নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
আগামীকাল থেকে রোজা। রমজান। রমাদান।
আজ মুসলিমরা প্রথম তারাবী পড়বেন। চারিদিকে রমজানের আমেজ! বাজারে প্রচন্ড ভিড়। রাস্তায় জ্যাম। অবশ্য জ্যাম সারা বছরই থাকে। আমি রোজা রাখি না। কারন, সারা দিন না খেয়ে থাকার কোনো কারন নাই। আমি না খেয়ে থাকলে কার কি লাভ? অথবা আমি প্রচুর খেলে কার কি ক্ষতি? টানা একমাস সকাল সন্ধ্যা না খেয়ে থাকলে আল্লাহ কেন খুশি হবেন? আমার বুঝে আসে না। ক্ষুধা কি আমি জানি। ক্ষুধার কষ্ট কি রকম সেটাও আমি খুব ভালো করে জানি। আমি না খেয়ে থেকে আল্লাহকে খুশি করতে পারবো না ভাই। নো নেভার। দরিদ্র দেশে বাস করি। এমনতেই কষ্টের শেষ নাই।
রমজানের বাজার আমি এখনও করি নাই।
দু'বার বাজারে গিয়ে ফিরে এসেছি। প্রচন্ড ভিড়। ভিড় আমার ভালো লাগে না। আমি ছাড়া আমাদের বাসার সবাই'ই রোজা রাখে। আমি রোজা না রাখলেও রমজানে ভালো ভালো খাবার খেতে পছন্দ করি। এটা আমার ছোটবেলার অভ্যাস। এমনকি আমাদের বাসার যারা রোজা রাখে, সকালের ঘুম নষ্ট করে তাদের সঙ্গ দেওয়ার জন্য আমি ভোরবেলা উঠে তাদের সাথে সেহেরি করি। আবার সন্ধ্যায় টেবিল ভরতি খাবার সামনে নিয়ে ইফতারী করতে আমি খুব ভালোবাসি। সুরভির হাতের রান্না ভালো। যা রান্না করে সেটাই খেতে মজা লাগে। সামান্য ডিম চপ সুরভি এত সুন্দর করে তৈরি করে, যেন ডিম চপ একটা শিল্প।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী ইফতার পার্টি করতে নিষেধ করেছেন।
গত বছরও প্রধানমন্ত্রী ইফতার পার্টি করতে নিষেধ করেছিলেন। কেউ তার কথা শুনে নাই। রমজানে লোকজন আগ্রহ নিয়ে ইফতার পার্টি করে। যাইহোক, খেজুরের অনেক দাম। এক মন্ত্রী বলেছেন, খেজুরের বদলে বড়ই দিয়ে ইফতার করতে। এই কথা শুনে ইনু সাহেব অনেক রেগে গেছেন। খুবই রেগেছেন। উনি মন্ত্রীকে তুই তুকারি পর্যন্ত করেছেন। মন্ত্রী এমপিরা আমাদের অনেক বিনোদন দেন। হাজার দুঃখ কষ্টের মধ্যেও হাসি পায়। আমাদের দেশে জায়েদ খান নামে একজন নায়ক আছেন। সিনেমা খুব বেশি করেন নাই। মানের দিক থেকে হির আলম টাইপ। সেই জায়েদ খান ডিগবাজি খান। এবং উনি গর্ব করে বলেন, যখন তখন ডিগবাজি দিয়ে যে কোনো জায়গায় চলে যাবো। মূলত আমাদের দেশে মগজহীনদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
রমজান এলে আমাদের দেশে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে।
ছোটবেলা থেকে দেখতে দেখতে আমরা এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছি। চারটা ছোট দেশী মূরগীর দাম নিচ্ছে- ২৪ শ' টাকা। অন্য সময় চারটা ছোট দেশী মূরগীর দাম নিতো- দুই হাজার টাকা। চারশ' টাকা বেড়েছে। যে খেজুর অন্য সময় কিনি ১ হাজার টাকা কেজি। সেই খেজুর এখন ১৩ শ' টাকা। তিন শ' টাকা বেশি। ফলের দাম অনেক বেশি। যে যেভাবে পারছে টাকা বেশি নিয়ে নিচ্ছে। দাম বেশি এই নিয়ে আমি আফসোস করা ছেড়ে দিয়েছি। কারন, দাম বেশি হলে তো আর না খেয়ে থাকবো না। খেতে হবেই। তাছাড়া আমি এখন অন্য সময়ের চেয়ে বেশি বাজার করি। পরিবারের জন্য দুই হাত ভরতি করে বাজার করাতে আনন্দ আছে। চিল্লাইয়া কন কথা সঠিক কিনা?
বড় বড় আবাসিক হোটেল গুলো রমজান উপলক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
সোনার গা হোটেল- এ দেখলাম রমজান উলক্ষ্যে বিশাল ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছে। সাথে খাবারের ছবি ও দাম। তারা এক কেজি জিলাপির দাম নিচ্ছে ২৯৫০ টাকা। সোনার গা হোটেলওয়ালারা বোকা। তারা এক কেজি জিলাপির দাম ৬ হাজার টাকা অতি সহজেই নিতে পারতো। ঢাকা শহরে এক কেজি জিলাপী ৬ হাজার টাকা দিয়ে নেওয়ার মতো প্রচুর লোক আছে। এদিকে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট হোটেলের সামনে (ফুটপাতে) বাশ ও ত্রিপল দিয়ে সাজিয়েছে। লাইটিং করেছে। ধুমছে ইফতারী বিক্রি হবে। শহরের লোকজন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খায়। ইদ উপলক্ষ্যে মার্কেটে গুলো বিজলি বাতি দিয়ে আলোক সজ্জা করা হয়েছে।
১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: রমজান মাস আমার পছন্দ।
রোজা রাখি না, তবু আমি সেহেরি খাই আগ্রহ নিয়ে। আর ইফতারের সময় টেবিল সাজানো থাকে। দেখতে ভালো লাগে। নানা রকম খাবার। বাহ!
২| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৪০
মোগল সম্রাট বলেছেন:
রোজা না রেখে একটা সংযম অলরেডি কইরা ফালাইছেন ভাই। উহার প্রভাব খেজুরের বাজার থিকা শুরু কইরা ছোলা পিয়াজ চিনির ব্যবসায়িদের উপ্রেও পড়ছে।
১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: দাম কত বাড়বে বাড়ুক। আই ডোন্ট কেয়ার।
৩| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:১৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
রোজার দ্বারা মহান আল্লাহ সোবাহানা তায়ালা আপনাকে পরীক্ষা করেন।
কেবল না খেয়ে থাকা নয় দিনের বেলায় নারী সহবাসও করতে পারবেন না।
সন্ধ্যায় মাগরিবের আজানের পর সামান্য ফলমুল ও পানি দিয়ে ইফতার করতে পারেন। আপনি চাইলে কেবল নারী সহবাস দ্বারাও ইফতার করতে পারেন। ইহা জায়েজ আছে। ।
১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: ক্ষুধার্থ পেটে সহবাস কার ভালো লাগিবে?
বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ সহবাস করে রাতে। রাত বারটার পর।
নারী সহবাস দ্বারাও ইফতার!!!! ছিঃ
৪| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:২০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সোনাডা হোটেলে জিলাপীর দাম ২৯৫০ কেন? ৩ হাজার করলে কি দোষ?
সব চেয়ে ভালো হতো ১০ হাজার টাকা করলে। এটা কেনারও লোক পাবেন কয়েক লাখ। লাইন ধরে কিনবে। সোনাডা হোটেলে যদি গু প্যাকেট করে বেঁচে সেটাও কোটিপতিরা লাইন ধরে কিনবে।
১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে হে---
বড় ভাই মাথা ঠান্ডা করেন।
৫| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:১২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রোজা রাখলে ইফতার বেশী মজা লাগে। না খেয়ে থাকা আমার জন্য চরম কষ্টের। তারপরেও আমি ক্লাশ থ্রি থেকে সব রোজা রাখার চেষ্টা করি। রোজার সময়ের রোজা ছাড়া অন্য সময়ে আমি রোজা রাখি না। রোজার অনেক বাজার করেছি।
১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: রোজদার বোকা। ভোজদার বুদ্ধিমান।
৬| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:১৪
এম ডি মুসা বলেছেন: শুভ দুপুর। না পড়ে মন্তব্য করছি। আবার এসে পড়বো
১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: শুভ দুপুর।
এখনও খাই নাই।
৭| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১০
কামাল১৮ বলেছেন: উপবাস সব ধর্মেই আছে।নিয়ম একটু এদিক সেদিক।
১২ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম এভাবেই পরিবর্তন হয়েছে।
৮| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ইফতারের সময় হয়ে গেলে কিছু না খাওয়ার আগে কি স্বামী স্ত্রী মিলন করতে পারে?
যদি স্বামী এতই ধৈর্যহারা হয়, তাহলে তা অবৈধ বলা যাবে না। যেহেতু সে সময় তাঁদের জন্য তা বৈধ। অবশ্য সুন্নত হল খেজুর পানি দিয়ে ইফতার করা। কিন্তু সেই সুন্নত পালনে কেউ যদি আধৈর্য হয়, তাহলে পেটের ক্ষুধা মিটাবার আগে যৌন ক্ষুধা মিটাবার দরজা উন্মুক্ত আছে।
ইবনে উমার (রাঃ) কোন কোন দিন সহবাস দ্বারা ইফতার করতেন বলে বর্ণিত আছে। (ত্বারাবানী)
৯| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
কার রিজিক যে কোথায় আল্লাহ রেখেছেন, মাঝে মাঝে খুব অবাক হইয়ে ভাবি!!!
১০| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
@মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন,
ইয়া মাবুদ, ইয়া মাবুদ!!!
১১| ১২ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:২১
নাহল তরকারি বলেছেন: ভালো।
১২| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩২
ইসিয়াক বলেছেন: আমি রোজা রাখতে পারি না। তবে প্রতি বছর দুই তিনটা রোজা থাকি।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: গত বছর ২০,০০০ হাজার কেজি জিলাপি বিক্রি হলো। মানুষ তা কিনে কয়েকদিনের মধ্যে সোল্ড আউট বানিয়ে ফেলছে। আমি তিন কেজি জিলাপির টাকা দিয়ে গত রোজার গরমে বাসায় এসি লাগিয়েছি।
আমার রমজান মাস ভীষণ পছন্দ। মানুষজন দল বেধে ইফতারি কিনছে, সবাই আজানের অপেক্ষা করছে, একসাথে পানি খাচ্ছে, কেউ ইফতারি না পেলে তাকে খেতে দিচ্ছে, ব্যাপারগুলো ভালো লাগে।
বেশিরভাগ সময় আমি ইফতারির সময় বাইরে থাকি। শুধু পানি খাই ইফতারিতে। বাসায় এসে ভাত। রমজানের জন্য আলাদা বাজারাদি করি না ওভাবে। দাম অনেক বেশি থাকে সবকিছুর।।প্রতিদিন যা লাগে কিনে নেই।