নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মন খারাপ হলে কি করেন?

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৫

ছবিঃ আমার তোলা।

মন খারাপ হলে আমি রাস্তায় এলোমেলো হাঁটি।
হেঁটে হেঁটে অনেক দূর চলে যাই। কখনও কখনও রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাঁটি। কোনও গাড়ি যদি আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, তো দিক। আমি মরে যাবো। যেন আমি মরে গেলেই সকলের শান্তি। আমি যখন ছোট। তখন আমার মন খারাপ হলে- আমি রেলস্টেশন চলে যেতাম। কমলাপুর রেলস্টেশন। সেখানে একটা লোহার ব্রীজ আছে। ব্রীজের উপর ওঠে দাঁড়িয়ে থাকতাম অনেকটা সময়। একটু পরপর হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন আসতো। দেখতে ভালো লাগতো। মন খারাপ হলে আমি মাঝে মাঝে মাছের বাজারে যাই। বড় বড় মাছ দেখলে মনটা ভালো হয়ে যায়। আবার বড় মাছ কাটা দেখতে ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আমি ইউটিউবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মাছ কাটা দেখি। ভালো লাগে।

একসময় আমার মন খারাপ হলে- আমি সোজা রমনা পার্কে চলে যেতাম।
একটা বেঞ্চে বসে থাকতাম চুপচাপ, ঘন্টার পর ঘণ্টা। চারপাশে প্রচুর গাছপালা, প্রচুর মানুষজন থাকতো। তাতে আমার কি? একবার মেজাজ খুব খারাপ হলো। তখন আমি কলেজে পড়ি। চ্যাংড়া বয়স। দিলাম হাঁটা। হাঁটতে হাঁটতে একদম এয়ারপোর্ট চলে গেলাম। আমাদের বাসা থেকে এয়ারপোর্ট অনেক দূর। হেঁটে হেঁটে আমার অবস্থা শেষ। পায়ে ঠোসা পড়ে গেছে। পুরো শরীর ব্যথা হয়ে গেছে। জ্বর এসে গিয়েছিলো। আমার জীবন যায় যায় অবস্থা। মন খারাপ হলে, মানুষ যা যা কর্ম করে সেগুলোতে বোকামির পরিচয় পাওয়া যায়। জীবনটা বোকামি করে করেই পার করে দিচ্ছি। আফসোস। আমার দরকার ছিলো একজন বুদ্ধিমান মানুষ। যে আমাকে সঠিকভাবে পরিচালনা করবে। তাহলে জীবনটা অন্য রকম হতো।

এই সমাজের চারপাশের পরিবেশ-
এবং মানুষজনের আচারআচরনে মন খারাপ হয়েই যায়। বাংলাদেশের মানুষ গুলো মূলত ইতর শ্রেনীর। ইহা সত্য মিথ্যা নয়। তবে অল্প কিছু লোক ভালো আছে, এ কথাও সত্য। মাঝে মাঝে মন খারাপ হলে- রেস্টুরেন্টে গিয়ে পছন্দের খাবার গুলো অর্ডার করে খেতে বসি। শপিং করি। পুরোনো বন্ধুর সাথে দেখা করি, জমিয়ে আড্ডা দেই। যদি পকেটে টাকা না থাকে, তাহলে কোনো এসি মসজিদে গিয়ে ঘুম দেই। বড় শান্তির ঘুম হয়। সমস্যা হলো- মসজিদে বালিশ নেই। মসজিদে বালিশ রাখা দরকার। চায়ের ব্যবস্থাও রাখা দরকার। ঢাকার মসজিদ গুলোর অনেক ইনকাম। এত এত টাকা দিয়ে মসজিদ কমিটি করে কি? নাগরিকদের কিছু সুবিধা দেওয়া উচিৎ। মসজিদের ইনকাম তো নাগরিকদের দিয়েই হয়।

আমার স্ত্রীর কারণে মন খারাপ হলে, আমি চলে যাই মিতুর কাছে।
মিতু মোহাম্মদপুরে থাকে। বিয়ে করেনি। কোনোদিন করবেও না। সহজ সরল সুন্দর মেয়ে মিতু। ভালো চাকরি করছে। মিতুর কাছে গেলেই মিতু প্রথম যে কথাটা বলে সেটা হলো- 'এতদিন পড়ে এলে'! আমি যদি দু'দিন পরেও মতুর সাথে দেখা করতে যাই, মিতু বলবে, এতদিন পড়ে এলে। দুনিয়াতে একমাত্র মিতু আমাকে দেখলে সত্যিকারের খুশি হয়। নিজের হাতে আমাকে রান্না করে খাওয়াবে। খুব খাতির যত্ন করবে। মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে স্ত্রীর কাছে যাবো না। মিতুর কাছেই থেকে যা। মিতু নিউ মার্কেট গেলে আমাকে সাথে করে নিয়ে যাবে। সেদিন মিতু আমাকে জোর করে বইমেলায় নিয়ে গেলো। অনেক গুলো বই কিনে দিলো। প্রতিটা বইই তার পছন্দের। মনে মনে ভাবি মিতুকে বিয়ে করলে আমার জীবনটা অন্যরকম হতো। ঢাকার এক মার্কেটে মিতুর নামে তিনটা দোকান আছে। দুটা ফ্লাট আছে।

আজকাল মন খারাপ হলে- বই পড়ি, লিখি।
অথবা মনে মনে অতি কুৎসিত কিছু গালি দেই। যেসব গালি ভদ্র সমাজে দেওয়া যায় না। মা মাসি একদম এক করে দেই। মনে মনে গালি দিয়ে এক ধরনের কুৎসিত সুখ পাই। দুষিত একটা সমাজে বাস করি, দুষিত লোকজনের মাঝে। মন তো খারাপ হবেই। মন খারাপ করে দিতে পারে অনেকেই কিন্তু মন ভালো করে দিতে পারে না সবাই। মন খারাপ হতে হতে এখন আমি কিছুটা বুদ্ধিমান হয়েছি। যারা আমার মন খারাপ করে দেয়, তাদের কাছ থেকে আমি দূরে থাকি। একশ' হাত দূরে থাকি। দুষ্টলোকজনের কাছে থাকার চেয়ে একা থাকা অনেক ভালো। দুষ্টলোকজনদের আমি আমার জীবন থেকে মাইনাস করে দিয়েছি। তাই এখন আমার মন তেমন একটা খারাপ হয় না। অবশ্য মন খারাপ হওয়ার সময়ই আমার নেই। নিজেকে নানান রকম কাজে ব্যস্ত রাখি। মন খারাপ হওয়ার সময়ই হয় না।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

এমএলজি বলেছেন: ব্যস্ত থাকুন, অবসরে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ান, বন্ধুবান্ধবের সাথে গল্প করুন, পড়ুন, লিখুন; মন খারাপ হবার সুযোগ আর পাবে না। বাই দ্যা ওয়ে, আপনার লেখার হাত বেশ ভালো: সাবলীল, পরিপাটি। লিখতে থাকুন।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: আমার সৌভাগ্য আপনি আমার পোষ্টে মন্তব্য করেছেন।
অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনার বন্ধুবান্ধব আছেন?

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: সত্য কথা বলতে এখন আমার কোনো বান্ধব নেই।
কেন নেই আমি জানি না। কারো সাথে কোনো যোগাযোগ নেই।

৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: মন খারাপ হলে আমি সাধারণত নিজের পছন্দের গান শুনি। কখনো কখনো হেঁটে আসি, ভালো লাগে। ধন্যবাদ।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: বেশির ভাগ মানুষ এটাই করে।

৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৩০

আরইউ বলেছেন:



আপনি লিখেছেনঃ দুষিত একটা সমাজে বাস করি, দুষিত লোকজনের মাঝে। মন তো খারাপ হবেই।

আহ! কী সুন্দর সত্য কথা লিখেছেন। আসলেই দূষিত একটা সমাজে বসবাস আমাদের। সমাজটা চোর-চোট্টায় ভরে গেছে। এই চোর-চোট্টার দল চুরী করে আবার বড় গলায় নীতির কথা বলে। কীভাবে আপনি এমন সুন্দর সত্য লিখতে পারেন, রাজীব নুর ওরফে সামিয়া ইসলাম!!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: ছাগল কোথাকার।

৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:০৮

কামাল১৮ বলেছেন: ব্যস্ত থাকলে মন আছে কি নেই সেটাই বুঝা যায় না।খারাপ হবে কখন।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: রাইট।

৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:০৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



জীবন খুবই সুন্দর ।
কিন্তু সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে অনেক কিছু নিয়ামক লাগে।
যে নিয়মাগুলো আমাদের অনেকেরই নাই।
আফসোস!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: সঠিক উপলব্ধি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.