নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোহাম্মদ, কোরআন হাদীস এবং ধর্ম

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৬



নবীজির বাবার নাম- আবদুল্লাহ।
নবীর জন্মের আগেই তার মৃত্যু হয়। সন্তানের কর্মকান্ড তিনি কিছু দেখে যেতে পারেন নি। নবীজির পিতা আবদুল্লাহ ৫৪৫ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। মদিনায় খেজুর সংগ্রহ করতে যাওয়ার পর সেখানে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান এবং বনু নাজিরে তাঁকে দাফন করা হয়। সেই সময় আরব জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং চিকিৎসায় উন্নত ছিলো না। সামান্য জ্বরেও মানুষ মরে যেতো। জ্বর হলে লোকজন মনে করতো তার শরীরে শয়তান আশ্রয় নিয়েছে অথবা তাকে যাদুটোনা করা হয়েছে।

ছয় বছর বয়সে নবীজি তার মাকে হারান।
মূলত নবীজি একজন দুঃখী মানুষ। প্রত্যেক জুম্মার নামাজ শেষে নবীজি তাঁর মায়ের কবর জিয়ারত করেন এবং কবরের পাশে অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে থাকেন। কান্না করেন। ঈদের নামাজ পড়ে নবীজি তার বাবা মায়ের কবর জিয়ারত করতেন। নবীজির পিতা মৃত্যুকালে রেখে যান- পাঁচটি উট, এক পাল ছাগল এবং একটি হাবশি দাসী, যার নাম ছিলো বরকত ও উপনাম উম্মে আয়মান।

নবীজি বিজ্ঞানী ছিলেন না।
কোনো গবেষকও ছিলেন। দরিদ্র পরিবারে তার জন্ম। ভেড়া চড়াতেন। নবীজি দেখতে সুন্দর ছিলেন। এক বয়স্ক ব্যবসায়ী মহিলা নবীজিকে বিয়ে করে ফেলেন। এরপর নবীজি স্ত্রীর ব্যবসা নিজ হাতে তুলে নেন। ধর্ম প্রচার করতে গিয়ে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন নবীজি যুদ্ধ করতেন। যুদ্ধে জয়ী হয়ে অনেক ধন সম্পদ পেতে থাকলেন। সেই সাথে নারী। গনিমতের মাল। অবশ্য নবীজি সব একাই নিয়ে নিতেন না। সঙ্গী সাথীদেরও দিতেন।

পৃথিবীটা মানুষের।
মানুষের সীমাহীন পরিশ্রমের ফলে আজকের আধুনিক বিশ্ব গড়ে উঠেছে। কোনো ধর্মের প্রভুই মানুষের জন্য ঘর বাড়ি, জাহাজ, প্লেন, কম্পিউটার, ফ্রিজ টিভি ইত্যাদি তৈরি করে দেয় নাই। মানুষ বন, গুহা থেকে বের হয়ে এসে সব কিছু তৈরি করেছে, সৃষ্টি করেছে। আকাশ থেকে ফেরেশতা নেমে এসে মানুষের জন্য কিছু করে দিয়ে যায়নি। আমেরিকার নাসাকে সাহায্য করেনি প্রভুর ফেরেশতারা। ধর্মীয় কিতাব গুলো অলৌকিক ভাবে আসেনি আসমান থেকে। মানুষই লিখেছে। কোটি কোটি মানুষ প্রতি বছর হজ্ব করে। সৌদি হজ্বের টাকা দিয়ে বেশ ভালো আছে। আমাদের দেশে যদি এরকম কাবা থাকতো। সারা বিশ্ব থেকে লোকজন হজ্ব করতে আসতো- তাহলে আমাদের দেশটা ধনী হয়ে যেতো। অথবা তেলের ক্ষনি থাকলেও চলতো। আল্লাহ আমাদের ঠকিয়েছেন।

আমরা যাকে ভালোবাসি তাকে মহান করে দেখতে ভালোবাসি।
বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। আধুনিক যুগ। এই যুগে মানুষ রুপকথা বিশ্বাস করে না। লাঠি সাপ হয়ে গেছে, একলোক মাছের পেটে ঢুকে গেছে, বোরাক নামের যান দিয়ে আসমানে যাওয়া যায়। খারাপ জ্বিন টয়লেটে থাকে। তাঁরা মৃত মানুষের হাড় খায়। শয়তান মানুষকে দিয়ে সকল মন্দ কাজ করিয়ে নেয়। ইত্যাদি। মূলত বিজ্ঞান ধর্মকে কোনঠাসা করে ফেলেছে। নবীজির সময় যদি ইন্টারনেট থাকতো, মোবাইল ফোন থাকতো, উড়োজাহাজ থাকতো, নাসা থাকতো, মানুষজন জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত থাকতো- তাহলে লোকজন রুপকথা বিশ্বাস করতো না। নবীজি অনেক কথা বলে গেছেন, আরবে যে তেলের খনি আছে সেই কথা বলে যাননি।

আমাদের পেছনে পড়ে থাকলে হবে না।
আমাদের যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। পুরোনো ধ্যান ধারণা, চিন্তা ভাবনা এবং কুসংস্কার থেকে দূরে থাকতে হবে। বিশ্ব তো আর কোরআন হাদীসের নিয়মে চলছে না। প্রতিটি দেশ চলছে তার নিজস্ব সংবিধান অনুযায়ী। মানুষের জীবনে প্যারার শেষ নেই। কাজেই হাদীসের প্যারা নেওয়ার দরকার নেই। দুনিয়াতে সহজ সরল সুন্দর জীবনযাপন করলেই হলো। হিংস্র হওয়া যাবে না। ছোট একটা হাদিস বলে লেখাটি শেষ করি। নবীজির কাছে একলোক এসে বলল, হুজুর আমি নতুন বিয়ে করেছি। কিন্তু ওমুকে প্রতিদিন রাতে আমার ঘরে উঁকি দেয়। নবীজি রেগে গিয়ে বললেন, হারামজাদাকে তিনবার বুঝিয়ে বলো। যদি না কথা না শুনে- তাহলে হারামজাদার চোখ উপড়ে ফেলো খেজুর কাটা দিয়ে। কি ভয়াবহ ব্যাপার!

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২০

এম ডি মুসা বলেছেন: নবীজি বিজ্ঞানী ছিলেন না ঠিকি কিন্তু সে যে কোরআনে যে কথা গুলো বলছেন তাহলে কিভাবে অজানা কথা গুলা বলছে তাই সে কথা গুলো ছিল আল্লাহ থেকে পাঠানো তাই তিনি এত বিজ্ঞানময় কথা বলছেন না কথাগুলা আল্লাহরেই ছিল

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: এখন শীতে কাঁপছে দেশ
শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র দেই বেশ

৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: আবার ধর্ম নিয়ে পড়লেন কেন?

এইবার ঠেলা সামলান।

৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:





বড়ই আচানক ঘটনা।
আফসোস!

৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


ওয়াজ করার জন্য তো হুজুরারাই আছে। আপনি কেন ওয়াজ করতে যান।
ইসলাম মানতে হলে কোরআন হাদিস অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে।
যদি কেউ সেটা না মানে তবে সে মমিন মুছলমান নয়।

৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপনার মুখে এসব মানায় না
এসব কোনো লিখা হইছে
ইয়াক

৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫

নাইমুল ইসলাম বলেছেন: ধর্মী নিয়ে যার যা ইচ্ছা যা খুশি তাই লেখতে পারে, আশ্চর্য লাগে বড়ই। Freedom of Speech বলে কথা! আশ্চর্য লাগবে কেন তাই না?

আপনি যাকে সম্মান করেন তাকে আমি হয়তো সম্মান করি না, আর আমি যাকে সম্মান করি তাকে আপনি সম্মান করেন না। এটাতো সাধারণ বেপার। যে মানুষটার কথা লিখেছেন তাকে আমি ভীষণ সম্মান করি তাই তাকে নিয়ে এমন লেখা পড়ে বেশ কষ্ট পেলাম আর কি। আপনার চিন্তা, আপনার লেখা, আপনার বিশ্লেষণ। ব্লগের সাধারণ পাঠক হিসেবে আমার প্রতিক্রিয়া ভাববেন না, ভাববেন একজন ইসলাম ধর্মের অনুসারী রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে নিয়ে অসম্মান জনক লেখা দেখে তার প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

রাজীব নূর খান, আপনার নামের "নূর" শব্দটি আরবি। যার অর্থ আলো। দোয়া করি যেন হেদায়েতের আলোতে আল্লাহ আপনাকে আলোকিত করেন।

৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আমাদের দেশের মানুষ ইসলাম ধর্ম মানে যার যার নিজের মতো করে।
কোরআন হাদিস মানলে কোন মেয়েই স্কুল-কলেজে যেতে পারতো না।
অফিস আদালতে চাকরি তো দূর অস্ত।

আসুন, সবাই কোরআন -হাদিস পড়ি, বুঝি এবং অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলি।

৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৩

নাহল তরকারি বলেছেন: আপনি বলতে চাইছেন ধর্ম পালন করলে চলবে না। র্ধমপ্রচারক, যা করেছেন ভুল করেছেন। তাই ধর্ম মানা ঠিক না। ধর্ম মানলে সামনে এগিয়ে যাওয়া যাবে না। ঠিক বলেছি?

কই ইহুদী জাতি তো আমাদের থেকে ভালো করে ধর্ম মানে। ওদের ইয়া বড় বড় দাড়ি। তারা ধর্ম মেনেই এত টেকনোলজি বানিয়েছেন। ধর্ম তো তাদের বিজ্ঞান চর্চা কে বাধাগ্রস্থ করতে পারে নাই।

নবী নিয়ে যেহেতু এত গবেষণা করেছেন, তাহলে আরেকটু গবেষণা করুন। নবী জন্মের সময় তখন আরবে সামাজিক অবস্থা কেমন ছিলো। সবাই কি শৃঙ্খলার মধ্যে ছিলো কি? নাকি তিনি নবী হবার পর শৃঙ্খলার মধ্যে এনেছেন।

একজন এতিম রাখাল, কিভাবে একটি বিশৃঙ্খল জাতি কে শৃঙ্খলায় এনে, সার্বভৌমহীন আরব কিভাবে সার্বভৌম রাষ্ট্র বানিয়েছে, সেটা নিয়ে গবেষণা করুন। আপনি যেহুতু ভূত প্রেত, জ্বীন বিশ্বাস করেন না, সেহেতু একটু বাড়ির কাজ করুন।

১০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ধর্ম হচ্ছে প্রাচীনপন্থীদের কাজ-কর্ম। এই একবিংশ শতাব্দিতে এসে ধর্মীয় বুজর্ক মেনে চলার কোন কারণ নেই।

১১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমার মনে হয় এই ব্যাটা পাগল। কিন্তু ব্যাটা জানে না ধর্ম ভীরু কিছু পাগল আছে জল্লাদ টাইপের। তারা ব্যাপারটা অন্য ভাবে নেবে। কিন্তু এই ব্যাটা বোঝেনা কেনো?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.