নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
করোনার আগের গল্প।
তখনও চারদিকে ধেয়ে করোনা আসে নাই। আমার বন্ধু সফিকের একটা ফার্মেসী আছে। অনেক বড় ফার্মেসী। মডেল ফার্মেসী। ফার্মেসীর ভেতরে একটা অফিস রুমও আছে। অফিস রুমে এসি আছে। মাঝে মাঝে আমি বন্ধুর ফার্মেসীতে যাই। বন্ধুর সাথে গল্প করি। চা খাই। গল্প করি। বন্ধু আবার সৎ মানুষ। সরকারের সব রকম নিয়ম মেনেই ফার্মেসী দিয়েছে। ড্রাগ লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স ইত্যাদি সবই করা হয়েছে। আমি জানি, আমি দেখেছি- বাংলাদেশে এমন কোনো ঘর নাই, যেখানে ওষুধ প্রয়োজন নেই। প্রতিটা ঘরে ঘরে ওষুধ লাগে। এজন্য বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা নেই- যেখানে ফার্মেসী নেই। সন্ধ্যার পর তো ফার্মেসী প্রচন্ড ভিড় হয়। যে ফার্মেসীতেই যাবেন, লোকজন দিয়ে ভরা। মানুষজন পাগলের মতো ওষুধ কিনছে। সামান্য সমস্যা হলেই মানুষ ওষুধ খায়।
সফিক বিয়ে করেছে। তার এক ছেলে, এক মেয়ে।
সফিকের বাবা মা কেউ বেচে নেই। এক বোন আছে। বোনের বিয়ে হয়েছে। বোন থাকে নেত্রকোনা। সফিকের সাথে সফিকের শ্বশুর থাকে। সফিকের শ্বশুর সারাদিন পত্রিকা পড়ে আর টিভিতে সিআইডি নাটক দেখে। সফিকের শ্বাশুড়ি বেচে নেই। সফিকের স্ত্রীর নাম মিতা। মিতা পৃথিবী নামক গ্রহের সবচেয়ে ভালো মেয়ে। বিনা দ্বিধায় বলা যাবে সফিকের পরিবার সুখী পরিবার। সফিক খুবই ভালো একজন মানুষ। দীর্ঘদিন মালোশিয়া ছিলো। মালোশিয়া থেকে দশ বছর পর দেশে ফিরে, বিয়ে করেছে। মালোশিয়া থাকতেই দেশে একটা ফ্লাট কিনেছে। এবং জমানো সব টাকা দিয়ে ফার্মেসী দিয়েছে। ফার্মেসীতে সে চারটা এসি লাগিয়েছে। ফ্রিজ আছে চারটা। ফার্মেসীর ভাড়া ৭৫ হাজার টাকা। মাসে বিদ্যুৎ বিল আসে ৩০ হাজার টাকা। পাচজন কর্মচারী আছে। ফার্মেসী ভালোই চলছে। অন্তত খরচ টা উঠে আসছে। ঠিকঠাক ভাবে করতে পারলে ফার্মেসী ব্যবসা মন্দ নয়।
সফিক কতটা ভালো ছেলে- তার একটা উদাহরণ দেই।
একবার সফিক বাসে উঠেছে। বাস থেকে নামার পর সফিকের মনে পড়লো- বাসের ভাড়া দেওয়া হয় নাই। সফিক সেই বাস খুজতে শুরু করলো। এক ঘন্টা দৌড়ে দৌড়ে সে সত্যিই সে বাস খুজে বের করলো- মহাখালি গিয়ে। ত্রিশ টাকা বাসের ভাড়া পরিশোধ করলো। অনেককে সে টাকা ধার দেয়। সফিক জানে ধারের টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না। তবু দেয়। স্কুলের বন্ধু বান্ধব পেলে সফিক বুকে জড়িয়ে ধরে এবং বড় রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়। সফিকের স্ত্রী মিতা কতটা ভালো তার একটা উদাহরণ দেই। মিতা হয়তো রিকশা করে ফিরছে। সে দেখলো রিকশা চালকের শার্ট ছিড়া। মিতা রিকশা চালককে সফিকের দুটা শার্ট দিয়ে দিবে। কোনো ভিক্ষুক তার কাছে হাত পাতলে সে কখন ভিক্ষুককে ফিরিয়ে দেয় না। এমন কি বাসায় কোনো ভিক্ষুক এলে- তাকে জোর করে খাইয়ে দেয়। হাতে টাকা গুজে দেয়। মাঝে মাঝে মিতা রাস্তায় বের হয়। দরিদ্র মানুষদের বাজারে নিয়ে যায়- চাল, তেল, মাছ মাংস ইত্যাদি কিনে দেয়। আমি নিজে মিতা ভাবীর সাথে বাইরে গিয়েছি। নিজের চোখে দেখেছি, মিতা ভাবী পাগলের মতো দরিদ্র মানুষকে চাল, তেল, ডাল, মূরগী ইত্যাদি কিনে দিচ্ছে।
সফিক ওমরা করতে যাবে।
সে তার পুরো পরিবার নিয়ে যাচ্ছে। তাহলে ফার্মেসীতে থাকবে কে? সফিক আমাকে অনুরোধ করলো তার ফার্মেসীতে দশ দিন সময় দিতে। দিতেই হবে। দশ দিন পর সে ফিরে আসবে। তখন আমি বেকার সময় কাটাচ্ছি। সফিকের কথায় রাজী হলাম। ফার্মেসীর কিছুই আমি বুঝি না। জানি না। সফিক অবশ্য বলেছে, কঠিন কিছু না। কর্মচারীরাই চালিয়ে নেবে। আমার কাজ হচ্ছে ক্যাশ সামলানো। আমি সফিকের ফার্মেসীতে বসলাম। সব সাজানো গোছানো। এমনকি ওষুধ বিক্রি করতেও কোনো ঝামেলা নেই। সফটওয়্যার আছে। ওষুধের নাম লিখলেই বিস্তারিত সব চলে আসে। কোন কোম্পানীর ওষুধ। কত পিস আছে। দাম কত ইত্যাদি। ফার্মেসীতে আমি বেশ মজা পাছি। নতুন এক অভিজ্ঞতা। কেউ নগদ টাকা দিয়ে ওষুধ নিচ্ছে, কেউ কার্ড দিয়ে বিল পরিশোধ করছে। কেউ বিকাশে। এর মধ্যে আসছে ওষুধ কোম্পানীর লোকজন। তারা অর্ডার নিয়ে যাচ্ছে। কোম্পানীর লোক এসে নানান রকম ওষুধ দিয়ে যাচ্ছে। সবার সাথে আমার বেশ মিলে গেলো। কেমন একটা সুম্পর্ক তৈরি হয়ে গেলো। অদ্ভুত!
প্রতিদিন কোম্পানীর লোক এসে ওষুধ দিয়ে যায়।
বিল নিয়ে যায়। সব সাজানো গোছানো। সফিক আমার দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করে দিয়ে গেছে। হোটেল থেকে যথাসময়ে খাবার চলে আসে। কোনোদিন খিচুড়ি, কোনোদিন বিরানী, কোনোদিন সাদা ভাত সাথে রুই মাছ বা অন্য কোনো মাছ। সন্ধ্যায় চলে আসে নাস্তা। একেকদিন একেক রকম নাস্তা। দারুন দারুন। আমি বেশ ভালো আছি। সুন্দর সময় যাচ্ছে। দোকানে ৯টা সিসি টিভি ক্যামেরা। সফিকের সাথে আমার প্রতিদিনই কথা হচ্ছে। এছাড়া সফিক সৌদি থেকেই তার ফার্মেসীর খোজ খবর রাখছে। একদিন সফিক ফোন দিয়ে বললো- তার ফিরতে দশ দিন না, পনের দিন সময় লাগবে। তাদের ওমরা করা শেষ। তারা এখন মক্কা মদীনা ঘুরে বেড়াবে। আর শপিং করবে। যাইহোক, একদিন ফার্মেসীতে চাঁদাবাজ এলো। কথা শুনেই বুঝা গেলো- প্রফেশনাল চাঁদাবাজ। রাজনীতিও করে। সে টাকা চায়। দুইশ' টাকা আমি দিতে চাইলাম। চাদাবাজ দুইশ' নিবে না। কমপক্ষে পাচ হাজার টাকা। ফার্মেসীতে এসে চাঁদাবাজ খুব হামতাম শুরু করেছে। একদম সাউথ ইন্ডিয়ান মুভির মতো। এই যুগে এসেও যে লোকজন চাঁদা নেয় আমি জানতাম না। ফার্মেসী তো আর পরিবহন খাত না।
ফার্মেসীতে যে কত পদের মানুষ আসে প্রতিদিন!
কেউ আসে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘুমের ওষুধ নিতে। খুব অনুরোধ করে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এসে কনডম নিয়ে যায়। যারা নতুন বিয়ে করেছে তারা সব রকম ফ্লেবারের এক প্যাকেট করে নিয়ে যায়। আমি যেক'দিন ছিলাম একটা সুন্দর মতো মেয়ে এসে কনডম নিয়ে যেতো। মেয়েটা এসে আমার সামনে দাঁড়িয়ে একটা কাগজ দিতো। কাগজে লেখা একটা কনডমের নাম ও ফ্লেবার। প্রতিদিন মেয়েটা কনডম দিয়ে কি করত? অনেক লোক এসে যৌনশক্তির ওষুধ নিয়ে যেতো। হুজুরেরা সেক্সের ওষুধ বেশি নেয়। প্রতিদিন বেশ কয়েকজন ছেলে এসে ফিসফিস করে বলতো, পিল দেন। যেটা ৭২ ঘন্টায় কাজ করে। শুনেছি আইপিল খুব ভালো? নাকি নো-রিক্স নেবো? যাইহোক, লোকজন পাগলের মতো ওষুধ কিনে প্রতিদিন। হাজার হাজার টাকার ওষুধ। কেউ কেউ সারা মাসের ওষুধ একসাথে কিনে নিয়ে যায়। অল্প ক'দিন থেকেই অনেকের সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়ে গেছে।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমি প্রতিদিনই কিছু না কিছু লিখছি।
এমার্জেন্সি পিল বেশি কিনছে প্রেমিক প্রেমিকারা। বিয়ের আগেই হয়ে যায় শারীরিক সম্পর্ক।
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০২
সোনাগাজী বলেছেন:
নকল ঔষধের ব্যবসা কিভাবে চলে?
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১১
রাজীব নুর বলেছেন: নকল ওষুধ পাওয়া যায় মিডফোর্ড।
এছাড়া গ্রাম অঞ্চল গুলোতে।
৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৬
নতুন বলেছেন: কনডম কেনা ভালো। লজ্জা করা উচিত না।
আর এমাজেন্সি পিল ডাক্তারের পরার্মশ ছাড়া খাওয়া ঠিক না।
এজন্যই দেশে সেক্স এডুকেসন চালু করা দরকার।
কতটাকা চান্দা দিলেন সেটা তো কইলেন না?
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: কনডম খুব প্রয়োজনীয়। এমার্জেন্সি পিল আসলে ভয়ে খায় মানুষ। আসলেই সেক্স এডুকেশন ক্লাশ ফাইভ থেকেই চালু করা দরকার।
চাঁদা নিয়ে বেশ ঝামেলা হয়েছে। আআমকে বেশ বেগ পেতে হয়েছিলো।
৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২০
কামাল১৮ বলেছেন: আমার নিজের ঔষধের দোকান ছিলো ৭২ থেকে ৮২ সাল পর্যন্ত।তবে আমি নিজে বসতাম না।আমার ভাগিনা ও একজন কর্মচারী চালাতো। আমি কথনো দুই এক ঘন্টার জন্য বসতাম।বেশির ভাগ সময় থাকতাম ঢাকার বাইরে।দোকান ছিলো জহুরা ম্যানশনে।দোকানে তখন ফেনসিডিল বিক্রি হতো।নিষিদ্ধ ছিলো না।ঔষধের ব্যবসায় দামাদামী কম।
আপনার অনেক কাজের অভিজ্ঞতা আছে।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আমার প্রতিবেশী। সেই আমার ছোটবেলা থেকেই।
৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৯
এম ডি মুসা বলেছেন: আপনার গল্প গুলো কেন বই আকারে প্রকাশ হয়?
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: আমি ভাই লিখতে জানি না।
৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
খুবই ভালো লাগলো পড়ে।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ বড় ভাই।
৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
টনিকের মতোই মনচাঙ্গা লেখা। ফার্মেসীর ফার্মাকোপিয়া লিখলেন যেন!
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে
আন্তরিক ধন্যবাদ।
৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৪৪
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: সুন্দর স্মৃতি...
সফিক আসার পর মনে হয়, সবকিছুই ঠিকঠাক ছিলো!
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা ।
৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫
জাহিদ অনিক বলেছেন: আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
ফার্মেসীর ফার্মাকোপিয়া লিখলেন যেন! দারুণ মন্তব্য!!!
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: উনি দারুন মানুষ।
১০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪১
নিবারণ বলেছেন: আপনি তো ভালা ল্যাখেন ভাই। সাধারণ কথা গুলা মানসে এত সাধারণ কইরা লিখবার পারে না। আমিও বিয়ার পর প্রথম কনডম কিনবার যাইয়া ম্যালা লজ্জা পাইছিলাম। হুদাই কয়ডা ওষুধ কিনছিলাম কনডম কেনার লাইগা।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কনডমের সঠিক ব্যবহার বাংলাদেশের মানুষদেরকে অনেক উপরে নিয়ে যেতে পারে।
কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এটা ব্যবহার করতে লজ্জা পায় ।
এছাড়া দোকানদাররা প্রায়ই এই জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে ।
এরকম হলে দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ঘটতে থাকবে।
কোন উপায় নাই।
১২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:২২
নিবারণ বলেছেন: গত ৮ তারিখে সামুতে প্রকাশিত লেখার মধ্যে আপনার লেখাটি আমার পছন্দের তালিকায় ছিল। এ নিয়ে আমার পোস্ট
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬
বাউন্ডেলে বলেছেন: ছোট বেলায় দোকান থেকে আমরা বেলুন কিনে ফু দিয়ে ফুলিয়ে খেলতাম। তখন খেলনা বেলুন পাওয়া যেত না। এটাকে নিয়ে বাচ্চারা খেলতো, বড়রা কি করতো- এখন বুঝি। পোষ্ট জম্পেষ হয়েছে।
১৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এক সময় রাজাই ছিল বাংলাদেশের পুরুষদের/মানুষদের একমাত্র অবলম্বন ।
সেটার দাম ছিল খুবই কম।
আমরা দোকান থেকে কিনে ফুলিয়ে বেলুন
১৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৩
তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: একটা মডেল ফার্মেসী দিতে কেমন ইনভেস্ট লাগে !!
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮
তেলাপোকা রোমেন বলেছেন: অনেক দিন পরে ব্লগে ঢুকে আপনার পোস্ট। আসলে ভাই কনডম, এমার্জেন্সি পিল কোন গোপন বস্তু না যে কাগজে লিখে দিতে হবে বা লুকায়ে নিতে হবে। ওদের বোঝাবেন