নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
কান্নাকাটি আমার ভালো লাগে না।
বই পড়ে হোক বা কোনো মুভি দেখে হোক। তবে অনেকে আছেন, আবেগ বেশি। তারা বই পড়ে কান্না করেন। নাটক সিনেমা দেখেও কান্না করেন। সমাজে এদের সংখ্যা খুব কম। আমার বাবা যখন হঠাৎ করোনায় মারা গেলো। আমি কান্না করি নাই। কিন্তু আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছিলো। ভীষণ। আমার চোখের সামনে বাবাকে কবরে নামানো হলো। একজন সুস্থ সবল মানুষ করোনায় মরে গেলো। আমার মাথার উপর থেকে বটগাছ হারিয়ে গেলো। কান্না করি নাই। কান্না করলে কি বাবা ফেরত আসতো?
কিছু কিছু বই আছে পড়লে আবেগে ভেসে যেতে হয়।
কাল্পনিক চরিত্র গুলোর সুখ দু:খ আমাদের হাসায়, কাদায়, কষ্ট দেয়, আনন্দ দেয়। যেমন ধরুন হুমায়ুন আহমেদের 'জনম জনম' বইটা। অতি সাধারণ একটা বই। অতি সাধারণ একটা গল্প। কিন্তু লেখক বইটা এত সুন্দর করে লিখেছেন, বইটা পড়লেই বুকের মাঝে হাহাকার করে ওঠে। আহারে! আহারে! আবার বইয়ের কিছু কিছু জায়গায় এক চরিত্র দারুণ সব রসিকতা করেছেন। হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যায়। এই বইয়ের কাহিনী নিয়ে সিনেমা তৈরি হয়েছে, যা অতি অখাদ্য। এই অখাদ্য তৈরি করার জন্য পরিচালকের শাস্তি হওয়া উচিত।
হুমায়ুন আহমেদের আরেকটা বইয়ের নাম বলি, 'তেতুল বনের জোছনা'।
চমৎকার একটা বই। সহজ সরল সুন্দর একটা বই। হয়তো বই পড়ে কান্না হবে না। কিন্তু বুকের মধ্যে মোচড় দিয়ে উঠবে। হুমায়ুন আহমেদের আরো দুটা বইয়ের নাম বলতে চাই। 'আজ আমি কোথাও যাবো না' এবং 'মেঘ বলেছে যাবো যাবো'। দুটা দারুন বই। লেখক মানুষের জীবনের গল্প গুলো সহজ সরল সুন্দর ভাবে লিখেছেন। বাংলাদেশে এরকম সুন্দর করে আর কেউ লিখতে পারেন নাই। 'শুভ্র গেছে বনে' এই বইটা পড়ে দেখুন, ভালো লাগবে। তারপর 'নক্ষত্রের রাত' বইটা।
লেখক বুদ্ধদেব এর 'তিথিডোর' বইটা সুন্দর একটা বই।
এই বই পড়লে কান্না আসবে না। কিন্তু বইটা ভালো। সুনীলের 'একা এবং কয়েকজন' বইটা ভালো। সুনীলের আত্মজীবনী মূলক একটা বইয়ের নাম বলব- ' অর্ধেক জীবন '। দারুন সুন্দর বই। আত্মজীবনী লিখতে গিয়ে লেখক কোনো ভান করেন নাই। যা অন্যান্য লেখক হরহামেশাই করে থাকেন। সমরেশ মজুমদারের 'শেষের খুব কাছে' বইটা ভালো। শীর্ষেন্দুর দুটা বইয়ের কথা আমি বলব, 'পার্থিব' এবং 'চক্র'। অতি অতি চমৎকার। সুনীল আর হুমায়ুন আহমেদ মারা গিয়ে বাংলা সাহিত্যের বিশাল ক্ষতি হয়েছে। তাদের জায়গা কেউ কোনোদিন দখল পারবে না।
কয়েকটি বিদেশী বইয়ের নাম বলতে চাই,
'যৌনতা' বইটা অনুবাদ করেছেন চারু হক। 'ট্রল মাউন্টেন' সুন্দর একটা বই। ' আফ্রিকার কবিতা' নামে একটা বই আছে। ভালো বই। 'পাইয়ের জীবন'। সুন্দর একটা বই। অরিয়ানা ফ্লাচ্চির 'হাত বাড়িয়ে দাও'। ছোট্ট একটা বই। আবেগি মানুষেরা বইটা পড়লে কান্না করে ফেলবে। আসলে ভালো বইয়ের দুনিয়াতে অভাব নেই। আফসোস হয় দুনিয়ার সব ভালো বই পড়ে শেষ করার আগেই আমাদের মৃত্যু হয়ে যাবে। তবে বই পড়ে কান্না করা কোনো ভালো কথা না। আবেগি মানুষেরা দুনিয়াতে বেশি কষ্ট পায়। সেই তুলনায় বাস্তববাদী মানুষেরা দু:খ কষ্টে কম ভূগে।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: বিশ্বের সমস্ত বাঙ্গালীদের প্রিয় একটা বই- ''পথের পাঁচালী''।
আপনি কি 'নন্দিত নরকে' বইটা পড়েছেন? হুমায়ূন আহমেদের লেখা।
২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:০৮
বিষাদ সময় বলেছেন: সুনীল এর ছবির দেশে কবিতার দেশে বইটি না পড়ে থাকলে পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি ভাল লাগবে। আপনি হুমায়ুনে নিমজ্জিত। হুমুয়ুনের বইয়ের বড় সমস্যা হল একটা বই বার বার পড়তে ইচ্ছে করেনা। কিছু রহস্য থাকে কিছু চমকে দেয়ার ব্যপার থাকে যার ফিলিংস আসলে বার বার নেয়া যায় না।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:১১
রাজীব নুর বলেছেন: 'ছবির দেশে কবিতার দেশে' বইটা পড়েছি। চমৎকার একটা বই। ভ্রমন কাহিনী ব্লা যেতে পারী। সেই সাথে আত্মজীবনী।
হুমায়ূন আহমেদের বই আমি বারবার পড়ি। বিরক্ত লাগে না। যত পড়ি, তত ভালো লাগে।
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:১৪
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার প্রশ্ন: আপনি কি 'নন্দিত নরকে' বইটা পড়েছেন? হুমায়ূন আহমেদের লেখা।
-না, পড়িনি।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: এই বইটা পড়লে আপনার ভীষন মন খারাপ হবে। চোখে পানি চলে আসবে।
৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৩৪
কামাল১৮ বলেছেন: বই না পড়ে দুঃখের একটা ছবি দেখলেও চোখে জল চলে আসে।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: সাধারণত আবেগি মানুষের চোখে জল আসে বেশি।
৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৩৯
কাছের-মানুষ বলেছেন: আমি নাটক সিনেমা, বই-টই পড়ে কখনো কান্না করি না, মনে পড়ছে না! যদি বুঝতে পারি কান্নাকাটির বই, সেগুলো আর পড়ি না!
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো আইডিয়া।
৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৪৩
ইল্লু বলেছেন: যে কোন ভাল লাগায় কান্না লুকোনো আছে,নিজেকে হঠাৎ তযখন কোন অজানায় খুঁজে পাই,মনে হয় কোন এক অজানা মুখের কাছাকাছি অনুভুতির স্রোতে ভেসে যাই আমরা,কিছু সময়ের জন্যে সবকিছু ছেড়ে মানুষ হওয়ার পালা।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৫০
মারুফ তারেক বলেছেন: কাঁদিনি কোনদিন, তবে বিষন্ন হয়েছি অনেকবার। হুমায়ুন আহমেদের সৌরভ কিংবা গৌরীপুর জংশন পড়ে বিষন্ন হয়েছি। জহির রায়হানের বই পড়েও একটা অন্যরকম ভাব চলে এসেছিল। বহুদিন আগে, না দিন নয় বছর।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: জহির রায়হানের লেখা সুন্দর। আমার পছন্দ।
৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৫৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: জীবনে মেলা বই পুস্তক গল্প উপন্যাস পড়ে কান্না-কাটি করেছি। তবে এখনও যে বই পড়লে চোখ ভিজে ওঠে তা হলো পথের পাঁচালী ও অপরাজিত। বিশেষ করে দুর্গার মৃত্যু, সর্বজয়ার পুত্রস্নেহ, একাকীত্ব ও মৃত্যু।
"সোনাগাজী বলেছেন: পথের পাঁচালীর দুর্গার জন্য সব সময় চোখের পানি পড়ে।" । প্রথমেই এই মন্তব্য দেখে আমি মুগ্ধ।
তবে সোনাগাজী ভাইয়ের জন্য আমার একটা প্রশ্ন আছে। চব্বিশ বছর পরে অপু যখন তার ছেলে কাজল কে নিয়ে নিশ্চিন্দিপুরে আসে তখন রাণুদি অপুকে জিজ্ঞসে করে দুর্গার মুখ অপুর মনে পড়ে কি না। অপু কি উত্তর দিয়েছিলো?
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: পথের পাঁচালী বিভূতি ভূষনের লেখা। সিনেমা তৈরি করেছেন গ্রেট সত্যজিৎ। অসাধারন লেখা। অসাধারন মেকিং।
৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৩০
সোনাগাজী বলেছেন:
@শ্রাবণধারা,
আমি কিছুতেই ইহা মনে করতে পারছি না; আপনি বলুন।
১০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:২৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: সোনাগাজী ভাই,
অপুর উত্তরটা মনে রাখার মত বিশেষ কিছু নয়। এতদিন পরে এটা মনে থাকার কথা নয়। উত্তরটা ছিলো অনেকটা "না রাণুদি, তেমন ভালো মনে নেই। একটু আবছায়া মত মনে আছে। তাও সেটাও সত্যি কি না জানি না"। তবে এই জায়গাটা পড়ার সময় চোখ আদ্র হয়ে পরে।
আবার এই জায়গাটা যেমন (চব্বিশ বছর পরের নিশ্চিন্দিপুরে): "শুধু তাহার দিদি শুইয়া আছে। রায়পাড়ার ঘাটের ওধারে ওই প্রাচীন ছাতিম গাছটার তলায় তাহাদের গ্রামের শ্মশান, সেখানে। সে-দিদির বয়স আর বাড়ে নাই, মুখের তারুণ্য বিলুপ্ত হয় নাই - তার কাচের চুড়ি, নাটাফলের পুঁটুলি অক্ষয় হইয়া আছে এখনো।
১১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:১৯
সোনাগাজী বলেছেন:
@শ্রাবণধারা,
আপনাকে ধন্যবাদ। বাংলার মানুষের জীবনটা বরাবরই কষ্টের ছিলো।
১২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বই পড়া ভারি মজা।
তবে এই যুগের মানুষ বই পড়ে না।
তারা পড়ে ফেসবুক!
আফসোস!
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: শুধু ফেসবুক না। টিকটক, ইউটিউব আছে।
১৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২২
বিজন রয় বলেছেন: খুব ছোট থাকতে প্রথম যখন এগুলো পড়েছি, কেঁদেছিলাম..........................
উপন্যাস .............. "শাপমোচন" ..... "রামের সুমতি" .... "দেবদাস" ..... "কবি" ...
ছোটগল্প .... "ছুটি" ..... "পোস্টমাস্টার" ........
কবিতা .... "কাজলাদিদি" .............
বড় হয়ে অনেক বই পড়ে কেঁদেছি........... সেগুলো বলতে চাইছি না।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: শরৎচন্দ্রের নারী পাঠক বেশি ছিলো।
১৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৫
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সঠিক মনে নাই তবে দেবদাস পড়ে চোখ মুছেছি----------
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: আহারে---
১৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৩
জুন বলেছেন: পথের পাচালীর দুর্গার মৃত্যু ছাড়াও দ্বিতীয় খন্ড অপরাজিততে অপুর স্ত্রী অপর্নার মৃত্যুর পর নানু বাড়ীতে কাজলের দিনগুলোর কথা পড়ে চোখ ভিজে গিয়েছে। রুশ গল্প পিতা পুত্রর পুত্র সেরিওজার কষ্টে কাদেনি এমন মানুষ কম। রবীন্দ্রনাথ শরতচন্দ্রের অনেক উপন্যাস যেমন চরিত্রহীন, গৃহদাহ,বিরাজ বৌ, অরক্ষণীয়া এমন হাজারো গল্প উপন্যাস।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: ''তালনবমী'' গল্পটা পড়েছেন? বিভূতিভূষণের? পড়ে দেখুন চোখের পানি আটকে রাখতে পারবেন না।
১৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: খুব ছোটবেলায় প্রথম কেদেঁছি কাজলাদিদি পড়ে। মনে হয় ক্লাস টূতে পড়তাম। ক্লাসে টিচার যখন সুর করে পড়ছিল এবং অর্থ বুঝিয়ে দিচ্ছিল অসম্ভব কষ্ট লেগেছিল এটা মনে আছে।
বড় হয়েও অনেক বই পড়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। মেক্সিম গোর্কির মা ও অল কোয়াইট ইন দা অয়েস্টার্ন ফ্রন্টের কথা বিশেশভাবে মনে পড়ছে।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
রাত বাড়ছে! হাজার বছরের দীর্ঘ সেই রাত।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: বুঝতে পেরেছি।
১৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৯
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ধীরে ধীরে রাত বাড়তে লাগলো। চাঁদ হেলে পড়লো পশ্চিমে। উঠোনের ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হলো। পরীর দীঘির পারে একটা রাতজাগা পাখির পাখা ঝাপটানোর আওয়াজ শোনা গেলো। রাত বাড়ছে। হাজার বছরের পুরনো সেই রাত।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার একটা উপন্যাস।
১৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩০
দি এমপেরর বলেছেন: সে ও দিদি যেদিন দুজনে বাছুর খুঁজিতে খুঁজিতে মাঠ-জলা ভাঙিয়া উর্ধ্বশ্বাসে রেলের রাস্তা দেখিতে ছুটিয়া গিয়াছিল! সেদিন–আর আজ?
ঐ যেখানে আকাশের তলে আষাঢ়-দুর্গাপুরের বাঁধা সড়কের গাছের সারি ক্রমশঃ দূর হইতে দূরে গিয়া পড়িতেছে, ওরই ওদিকে যেখানে তাঁহাদের গাঁয়ের পথ বাঁকিয়া আসিয়া সোনাডাঙা মাঠের মধ্যে উঠিয়াছে, সেখানে পথের ঠিক সেই মোড়টিতে, গ্রামের প্রান্তের বুড়ো জামতলাটায় তাহার দিদি যেন ম্লানমুখে দাঁড়াইয়া তাহাদের রেলগাড়ির দিকে চাহিয়া আছে!…
তাহাকে কেহ লইয়া আসে নাই, সবাই ফেলিয়া আসিয়াছে, দিদি মারা গেলেও দুজনের খেলা করার পথেঘাটে, বাঁশবনে, আমতলায় সে দিদিকে যেন এতদিন কাছে কাছে পাইয়াছে, দিদির অদৃশ্য স্নেহস্পর্শ ছিল নিশ্চিন্দিপুরের ভাঙা কোঠাবাড়ির প্রতি গৃহ-কোণে-আজ কিন্তু সত্য-সত্যই দিদির সহিত চিরকালের ছাড়াছাড়ি হইয়া গেল।…
তাহার যেন মনে হয় দিদিকে আর কেহ ভালোবাসিত না, মা নয়, কেউ নয়! কেউ তাহাকে ছাড়িয়া আসিয়া দুঃখিত নয়।
হঠাৎ অপুর মন এক বিচিত্র অনুভূতিতে ভরিয়া গেল। তাহা দুঃখ নয়, শোক নয়, বিরহ নয়, তাহা কি সে জানে না। কত কি মনে আসিল অল্প এক মুহূর্তের মধ্যে...আতুরী ডাইনী…নদীর ঘাট...তাহদের কোঠাবাড়িটা...চালতেতলার পথ…রানুদি...কত বৈকাল, কত দুপুর...কতদিনের কত হাসিখেলা...পটু...দিদির মুখ... দিদির কত না-মেটা সাধ…
দিদি এখনও একদৃষ্টে চাহিয়া আছে—
পরক্ষণেই তাহার মনের মধ্যের অবাক ভাষা চোখের জলে আত্মপ্রকাশ করিয়া যেন এই কথাই বার বার বলিতে চাহিল—আমি চাইনি দিদি, আমি তোকে ভুলিনি, ইচ্ছে করে ফেলেও আসিনি—ওরা আমায় নিয়ে যাচ্ছে—
সত্যই সে ভুলে নাই।
তাহার মনে পড়িত এক ঘনবর্ষার রাতে, অবিশ্রান্ত বৃষ্টির শব্দের মধ্যে এক পুরনো কোঠার অন্ধকার ঘরে, রোগশয্যাগ্রস্ত এক পাড়াগাঁয়ের গরীব ঘরের মেয়ের কথা–
–অপু, সেরে উঠলে আমায় একদিন রেলগাড়ি দেখাবি?
সেই হতভাগা কিশোরীর আর রেলগাড়ি দেখা হয়নি। চির-দুঃখিনী মেয়েটি যখন অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত চালের ভাঙাচোরা ঘরে ক্রমাগত বৃষ্টিতে ভিজে জ্বরে ভুগে ভুগে সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা আর সাধ-আহলাদকে জলাঞ্জলী দিয়ে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিলো, তখন তার জন্য বুকের গভীরে সত্যিই কিছু একটা হয়ে গিয়েছিল।
বিভূতিভূষণের সেরা কাজগুলোর মধ্যে একটি হলো পথের পাঁচালী।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
২০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৪
দি এমপেরর বলেছেন: শরীর সামান্য ঘুরিয়ে পিছন দিকে তাকাল অ্যানি। দীর্ঘ সারডি গিরিপথ নিথর পড়ে আছে। দু’পাশের পাহাড় প্রাচীরের মাথা থেকে নীচে নামছে বিপুল জলরাশি, তার মনে হলো এমনকী পাহাড়গুলোও যেন কাঁদছে।
সীটের উপর সিধে হয়ে বসল অ্যানি উইসপার। গালে হাত তুলল। তার দুই গাল চোখের পানিতে ভিজে গেছে অনুভব করে মোটেও বিস্মিত হলো না সে। মাইকেলের দরাজ গলা যেন শুনতে পেল ও, ‘আমি লোকটা অত খারাপ ছিলাম না, অ্যানি, কী?
মুক্ত বিহঙ্গ। কাজী আনোয়ার হোসেন
২১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কিশোর বয়সে দেবদাস পড়ে অনেক কেঁদেছিলাম। এছাড়াও আরও বহু বই আছে।
০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: কান্না করা পুরুষ আমার দুই চক্ষে দেখতে ইচ্ছা করে না।
২২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: প্রথম আলো , সাতকাহন, মাতাল হাওয়া।
২৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: শাপমোচন।
২৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: লেখক বলেছেন: কান্না করা পুরুষ আমার দুই চক্ষে দেখতে ইচ্ছা করে না। কাম সারছে! আমি তো গান শুনেও কাঁদি। বই পড়া, ছবি দেখার কথা বাদই দিলাম
০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: পুরুষ মানুষ বুকে হাজার কষ্ট নিয়ে হাসিমুখে থাকবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৫৩
সোনাগাজী বলেছেন:
পথের পাঁচালীর দুর্গার জন্য সব সময় চোখের পানি পড়ে।