নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ডায়েরী- ১৩৩

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

ছবিঃ আমার তোলা।

মেয়েটার নাম মীরা।
আমাদের সাথে স্কুলে পড়তো। সুন্দর হাসিখুশি একটা মেয়ে। মীরাকে আমার ভালো লাগতো। যদিও সেকথা তাকে কখনও বলি নাই। আমি আবার ভীষন রকমের লাজুক মানুষ। মাঝে মাঝে মীরাদের বাড়ির সামনে ঘুরঘুর করতাম। এক পলক দেখার জন্য। যদি মীরা একবার বারান্দায় আসে। অথবা বাসা থেকে বের হয়- তাহলে এক পলক দেখা হবে। আমার ভাগ্য সুপ্রসন্ন নয়। মীরার সাথে দেখা হয় না। মাঝে মাঝে ভাবি মীরা যদি আমার স্ত্রী হতো? আমার কন্যা ফারাজার মা হতো- তাহলে কেমন হতো? মনে মনে অসম্ভব কত কিছুই তো ভাবি! আমি জানি না মীরা এখন কোথায় আছে, কেমন আছে? যদিও কখনও মীরার সাথে আমার রাস্তায় দেখা হয়, তাকে চিনতে আমার ভুল হবে না। এত বছর পরও আমি মীরার জন্য টান অনুভব করি।

অসম্ভব ব্যাপার মাঝে মাঝে আমাদের জীবনে ঘটে যায়।
আমি বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলাম কাটাবন। সেদিন সুন্দর একটা দিন ছিলো। শীতকাল হলেও রোদ আছে। ফুরফুরে বাতাস আছে। পরেছি সাদা শার্ট। মিডনাইট কালার জিন্স আর সাদা কেডস। নিজেকে একদম মিশরের রাজা বলে মনে হচ্ছে। আমি গুনগুন করে একটা পুরোনো দিনের হিন্দি সিনেমার গান গাইছি- 'বাচপানকে দিন ভুলানা দেনা, আজ হাসি, কাল রুলানা দেনা..'। গ্রীন রোডে সিগনাল পড়েছে। একটা সাদা গাড়ি আমার পেছনে। মনে হচ্ছে গাড়ি থেকে কেউ একজন আমাকে ফলো করছে। আমাকে ফলো করার কিছু নাই। আমি জর্জ ব্যারিস্টার নই বা মন্ত্রী মিনিস্টারও নই। আমি চলি আমার পথে। অন্য কোনো দিকে তাকাতে ইচ্ছে হয় না। যাইহোক, ট্রাফিক ইশারা দিলো যাওয়ার জন্য। সবুজ বাতির ঝামেলা নাই।

বাটা সিগনালের কাছে আসতেই একটা সাদা গাড়ি আমার সামনে এসে দাড়ালো।
গাড়ী থেকে নামলো মীরা। মীরা! অবিশ্বাস্য! সাদা অফ হোয়াইট শাড়ি পরেছে। চোখে কাজল দিয়েছে। কপালে একটা টিপ। কসম খেয়ে বলতে পারি দেবী স্বরসতীর চেয়ে মীরা অনেক বেশি সুন্দরী। মীরা হেঁটে গেলে কবিরা হয়তো বলবেন, 'মীরা তুমি ধুলো ময়লা মাড়িয়ে হেটো না। আমার বুকে এসে দাঁড়াও। বহু বছর পর মীরাকে দেখে আমি ভীষন খুশি হয়েছি। এতটা খুশি গত তিন বছরে হইনি। ইচ্ছা করলো নীলাকে জড়িয়ে ধরিয়ে। মীরা হাত বাড়িয়ে দিলো। হ্যান্ডশেক করলাম। মীরার হাত কি ঠান্ডা! মীরা বলল, সেই কখন থেকে তোমাকে ফলো করছি। তুমি তো একবারও ফিরে তাকালে না! এমন কেন তুমি? আমি হাসলাম। আগের মতোই আছো। ইশারা বুঝ না। কিন্তু একটু চালাক চতুর তো হতে হবে। নইলে মানুষ তোমাকে ঠকাবে।

মীরা বলল, তোমার বাইকের পেছনে বসতে পারি?
আমি বললাম অবশ্যই। একশ বার। মীরা তার ড্রাইভারকে কি বলল, ড্রাইভার চলে গেলো। মীরা আমার পেছনে বসলো। কোনো রকম জড়তা তার মধ্যে নেই। মীরা এক হাত আমার পিঠে রেখেছে। মীরার শরীর থেকে মিষ্টি গন্ধ আসছে। এবার আমি সত্যি সত্যি ইয়েমেনের রাজা হয়ে গেলুম রে। বাতাসে মীরার শাড়ির আঁচল উড়ে এসে আমার চোখে মুখে লাগছে। চুল এসে লাগছে আমার গায়ে। আমরা চলেছি মিরপুর বেড়িবাঁধ। মীরা বলল, বিয়ে করেছো? আমি বললাম না, বিয়ে করেনি। মিথ্যা বললাম। মীরা বলল, বিয়ে করোনি কেন? বললাম, তোমাকে পাইনি বলে। জিজ্ঞেস করলাম, মীরা তুমি বিয়ে করেছো? মীরা বলল না। বললাম কেন? মীরা বলল তোমায় পাইনি বলে! মনে মনে ভাবছি মীরাকে বিয়ে করে ফেললে কেমন হবে? সুরভি কি খুব বেশি ঝামেলা করবে?

সুখ আমার কপালে সয় না।
আমার ভাগ্য মন্দ। রাস্তায় সুরভির সাথে দেখা। একদম সামনা-সামনি। সুরভি আগুন গরম চোখে তাকিয়ে আছে। আমি বাইক রেখেই দিলাম এক দৌড়। মীরা বলল, এভাবে আমাকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যাচ্ছো কেন? মীরার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় আমার নেই। সুরভি আমাকে ধরে ফেললে কেলেংকারী হয়ে যাবে। এখন সময় ঝেড়ে দৌড় দেবার। আমি তাই করছি। দৌড়াচ্ছি। দৌড়ে আমি ভালো। ছোটবেলায় স্কুলে সব সময় আমি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় দৌড়ে প্রথম হতাম। আল্লাহ শাফি আল্লাহ মাফি। এতক্ষন আমি স্বপ্ন দেখছিলাম। সুরভি বলল, ঘুমের মধ্যে এত লাফাচ্ছো কেন? সুরভিকে জড়িয়ে ধরে বললাম, সুরভি আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি কখনও কোনো মেয়েকে নিয়ে বাইকে উঠবো না। নো নেভার।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

এখন কোথায় সে নারী?
গত ঈদে তাকে কিনে দিয়েছিলেন
কি লাল বেনারসী শাড়ী!?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমার বউ থাকতে আমি অন্য নারীকে বেনারসি কিনে দিব কেন?

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩১

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: হু এরকম স্বপ্ন দেখি কিন্তু লেখতে পারি না কবি রাজীব দা
ভাল থাকবেন-------

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০২

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনি তো ভাল গল্প লিখেন। তবে নীচের প্যারা পড়ে আমি হাসি ধরে রাখতে পারি নাই।

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: ইচ্ছা করলো, নীলাকে জড়িয়ে ধরি।


সম্ভবত টাইপিং মিসটেক রাজীব দা। দেখে নিয়েন লাইনটি।

ভাগ্যিস স্বপ্ন ছিলো, নাহলে আজ আপনার খবর ছিলো...
হাহাহ...

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৪

সোনাগাজী বলেছেন:



আরো দৌঁড়ানোর দরকার হতে পারে, প্রেকটিস রাখেন।

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫

রানার ব্লগ বলেছেন: মিরার ঠিকানা আমকে দেন। আপনি দৌড়ের উপর থাকেন।

৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫১

ঢাবিয়ান বলেছেন: দেখতে আসলাম জনারন্যে একজন কোন মন্তব্য করসে কিনা

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: তার চুলকানি রোগ হয়েছে।

৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৪২

জনারণ্যে একজন বলেছেন: শয়নে-স্বপনে-জাগরণে পোলাডার খালি একটাই চিন্তা "মাইয়া"।

শুকায়া গেলো পোলাডা মাইয়া-মাইয়া করতে করতে।

৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৬

যাযাবর১১১ বলেছেন: এক স্বনামধন্য লেখাচোর আজ লেখা চুরি ছেড়ে চুল্কানির মলমের ক্যানভাসার হয়েছে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২০

রাজীব নুর বলেছেন: ছাগল কোথাকার।

১০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২০

যাযাবর১১১ বলেছেন: আর তুই হইলি সারমেয়।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: যা ভাগ। নইলে থাপ্পড় খাবি।

১১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৭

যাযাবর১১১ বলেছেন: তোর পাছায় তো আস্তে লাথি দিয়েছি, এত জোরে ক্যা কু করছিল কেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.