নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালো থাকার জন্য কি প্রয়োজন?

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪



ভালো থাকার জন্য ভালোবাসার প্রয়োজন।
স্বচ্ছ সরল পবিত্র ভালোবাসা। আর একটা প্রিয় মুখ। যাকে দেখতে ভালো লাগে। যার স্পর্শ ভালো লাগে। যার কথা ভাবতে ভালো লাগে। যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগে। যার সাথে সময় কাটাতে ইচ্ছা করে। যাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করে। চুমু খেতে ইচ্ছা করে। তবে কারো কাছ থেকে ভালোবাসা পাওয়ার চেয়ে, কাউকে নিজের সবটুকু দিয়ে ভালোবাসা ভালো। ভালো থাকার জন্য খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। যার চাহিদা কম তার দু:খ কষ্ট কম। সবচেয়ে বড় কথা ত্যাগ বা ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হয়। জীবন থেকে লোভটা চির বিদায় করতে পারলে আপনি এমনিতেই ভালো থাকতে পারবেন। হাসিখুশি থাকতে পারবেন।

ভালো থাকার জন্য পৃথিবীর সেরা বই গুলো থাকা প্রয়োজন।
আলমারি ভরতি বই থাকবে। যখন যে বই ভালো লাগবে, সেটা আলমারি থেকে বের করে পড়তে বসে যাওয়া। হাতে থাকবে চায়ের মগ। আর ঝুম বৃষ্টির দিনে ব্যলকনিতে বসে কবিতার বই হাতে নিয়ে কবিতা পড়তে পড়তে অন্য ভুবনে চলে যাওয়া। আবেগে ভেসে যাওয়া। প্রিয় বই, প্রিয় মুভি আর একজন প্রিয় মানুষ! আর কি চাই? আর কিচ্ছুর প্রয়োজন নেই। যার বেশি চাহিদা সে কখনো জীবনে সুখী হতে পারবে না। শ্রী সাথে লোভী মানুষেরা কখনো ভালো থাকতে পারে না।

ভালো থাকার জন্য প্রয়োজন টাকা।
সীমাহীন টাকার দরকার নেই। সুন্দর ভাবে বেচে থাকার জন্য যতটুকু না হলেই না। সেই টাকা কেউ আপনাকে এমনি এমনি দিবে না। টাকা আয় করতে হয়। উপার্জন করতে হয়। মাস শেষে কিছু টাকা আয় করা কঠিন কিছু না। পরিশ্রম করলেই টাকা আসবে। সফলতা আসবে। টাকা দিয়ে প্রিয় মানুষের মুখে হাসি ফোটানো যায়। টাকা দিয়ে আনন্দ অর্জন করা যায়। টাকা দিয়ে অনেক সমস্যার সমাধান করা যায়। টাকা হলো হাতের শক্তি, মনের সাহস, পায়ের জোর। কাজেই টাকা ইনকাম করতেই হবে। টাকার জন্য কারো দিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না। ইনকামের পথ খুজে নিয়ে ইনকাম করতে হবে।

ভালো থাকার জন্য নিজ তীব্র ইচ্ছা থাকতে হবে।
শুধু নিজে একা ভালো থাকলে হবে না। পরিবারের সবাই কে নিয়ে ভালো থাকতে হবে। সেটাই আসল ভালো থাকা। আপনার প্রিয় মানুষেরা ভালো থাকলে আপনি এমনিতেই ভালো থাকবেন। সত্য কথা বলতে কি একজন প্রিয় মানুষ থাকলে কাজ করে আনন্দ পাওয়া যায়। দীর্ঘদিন বেচে থাকতে ইচ্ছে করে। সারাদিন কাজ করে সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার জন্য আপনি ছটফট করবেন। কারন আপনার প্রিয় মানুষ আপনার জন্য অপেক্ষা করে বসে আছে। শ্রাবন মাসের আকাশে বিদ্যুৎ চমকাবে। ঝির ঝির করে বৃষ্টি হবে। আপনি ভিজতে ভিজতে প্রিয় মানুষের কাছে যাবেন।

আমি ভালো আছি। অথচ আমার গাড়ি নেই, বাড়ি নেই, ব্যাংকে কারি কারি টাকা নেই। জমি নেই। দামী পারফিউম নেই, অনেক কিছুই নেই। আমার সকাল শুরু হয় শুন্য পকেটে। অথচ আমি ভালো আছি। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে আমি আকাশ দেখতে পারি। বিশাল আকাশ। ভোরের আকাশ দেখা দারুণ ব্যাপার। ইচ্ছে হলেই আমি আমার প্রিয় গান গুলো শুনতে পারি। ইচ্ছে হলেই আমি পায়ে হেটে চলে যেতে পারি কাওরানবাজার। আমার ডাক্তারের কাছে ছুটতে হয় না। করাতে হয় না নানান রকম টেস্ট। খেতে হয় না কোনো ওষুধ। এরচেয়ে বড় শান্তি আর কি আছে! আপনি সুস্থ থাকলে আপনি আপনার প্রিয় মানুষদের সুস্থ রাখতে পারবেন। এজন্য সবার আগে আপনাকে সুস্থ থাকতে হবে। ফিট থাকতে হবে।

আমি সুস্থ আছি। ভালো আছি।
বছরের পর বছর আমাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না। শেষ কবে ডাক্তারের কাছে গেছি মনে নেই। হ্যা তবে মাঝে মাঝে মাথা ব্যথা হয়। তখন একটা নাপা খেয়ে রমনা পার্কের বেঞ্চে শুয়ে থাকি। বিশ মিনিট পর মাথা ব্যথা চলে যায়। রমনা পার্কে ফুলি নামের একটা মেয়ে ফুল বিক্রি করে। ফুলির সাথে আমার খুব ভাব। ফুলি কিশোরী মেয়ে। হাসিখুশি। ফুলি ভালো রান্না জানে। ফুলি রান্না জানে। একদিন সে আমাকে রান্না করে খাইয়েছে। ফুলির ইচ্ছে একদিন তাকে আমি চিড়িয়াখানা নিয়ে যাবো। সে বাঘ দেখবে, সিংহ দেখিবে। হাতির পিঠে চড়বে। আমার ইচ্ছে করে ফুলিকে একটা সুন্দর জীবন দেই। তাকে স্কুলে ভরতি করিয়ে দেই। পার্কে ফুল বেচা বন্ধ করে দেই। সন্ধ্যায় সে বই নিয়ে পড়তে বসবে।

ভালো থাকার জন্য হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষদের খুজে বের করা প্রয়োজন।
একআধদিন কিছুই ভালো লাগে না। তখন সুবর্না কে ফোন দেই। বড় ভালো লাগে। সূর্বনা একসময় আমার জন্য পাগল ছিলো। কত পাগলামি না সে করেছে। আর এখন স্বামী সন্তান নিয়ে সুখে আহ্লাদে গলে গলে যাচ্ছে। ভরদুপুর বেলা সুবর্নার বাসায় যাই। সে খুব যত্ন নিয়ে আপ্যায়ন করে। বড় ভালো লাগে। দীর্ঘদিন বেচে থাকতে ইচ্ছে করে। সুবর্না আমার স্ত্রী হতে পারতো। সুবর্নার মসৃন কোমল বুকে যখন তখন মাথা রাখিতে পারতাম। রাতদুপুরে চা চাইলে৷ একটুও বিরক্ত না হয়ে চা করে দিতো। রাত জেগে দুজন মুভি দেখিতাম। তারপর দুজন জোড়াজুড়ি করে ঘুমিয়ে পড়তাম।

মাঝে মাঝে নীলাকে ফোন দেই।
বলি, ফুলার রোডে আসো। তোমার হাত ধরে হাটতে হাটতে শহীদ মিনার পর্যন্ত যাবো। আর অন্ধকার হয়ে এলে তোমার কোমর ধরে ঠোঁটে চুমু খাবো। আমার কথা শুনে নীলা হাসে। খুব হাসে। শেষমেশ নীলা আসে। আমরা ফুলার রোডে হাটি। চা খাই, আইসক্রিম খাই। সন্ধ্যা ঘন হয়ে আসে। নীলার চলে যাওয়ার সময় হয়। আমি নীলাকে তার বাসা পর্যন্ত এগিয়ে দেই। কিন্তু নীলাকে চুমু খাওয়া হয় না। এক আকাশ লজ্জা আমার কাধে এসে ভর করে। চুমু না দেওয়ার কারণে হয়তো নীলাও কিছুটা বিরক্ত হয়। আমি সাহসী মানুষ নই। শেষমেশ দুজন দুজনকে কথা দেই আবার দেখা হবে। তারপর আমি ফিরে আসি আমার ঘরে। মনে মনে বলি, লাইফ ইজ বিউটিফুল।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫১

নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:


ভাতিজা,

তুমি কি ভালো আছো?

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৩

নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:

ভাতিজা

এই নীলা বেটিটা কে?
আমাকে বলো।
আমি ব্যবস্থা নেব।

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



পছন্দের মানবীকে চুমু খাওয়ার মাঝে মজাই আলাদা!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.