিকেলে সুরভি এক কাপ চা দিলো। মনে হলো- এত ভালো চা আগে কখনও খাই নাই।

আমাদের নবীজি দেখলেন-
একটা লোক অনেক গুলো কবুতরকে খাওয়াচ্ছে। খাবার খেয়ে কবুতর গুলো খুশিতে নাচছে, লাফাচ্ছে। খাওয়া শেষে লোকটা হাতে তালি দিয়ে কবুতর গুলোকে আকাশে উড়াচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে নবীজি বললেন, একটা শয়তান আরেকটা শয়তান নিয়ে খেলছে। এটা একটা হাদীস। আবু দাউদ শরীফের ৪৯৪০ নং হাদীস। এই হাদীসটি আরো একটি হাদীস বইতে আছে। বইটির নাম- সহীহ আল জামি। সেই বইয়ের ৩৭২৪ নং হাদীস এটি। হ্যাঁ অবশ্যই এটি সহী হাদীস। ইসলাম ধর্মে কবুতর নিয়ে খেলা করা কি হারাম? নবীজি মনে হয় উট আর বিড়াল ছাড়া আর কিছু পছন্দ করতেন না। তবে কবুতর পালা ও খাওয়া ধর্মে জায়েজ আছে।

আমার ধারনা- লোকটা নামাজের সময় নামাজ না পড়ে-
কবুতর নিয়ে খেলা করছিলো। তাই নবীজি এই কথা বলেছেন। সৌদির মসজিদুল হারামে অসংখ্য কবুতর দেখতে পাওয়া যায়। অনেকেই কবুতর গুলোকে খাবার দেয়। আমরা জানি, হিজরতের সময় সাওর পাহাড়ে নবীজি ও আবু বকর আশ্রয় নেয়। তখন একপাল কবুতর এসে গুহার মুখে বাসা বাঁধে। পুরস্কারস্বরূপ আল্লাহপাক এই কবুতর গুলোর বংশধরদের মক্কায় নিরাপদে বসবাসের সুযোগ দেন। সম্ভবত বিশেষ নিরাপত্তা পাওয়া এসব কবুতর আবাবিল পাখির বংশধর। কাবাঘর ভাঙতে আসা আবরাহা ও তার বাহিনীকে ধ্বংস করতে আল্লাহর পক্ষ থেকে আবাবিল পাখি পাঠানো হয়েছিল। পবিত্র কোরআনের সুরা ফিল-এ এই ঘটনার বিবরণ রয়েছে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৩৫

সোনাগাজী বলেছেন:



পিজ্জাহাট ব্যতিত, আশেপাশে পিজ্জা ষ্টোর গড়ে উঠেছে?

আপনি আবাসিক এলাকার আশেপাশে ১ টি দোকান নিয়ে, পিজ্জা, বার্গার ও টেকোর মেন্যু রাখলে ভালো করতে পারতেন।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: পিজা হাঁট ছাড়াও- পিজা এখন প্রায় সব জাগাতেই পাওয়া যায়।

আমার ইচ্ছা একটা বড় করে ফার্মেসী দেই।

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৫৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: পিৎজা আর বেশ ভালো লাগে তবে খাবারের আগে কিছু ব্যাপার জেনে নেই। হালাল দোকান না হলে খাই না। বাঙালীরা কমদামী পিৎজার দোকান চালায় নিউ ইয়র্ক জুঁড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে অর্থাভাবে ১ টাকার ঐ পিৎজা খেয়ে দিনাতিপাত করেছি বহুদিন। দিনগুলো ভোলার নয়। পিৎজা এখনো মাঝে মাঝে খাওয়া হয়, পুরোনো দিনগুলোর কথা মনে পড়ে অনেক।

আলহামদুলিল্লাহ, ইনশাআল্লাহ, মাশাল্লাহ বলা খারাপ কিছু নয় বরং ভালো বলে মনে করি। পৃথিবীর কোন জীবিত মানুষই ভুলের উর্ধ্বে নয়। কেউ অতীতে ভুল করে শোধারাতে চাইলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করতেও পারেন। যে ভালো হওয়ার চেষ্টা করছে, তার খারাপ অতীত টেনে এনে তাকে কষ্ট দিলে আপনিও খারাপ কাজটিই করবেন, আপনি বরং যে শোধরাতে চাইছে তাকে সহযোগীতা করুন, উৎসাহ দিন, ভালো কাজের অংশীদার হোন। মনে হিংসে রাখাটা মানসিক ব্যাধি, তাতে আপনিই পুড়বেন অন্য কারো কিছু হবে না।

আমি শুক্রবার সন্ধ্যেয় বাইরে গিয়ে খিঁচুড়ী কিনে নিয়ে এসেছি। ভাবছি আর ডিম ভাজি করে, কালো জিরা, আলু আর বেগুন ভর্তা দিয়ে খাবো। ভূনা খিঁচুড়ী আর ক্রিস্পি করে রান্না করা গরুর মাংশ সাথে একটু আমের আচার আমার ভীষন প্রিয়। নিউ ইয়র্কে আজ যে আমাকে বাসায় রান্না করা এই খাবার খাওয়াবে তাকে ৫০ ডলার গিফট করবো। মনে হতেই জিভে জল চলে আসছে। ধন্যবাদ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: হালাল দোকান কিভাবে বুঝেন? মুসলমানের দোকান মানে কি হালাল দোকান?
হুমায়ূন আহমেদ ছাত্র থাকাকালীন সস্তা খাবার খেয়ে ছিলেন দীর্ঘদিন।

হঠাত করে যারা ধার্মিক হয়ে যায়, তাঁরা বিপদজনক।

আপনি দেশে এলে আমার বাসায় আপনার দাওয়াত।

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৪

কামাল১৮ বলেছেন: মানুষকে বিচার করতে হবে তার কাজ দিয়ে কথা দিয়ে নয়।কাজের সাথে যদি কথাও ভালো হয় তবে সোনায় সোহাগা।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: রাইট।
আপনি বিচক্ষন মানুষ। এজন্যই আপনারে ভালো পাই।

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১০

শাওন আহমাদ বলেছেন: এই পিৎজা নাম খাবার টি আমারও একদম ভালো লাগেনা, মাঝেমধ্যে সামাজিকতা রক্ষার খাতিরে খেতে হয়; তবে খিচুড়ি বেশ পছন্দ।।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: বিদেশি খাবার দিয়ে ভরে গেছে। লোকজনও পাগলের মতো খাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.