নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের গল্প- ৯০

১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৭

ছবিঃ আমার তোলা।

এই সমাজে হুজুরেরা ভালো আছে।
হুজুরেরা কোরআন জানে, হাদীস জানে। ব্যস, আর কিছুর প্রয়োজন নাই। কোরআন হাদীস দিয়ে বড় বড় চাকরী পাওয়া যাবে না সত্য। কিন্তু বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছোট ছোট বাচ্চাদের কোরআন হাদীস শিক্ষা দিয়ে বেশ ভালো ইনকাম করা যায়। আমাদের বাসায় একটা হুজুর আসেন। সে আমাদের বাসার সমস্ত বাচ্চাদের কায়দা, আমপাড়া আর কোরআন পড়ায়। সপ্তাহে তিন দিন চল্লিশ মিনিট পড়ায়। একজনের কাছ থেকে মাসে সেলারি পায় চার হাজার টাকা করে। অর্থ্যাত চারজনের কাছ থেকে মাসে পাচ্ছেন ১৬ হাজার টাকা। সারাদিনে অনেক বাসায় হুজুরেরা যায়, বাচ্চাদের কোরআন হাদীস পড়িয়ে লাখ টাকার উপরে উপার্জন করছেন। হুজুরদের ছাড়া এই সমাজ প্রায় অচল হয়ে যাবে। হ্যা কিছু হুজুর মানবেতর জীবনযাপন করছে, সে কথা সত্য।

আমাদের বাসায় যে হুজুর আসেন- তার নাম জহির হুজুর।
জহির হুজুর আসে মাগরিবের নামাজের পর। তার চোখে থাকে ঘুম। বাচ্চাদের আরবী পড়ানোর সময় জহির হুজুর ঝিমায়। আমি জানি জহির হুজুর সারাদিন অনেক বাচ্চাদের আরবী পড়ায়। সে ক্লান্ত থাকে। তাই সন্ধ্যায় আমাদের বাসায় এসে ঝিমায়। আমি হুজুরকে নিজের হাতে কড়া করে চা বানিয়ে দেই। সাথে বিস্কুট দেই। হুজুর আগ্রহ নিয়ে খায়। হুজুরকে যা দেই সে হাসি মুখে খায়। হুজুরের সাথে আমার সম্পর্ক হয়ে গেছে বন্ধুর মতো। জহির হুজুরের গলা সুন্দর। আরবী উচ্চারণ সুন্দর হয়। হুজুর প্রতিদিন আরবী পড়া শেষ করে, যাওয়ার আগে বাচ্চাদের একটা করে হাদীসের গল্প বলেন। গল্প গুলো আমি মন দিয়ে শুনি। যদিও গল্পে লজিক নেই। এই জহির হুজুর আবার একটা মসজিদের মোয়াজ্জিন। নামাজের সময় হলেই মসজিদে গিয়ে আযান দেন।

সমাজে হুজুর সম্প্রদায় না থাকলে সমাজ অচল হয়ে যাবে।
একটা শিশু জন্মের পর হুজুর লাগে। শিশুর জন্মের পর হুজুর আযান দেয়। কারো মৃত্যু হলেও হুজুর প্রয়জন। জানাজা পড়ায় হুজুর। কোনো কিছু উদ্ববোধন করতে হলে হুজুর লাগে। মিলাদ পড়াতে হুজুর লাগে। কেউ মারা যাবার আগে তওবা পড়াতে হুজুর লাগে। সমাজে হুজুর শ্রেনীর চাহিদা অনেক। দেশে মসজিদের অভাব নেই। একটা মসজিদে ইমাম লাগে, মোয়াজ্জিন লাগে, খাদেম লাগে। ঢাকার মসজিদ গুলোর ইমাম, খাদেম ও মোয়াজ্জেমের সেলারি অনেক। তাদের বাড়তি ইনকামও আছে। টাকা ইনকাম করতে তাদের অনার্স মাস্টার্স পাশ করতে হয়নি। এমবিএ করতে হয়নি। বরং এমবিএ করা ছাত্রদের চেয়ে হুজুরদের ইনকাম অনেক বেশি। হুজুরেরা আল্লাহর পথে আছেন বলেই তারা ভালো আছেন। খেয়ে পরে বেচে আছেন।

এই সমাজে বেকারের অভাব নাই।
কিন্তু হুজুরদের বেকার থাকতে হয় না। অন্তত কোরআন হাদীস জানলে দুটো ডাল ভাতের ব্যবস্থা হয়েই যায়। লাখ লাখ হুজুর কোরআন হাদীস শিক্ষা দিয়ে সুন্দর ভাবে খেয়েপড়ে বেচে আছেন। লাখ লাখ হুজুর শুধু মাত্র মসজিদে আযান দিয়ে সুন্দর ভাবে বেচে আছেন। লাখ লাখ হুজুর মিলাদ পড়িয়ে, মৃত ব্যাক্তির জন্য কোরআন খতম দিয়ে, দোয়া দূরুদ পড়ে, আরবী শিক্ষা দিয়ে, ধর্মীয় বয়ান দিয়ে, ওয়াজ মাহফিল করে, শো রুম উদ্ববোধন করে, মাদ্রাসায় বাচ্চাদের আরবী পড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তাহলে আমরা বলতে পারি, যাহারা আল্লাহর কোরআন জানে এবং জানে নবীজির হাদীস তাদের কখনও বেকার থাকতে হয় না। এই জন্যই কোরআন হাদীস শিক্ষার দরকার আছে। স্কুল কলেজের শিক্ষা ইহকালের জন্য, কোরআনের শিক্ষা ইহকাল পরকাল দুই জাহানের জন্য।

আমাদের এলাকায় একটা হাসপাতাল আছে।
খিদমা হাসপাতাল। এই হাসপাতাল পুরোটা পরিচালনা করেন হুজুরেরা। হাসপাতালের সবাই হুজুর। ওয়ার্ডবয় থেকে শুরু করে ডাক্তার, সবাই হুজুর। ইসলামী হাসপাতালের সবাই হুজুর শ্রেনীর। এমনকি ইসলামী ব্যাংকের সকলেই হুজুর। আমাদের এলাকায় এক ধনী ব্যাক্তি আছেন, উনি আগে শার্ট প্যান্ট পরতেন। প্রচুর বই পড়তেন। একদিন দেখি উনি হুজুর হয়ে গেছেন। নামাজ পড়েন, চিল্লায় যান। তার পাচ তলা দুটা বাড়ি আছে। একটা ফ্লাটে তিনি অনেক হুজুর নিয়ে ধর্মীয় আলাপ আলোচনা করেন। এরপর বিরাট খানাদানার আয়োজন করা হয়। কোনো হুজুর যদি আর্থিক সমস্যায় পড়েন সাথে সাথে উনি হুজুরকে টাকা দিয়ে দেন। হুজুরেরা পথে নামলে পুরো ঢাকা অচল হয়ে যায় বিভিন্ন সময়ে আমরা সেটা দেখেছি। আওয়ামীলীগ বা বিএনপির মিটিং মিছিলেও এত লোক হয় না।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


সামান্য পড়াশোনা করলে আপনিও হুজুরদের অনেক বেশি জানতে পারবেন ।
এখন তথ্যের অবাধ প্রবাহের যুগ ।
আমরা ইচ্ছা করলে যে কোন বই কোরআন হাদিস মাদিস সব কিছুই সুন্দরভাবে বুঝতে এবং জানতে পারবো ।
এজন্য হুজুরদের কাছে যাওয়ার কোন দরকার নাই।
মনে রাখবেন- হুজুররা হচ্ছে সমাজের আগাছা ।
তাদেরকে পরিত্যাগ করুন।

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম করে কেউ সত্য কথা বলে??

২| ১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৭

মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম নাদিম বলেছেন: ভাই, হুজুরদের এতো দোষ থাকলে বাচ্চাদের জন্য হুজুরের প্রয়োজন কেন? হুজুররা আমাদের থেকে একটা বিষয়ে অনেক এগিয়ে।সেটা হলো রিজিকের জন্য তারা আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখে।আমাদের জেনারেল লাইনের লোকদের হুজুররা তাদের পথে আনতে চান।অন্য লাইন থেকে হুজুরদের দলে যোগ দিলে হুজুররা কিন্তু স্বাগতম জানায়।বিরক্ত প্রকাশ করেন না।কিন্তু জেনারেল লাইনে বেকার বলে হুজুরদের উপর বিরক্তি।সাথে রিজিকের জন্য আল্লাহর কাছে ভরসা নাই।নিজের চরকায় তেল না দিয়ে খুঁজি হুজুররা ধর্ম শিক্ষা আর ইমামতি কেন টাকা নেয়? হুজুররা বেকার থাকলে জেনারেল লাইনের বেকারদের কী হবে সেটা খুঁজে দেখলেন না।আফসোস ভাই!

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৯

মৌন পাঠক বলেছেন: ভালো আছে উকুনেরা

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো আছে ন মানুষেরা।

৪| ১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:২৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমার ভাবী বিএ পাস করে হুজুর হয়েছেন। তিনি মহিলাদেরকে তালিম করান। তাঁর অনেক দাম। আমার তিন মেয়ের চেয়ে তাঁর তিন মেয়ের অনেক ভালো বিবাহ হয়েছে। আর আমি কামিল পাস করে কম্টিউটার শিক্ষক। সমাজে ভাবীর চেয়ে লোকে আমাকে কম দাম দেয়।

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: সব আল্লাহপাকের ইচ্ছা চাচাজ্বী।

৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


@মহাজাগতিক চিন্তা-

নারীদের জন্য কোনোভাবেই থ্রি ফোর এর বেশি পড়ার দরকার নেই।
কেননা নারীদের মূল কাজটাই হচ্ছে সংসার ব্যবস্থাপনা করা এবং স্বামীর টাকা-পয়সার হিসাব-পাতি রাখা।
তারা যত বেশি পড়াশোনা করবে তত বেশি পাপের পথে যাবে ।
নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়ার কোনই প্রয়োজন নেই ।
ইহাই ইসলামের বিধান।

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: হে হে হে---

৬| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: হুজুরের পড়ানোর রেটটা বেশী হয়ে গেছে - আরেকটু কমানো যায় না?
আপনি দিন সাতেক তারে ঠিক ঠাক নসিহত দিলে সে ব্যাটা দুনিয়াবি ও আখেরাতের সব আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। তারপর নিশ্চিত ফ্রি-তে পড়াবে :)

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমি আমার লাইনে একটু একটু এগোচ্ছি।
একবারে করতে গেলে হুজুর অজ্ঞান হয়ে যাবেন।

৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:১৮

ধুলো মেঘ বলেছেন: দেখেন জহির হুজুরকে সাইজ করা যায় কিনা! তাকে তসলিমা নাসরিন আর হুমায়ুন আজাদ ধরান। দেখবেন সেও নাস্তিক হয়ে গেছে।

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: সেই চেষ্টায় আছি।
আমি খুব ধীরে ধীরে এগোচ্ছি।

৮| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

পুরানমানব বলেছেন: আপনি হুজুর ফোবিয়াতে কঠিনভাবে আক্রান্ত হইয়া গেছেন। আপনার এহন লেখালেখি তাহারই বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নহে।
লাখ লাখ হুজুর এই করিতেছে ,সেই করিতেছে , তাহারা কি জোর করিয়া এসব করিতেছে? নাকি সাধারণ ধার্মিক মানুষ নিজের প্রয়োজনে তাহাদিগকে ডাকিতেছেন ?
অনার্স মাস্টার্স পাশ করিয়াও অনেকে যা না করতে পারিতেছে , হুজুররা তার থাকিয়াও বেশি করিয়া যাচ্ছে বলে আপনার দুঃখ উহ্য ভাবে ফুটিয়া উঠিয়াছে। ইহা স্বাভাবিক।

৯| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১০| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



সব সময় মনে রাখবেন এই জাতির সামনের দিনগুলোতে কেবল হুজুররাই এর রাজত্ব করবে ।
সামনের দিনগুলো হুজুরদের।
আল্লামা তাহেরি হুজুর সাহেব বলিয়াছেন, মাস্তানি তো হুজুররাই করবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.