নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
বাইবেল ও কোরআন অনুসারে ইউনূস একজন নবী।
ইরাকের 'নীনাওয়া' বাসীদেরকে হিদায়াতের জন্য আল্লাহপাক ইউনূস নবীকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছিলেন। বাইবেলে ইউনূস (আ এর নাম 'যোনা'। নবী ইউনূসের পিতার নাম ছিল 'মাত্তা'। মায়ের নাম ছিলো মাতাশা। ইউনূস নবী ইরাকের 'মুসল' নগরীতে জীবনযাপন করেছেন। ইউনূস নবী ধনী ছিলেন না। 'মুসল' নগরীর নাগরিকদের ইউনূস নবী লাইনে আনতে পারেন নাই। রাগে দুঃখে ইউনূস নবী 'মুসল' নগরী ছেড়ে দেন। ফোরাত নদীর কাছে চলে যান এবং একটা নৌকায় উঠে বসেন। সেই নৌকায় আরো বেশ কয়েকজন লোক ছিলো। তারা ইয়েমেনের দিকে যাচ্ছিলো। যাইহোক, নৌকা মাঝ নদীতে যায় এবং তখন হঠাত ঝোড় ওঠে। নৌকায় থাকা লোকজন মনে করে অবশ্যই এই নৌকায় কোনো দুষ্টলোক আছে। তাই হঠাত এই ঝড় এসেছে।
ইউনূস নবী বলেন, আমিই সেই দুষ্টলোক।
আল্লাহ আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, সেই দায়িত্ব আমি যথাযথভাবে পালন করতে পারিনি। উলটা আমি পালিয়ে যাচ্ছি। ইউনূস নবী কান্না শুরু করলেন। নৌকায় থাকা লোকেরা বলল, ইউনূস তো ভালো মানুষ। নিজের দোষ স্বীকার করেছে। কিন্তু ইউনূসকে শাস্তি পেতেই হবে। ইহাই আল্লাহর বিধান। লোকজন ধরে ইউনূস নবীকে নৌকায় ফেলে দিলো। ইউনূস নবী সাঁতার জানতেন না। ফলাফল বিশাল এক মাছ ইউনূস নবীকে গিলে ফেলল। ধরে নিলাম মাছটির নাম তিমি মাছ। তিমি মাছটি শুধু আল্লাহর ইশারায় কাজ করে যাচ্ছিলো। ইউনূস নবী তিমি মাছের পেটে বসেই কান্না শুরু করলেন। এবং আল্লাহর কাছে বারবার ক্ষমা চাইতে লাগলেন। ইউনূস নবীর কান্না দেখে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিলেন। আসলে আল্লাহ চেয়েছিলেন ইউনূস নবীকে একটা শিক্ষা দেবেন। মাছের পেটে অন্ধকারের মধ্যে ইউনূস নবী খুব ভয় পাচ্ছিলেন। ইউনূস নবীর ঘটনা টা থেকে আমরা শিখতে পারি- আল্লাহ মহান।
আল্লাহর ইচ্ছায় তিমি মাছ ইউনূস নবীকে বমি করে ফেলে দিলো।
প্রথমে তিমি মাছ নবীকে পেটে করেই নবীর পাড়ে নিয়ে আসে এবং তারপর পেট থেকে উগলে ফেলে। বিষয়টা খুব সহজ ছিলো না। নবীজীকে দীর্ঘদিন মাছের পেটে থাকতে হয়েছিলো। মাছের পেটে থেকে-থেকে নবীজি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আল্লাহ অলৌকিক লাউ গাছ তৈরি করে দেন। সেই লাউ ডাল দিয়ে খেয়ে ইউনূস নবী সুস্থ হয়ে ওঠেন। মাছ ইউনূস নবীজির কোনো ক্ষতি করে নি। এরকমটাই আল্লাহর নির্দেশ ছিলো। যাইহোক, কোরআনে একটি সূরা আছে- 'সুরা ইউনুস'। এ ছাড়াও কোরআনে আরও ছয়টি সুরায় ইউনূস নবী সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। অর্থ্যাত সূরা ইউনূস থেকে আমরা এই শিক্ষা পাই- 'আল্লাহর হুকুম আমাদের মেনে চলতে হবে। হবেই। নইলে কোনো 'ছাড়' নাই। ইউনূস নবী এবং হযরত আদম (সাঃ) কোথায় আছেন?
আমাদের শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন,
ইউনুস (আঃ) মাছের পেটে দোয়া করেছিলেন, 'লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন'। কোনো মুসলমান যখনই এই দোয়া পড়ে, আল্লাহ অবশ্যই তার দোয়া কবুল করে থাকেন। ইউনূস নবী যদি সময় মতো আল্লাহর কাছে প্রার্থনা না করতো তাহলে নবীকে কেয়ামত পর্যন্ত মাছের পেটে থাকতে হতো। ইউনূস নবী কত দিন ছিলেন মাছের পেটে? কেউ কেউ বলেন ৭ দিন, আবার কেউ বলেন- তিন শ' দিন। কেউ কেউ বলেন চল্লিশ বছর। প্রকৃতপক্ষে, কতদিন ছিলেন তা মুখ্য বিষয় নয়। তিনি মাছের পেটে ছিলেন, এটাই আসল ব্যপার। ২৮ বছর বয়সে ইউনূস (আ.) নবুয়্যত লাভ করেন। নবী মাছের পেট থেকে মুক্তি পেয়ে 'নীনাওয়া' শহরেই ফিরে গিয়েছিলেন ও সেখানে তার আত্নীয়দের সাথেই জীবনের শেষ দিন পার করেছেন।
আল্লাহতাআলা আমাদের কে নবী-রাসুলদের জীবনী থেকে শিক্ষা নেওয়ার তাওফিক দান করুন। বিপদ-মসিবতে দোয়া ইউনুস পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনার তাওফিক দান করুন। আমিন।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: বড়ই আচানক ঘটনা।
২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কত বড় মাছ
৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:১৭
আলামিন১০৪ বলেছেন: ঘটনা সত্য, সবাই কম বেশি জানে, মানুষ জানেনা এমন কিছু লিখেন
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আফসোস।