নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি বিহারী পরিবার

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩২



আমি একটি বিহারী পরিবারকে চিনি।
এই পরিবারটি ঢাকার মিরপুর এলাকায় থাকে। এই পরিবারের কিছু লোক পাকিস্তানে ছিলো। তারা সুবিধা করতে না পেরে, দুই হাজার সালের দিকে সবাই বাংলাদেশে ফিরে আসে। সরকার থেকে তাদের যে থাকার জায়গা দিয়েছিলো, তারা সেখান থেকে বেড়িয়ে এসেছে। এখন বড় ফ্লাট ভাড়া নিয়ে থাকে। এখন যারা বিহারী ক্যাম্প গুলোতে আছে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। ঢাকার বস্তি গুলোর চেয়ে বিহারী ক্যাম্প গুলোর অবস্থা খারাপ। এখন যাদের আর্থিক অবস্থা একেবারে খারাপ তারাই ক্যাম্প গুলোতে থাকে। যারা চাকরি বা ব্যবসা করে আয় উন্নতি করেছে তারা ক্যাম্প ছেড়ে দিয়েছে। ফ্লাট কিনেছে অথবা ফ্লাট ভাড়া নিয়ে থাকে। তারা ভালো আছে। বাঙ্গালীদের সাথে তারা সুন্দর ভাবে মিশে গেছে। বাঙ্গালী হয়েছে।

আমি বিহারী পরিবারটির বাসায় যাই।
তারা সকালে ঘুম থেকে উঠে সকাল ১১/১২ টায়। সকালের নাস্তা খায় একটায়। আমি তাদের বাসায় গিয়েছি। আমাকে পরোটা, আলু ভাজি এবং ডিম সিদ্ধ খেতে দিয়েছে। এই পরিবারটি রাতের খাবার খায়- রাত একটায়। এরা পাকিস্তানী নাটক সিনেমার ভক্ত। এখনও তারা ঘরের মধ্যে নিজেদের সাথে উর্দু ভাষায় কথা বলে। পরিবারটির আর্থিক অবস্থা অনেক ভালো। দুই ছেলে লেখাপড়া শেষ করে চাকরি করছে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। তবু বিয়ের পর বাবা মায়ের সাথে থেকে গেছে। পরিবারটি বিহারী ক্যাম্প থেকে পুরোপুরি সরে গেছে। তাদের অনেক চেষ্টার কারনে তারা বিহারী নামটি মুছে ফেলতে পেরেছে। একেবারেই কি পেরেছে। আমি টের পাই আজও তাদের হৃদয়ে পাকিস্তান। ক্রিকেট খেলা হলে এরাই স্টেডিয়ামে যায় পাকিস্তানের জার্সি গায়ে দিয়ে।

একদিন বিহারী পরিবারটি আমাকে দাওয়া করেছে।
রাতে তাদের বাসায় গিয়েছি। তারা অনেক আয়োজন করেছে। গরুর মাংস রান্না করেছে। গরুর ভুড়ি রান্না করেছে। কলিজা রান্না করেছে। নেহারী রান্না করেছে। নেহারী খেতে হবে পরোটা দিয়ে। মহিলা বললেন আজ পাকিস্তানের মতো করে রান্না করেছি। পাকিস্তানে লাহোর এলাকায় এভাবে রান্না করে। 'পাকিস্তান' শব্দটা শুনলেই আমার রাগ হয়। রাগ সামলাতে পারলাম না। বললাম, এই দেশে আছেন ৪০/৫০ বছর পার হয়ে গেছে, তবু কেন আপনারা এখনও পাকিস্তান পাকিস্তান করেন? আপনাদের ঘরে টিভিতে সারাদিন পাকিস্তানী নাটক, সিনেমা ছেড়ে রাখেন। কেন বাংলাদেশের নাটক সিনেমা আপনারা দেখেন না? মহিলা বললেন, পাকিস্তান হচ্ছে আমাদের বাপ দাদার দেশ। ভুলি কেমন! করাচী শহরে দীর্ঘদিন থেকেছি। মুলতানে আমার এক চাচার বাড়ি ছিলো। মুলতানের আবহাওয়া অতি মনোরম।

আমি কিছুটা উচ্চস্বরে বললাম, এই দেশে খাবেন, এই দেশে থাকবেন-
আর করবেন পাকিস্তান পাকিস্তান। এটা অন্যায়। পাকিস্তান কি দিয়েছে আপনাদের? কেন আপনাদের ফিরিয়ে নিলো না? এখন আপনারা এই দেশের নাগরিক। ভোটার আইডি কার্ড পেয়েছেন। যেসব বাঙ্গালী এখন পাকিস্তানে আটকা পড়েছে, তারা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তারা পাকিস্তান সরকার থেকে কোনো রকম সুবিধা পায় না। তাদের কোনো পরিচয় নেই। চাকরি পায় না। কুলিগিরি করছে, হকারগিরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। বাজারে মাছ বিক্রি করে। সেই তুলনায় আপনারা বাংলাদেশে কত ভালো আছেন। মহিলা বললেন, অনেক বিহারীদের ঘরে খুজলে জিন্নাহর ছবি পাওয়া যাবে। আমরা আমাদের ঘরে জিন্নাহর ছবি রাখি নাই। আমি বললাম, জিন্নাহ ভালো মানুষ ছিলেন না। আমি বললাম, এখন যদি আপনাদের পাকিস্তান সরকার ফিরিয়ে নেয় এবং সেই দেশের নাগরিক করে তাহলে পাকিস্তান চলে যাবেন? মহিলা বললেন, হ্যা অবশ্যই ফিরে যাবো।

মহিলা বললেন, থাক তুমি রাগ করো না।
আমরা এখন বাঙ্গালী। ভোট দেই। বাংলায় কথা বলি। যাইহোক, তুমি খেতে বসো। আমি বললাম, আমি পাকিস্তানী খাবার খাবো না। মহিলা বললেন, এই খাবার গুলো পাকিস্তান থেকে আসে নাই। ১১ নম্বর বাজার থেকে এনেছি। আমি বললাম, ১১ নম্বর বাজারের বেশির ভাগ লোক বিহারী। সরকারের আইন করা উচিত বাংলাদেশে কেউ উর্দু ভাষায় কথা বলতে পারবে না। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর হয়ে গেছে। কারো মুখে উর্দু কথা শুনলে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। কারো ঘরে টিভিতে পাকিস্তানী নাটক সিনেমা চললে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। পাকিস্তান লিখিত ভাবে পুরো বিশ্বের সামনে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইবে। চিৎকার করে ক্ষমা চাইতে হবে। তারপর ওদের নিয়ে চিন্তা ভাবনা করবো। ওদের আমরা ক্ষমা করে দিলে আল্লাহও আমাদের ক্ষমা করবেন না।

মন্তব্য ৫৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

শাহ আজিজ বলেছেন: মহিলা তোমারে ধোলাই দেয় নাই !!!???? =p~

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা।
না উনি আমাকে অনেক স্নেহ করেন।

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

বাউন্ডেলে বলেছেন: অনেকদিন পর বুদ্ধিদীপ্ত লেখা একটা পেলাম আপনার । ধন্যবাদ। অনেক বিহারিই এখন বাঙ্গালী পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। আপনার হোষ্ট গোড়া পাকি। আস্তে আস্তে বাস্তবতা অনুধাবন করতে শিখবে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন।

৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১৭

সোনাগাজী বলেছেন:


বাংগালীদের চেয়ে, কোনভাবে এদের কোন একটি ভালো জাতীয় ( বিহারী হিসেবে ) গুণ আছে?

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০১

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা এদের গুন আছে। এরা বাঙ্গালীদের সাথে ভালো ব্যবহার করে। ছোট বড় সবাইকে সম্মান করে কথা বলে।

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২২

কামাল১৮ বলেছেন: হাকায় বহু প্রতিষ্ঠিত বিহারী পরিবার আমার বন্ধু ছিলো।শেরাটনের নিচে ছিলে সিল্ক হাউস ওর মালিক আমার বন্ধু ছিলো।৭১ রে বহু বিহারী পরিবারকে বাচিয়েছি এবং পরে তাদের কলকাতা দিয়ে আসছি।এসব করেছি মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে।তারা সবাই আমার ঘনিষ্ট ছিলো।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০২

রাজীব নুর বলেছেন: সব বিহারীতা মন্দ নয়। এদের মধ্যে ভালোর সংখ্যাই বেশি।

৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৪

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: স্যালুট দাদা...
মন থেকে দিলাম কিন্তু....
কাছে থাকলে বুকে জড়িয়ে ধরতাম অনেক্ষণ...

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৪

প্রামানিক বলেছেন: ৭১সালে বিহারী বলতে পাকিস্তানীদের বুঝতাম কিন্তু গোরা খুঁজতে গিয়ে দেখি এরা ভারতের বিহারের অধিবাসি কিন্তু উর্দু ভাষী।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমি বলতে চেয়েছি, পাকিস্তান থেকে যেসব বিহারী এসেছে তাদের কথা।

৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৬

Meghna বলেছেন: পাকিস্তান ভাঙার প্রধানতম করণ উর্দুভাষা। পাকিস্তান যদি আবার ভাঙ্গে তারও একটা কারণ হবে উর্দু ভাষা । বালুচরা উর্দু পছন্দ করে না। অথচ উর্দু একটা ভারতের ভাষা। উত্তর ভারতের মুলমানরা নিজেদের সতন্ত্র রাখার জন্যে কৃত্রিম উর্দু ভাষা তৈরি করেছিল। ওই আপনি যাদের বিহারি বলছেন তাদের ভাষা, তারা নিজেদের হিন্দুস্থানী ভাবতো না।।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: যাদের আদি নিবাস বিহারে তাদের বিহারী বলা হয়। যেহেতু পরিবারটির আদি নিবাস মুলতানে কাজেই তারা পাকি বা মুলতানি। আমাদের এখানেও অনেকেই উর্দুতে কথা বলে কারো বাস উত্তরপ্রদেশে কারোর বা বিহার বা মধ্যপ্রদেশে। ঠিক একই ভাবে প্রচুর হিন্দি ভাষী আছে যাদের আদি নিবাস ভারতে বিভিন্ন প্রদেশে। সবাইকে একাসনে বিহারী বলে অভিহিত করা বিষয়ে সহমত দিতে পারছিনা।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: বিহারের লোকজন পাকিস্তান, বাংলাদেশে ছোড়িয়ে পড়েছিলো দেশভাগের অনেক আগে থেকেই।

৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৬

Rahat islam juwel বলেছেন: অনেকে পাকিস্তানিদের ভালোবাসলে খারাপ ভাবে, আর ভারতীয়দের সম্পর্কে ভালো কথা না বললে খারাপ ভাবে নেয়। অথচ দুটি দেশই শোষণ করেছিল। কেউ আগে করেছিল আর কেউ এখন করে যাচ্ছে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভারত আমাদের কখনই শোধন করে নাই।

১০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এদেরকে নিয়ে বিভূতিভূষণ উপন্যাস লিখেছিলেন আর এদেরকে অনেক সরল বলেছিলেন। কিন্তু এরা সরল না।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: নাম কি সেই বইয়ের?

১১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৯

জাহিদ অনিক বলেছেন:
গল্প ভালো লেগেছে। পড়তে পড়তে বোঝা যায়, এই গল্প আপ্নার মস্তিষ্কের ফসল।
চরিত্রগুলো হয়ত আপনার আশ পাশে থেকেই নেয়া। কাহিনীর বর্ননা ভালো লেগেছে।

উর্দু ভাষা আমার খুব প্রিয়। উর্দু লিটারেচার খুব উন্নত

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: উর্দু আর হিন্দি ভাষার মধ্যে খুব একটা প্রার্থক্য নেই।

১২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আফসোস

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

১৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৪৯

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: আমাদের এলাকার মসজিদে জুমার নামাজের সময় মাঝে মাঝে উর্দূতে বয়ান হয়,উর্দূতে নামাজ পরিচালনা করা হয়,পাকি থেকে বড় হুজুর বা পীর আসলে উর্দূতে ওয়াজ হয়।মসজিদের গেটে ,দেওয়ালে সেই হুজুরের উর্দূ বানী বাংলায় লেখা আছে---মুজসে মুহব্বত করনা হে তো মসজিদ কো মুহব্বত করো।এই জাতীয় কিছু একটা।মনে হয় বাংলাদেশে না পাকিস্তান বর্ডারে বসবাস করছি।অথচ এমন না যে এলাকার সবাই বিহারী,বাংলাদেশী একেবারে কম।৫০%-৫০% আছে দুই দলই।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২০

রাজীব নুর বলেছেন: পাকিস্তান থেকে কাউকে আনা সঠিক কাজ নয়। আইন করে এটা বন্ধ করা উচিত।

১৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৫:৩৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: লেখাটা বেশ ভালো লাগলো। যদিও পরিবারটি বিহারী নয় বরং পাকিস্তানী। আমিও এমন তিন-চারটি পরিবারকে চিনি যারা বাসায় এখনও উর্দু বলেন। আবার বাইরে সুন্দর বাংলা বলেন।

@ সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এদেরকে নিয়ে বিভূতিভূষণ উপন্যাস লিখেছিলেন আর এদেরকে অনেক সরল বলেছিলেন। কিন্তু এরা সরল না।
কোন উপন্যাস ভাই?

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: পাকিস্তানে কি কোনো বিহারী নেই? দেশভাগের অনেক আগে থেকে বিহারীরা পাকিস্তানে রয়েছে।

১৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৫:৪৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: জাহিদ অনিক বলেছেন: "উর্দু লিটারেচার খুব উন্নত"

তাই না কী ভাই? এই উন্নতিটা কী আপনি বাংলা সাহিত্যের সাথে তুলনা করে বললেন, না কী Njerep, Kawishana, Paakantyi, Liki এই ভাষাগুলোর সাথে তুলনা করে বললেন?

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: আমিও তাকে এই প্রশ্ন করতে চাই।

১৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: জাহিদ অনিক বলেছেন:
গল্প ভালো লেগেছে। পড়তে পড়তে বোঝা যায়, এই গল্প আপ্নার মস্তিষ্কের ফসল।
চরিত্রগুলো হয়ত আপনার আশ পাশে থেকেই নেয়া। কাহিনীর বর্ননা ভালো লেগেছে।

আমি আপনার কথায় কিছুটা সহমত। লেখায় অনেক গড়মিল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মিরপুরের বিহারী /আটকে পড়া পাকিস্তানি ও এদের ক্যাম্প এবং জীবন যাপন নিয়ে আমার বেশ ভালই ধারনা আছে বলে আমি মনে করি। নুরের শেষ অংশটুকু মনে হচ্ছে অতিরিক্ত আবেগে বলে ফেলেছেন (এমনটা বাস্তবে ঘটেনি বলে আমার ধারনা)।
যাই হোক লেখার মধ্যে একটা জাতীয়তাবাদের আবেগী জোশ আছেযা পড়ে গা গরম হয়।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: শেরজা তপন আমি আপনার সাথে তর্ক করবো না।

১৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৩

জাহিদ অনিক বলেছেন: শ্রাবণধারা বলেছেন: জাহিদ অনিক বলেছেন: "উর্দু লিটারেচার খুব উন্নত"

তাই না কী ভাই? এই উন্নতিটা কী আপনি বাংলা সাহিত্যের সাথে তুলনা করে বললেন, না কী Njerep, Kawishana, Paakantyi, Liki এই ভাষাগুলোর সাথে তুলনা করে বললেন?


দেখুন আমি কোনও ভাষাকে বা কোনও ভাষার সাহিত্যকে তুলনা করি নাই। শুধু বলেছি যে- উর্দু সাহিত্য অনেক উন্নত। কোথাও বলি নি যে, এটা বাংলা সাহিত্যের চেয়ে উন্নত। কিংবা বাংলা সাহিত্য উর্দু সাহিত্যের চেয়ে কম উন্নত।


ধন্যবাদ

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: রাইট।

১৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮

আলামিন১০৪ বলেছেন: জনাব, কেউ আমরিকান পিজ্জা পছন্দ করল যেমন আমেরিকান হয়ে যায় না তেমনি কেউ পাকিস্তানের খাবার পছন্দ্ করলে কিংবা পাকিস্তানের স্টাইলে পোষাক বানালেই পাকিস্তানী হয়ে যায় না। সভ্য হতে শিখুন। একজনের বাসায় দাওয়াত খেতে গিয়ে তাকে অপমান করা যায় না।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমি সভ্য নই!!!

১৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪১

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আমি মিরপুর ডিওএইচএস এর একটা বায়িং হাউজে যখন জব করতাম, তখন প্রতিদিন কালশি ধরে যাবার সময়, রাস্তার দুই পাশের বস্তি গুলায় পাকিস্তানি পতাকা দেখতাম প্রচুর, কোনো বাংলাদেশি পতাকা থাকত না। মাঝে মাঝে হেঁটে যাবার সময়, উর্দুতে নিজেদের মধ্যে কথাও বলতে শুনতাম। এদেশে থাকা পাকিস্তানিরা তাদের পাকিস্তানি-প্রীতি থেকে বের হতে পারে নি।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: সঠিক কথা।

২০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০০

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন কবি রাজীব দা
ভাল থাকবেন-------------------

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী।

২১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৭

বাকপ্রবাস বলেছেন: পড়লাম, কমেন্টসহ। আপনিও কট্টর, কেউ ধর্মীয় গোড়া আপনি আধুনিক গোড়া, ধর্মীয়টা আমরা মৌলবাদি চিন্হিত করি সহজে, আপনার ক্লাসটা এখনো স্টাবলিশ হয়নি।
বিহারীরা তো ভারতের। তবে তারা একাত্তরে পাকিস্তান পক্ষ ছিল
অনেক বাংলাদেশী পাকিস্তানে আটকে আছে, চান্স পেলে এদেশে চলে আসবে ঠিক তেমনি অনেক পাকিস্তানি বাংলাদেশে আছে, চান্স পেলে সেখানে চলে যাবে। তাদের জীবন কালচার ঐচিহ্য এগুলোতো হাজার বছর পরিক্রমায় এসেছে, একাত্তর এর দেশ ভাগের ফলে রক্তে বয়ে চলা ঐতিহ্য এতো সহজে মুছে যাবে? তার কথা বলা, খাওয়া, উঠাবসা এগুলোতো একাত্তরে সৃষ্টি হয়নি, একটা সাংস্কৃতিক প্রকৃয়ায় এসেছে। রক্ত বদলে দেয়া চারটিখানি কথা নয়। হাজার বছরে যেমন গঠন হয়, হাজারে বছরে বদলাবে। একাত্তর পন্থীর একটু কম মানতে চাইতে পারে

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: আচ্ছা ঠিক আছে।

২২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: Ethnicity এমনই জিনিস, যা রাবার দিয়ে ঘষে মুছে ফেলা যায় না। আপনি যদি এখন রাশিয়ায় বসবাস করতে যান, আপনার জীবদ্দশায় বাঙালি আচার মুছে ফেলতে পারবেন না। স্যুপের বদলে আপনার লাগবে ঝোল। কেকের বদলে রসগোল্লা। নির্জন প্রান্তরে বরফ বরফ খেলার চেয়ে আপনার ইচ্ছা করবে ধানমন্ডি লেকের পাড়ে বসে বাদাম ছিলে খেতে। পাকিস্তানী এই পরিবারটিকে রাগ দেখানো অর্থহীন এবং অবিচেচক আচরণ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার কথায় লজিক আছে।

২৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৭

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: পুরোনো ঢাকার অনেকেই এখনো উর্দুতে নিজেদের মধ্যে কথা বলেন। মিরপুরের স্থানীয় মানুষদের কথক ভাষাতে অনেক উর্দু শব্দ রয়েছে। আমার খুব ঘনিষ্ট এক বন্ধু আছে দেশে যে বিহারী পরিবারের ,উচ্চ শিক্ষিত। বর্তমানে তাকে ধনী বলা যায় ,খুব ভদ্র একজন মানুষ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: বিবাহীরা নিজের যোগ্যতায় এগিয়ে যাচ্ছে।

২৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮

বিজন রয় বলেছেন: বিহারীদের সাথে অমানবিক আচরণ করা হয়।

এখন কি যুদ্ধ চলছে?

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: বহু বছর আগে একবার একই পরিবারের ৫/৭ জন আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়েছিলো। মিরপুরের ঘটনা।

২৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:২৩

হাসান রাজু বলেছেন: বিহারীরা এক আজব রক্তের বাহক। ওরা বাস করে ভারতে, পতাকা উড়ায় পাকিস্থানের। ভারত-পাকিস্থান ক্রিকেট ম্যাচে ভারত হারলে খুশিতে টগবগ করতে থাকে।
ওদের এই খাসিলতের কারনে, সরকার ও ক্ষুব্ধ। উন্নয়ন বাজেটে ভারতের এই এলাকার বরাদ্দ কম। হত দরিদ্র এই রাজ্যের মানুষগুলো নিজেদের শুধু ক্ষতিই করে চলছে।
অতীত ইতিহাস, সংস্কৃতি ইত্যাদি ঘাঁটলে এর কোন কারন হয়ত বুঝা যাবে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: রোহিংগাদের চেয়ে এরা উন্নত।

২৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০২

এম ডি মুসা বলেছেন: এইদেশে এমন পাকিস্তানী আছে বলেই দেশের বারোটা বাজে কিন্তু সে বাংলাদেশ খেলার সময় নিজের পরিচয় প্রকাশ করে । এদেশ আলো বাতাস খায় দেশের নাগরিক তবে দেশকে ভালো বাসতে পারে না

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: এখানেই আমার দুঃখ লাগে।

২৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৪

এম ডি মুসা বলেছেন: নুর ভাই এদেশে ১৯৭১ সালে বহু বিদেশী বাংলাদেশে জন্য যুদ্ধ করছেন আর বাংলাদেশের জন্য অনেক পাকিস্তানীও সাপোর্ট করছে কিন্তু এমন হতে পারে যেটা

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: সঠিক কথা বলেছেন।

২৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৯

জাহিদ অনিক বলেছেন: লেখক বলেছেন: উর্দু আর হিন্দি ভাষার মধ্যে খুব একটা প্রার্থক্য নেই। যাহাসে হিন্দি কা মতলব সামাঝমে নেহি আতাহে ওহিসে উর্দু শুরু হোতাহে জনাব

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.