নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
গতকাল রাতের কথা।
বিছানায় গেলাম বারোটায়। একটুও ঘুম নাই চোখে। এপাশ-ওপাশ করছি শুধু। ওপাশ-ওপাশ করতে-করতে রাত তিনটা বেজে গেল। খুব বিরক্ত লাগছে। আমার পাশে সুরভি গভীর ঘুমে। মিথ্যা বলব না, আমার খুব হিংসা হচ্ছে। এমন তো কথা ছিল না। বিয়ের আগেই আমি সুরভিকে বলেছিলাম- আমার ঘুমের সমস্যা আছে। আমি যতক্ষন পর্যন্ত না ঘুমাবো ততক্ষন পর্যন্ত তোমাকে জেগে থাকতে হবে। সুরভি কথা রাখেনি। সে আরাম করে ঘুমাচ্ছে আর আমি জেগে আছি। আসলে প্রেম ভালোবাসার সময় ছেলে-মেয়েরা যত কথা দেয়, বিয়ের পর তার সিকি ভাগও মনে রাখে না।
ঘুম না আসলে আমি বই পড়ি।
কিন্তু সুরভি'র জন্য আমি বইও পড়তে পারছি না। লাইট জ্বালালে সুরভির ঘুমের সমস্যা হবে। আমি বিছানায় ছটফট করছি। ঘুম না এলে কী যে যন্ত্রনা! আস্তে করে বিছানা থেকে নেমে ব্যলকনিতে গিয়ে দাঁড়ালাম। এক কাপ চা খেতে পারলে ভালো লাগতো। সুরভি'র সাথে বিয়ের আগে কথা ছিল- আমি যদি রাত দুই টায় ডেকে বলি, চা বানাও তার হাসি মুখে চা বানাতে হবে। বাস্তব বড় কঠিন। আচ্ছা, এখন যদি সুরভিকে ডেকে বলি- সুরভি চা বানাও। ব্যাপারটা কি খুব অমানবিক হবে?
হঠাৎ শুনি মসজিদে আযান দিচ্ছে। তার মানে ভোর হতে শুরু করেছে। সকালে অফিস আছে। না ঘুমালে অফিসে কাজ করতে পারব না। এক গ্লাস পানি খেয়ে ঘুমাতে গেলাম। অন্ততপক্ষে দুই তিন ঘন্টা না ঘুমাতে পারলে অফিসে কোনো কাজই করতে পারব না। কি আশ্চর্য বিছানায় যাওয়া মাত্র ঘুমিয়ে গেলাম। গভীর ঘুম। আনন্দময় ঘুম। সুন্দর ঘুম হওয়া দারুন একটা ব্যাপার! মনটা খুশিতে ভরে যায়। শরীরটা একেবারে ঝরঝরে লাগে। মনটা প্রফুল্ল হয়ে যায়। ঘুমের দরকার আছে। আমি তো নেপোলিয়ন নই।
এখন, আমি আসল কথায় আসি। যে জন্য এই লেখার অবতারনা। ঘুমিয়ে গেলাম। আর স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম। স্বপ্নে দেখি- আমি একজন মাঝি। সন্ধ্যা নদীতে আমি নৌকা চালাই। কীর্তনখোলা নদীর পাশের ছোট্র নদী সন্ধ্যা। আমার নৌকায় করে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ নদী পার হয়। নদীর এপার ওপার দুই পাড়ের সবার সাথে আমার বেশ সখ্যতা আছে। একটা মেয়ে আমার নৌকায় করে রোজ নদী পার হয়। মেয়েটাকে আমার ভালো লেগে যায়। কি সুন্দর হাসি। কোমর পর্যন্ত চুল। সাজ বলতে চোখে মোটা করে কাজল আর কপালে একটা টিপ। কি যে মায়াময় একটি মুখ!
একদিন মেয়েটা আমাকে বলেই ফেলল- আপনি আমাকে ভালোবাসেন?
আমি মাথা নিচু করে রইলাম।
.....এইভাবে শুরু হলো আমাদের প্রেম পর্ব।
বেশ ভালোই চলছি। হঠাত শুনি মেয়েটার বাবা মেয়েটার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে। আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। আমি কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। আমি রেগে মেগে, মেয়েটার বাসায় চলে গেলাম। সরাসরি মেয়ের বাবাকে বললাম- জনাব, আমি আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে চাই।
মেয়ের বাপ আমাকে একটা থাপ্পড় দিল। আমি তিন হাত দূরে ছিটকে পড়লাম।
মেয়ের বাপ দাঁত কিটমিট করে বলল- হারামজাদা তুই দুই পয়সার মাঝি। চালচুলা নাই। কত্ত বড় সাহস আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাস!! মেয়ের বাপ কষিয়ে আরেকটা থাপ্পড় মারল আর আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২৯
মাস্টারদা বলেছেন: নৌকা বেঁধে রাখা কষ্টকর।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: মোটেও কষ্টকর না।
৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৩০
কামাল১৮ বলেছেন: আপনার যত সামন্তবাদী আবদার।প্রত্যেকে চলবে তার স্বাধীন মতো।অবস্য যারা ইনকাম করে না তাদের সম্পুর্ণ স্বাধীনতা থাকে না।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: ইনকাম করা ছাড়াই তো প্রতিমাসে হাতে টাকা পাচ্ছি।
৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৩০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বড়ই সৌন্দর্য!
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: আফসোশ।
৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:২১
সোনাগাজী বলেছেন:
বাবা না'থাকলে, আমাদের সমাজে মেয়েদের কপালে দু:খ থাকে।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক বাবা বোকা হয়।এজন্য মেয়েদের ভুগতে হয়।
৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬
এম ডি মুসা বলেছেন: ঘুমের ভিতর মিয়া বাস্তব হলে খবর আছিলো! ভাবি জানলে খবর নিতো!
নেপালিয়ন কি না ঘুমিয়ে থাকতে পারে?
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১২
রাজীব নুর বলেছেন: ভাবির কাছ থেকে এসব গোপন রেখেছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২৪
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: আপনার এই টাইপ স্বপ্ন নিয়ে, বাংলার একসময়ের সফল ডিরেক্টর 'দেলোয়ার জাহান ঝুন্টু' আস্ত একটা সিনেমা রিসেন্টলি তৈরি করে ফেললো, সম্ভবত ফেরদৌস আর নিপুণ ছিলো সেই সিনেমায়...
সুন্দর গল্প। পড়ে ভালো লাগলো...