নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবী করীম (সা) গুরুত্বপূর্ণ কথা কতবার করে বলতেন?

০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৮



নবীজির সব কথাই গুরুত্বপূর্ণ।
নবীজি অকারণে কোনো কথা বলতেন না। যা বলতেন বুঝে বলতেন। আবেগে ভুলভাল করে কথা বলার মানুষ নবীজি নন। কিশোর বয়সে নবীজি ভেড়ার পাল দেখাশোনা করতেন। নবীজি যা বলতেন আল্লাহর আদেশে বলতেন। নবীজি দরিদ্র ছিলেন। বাবা নেই, মা নেই। নবীজির অনেক গুন ছিলো। নবীজির সাথে যে কথা বলতেন, সে-ই মুগ্ধ হতেন। নবীজি দেখতে সুদর্শন ছিলেন। স্বাস্থ্য ভালো ছিলো। নবীজি তার জীবনে কখনো মিথ্যা বলেন নাই।

নবীজি সব কথাই স্বাভাবিক ভাবে বলতেন।
লোকজন সমস্যা নিয়ে নবীজির কাছে আসতেন। খুব মন দিয়ে নবীজি লোকজনের কথা শুনতেন। সমাধান। মানুষ জন সমস্যার সমাধান পেয়ে খুশি মনে বাড়ি ফিরতেন। মূলত নবীজি নবুয়াত পাওয়ার পর লোকজন নবীজিকে কাছে পেলেই নানান রকম প্রশ্ন করতেন। নবীজি সবার প্রশ্নের উত্তর দিতেন। নবীজির কোনো সম্পদ ছিলো না। এক ধনী মহিলা কে বিয়ে করে অনেক সম্পদের মালিক হোন। সেই সম্পদ নবীজি ইসলামের পথে কাজে লাগিয়েছেন। নবীজি কখনো নৌকায় ভ্রমণ করেননি। যাতায়াতের মাধ্যম ছিলো উট ও ঘোড়া। সেই সময় ঘোড়ার অনেক দাম ছিলো। তুলনামূলক উট ছিলো সস্তা। নবীজির বেশ কয়েকটি উট ছিলো।

নবুয়াত পাওয়ার পর নবীজি কিছুটা আড়ালেই থাকতেন।
একা একা থাকতেই পছন্দ করতেন। খুব কাছের কিছু লোকজন নবীজির দেখাসাক্ষাৎ পেতেন। হেরা গুহায় নবীজি ধ্যান করতেন। নবুয়াত প্রাপ্তির পর গভীর রাতে নবীজি দৌড়ে বাসায় আসতেন। এসে স্ত্রীকে বলতেন, আমার খুব শীত করছে। আমাকে লেপ কম্বল দিয়ে ঢেকে দাও। আসলে আমরা নবীজি সম্পর্কে যতটা জানি হাদিস থেকে জানি। কিন্তু সব হাদিস নির্ভুল নয়। সমস্যা এখানেই। হাদিস মূলত বানোয়াট।

নবীজি সব কথা একবারই বলতেন।
আমরা নবীজির উম্মত। শেষ নবীর উম্মত হওয়া বিশাল ভাগ্যের। যাইহোক, একবার নবীজির কাছে একলোক এসে বললেন, হে রাসূল আমার মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে। নবীজি চিকিৎসা দিলেন। বললেন, রোজা রাখতে। মাথার চুল ফেলে দিতে আর বরকি কোরবানী দিতে। এখন অবশ্য মাথায় উকুন হলে এত কাহিনী করতে হয় না। উকুন ধ্বংস করার শ্যাম্পু আছে। নবীজির আমলে আরব বিশ্ব জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত ছিলো না। কম্পিউটার ছিল না, ইন্টারনেট ছিলো না। মোবাইল ফোন ছিলো না। প্লেন, হেলিকপ্টার কিছুই ছিল না। আমরা যারা এ-যুগে জন্মেছি তারা ভাগ্যবান। আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া।

আরেকটা ঘটনা বলি, একবার একলোক এসে বলল, হে আল্লাহ রাসূল।
আমি নতুন বিবাহ করেছি। কিন্তু জাবির নামের একলোক আমার ঘরে উকি দেয়। নবীজি বললেন, জাবিরকে বুঝিয়ে বলো, এই কাজ না করতে। জাবিরকে বুঝানোর পরও জাবির পরের দিন আবার নতুন দম্পতির ঘরে উঁকি দেয়। লোকটা আবার নবীজির কাছে গেলেন। বললেন, তাকে বুঝিয়েছি। কিন্তু তারপরও সে আমার ঘরে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়েছে। নবীজি আবার বললেন, তুমি তাকে খুব ভালো করে বুঝাও। বুঝিয়ে বললে অবশ্যই বুঝবে। প্রয়োজনে তাকে তুমি আমার কথা বলো।

লোকটা চলে গেলো এবং জাবিরকে খুব করে বুঝালো,
সোনা ভাই আমার, মিয়া ভাই আমার প্লীজ দয়া করে আর আমার ঘরে উঁকি দিস না। আল্লাহর দোহাই লাগে। নতুন বিয়ে করেছি। বুঝতেই তো পারিস। কিন্তু জাবির পরের দিন আবার ঘরে জানালা দিয়ে উঁকি দেয়। লোকটা আবার গেলো নবীজির কাছে। বলল, হুজুর তাকে খুব সুন্দর করে বুঝিয়েছি। কিন্তু কাজ হয়নি। উঁকি দিয়েছে। এবার নবীজি রেগে গেলেন, বললেন, খেজুর কাটা দিয়ে হারামজাদার চোখ উপড়ে ফেলো। পরের দিন সত্যি স্যতি খেজুর কাটা দিয়ে জাবিরের চোখ উপড়ে ফেলা হলো। আসলে জাবির ছিলো প্রতিবন্ধী। জ্ঞান বুদ্ধি ছিলো না। এই হাদিস বিশ্বাস করার কিছু নেই। অসংখ্য জাল হাদিসের মতো এই হাদিসও জাল।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২৩

জাদিদ বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে আমি ঠিক বুঝলাম না, আপনি কি বুঝাতে চাইলেন।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: কাউকে কিছু বুঝাতে পারি না। এখানেই আমার ব্যর্থতা।

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনার মাথাটা পুরাই গেছে!!! কেনো জানি এসব পোস্ট প্রসব করেন আমার মাথায় কিছুই ঠুকেনা।

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪৩

চারাগাছ বলেছেন:
সোনাগাজী কমেন্ট করতে না পারায় আপনি মাথামুন্ডুহীন পোস্ট দিচ্ছেন।
আপনি আপনার জীবন , মানুষজন আর শহর নিয়ে লিখুন।
ইদানীং আপনার মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শঙ্কিত বোধ করছি।
মন শান্ত করুন।

৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




মরুভূমির ডাকাত।

৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ২:৫৪

আহরণ বলেছেন: একদম বাজে পোষ্ট, যাচ্ছেতাই!! ভাইয়া?

৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:৪৮

কামাল১৮ বলেছেন: হাদিস বানোয়াট হলে নবীর সম্পর্কে যা লিখা সেগুলিও বানোয়াট।যুক্তি কিন্তু তাই বলে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই বানোয়াট।

৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯

পুরানমানব বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মরুভূমির ডাকাত।

ইহার জন্ম দৌলদিয়ায়।
ইহার মাকে কয়েকজন ডাকাত একত্রে ৫০ টাকা দিয়া ভক্ষণ করিয়াছিল। তাই সর্বক্ষণ ডাকাত ডাকাত করিতে থাকে। ইহা একখানা জারজ সন্তান।

৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

মেঘনা বলেছেন:

পুরানমানব বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মরুভূমির ডাকাত।
ইহার জন্ম দৌলদিয়ায়।
ইহার মাকে কয়েকজন ডাকাত একত্রে ৫০ টাকা দিয়া ভক্ষণ করিয়াছিল। তাই সর্বক্ষণ ডাকাত ডাকাত করিতে থাকে। ইহা একখানা জারজ সন্তান


পুরানমানবের মাকে কয়েকজন ডাকাত একত্রে ৫০ টাকা
দিয়া যে ভক্ষণ করেনাই তার প্রমান কী ?


৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩২

পুরানমানব বলেছেন: মেঘনা বলেছেন : পুরানমানবের মাকে কয়েকজন ডাকাত একত্রে ৫০ টাকা
দিয়া যে ভক্ষণ করেনাই তার প্রমান কী ?

পুরানমানব কোনো ধর্মের আলোচনায় কাওকে অযথা তিরস্কার করিয়া কথা বলে নাই আজ পর্যন্ত।
যাহারা অযথা অপ্রাসংগিক মন্তব্য করিয়া থাকে এবং অন্যধর্মকে অবজ্ঞা করিয়া পোস্ট করে তাহাদের কে জারজ বলিয়া সম্বোধন করিয়া থাকে।
আপনি যেহেতু আগ বাড়াইয়া আমারে কাউন্টার দিতে আসিয়াছেন এখন থাকিয়া আপনিও আমার নিকট জারজ বলিয়া বিবেচিত হইলেন। আপনি কি দৌলদিয়ার দালাল না মাসি?

১০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯

তাবরিযি বলেছেন: ১) আপনি যে কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন সব কয়েকটিই বানোয়াট। কোনোটার উৎসও তো দিলেন না।
২) নবীজির শত্রুও ছিলেন, তার জীবদ্দশায় অমুসলিমও ছিলো। তাদের থেকেও নবীজির সম্পর্কে আমরা জানতে পাই। তাদের লেখা কিছু কবিতা, একে অপরকে লেখা কিছু চিঠি, বিদেশিদের পাঠানো চিঠি থেকেও নবীজির জীবন সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। অতএব, "আমরা নবীজি সম্পর্কে যতটা জানি হাদিস থেকে জানি"- উক্তটি ভুল।
৩) বাইবেল যেভাবে দূষিত(মুসলিমদের মতে) হয়েছিলো একই ভাবে হাদিসও দূষিত হতে শুরু করেছিল। তাই তৎকালিন মুসলিম পণ্ডিতরা হাদিস যাচাইয়ের জন্য ৫টি শর্ত বিশিষ্ট ফিল্টার নির্ধারন করে। শর্তগুলো হলোঃ
১. বর্ণনাকারী সত্যবাদি এবিষয়ে সার্বজনিন ঐক্যমতের প্রমান থাকতে হবে,
২. বর্ণনাকারীর স্মৃতিশক্তি ভাল এবিষয়ে সার্বজনিন ঐক্যমতের প্রমান থাকতে হবে,
৩. বর্ণনাকারীদের ধারা ত্রুটি মুক্ত হতে হবে ও এ ধারার সবার অপর উপরের শর্তগুলো প্রযোজ্য হবে,
৪. বর্ণনাকৃত হাদিসটি অন্য কোন হাদিসের সাথে সাংঘর্ষিক হবে না,
৫. বর্ণনাকৃত হাদিসটি ব্যাকরণগত, শরিয়াগত অসামঞ্জস্যতা মুক্ত হতে হবে।
কোনো হাদিসে এই শর্তগুলোর কোনো একটিতে সন্ধেহের অবকাশ থাকলেই তা সহিহ হাদিস বলে বিবেচনা করা বাদ দেয়া হয়। কিছু হাদিস এই শর্তগুলোর কোনো একটিতে সামান্য দুর্বল কিন্তু অন্যগুলয় সবল হলে তা হাসান ক্যাটাগরিভুক্ত করা হয়। প্রত্নতাত্তিক প্রমান পাওয়া গেলে এসব হাদিসকে সহিহ হাদিস ভুক্ত করা হয়। আর যেসব হাদিস এক বা একাধিক শর্তে দুর্বল হয় তা দা'ঈফ ক্যাটাগরিভুক্ত করা হয়। এখনো প্রতিনিয়তই হাদিস নিয়ে গবেষণা হয়, সহিহ কিনা যাচাই হয়। তবে কয়েক শতাব্দী ধরেই কোনো সহিহ হাদিসে উক্ত ৫ শর্তে ত্রুটি আবিষ্কার হয় নাই। বরং অনেকগুলো হাদিসের(সহিহ ও হাসান উভয়ই) একাধিক সতন্ত্র সাক্ষ্য, লিখিত প্রমাণ পাওয়া গেসে, এগুলোকে মুতাওয়াতির বলে। এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে Hadith Science নিয়ে পড়তে পারেন। অতএব, "হাদিস মুলত বানোয়াট"- উক্তিটি বানোয়াট।

propositional logic তথা যুক্তি বিষয়েই আপনার পড়ালেখা কম তা বঝা যাচ্ছে। এই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করবেন আশা করি।

১১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৪

মেঘনা বলেছেন: @পুরানমানব আপনের মাকে কত জন ডাকাত ৫০টাকা দিয়া একত্রে ভক্ষণ করেছিল, বললেন না তো?

১২| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০৭

নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:

ভাতিজা,

এইডা তুমি কি কৈলা।
নবীজী অনেক বালা মানুষ।
তার নামে আকু কতা কৈবা না।

১৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:১০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: রাজীব ভাই, পুরো ঘটনা সূত্রসহ উল্লেখ করার অনুরোধ ধাকছে। তিনি সম্মানী ব্যক্তি, তাকে নিয়ে কোন বিষয়ে সঠিক না জানা থাকলে সে বিষয়ে না লিখাই ভালো। ধন্যবাদ।

১৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৩

নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:

ভাতিজা,

তুমি তওবা করো।
নৈলে তোমার বিরাট খবর আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.