নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
১। এক মহিলা হজ্ব করেছেন।
এখন উনি সারাদিন হিজাব পড়ে থাকেন। বাইরে গেলে বোরখা পড়েন। কঠিন বোরখা। চোখও দেখা যায় না। চোখের সামনে লম্বা নেটের কাপড় ঝুলে। সমস্যা হলো মহিলা বেশ ধনী। এই মহিলা কোনো অনুষ্ঠানে অনেক গহনা পড়েন। কিন্তু বোরখার কারনে তার গহনা লোকজন দেখতে পায় না। তার এত এত গহনা অথচ কেউ দেখতে পায় না। তাহলে এত গহনা থেকে লাভটা কি? নিজের সোনাদানা, টাকা পয়সা মানুষকে দেখালে এক ধরনের সুখ পাওয়া যায়। এজন্য মহিলা এক বুদ্ধি বের করেছেন। কোনো অনুষ্ঠানে গেলে মহিলা বলেন- আমার খুব গরম লাগছে। খুব গরম লাগছে। মূলত গরম লাগার কোনো কারন নেই। অনেক গুলো এসি চলছে। যাইহোক, মহিলার কথা শুনে তখন কেউ বলেন, এখানে বাইরের লোক নেই। আপা আপনি বোরখাটা খুলে রাখুন। তখন মহিলা বোরখা খুলে ফেলেন। আর তার গহনা সকলে দেখে। এবং মুগ্ধ হয়। মহিলা মহলে তখন গহনা নিয়ে আলাপ হয়। এই বালাটা আমি দুবাই থেকে কিনেছি। এই আংটি টা অস্টেলিয়া থেকে কিনেছি। আর এই কানের দুলটা সৌদি থেকে কিনেছি।
২। আমার বন্ধুর একটা ফার্মেসী আছে।
আমি মাঝে মাঝে সেখানে বসি। বন্ধুর সাথে আড্ডা দেই। ফার্মেসী এক আজব জায়গা। ফার্মেসীতে সারাদিন খুব একটা বেচাকেনা হয় না। ফার্মেসীর মুল বেচাকেনা শুরু হয় সন্ধ্যা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত। যাইহোক, আমি এতটুকু নিশ্চিত প্রতিটা ঘরে কেউ না কেউ অসুস্থ। প্রচুর ওষুধ লাগে মানুষের। হাজার হাজার টাকার ওষুধ। আর যে বাড়িতে বয়স্ক লোকজন আছে তাদের আরো বেশি ওষুধ লাগে। আমার মায়ের প্রতিমাসে ১১ হাজার টাকার ওষুধ লাগে। অসংখ্য মানুষ যেন শুধু ওষুধের উপরই বেচে আছে। আমি ওষুধ খাই না। ডাক্তারের কাছেও যাই না। ডাক্তারের কাছে গেলেই ডাক্তার অনেক গুলো টেস্ট দেয়। ৫/৭ হাজার টাকার টেস্ট করার পর কিছুই ধরা পড়ে না। শুধু শুধু টাকা নষ্ট। আমার মাথা ব্যথা করলে একটা নাপা খেয়ে নিই। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে- ম্যাক্সপ্রো খেয়ে নিই। তারপর একটা এন্টারসিড চুষে খাই। ব্যস শেষ। মাঝে মাঝে মনে হয়- ডাক্তাররা মূলত ব্যবসায়ী। পপুলারের ডাক্তার- পপুলারের ওষুধ দেয়। স্কয়ার হাসপাতালের ডাক্তাররা সব স্কয়ারের ওষুধ দেয়।
৩। আজকাল বাচ্চাদের ডায়পার লাগেই।
বাজারে ডায়পারের রমরমা ব্যবসা। এই ব্যবসায় লাভ বেশি দেখে সব কোম্পানী এখন ডায়পার তৈরি করছে। প্রচুর দাম রাখে। বাবা মায়েরা পাগলের মতো ডায়পার কিনছে। বাচ্চাকে সারাদিন রাত ডায়পার পড়িয়ে রাখে। এযুগের বাবা মা ডায়পার ছাড়া এক মুহুর্ত ভাবতেই পারে না। আমি বা আমরা যখন ছোট ছিলাম। তখন আমাদের ডায়পার পড়ানো হতো না। হয়তো তখন ডায়পার ছিলো না। পুরোনো লুঙ্গি টুকরো টুকরো করে কেটে অর্থ্যাত নেটিং পড়িয়ে রাখা হতো। বাপ মার হাজার হাজার টাকা বেচে গেছে। আমার কন্যা ফারাজাকে এখন ডায়পার পড়াই না। টানা আড়াই বছর তাকে ডায়পার পড়িয়েছি। প্রতি মাসে সাড়ে তিন হাজার টাকার ডায়পার কিনতাম। এখন কন্যা বলতে পারে- বাবা ওয়াশরুমে যাবো। রাতেও কন্যা ডায়পার পড়ে না। ঘুম থেকে উঠে সে তার মাকে তাকে। আর দুই মাস পর কন্যার তিন বছর হয়ে যাবে।
০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: বিষয়টা আমি জানি।
কিন্তু তাড়াহুড়া করে লেখার কারনে ভুলটা করে ফেলেছি।
উচিত ছিলো লেখাটা পোষ্ট করার আগে একবার ভালো করে পড়ে নেওয়া।
আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ২:০৫
কামাল১৮ বলেছেন: আমার বাচ্চাদের যখন ডায়পার পরাই তখন গুলশান ছাড়া খুব একটা ডায়পার পাওয়া যেতো না।এখন তো মনে হয় আমার নিজেরই ডায়পার পরতে হবে।প্রস্রাব একদম কন্ট্রোল করতে পারি না।অনেক সাবধানে থাকতে হয়।ডাক্তারের নির্দেশ মতো ঔষধ খাই,কিন্তু কাজ হয় বলে মনে হয় না।
০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ধনী এবং সুখী মানুষ।
আপনার মতো ভাগ্য ক'জনের হয়!
৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৫৮
সোনাগাজী বলেছেন:
ফার্মসীর লোকেরা কি পরিমাণ নকল ঔষধ বিক্রি করে?
০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: মির্ডফোড বা ঢাকার বাইরে হয়তো নকল ওষুধ বিক্রি হয়।
৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মেয়েরা সেইটুকু পড়াশোনা করবে যেইটুকু করলে স্বামীর টাকাপয়সার হিসাব রাখতে পারে।
মেয়েদেরকে কঠোর পরদা করে ঘরের ভেতর থাকা দরকার।
নইলে কঠিন পাপ হবে যার কোন মাপ নেই।
০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধার্মিকদের মানসিকতা এরকমই।
তারাই জাতিকে পেছনে টেনে নিয়ে যেতে চায়।
৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি ডাক্তার না দেখিয়ে নিজে মাতবারি করে যেভাবে টুক টাক ঔষধ খেয়ে রোগ দাবিয়ে রাখছেন সেটা ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। তখন লাখ টাকার ঔষধেও কাজ হবে না।
বাংলাদেশে অনেক ভাল ডাক্তার আছেন যারা টেস্ট কম দেন, রোগীর সাথে অনেক্ষন আলাপ করেন, ঔষধ পথ্য কম দেন। ছোট খাট টেস্ট এমনকি রোগীর নাড়ি দেখে রোগের ধরন বলে দিতে পারেন। আপনি খোঁজ নিলে এমন অনেক ডাক্তার পাবেন।
০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: দীর্ঘদিন আমি ডাক্তার দেখাই না। শরীরে কিছু সমস্যা তো আছেই। অসুখ বিসুখে না মরে আমি সুস্থ অবস্থায় মরে যেতে চাই।
বাংলাদেশে ভালো ডাক্তার হাতে গোনা কয়েকজন।
৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩১
কাছের-মানুষ বলেছেন: ফার্মাসি থেকে আপনার ধুমায়া এত ঔষধ খাওয়া ঠিক নয়! বাংলাদেশে দেখি বেশীরভাগ মানুষেরই গ্যাস্টিকের সমস্যা! ইনশাল্লাহ
আমার কখনো গ্যাস্টিকের সমস্যা হয়নি! আমাকে একজন বলেছিল তার একটি পুরি বা বিয়ে বাড়ির খাবার খেলেও গ্যাস্টিকের ঔষধ খেতে হয়!
০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: এরকম লোকের সংখ্যা বহু।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ।
৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ধার্মিকদের মানসিকতা এরকমই।
তারাই জাতিকে পেছনে টেনে নিয়ে যেতে চায়।
ধর্ম মানলে মহাপবিত্র পাক কোরআন মজিদ মানতেই হবে। এর কোন বিকল্প নেই।
০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: যারা মানছে, তারা তো সঠিক পথে নাই। সমস্যা এখানেই।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩৭
বিষাদ সময় বলেছেন: বই, খবরের কাগজ, ম্যাগাজিন এগুলো পড়া যায়, কিন্তু বোরখা, গহনা, ডায়াপার এগুলো পরতে হয়।
আশা করি আমার উপর অসন্তুষ্ট হবেন না।