নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় কন্যা আমার- ৭১

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪১



প্রিয় কন্যা আমার- তুমি অনেক বড় হয়ে গেছো।
সব কথা বলতে পারো। গুছিয়ে কথা বলতে চেস্টা করো। বেশ দুষ্ট হয়ে গেছো। মাঝে মাঝে আমার সাথে রসিকতা করো। তুমি যা-ই করো আমার ভালো লাগে। আমি মুগ্ধ চোখে তোমার কর্মকাণ্ড দেখি। অবাক হই! আনন্দ পাই। তোমার মা আমার জীবনে এসে আমাকে বদলাতে পারেনি। কিন্তু তুমি পেরেছো। তুমি যথেষ্ট আনন্দ নিয়ে বড় হচ্ছো। কোনো কিছুর অভাব নেই তোমার। তোমার কিছু চাইতে হয় না। চাওয়ার আগেই তুমি সব পেয়ে যাচ্ছো। আমি যতদিন বেচে আছি, তোমার কোনো ভয় নেই, সমস্যা নেই। ছায়া দিয়ে, মায়া দিয়ে আগলে রেখেছি। যে ছেলে বা মেয়ে ছোট বয়সে বাবাকে হারায় তাদের অনেক কষ্ট। আমি অনুভব করি, আমি বেচে না থাকলে তুমি কতটা কষ্ট নিয়ে বড় হবে। কথাটা সত্য, বাবার টাকা থাক বা না থাক, বাবার বেচে থাকাটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

প্রিয় ফারাজা তাবাসসুম খান, একসময় মৃত্যু নিয়ে আমি চিন্তিত ছিলাম না।
মরন আসলে মরে যাবো। ব্যস শেষ। কিন্তু এখন আমার মরতে ইচ্ছে করে না। আমি মারা গেলে তুমি আনন্দ নিয়ে বড় হতে পারবে না। বাবার মতো করে দুনিয়ার কেউ তোমাকে ভালোবাসবে না। স্বচ্ছ পবিত্র ভালোবাসা বাবা ছাড়া কেউ দিতে পারবে না। আজ সন্ধ্যায় তোমাকে নিয়ে হাটতে বের হয়েছি। টানা এক ঘন্টা তুমি হেটেছো। হাটতে হাটতে তুমি অনেক কথা বলো। বড় ভালো লাগে আমার। নিজের অজান্তেই মনে হয় লাইফ ইজ বিউটিফুল। অবাক করে দিয়ে আজ তোমাকে নতুন কেডস কিনে দিয়েছি। নতুন জুতো পেয়ে তুমি অনেক খুশি। তোমার চেয়ে বেশি খুশি আমি নিজে। তোমার খুশিই আমার খুশি। নিজের আনন্দ নিয়ে আর ভাবি না। সব ভাবনা তোমাকে নিয়ে।

প্রিয় কন্যা আমার- আমি খেয়াল করে দেখেছি, তুমি তোমার মাকে বেশি ভালোবাসো।
মাকে নিয়ে তোমার অনেক চিন্তা। তুমি ঘুম থেকে উঠে সবার আগে তোমার মাকে খুজো। আজ জুতো কিনতে গিয়ে, তুমি বললে মার জন্যও কিনো। অথচ আমাকে জুতো কেনার কথা বললে না। আইসক্রিম কেনার সময় তুমি তোমার মার জন্য কিনতে চাও, অথচ একবারও আমার কথা ভাবো না। টিভির রিমোট তোমার হাতে থাকলে, আমি চাইলেও আমাকে দাও না। এমনকি তোমার টিভি দেখা শেষ হলে তুমি টিভি বন্ধ করে দাও। তবুও রিমোট আমাকে দাও না। অথবা একবারও বলো না, বাবা এবার তুমি টিভি দেখো। এজন্য আমি টিভি দেখাই ছেড়ে দিয়েছি। যখন তুমি ছিলে না প্রতিদিন কমপক্ষে একটা মুভি দেখতাম। বই পড়তাম। এখন তোমাকে সময় দিতে গিয়ে বই পড়া হয় না, মুভি দেখা হয় না।

প্রিয় ফারাজা তাবাসসুম খান ফাইহা, সকালে তুমি ঘুম থেকে উঠে আগ্রহ নিয়ে স্কুলে যাও।
এই বিষয়টা আমার খুব ভালো লাগে। স্কুল থেকে প্রতিদিনই তুমি নতুন কিছু না কিছু শিখছো। স্কুলে গিয়ে তুমি এখন প্রায় সময়ই ইংরেজিতে কথা বলো। এত অল্প সময়ে ইংরেজি কিভাবে শিখলে! পটাপট ইংরেজি বলো। মাঝে মাঝে আমাকে বাবা না বলে বলো, ডেডি। ডেডির চেয়ে বাবা ডাকটাই আমার বেশি ভালো লাগে। যেইভাবে সারাদিন তুমি ইংরেজিতে কথা বলছো, আমার মনে হয় আর এক বছর পর তুমি বাংলায় কথা বলা ভুলে যাবে। স্কুল থেকে ফিরেই তুমি ছবি আঁকো। দুপুরে ভাত খাওয়ার সময় তুমি ইউটিউবে তোমার প্রিয় অনুষ্ঠান গুলো দেখো। বিকেলে তুমি ঘুম দাও। সন্ধ্যায় ওঠো। সন্ধ্যায় তুমি নাস্তা খাও, পাস্তা। কোনো দিন পিজা। কোনোদিন স্যান্ডউইচ। অথচ পিজা স্যান্ডউইচ এইসব খাবার আমার একেবারেই পছন্দ না।

প্রিয় কন্যা আমার- রাতে বাসায় ফিরতে আমার দেরী হয়ে যায়।
তুমি আমার জন্য জেগে বসে থাকো। আমি খালি হাতে বাসায় ফিরি না। তোমার জন্য খেলনা আনি। খেলনা পেলে তুমি ভীষণ খুশি হও। সব সময় তোমার এক কথা, বাবা আমার জন্য অনেক খেলনা এনো। আমিও নানান রকম খেলনা এনে তোমাকে অবাক করে দেই। একটা হাতি আর গরু আনলাম। চাবি দিয়ে ছেড়ে দিলেই হাতি দৌড় দেয়। শব্দ করে এবং হাতির পেটে নানা রকম আলো জ্বলে। গরুরও একই অবস্থা। তোমার এতটুকু বয়সে আমি তোমার জন্য যতটুকু করি, আমার বাবা হয়তো আমার জন্য এতটুকু করে নাই। তুমি ভাগ্যবতী। আজ তুমি নিজেই বললে বাবা রেস্টুরেন্টে গিয়ে চিকেন ফ্রাই খাবো। আর বাসায় ফেরার পথে আইসক্রিম। খাবার নিয়ে তোমার কোনো বায়নাক্কা নেই। সব খাবার তুমি খাও। মিষ্টি কুমড়া দিয়ে চিংড়ি মাছ তোমার খুব পছন্দের। মাংস তুমি পছন্দ করো। মূরগীর লেগ পিছ তোমার বিশেষ পছন্দ। তোমার মা তোমাকে ছোটবেলা থেকেই সব খাবার খাওয়া শিখিয়েছে। আমার মা আমাকে সবজি খাওয়া শেখায় নাই। এজন্য আমি বেশির ভাগ সবজি খাই না।

প্রিয় ফারাজা, আজ লেখা এখানেই শেষ করছি।
তার আগে দেশের পরিস্থিতির কথা কিছুটা বলা যেতে পারে। দেশ কোন দিকে যাচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না। আওয়ামী লীগের যে নেতাকে পাওয়া যাচ্ছে তাকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। ড: ইউনূস সাহেবের পরিকল্পনা কি আমি জানি না। উনি কবে নির্বাচন দেবেন দেশবাসী জানে না। শেখ হাসিনার শেষ পরিনতি কি হবে সেটাও বুঝা যাচ্ছে না। সেনাবাহিনীর গোপন ইচ্ছে কি সেটা ধারণা করা যাচ্ছে না। জামায়াত ক্ষমতা পাওয়ার জন্য ভীষণ মরিয়া হয়ে গেছে। আমি চাই না জামায়াত ক্ষমতায় আসুক। তারা ক্ষমতায় আসলে দেশ আফগান হবে। জামায়াত শিবির বড় ভয়ংকর। এদিকে বিএনপির বুকে আশা জেগেছে। পনের বছরে তারা হাসিনাকে সরাতে পারে নাই। কোমলমতিরা সেটা করে দেখিয়েছে। বাজারের জিনিসপত্রের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। এদিকে তুমি শুনলে অবাক হবে ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়ে গেছে। রাশিয়ার পুতিন, কোরিয়ার কিম আর আমেরিকার ট্রাম্প এরা চাইলে বিশ্বকে নরক বানিয়ে দিতে পারে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯

আহরণ বলেছেন: ওরে বাবা!! আপনার কন্যা অনেক বড় হয়েছে।

যেমন বাবা, তেমন মেয়ে.......... নাম তারচেয়েও বেশি ৭১, আমাদের স্বাধীনতা।

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপুর জন্য শুভ কামনা।

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৯

নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:




নাতিনীটারে
কবে
বুরখা
কিনইন্যা
দিবা,
ভাতিজা?

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০০

প্রামানিক বলেছেন: আশির্বাদ রইল

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আপনার কন্যার জন্য শুভকামনা রইলো।

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৮

আজব লিংকন বলেছেন: কন্যারা বাবা ভক্ত হয়।
ভাতিজীর জন্য দোয়া ও শুভকামনা।
আল্লাহ ওকে মানুষের মত মানুষ হওয়ার হেদায়েত দিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.