নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আমার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ। শ্রীনগর।
যদিও আমি বলি- বিক্রমপুর। সত্য কথা বলতে পুরো মুন্সিগঞ্জ এলাকায় এখন আগের মতো শত শত কাঠের বাড়িঘর নেই। বেশির ভাগ বাড়ি এখন পাকা দালান। কেউ কেউ তো বিশাল রাজকীয় বাড়ি করেছেন, একদম গুলশান ধানমন্ডি এলাকার আধুনিক বাড়ি গুলোর মতোণ। একসময় আমাদের বাড়িটা কাঠের ছিলো। দোতলা বাড়ি। কাঠের সিড়ি ছিলো। সেই সিড়ি দিয়ে দোতলায় উঠতাম। দোতলায় একটা কেবিন ছিলো। আমি গ্রামে গেলে সে কেবিনে থাকতাম। ছোট একটা কেবিন। ছোট একটা জানলা। আমরা ঢাকা থাকতাম। দাদা দাদী আর দুই চাচা এক ফুপু গ্রামে থাকতেন। আব্বার সাথে আমি প্রায়ই গ্রামে যেতাম। বিশাল এক পুকুর ছিলো আমাদের। এখন একান্নবর্তী পরবার গুলো ভাগ হতে- হতে বড় বড় বাড়ি গুলো কয়েক টুকরো হয়ে গেছে। এক বাড়ির ভিতর দিয়ে আরেক বাড় যেতে হয়।
এখন ঢাকা থেকে আমাদের গ্রামে যেতে সময় লাগে ৭৫ মিনিট।
কিন্তু একসময় গ্রামে যেতে সময় লাগতো ৭/৮ ঘন্টা। ইঞ্জিনওলা নৌকায় বসে থাকতে হতো টানা ৩/৪ ঘন্টা। ভট ভট শব্দ আর রোদে খুব কষ্ট হতো। প্যাক কাঁদা মাড়াতে হতো। যাইহোক, এখন আমাদের গ্রামের বাড়িটা আগের সেই কাঠের দোতলা বাড়ি নেই। এখন পাকা করা হয়েছে। রান্না হয় গ্যাসের চুলায়। একসময় পুরো মুন্সিগঞ্জ এলাকায় ছিলো- কাঠের দোচালা, চৌচালা ঘরবাড়ি। বিক্রমপুর এলাকায় কাঠের বাড়ির সংখ্যা এখন খুবই কম। তবে সিরাজদিখান এলাকায় গেলে অনেক কাঠের বাড়ি দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু বেশির ভাগই পাকা বাড়ি। গ্রাম আর গ্রাম নেই। শহর হয়ে গেছে। বিউটি পার্লার আছে, কমিউনিটি সেন্টার আছে, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল আছে, ফাস্ট ফুডের দোকান আছে। গ্রামে গেলে গ্রামের আমেজ পাওয়া যায় না। যাইহোক, শুনেছি জাপানে অনেক কাঠের বাড়ি আছে। এর কারণ সম্ভবত ভূমিকম্প। মুন্সিগঞ্জে টিন ও কাঠের বাড়ির কারণ হচ্ছে- পদ্মানদী।
কাঠের বাড়ি মানুষ তৈরি করতো কারণ- পদ্মানদী।
সর্বনাশা পদ্মানদী সব দখল করে নিতো। পাড় ভাঙতে ভাঙতে পুরো গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে যেতো। এজন্য কাঠের বাড়ি তৈরি করে লোকজন থাকতো। নদী ভাঙতে শুরু করলে বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া যেতো সহজেই। এখনও সপ্তাহে একদিন রেডিমেট কাঠের বাড়ি বিক্রির হাঁট বসে। এসব কাঠের বাড়ির দাম- দেড় লাখ টাকা থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। এসব বাড়ি বানাতে সাধারণত লোহা কাঠ ব্যবহার করা হয়। লোহা কাঠ একসময় মিয়ানমার থেকে আসতো। শুনেছি, এখন আসে নাইজেরিয়া থেকে। বাংলাদেশে চট্রগ্রাম থেকে যে পরিমাণ লোহা কাঠা সে, সেটা চাহিদার চেয়ে অনেক কম। টিন ও কাঠ দিয়ে বাড়ি বানানোর কারিগর গুলো অত্যন্ত দক্ষ। এখন আমি গ্রামে গিয়ে আনন্দ পাই না। মাটির রাস্তা কম। গাছপালা কম। সবার হাতে স্মাট ফোন। বেশির ভাগ লোক বাইক চালিয়ে বাজারে যায়।
কাঠের বাড়ি গুলোর বৈশিষ্ট্য হলো- জানালা, দরজা, দেয়াল কাঠামো, মেঝে কিংবা ছাদ- ঘরের প্রত্যেকটি অংশ আসবাবপত্রের মতো আলাদা আলাদা খুলে দেশের যেকোনো প্রান্তে বহন করে নেওয়া যায় খুব সহজে। ৮৫ সালের পর থেকে পুরো বিক্রমপুর এলাকায়- রেডিমেট কাঠের বাড়ির চাহিদা কমতে থাকে। লোকজন আধুনিক পাকা বাড়ি করতে শুরু করে। তবে টিন ও কাঠ দিয়ে বানানো বাড়ি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর। অনেক মজবুত। যাইহোক, এখন সরকারের উচিৎ পদ্মানদীর দিকে নজর দেওয়া। নদী যেন আর কারো বাড়িঘর নিয়ে না যেতে পারে। প্রতি বছর অসংখ্য গ্রাম তলিয়ে যায়। যথাসময়ে ব্যবস্থা নিলে- নদী ভাঙন রোধ করা সম্ভব। নদী আমাদের শত্রু নয়। নদী আমাদের সম্পদ। কিন্তু অযোগ্য অদক্ষ মন্ত্রী এমপিদের কারনে সাধারন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নদী ভাঙন এর কারনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ গুলো অসহায় জীবনযাপন করে।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৫
শ।মসীর বলেছেন: বাড়ি গুলো দেখতে বেশ ভালই লাগে, একটা নান্দনিক ব্যাপার আছে । ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা তা আছে।
৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমাদের দোহার-নবাবগঞ্জ, শ্রীনগর, লৌহজং ।
এই সব আমাদের নিজেদের এলাকা।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার নাম বললে লোকজন চিনতে পারবে ?
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার নাম বললে লোকজন চিনতে পারবে ?
৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫০
শায়মা বলেছেন: এত সুন্দর কাঠের বাড়ি!!!
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা সুন্দর হয়।
৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমি নেতা নই।
মাস্তান নই।
নই কোন সন্ত্রাসী ।
আমাকে কেন মানুষ চিনবে ,!?
আমি চাই না কেউ আমাকে চিনুক।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। ওকে।
৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৩
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনাদের গ্রামের বাড়ী থেকে পদ্মার দুরত্ব কত? সেই এলাকায়, শীতে পদ্মায় পানি থাকে?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের গ্রামের বাড়ি থেকে পদ্মার দূরত্ব হেটে গেলে ২০/২৫ মিনিট।
শীতকালে নদীর পানি অনেক দূরে চলে যায়।
৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৩
কামাল১৮ বলেছেন: সিলেটিরা যেতো লন্ডনে,বিক্রমপুরের লোকেরা যেতো জাপানে।এখন পদ্মাসেতু হওয়াতে তাদের আর পায় কে।দুই এক কাঠা জায়গা থাকলে দখল নিন।পুরনো জমিদারি ফিরে পাবেন।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: জমিটমি নিয়ে আমার চিন্তা নাই। জমি মানুষের ক্ষতি করে। ঝগড়া ফ্যাসাদ বাড়ায়। বাপ দাদার সম্পত্তি আমি নিইনি।
৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৯
কামাল১৮ বলেছেন: আপনিও আপনার বড়ভাইয়ের মতো মন্তব্যের উত্তর না দিয়েই নতুন পোষ্ট দেন।পোষ্ট দেয়া কি আপনাদের রোগ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: স্যরি স্যরি।
আসলে একটু ব্যস্ত আছি।
৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০১
ড়ọমচা বলেছেন: বাড়ি গুলো দেখতে বেশ ভালই লাগে, একটা নান্দনিক ব্যাপার আছে https://snowrider3d.com
১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৩৫
মিশু মিলন বলেছেন: সুন্দর বিষয় নিয়ে লিখেছেন। কাঠের বাড়ি আমার খুব পছন্দ।
১১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৪
Wewe বলেছেন: This post was very well-written and informative. Appreciate it! https://cvwritingservicesuk.com/
১২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫১
ফহেত ঠগযডপ বলেছেন: Thank you for sharing your insights with clarity and precision. https://814.osttopstfreeware.com
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০১
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: চমৎকার লেখেছেন কবি দা
বই মেলায় কবে আসবেন---------