নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আজ ভোরবেলা বাসা থেকে বের হয়েছি।
প্রতিদিন গোছল করা আমার অভ্যাস। চলছে শীত কাল। রাতে আমি খালি গায় ঘুমাই। এটা আমার ছোটবেলার অভ্যাস। শীতকালেও আমি খালি গায় ঘুমাই। মোলায়েম কম্বল গায়ে দিয়ে খালি গায় ঘুমাতে ভালোই লাগে। আমি আবার ফ্যান ছেড়ে রাখি। জানালাটা খুলে রাখি। হু হু করে ঠান্ডা বাতাস আসে। সব মিলিয়ে ভালো লাগে। নিজেকে মিশরের সম্রাট বলে মনে হয়। একটা ঘোড়া আর তরবারি অথবা চাবুক থাকলে ভালো হতো। ঘোড়া নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম। যেখানে অন্যায় দেখতাম লাগাতাম দুই ঘা করে।
সুরভি ঘুম। আমার কন্যা ফারাজাও ঘুম।
আমি সুরভিকে ডাক দিলাম না। নিজেই গরম পানি করলাম। গিজার আছে। কিন্তু গিজার আমার পছন্দ নয়। দাত ব্রাশ করতে করতে এক পাতিল গরম পানি হয়ে গেলো। ইচ্ছে করছে এক কাপ চা বানিয়ে খাই। কিন্তু সেটা সম্ভব না। রান্নাঘরে খুটখাট করলে সুরভি আর কন্যা ফারাজার ঘুম ভেঙে যেতে পারে। আমি কাউকে বিরক্ত করতে চা না। বাইরে থেকে চা খেয়ে নিবো। আমি আরাম করে গোছল করলাম।
বাসা থেকে বের হয়ে বড় রাস্তায় এসে দাড়ালাম।
সময় তখন সকাল ৭ টা ১৭ মিনিট। চারিদিকে কুয়াশা। ঠান্ডা বাতাস। আমি সবুজ রঙের একটা সুয়েটার পরেছি। তাই খুব একটা শীত লাগছে না। অবশ্য আমার শীত কম। ঢাকা শহরে আহামরি শীত হয় না। নদীর পাড়ের গ্রাম গুলোতে শীত বেশি হয়। বাসের জন্য দাড়িয়ে আছি। যাবো এলিফ্যান্ট রোড। দূরে একটা বাস দেখা যাচ্ছে। কি সুন্দর হেলে দুলে আসছে। বাসটা কাছে আসতেই আমি লাফিয়ে উঠলাম। ভাগ্য ভালো সিট পাওয়া গেলো। বেশির ভাগ সময় বাসে সিট পাওয়া যায় না। দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যেতে হয়।
কোনো কারন ছাড়াই বাসে হুট করে ঘুমিয়ে গেলাম।
যখন ঘুম ভাঙ্গালো তখন আমি মিরপুর ১০ নম্বরে। অর্থ্যাৎ আমি ভুল বাসে উঠেছিলাম। আমার যাওয়ার কথা ছিলো- এলিফ্যান্ট রোড। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সাড়ে আট টা বেজে গেছে। ক্ষুধা পেয়েছে। রাব্বানী হোটেল কাছেই। অনেক কিছু অর্ডার করে খেতে বসলাম। আজকাল কমপক্ষে ৪/৫ পদ সামনে না থাকলে ভালো লাগে না। কিছুই খেতে স্বাদ লাগলো না। নেহারি, গরুর মাংস, স্যুপ, হালুয়া। এমনকি চা। শুধু শুধু ৪৪০ টাকা বিল দিলাম। খাবার গুলো যেন নষ্ট না হয়, তার জন্য পার্সেল নিয়ে নিলাম। রাস্তায় দরিদ্র কোনো মানুষকে দিয়ে দেওয়া যাবে। খাবার অপচয় আমার খুব অপছন্দ। দরিদ্র দেশে যারা খাবার অপচয় করে তাদের থাপড়ানো উচিৎ।
এখন কি কিরবো? কোথায় যাবো বুঝতে পারছি না।
অবশ্য কাছেই চিড়িয়াখানা। বাঘ, সিংহ, হাতি দেখা যেতে পারে। চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখি, বন্ধ। আজ রবিবার। রবিবার সাপ্তাহিক বন্ধ। আজকের দিনটা আমার খারাপ যাচ্ছে কেন? বোটানিক্যাল গার্ডেন খোলা আছে। গেলাম। শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ। অনেক গাছপালা। গাছপালা আমার সব সময় ভালো লাগে। একটা বেঞ্চে অনেকক্ষন বসে থাকলাম। কত কি ভাবলাম। আগে একবার সুরভি আর আমি বোটানিক্যাল গার্ডেন এসেছিলাম। সুরভির কি মনে আছে? হ্যাঁ অবশ্যই মনে আছে। তার সব মনে থাকে। দিন তারিখ সহ। আরেকদিন সুরভিকে নিয়ে আসবো।
আপাতত আমার ইচ্ছা ঢাকার আশেপাশে কোথাও কিছু জমি কিনবো।
অনেক গাছ লাগাবো। গাছ গুলোর যত্ন আমি নিজের হাতে করবো। একটা পুকুর থাকবে। বরশি দিয়ে মাছ ধরবো। পুকুরটা মার্বেল টাইলস দিয়ে সুন্দর করে বাঁধাই করবো। থাকার জন্য ঘর করবো। মাঝে মাঝে পরিবার নিয়ে এসে কয়েকদিন থেকে যাবো। একটা লাইব্রেরী করবো। গাছের নিচে শুয়ে বসে বই পড়বো। তবেই না চিৎকার করে বলতে পারবো লাইফ ইজ বিউটিফুল। অসম্ভব কিছু না। আমি পারবো।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: ছাগল কোথাকার।
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০১
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: জীবন আসলে টুলস আর লিভিং স্বাচ্ছন্দ্যে সুন্দর না। স্পিরিচুয়াল পাওয়ার অর্জনে জীবন হালতের উপরেও সুন্দর হতে পারে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: সঠিক।
৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২৪
সোনাগাজী বলেছেন:
রবিবার তো ছুটির দিন নয়!
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২০
রাজীব নুর বলেছেন: রবিবার আমার ডে অফ।
৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৪৫
আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: আপনার নানা লেখাতে মিরপুর ১০/১১ ঘুরে ফিরে আসে। আপনি কি পূর্বে ঐদিকেই থাকতেন ?
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২২
রাজীব নুর বলেছেন: না আমি মিরপুর থাকি না।
৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৩৬
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: আপনার সকল স্বদিচ্ছা পুরন হোক।টী-ব্যাগ দিয়ে বানিয়ে রঙ চা খাবেন।ঝামেলা ও শব্দ দুই-ই কম হবে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমার পছন্দ দুধ চা।
৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৫:০৩
কামাল১৮ বলেছেন: বিক্রমপুর বসবাসের জন্য ভালো যায়গা।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: না গ্রামেও শান্তি নাই।
৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৩২
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার এই সমস্ত কথা বার্তা বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য...........।
" নেহারি, গরুর মাংস, স্যুপ, হালুয়া। " সবই ই তো সেই ধরন এর খাবার..।
একটা গুড ফুড ভ্যালুর ডিনার প্লেট...আপনার মত এত দামী খাওয়া না কিন্তু সস্তার মাঝেই বৈচিত্র্য .।যত বেশী ক্যালোরিক বৈচিত্র্য , ততই ভাল নিউট্রিশন এর ভ্যালু হিসাবে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনার আরেক কন্যা পরী কোথায় থাকে?
আজকাল কোন লেখায়ই তাকে দেখি না।
এটা কেমন ব্যাপার?
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: পরী ভালো আছে।
সে লেখাপড়া নিয়ে ভীষন ব্যস্ত। গতকাল থেকে তার স্কুল খুলেছে।
৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: লাইফ ইজ বিউটিফুল...
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০০
বিজন রয় বলেছেন: জানতে চেয়েছিলাম শাহেদ জামালের বয়স, বিবাহিত কিনা ইত্যাদি। জানাননি।
আমি তো অনেক আগে থেকে এটা নিয়মিত পড়িনি।
এবার বলুন।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১২
রাজীব নুর বলেছেন: শাহেদ জামালের বয়স ২৫ থেকে ৩০ এর মধ্যে।
তার প্রেমিকার নাম নীলা। কিন্তু নীলার বিয়ে হয়ে গেছে। সে এখন আমেরিকা স্বামী আর দুই সন্তান নিয়ে থাকে।
শাহেদ বেকার। সে রমনা পার্কে সারাদিন শুয়ে বসে থাকে।
১১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৫
বিজন রয় বলেছেন: এই তো সুন্দর করে জানিয়ে দিলেন।
এখন আমার এটা পড়তে সুবিধা হবে।
তবে শাহেদ জামালের বয়স ৩০-৩৫ হলে ভালো হতো।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: শাহেদ আমার বন্ধু। ভালো বন্ধু।
তাকে দেখতে ৩০/৩৫ বছরই লাগে।
১২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এক সময় রবিবার ছুটি ছিল ।
সংবাদপত্রগুলো রবিবাসরীয় সংখ্যা বের করতো।
পরে পতিত স্বৈর শাসক এরশাদ রবিবার ছুটি বাতিল করে।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২১
রাজীব নুর বলেছেন: রবিবার ছুটি বাতিল করেছে কারন জুম্মা বারকে গুরুত্বব দেওয়া হয়েছে।
১৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সব চেয়ে অবাক করা বিষয় এই যে, শাহেদ জামাল মারা যাবার পরও বেঁচে উঠেছে।
এটা এই যুগের সব চেয়ে বড় অলৌকিক ঘটনা।
নবী-রাসুলদের সময় এটা ঘটতো।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২২
রাজীব নুর বলেছেন: শাহেদ জামাল শুধু নবী নয়, সে একজন আলিয়া, ওলী, পীর।
১৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নবীরা চিরতরে মারা যায় ।
নবীরা কখনো মরে যাবার পর বেঁচে ওঠে না।
আফসোস!
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৬
জনারণ্যে একজন বলেছেন: দেশে প্রাণীদের জন্য যেমন চিড়িয়াখানা আছে, ভন্ড, চাপাবাজ, ইতর টাইপ মানুষের জন্যও তেমন কিছু একটা থাকা উচিত।
আমরা সবাই টিকেট কেটে দেখতে যাবো। বছর শেষ সবাই বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে তাদের মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ ইতর নির্বাচিত করবো।
এবং তাদেরকে বিশেষভাবে নির্মিত খাঁচার মধ্যে রেখে দর্শনার্থীদের বিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে।
টিকেটের মূল্য কিঞ্চিৎ বেশি হবে এই টাইপ ইতর দর্শনের জন্য।