নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ডায়েরী- ১৩০

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৮

ছবিঃ আমার তোলা।

মিরপুর দশ নম্বর রাতের বেলা জমজমাট হয়।
স্টেডিয়ামের পুরো ফুটপাত জুড়ে যেন উৎসব শুরু হয়। লোকজন দল বেধে গাড়ি নিয়ে আসে। ফুটপাতে নানান রকম খাবার পাওয়া যায়। খিচুড়ি, গরুর মাংস, হাসের মাংস, ভাত, পোলাউ ইত্যাদি। কেউ কেউ চুইঝাল গরুর মাংস, চুইঝাল হাসের মাংস বিক্রি করছে। চুইঝাল একটা ফালতু জিনিস। অযথাই লোকজন 'চুইঝাল' শুনে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। যাইহোক, অনেকের কাছে শুনেছি মিরপুরে দশ নম্বরের খাবারের কথা। অনেক দূর থেকেও নাকি লোকে এখানে খেতে আসে। আমার বাসা থেকে মিরপুর অনেক দূর। জ্যাম থাকলে মিরপুর যেতে সময় লাগে দুই ঘন্টা। জ্যাম না থাকলে যেতে সময় লাগে ২৫ মিনিট। একদিন আমিও দল বেধে মিরপুর গেলাম।

রাত তখন একটা। ফুটপাতে প্রচণ্ড ভিড়।
গাড়ি পার্কিং করার জায়গা নেই। আরো অনেক গাড়ি পাকিং এর জন্য জায়গা খুজছে। আমরা মোট তিনটা গাড়িতে ১১ জন। যাইহোক, অলরেডি অনেক দোকানের খাবার শেষ। তবে তারা বলেছে, এক ঘণ্টা অপেক্ষা করলে খাবার ব্যবস্থা করে দিবে। আমরা অন্য দোকানের সন্ধান পেলাম। ওদের কাছে পর্যাপ্ত সব রকমের খাবার আছে। ১১জন খেতে বসে গেলাম। কেউ হাসের মাংস, কেউ মূরগী, কেউ গরুর মাংস অথবা কেউ খাসীর মাংস দিয়ে পোলাউ/খিচুড়ি খেতে শুরু করেছে। রান্নার মান এভারেজ। ফুটপাতে চেয়ার বিছয়ে দিয়েছে। টেবিল নেই। খাবার প্লেট হাতে নিয়ে খেতে হচ্ছে। রাস্তায় ভিড়। লোকজন গায়ের উপর দিয়ে যাচ্ছে। খাওয়া শেষে কোক খেলাম। আমাদের টোটাল বিল হলো ৩৩শ' টাকা। ওরা বিকাশ, নগদ এবং ক্যাশ সব ভাবেই বিল নেয়।

১১ জন বাসায় ফিরে গেলাম।
পরের দিন সকালে শুনি একজন অসুস্থ। ভয়াবহ অসুস্থ। ফুড পয়জনিং। জমে মানুষ টানাটানি অবস্থা। শেষমেষ তাকে হাসপাতালে ভরতি হলো। তিন দিন হাসপাতালে থাকতে হলো। কথা হচ্ছে দশজনের কিছু হলো না। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন কেন? সবাই তো একই খাবার একসাথেই বসে খেলাম। অসুস্থ আরশাদ ভাইকে একদিন হাসপাতালে দেখতে গেলাম। বেচারা দুদিনেই শুকিয়ে গেছেন। বললাম, আপনার জন্য কমলা এনেছি। ছিলে দিবো খাবেন, এখন? আরশাদ ভাই কিছু বললেন না। আসলে তার সেদিন এত রাতে মিরপুরে খাওয়ার ইচ্ছা ছিলো না। আমিই তাকে জোর করে নিয়ে গিয়েছি। উনি আমাকে বলেছিলেন, বাইরের খাবার আমি খাবো না। আমার সহ্য হয় না। আমি বলেছি, ফুটপাতের খাবার হলেও মান ভালো। ধনীরা এসব খাবার আগ্রহ নিয়ে খায়।

খাবার মানুষকে সুস্থ রাখে, বাঁচিয়ে রাখে।
আবার এই 'খাবার'ই মানুষ অসুস্থ করে দেয়। আসলে ত্রিশ বছর পার করার পর খাবার হিসেব করে খাওয়া দরকার। পরিমিত খাবার খেলে মানুষ দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে পারে। আমার শ্বশুরকে দেখেছি খুব হিসাব করে খাবার খান। একদম অল্প। অল্প খাবার টুকুই সময় মতো খান। তিনি ভালো আছেন। সুস্থ আছে। এখনও প্রচুর পরিশ্রম করতে পারেন। তার সামনে হাজার রকমের খাবার দিলেও তিনি ছুঁয়েও দেখবেন না। খুব হিসাব করে বুঝে খান। এটা খুবই ভালো লক্ষন। খাবার হিসেব করে খেতে অনেকেই পারেন না। তারা দিনরাত সমানে খেতেই থাকেন। বুড়িয়ে যান, মুটিয়ে যান। ফলাফল ডাক্তারের কাছে দৌড়াতে হয়। সারা বছর ওষুধ খেতে হয়। ডাক্তারের কাছে যাওয়া মানেই নানান রকম টেস্ট করাতে হবেই। কোনো ছাড় নেই।

আমি ত্রিশ বছর অনেক আগেই পার করে ফেলেছি।
আমি ডাক্তারের কাছে যাই না। ডাক্তারের কাছে গেলেই ডাক্তার নানান বিধিনিষেধ দিয়ে দিবেন। নানান টেস্ট ফেস্ট দিবেন। এটা খাওয়া যাবে না, ওটা খাওয়া যাবে না। ইত্যাদি বলে দিবেন। জীবন হয়ে যাবে আমার সঙ্কুচিত। বিষাদময়। আনন্দহীন। এজন্য আমি ডাক্তারের কাছে যাই নাই গত ১৮ বছর। কিন্তু যাওয়া উচিত ছিলো। আমার ধারনা ডায়বেটিকস সমস্যা আমার শুরু হয়ে গেছে। আব্বারও ছিলো। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তো আমার আছেই। বহুদিন ধরে। সেই সাথে মাথা ব্যাথা ও পা চাবানো তো বংশগত ভাবেই পেয়ে গেছি। এদিকে আমার বয়স বাড়ছে, সেই সাথে আমি খাওয়ার পরিমান বাড়িয়ে দিয়েছি। গরুর মাংস, রোস্ট, পোলাউ, চিংড়ি ফ্রাই। জালি কাবাব। পায়েস, সেমাই, কোক। মিষ্টি। চকলেট। প্রচুর পরিমানে খাচ্ছি। অপরাধ বোধ হয়। এজন্য অনেকখানি পথ হাটাহাঁটি করি।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৯

বাকপ্রবাস বলেছেন: আমিও ভয়ে আছি, মিষ্টি পাগল মানুষ, কবে ডায়াবেটিস হানা দেয় ভয় লাগে, মিষ্টি জাতিয় খাবার দেখব কিন্তু খেতে পারবনা ভাবলেই ভয় লাগে। পেটভুড়ি বের হয়ে যাচ্ছে, ব্যায়াম করা দরকার, ভাবচি স্ক্যাটিং করব, আমার এখানে প্রচুর ফাঁকা জায়গা, স্ক্যাটিং করার জন্য উপযুক্ত

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: জিবকে বেধে রাখুন।
যদি দীর্ঘদিন সুস্থ ও সুন্দর ভাবে বেচে থাকতে চান।

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ঢাকা গেলে আপনাকে নক করবো।
রাতে সারা শহর ঘুরবো আপনারে নিয়ে

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: বয়স বেড়েছে, এখন রাত জেগে থাকতে পারি না।

৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

পবন সরকার বলেছেন: গরুর মাংস, রোস্ট, পোলাউ, চিংড়ি ফ্রাই। জালি কাবাব। পায়েস, সেমাই, কোক, মিষ্টি, চকলেট এগুলো আমারও খুব খেতে ইচ্ছা করে কিন্তু এতো খাবার একসাথে পাই না।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: এগুলো প্রতিদিন খাওয়া ঠিক না। তাহলে চর্বি জমবে শরীরে।

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: কত কিলোমিটার দৈনিক হাটাহাটি করেন?
আপনি যে খাবারের লিস্টি দিলেন তাতে এই বয়সে এসে আপনার প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ কিলোমিটার দৌড়ের মত করে হাটা উচিৎ ( ম্যারাথানে যেমনে দৌড়ায়)
আগেও বলেছিলাম- নিজে নিজে মাতবারি না করে ডাক্তারের কাছে যান।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: টানা আধা ঘন্টা হাঁটি।
এর বেশি হাটলে পায়ে ঠোসা পড়বে। পা ব্যথা করবে।

৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

বড়ই আফসোস।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: কথা সত্য।

৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৪

মোগল সম্রাট বলেছেন:


আমিও একদিন ঐখানে গিয়া নেহারি খাইছিলাম। ভালোই মজার ছিলো। আমার কিচ্ছু হয় নাই। ;) পলিথিন ছাড়া সব খাইতারি মাশাল্লাহ। ;)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট।

৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩১

কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের বাসা থেকে হেটে গেলে দশ মিনিট।ঢাকায় রাস্তার পাশে বসে খেতে অনেক সাহসের দরকার।ঢাকার বাতাসে কিকি থাকে সেটা জানলে কোন সাভাবিক লোক রাস্তার পাসে বসে খেতো না।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: এজন্যই কি ঢাকা ছেড়ে গেছেন?

৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০২

তাহেরা সেহেলী বলেছেন: ইয়োগা শুরু করেন, সুস্থ ও সুন্দর থাকুন!
জনস্বার্থেঃ তাহেরা সেহেলী ;)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়োগা আমি করবো না। নো নেভার।

৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৩১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




বড়ই আচানক ঘটনা।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার শরীর এখন কেমন?

১০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ঢাকা কমার্স কলেজে পড়ার সুবাদে মিরপুর স্টেডিয়াম এলাকা, ১, ২, ৬, ১০, ১১, ১২ নম্বর এলাকায় আমার বেশ যাতায়াত ছিলো ১৯৯৯ - ২০০৬ পর্যন্ত। আপনি যে অংশটুকুর কথা উল্লেখ করেছেন সেখানে আমার হাজারো স্মৃতি আছে, অবশ্য সে সময়ে মিরপুর স্টেডিয়াম অতটা জমজমাট ছিলো না। স্টেডিয়ামে আগে দৌড়ানোর ট্র্যাক ছিলো, স্বাভাবিকভাবেই এখন আর সেটা নেই।

আগে ওদিকটায় খাবার-দাবারের তেমন কোন দোকান-পাট দেখিনি। মিরপুর ১০ এর চক্কর থেকে ১১ এর দিকে যাওয়ার সময় কিছুটা এগিয়ে গেলেই, হাতের বা দিকে বেশ কিছু খাবারের দোকান ছিলো। ওখানে বেশ আড্ডা দেয়া হতো, চপ, কাবাব খেতে যেতাম। এবার দেশে আসলে একবার ঘুরে আসার ইচ্ছে আছে যদিও বাইরের খাবারে আমার খুব একটা রুচি হয় না বিশেষ করে ফুটপাতের। সবকিছু বেশ নোংরা নোংরা লাগে। যাইহোক, লিখার জন্য ধন্যবাদ জানবেন।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: এখন মিতপুরে খাবারের দোকানের অভাব নেই।
১ এবং ১০ খুব জমজমাট এলাকা। রেস্টুরেন্ট গুলোতে মারাত্মক ভিড়। ১১ নম্বর বাজারে কখনও গিয়েছেন? দারুন বাজার।

১১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

তাহেরা সেহেলী বলেছেন: *লেখক বলেছেন: ইয়োগা আমি করবো না*। *নো নেভার*।

শান্তি! শান্তি! ঠিক আছে। ব্যায়াম কত ধরনের আছে, যেটা আপনার ভালো লাগে করতে পারেন।
করাটাই হলো দরকার, সকলের জন্যেই।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: গত ২৫ বছর ধরে ব্যয়াম করি নাই। নতুন করে আর শুরু করতে চাই না।

১২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২১

তাহেরা সেহেলী বলেছেন: @মিসেস রাজীব নুর, ও ভাবী!
দেখেন এই ভদ্রলোক determined যে, তিনি ব্যায়াম করবেন না।
আপনি ই বোঝেন। আমরা তো অবলা, অসহায়!

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: হে হে হে--

১৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ৪০ বছর বা তার কাছাকাছি বয়সটা সবচেয়ে বিপদ জনক বয়স। কারণ এই সময় সবাই বেপরোয়া থাকে খাবার এবং স্বাস্থ্যের ব্যাপারে। কোন কিছু বোঝার আগেই বিপদ চলে আসে। তেল ছাড়া বিরিয়ানি আর গরুর মাংস খাবেন। এতে কোন সমস্যা নাই। তেল ছাড়া কিভাবে বিরিয়ানি, পোলাউ আর মাংস রাঁধতে হয় সেটা ব্লগের শখের বাবুর্চিদের থেকে জেনে নিবেন।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো কথা বলেছেন।
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।

১৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৬

তাহেরা সেহেলী বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর পরামর্শ দিয়েছেন, 'তেল ছাড়া কিভাবে বিরিয়ানি, পোলাউ আর মাংস রাঁধতে হয় সেটা ব্লগের শখের বাবুর্চিদের থেকে জেনে নিবেন।'

এই কথার পরে হা হা হা হি হি হি . . .

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১২

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.