নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ডায়েরী- ১৫১

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:১৫



আমার মনে হচ্ছে আমার ওজন বাড়ছে!
আমি সারা জীবন রোগা পাতলা থাকতে চেয়েছি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমার ওজন বাড়ছে। ওজন মাপালাম। ৮৫ কেজি। ১৫ কেজি ওজন বেড়েছে। ইহা দুঃখজনক। এখন আমার হাটতে ভালো লাগে না। শরীরটা ভারী ভারী লাগে। সেদিন টিভিতে মিস্টার বিন দেখছিলাম। আমার কন্যা এসে বলল- বাবা তুমি মোটু হয়ে গেছো। কন্যার কথায় নিজেকে আয়নায় ভালো করে লক্ষ্য করলাম। হ্যা আমাকে কিছুটা মোটা মোটা লাগছে। সবচেয়ে দুঃখজনক ভুড়ি বাড়ছে। উঁচু পেট আমার দুই চক্ষের বিষ। আমি ভুড়ি চাই না। সিদ্ধান্ত নিলাম এখন থেকে নিয়মিত দুইবেলা, সকাল আর সন্ধ্যা হাঁটবো। এরপর একমাস পার হয়ে গেছে আর হাটা হয় নাই। হাটা এবং সাঁতার কাটার বিকল্প নেই। সাইকেল চালানো যেতে পারে। তবে ঢাকা শহরে সাইকেল চালিয়ে আরাম নেই।

উত্তরা থেকে মেট্রোরেলে উঠেছি।
মতিঝিল নামবো। কিন্তু কাওরানবাজার নেমে গেলাম। কারন প্রচন্ড ভিড়। মানুষের গা থেকে বিশ্রী গন্ধ আসছে। কলেজে সবচেয়ে সুন্দর একটা মেয়ের সাথে আমার প্রেম প্রায় হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু মেয়েটার গায়ে কেমন একটা গন্ধ ছিলো। এজন্য মেয়েটার সাথে প্রেম হয় নাই। যাইহোক, কাওরানবাজার নেমে দেখি গজব জ্যাম। এই জ্যামে বসে থাকার কোনো মানে হয় না। হাটতে হাটতে চলে গেলাম মাছের বাজারে। কি মনে করে একটা রুই মাছ কিনে ফেললাম। বড় রুই। ফারাজা এত বড় মাছ দেখলে খুশি হবে। কিন্তু মাছটা বাজার থেকে কেটে নিতে হবে। বাসার বটি দিয়ে এই মাছ কাটা যাবে না। বড় একটা মাছ মুহুর্তের মধ্যে কেটে ফেলল। মাছ দুই রকম করে কাটা হয়। চায়নিজ কাট আর বাংলা কাট। যেহেতু আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা কাট দিলাম। চায়নিজ কাট রেস্টুরেন্টে দেয়।

আমি মোবাইলে একটা গেমস ডাউনলোড করেছি।
বড় অদ্ভুত একটা গেমস। গেমসটা এই রকমঃ এক মহিলা প্রেগন্যাট। তার শরীর-মন ভালো নেই। বাসায় সে একা। রাতে তার স্বামী বাসায় ফিরেছে। স্ত্রী দরজা খুলে দেখে তার স্বামী সাথে করে একটা মেয়ে নিয়ে এসেছে। মেয়েটা সুন্দর। বিশাল বক্ষ। লাল একটা জামা গায়ে। ঠোঁটে কড়া করে দেওয়া লাল লিপস্টিক। স্বামী ঘরে ঢুকেই তার স্ত্রীকে বলল- তুমি বাড়ি থেকে বের হয়ে যাও। তোমাকে আর দেখতে চাই না। স্ত্রী কান্না করতে করতে বলে, এই অবস্থায় আমি কোথায় যাবো? আকাশের অবস্থা ভালো না। স্বামী রেগে গিয়ে বলল, জাহান্নামে যাও। তারপর লাল জামা পরা মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে শুরু করলো।

স্ত্রী কান্না করতে করতে বাসা থেকে বের হলো।
স্বামী সাথে সাথে দরজা লাগিয়ে দিলো। স্ত্রী হাঁটছে। সে জানে না সে কোথায় যাবে? কারন, দুনিয়াতে তার কেউ নেই। নয় মাসের বাচ্চা পেটে নিয়ে হাটতে তার কষ্ট হচ্ছে। বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা। খুব বাতাস দিচ্ছে। দেখতে দেখতে শুরু হলো তুষারপাত। মেয়েটার গায়ে কোনো শীতের জামা নেই। হাটতে হাটতে মেয়েটা কোথায় যেনো গেলো। এরপর আর পথ নেই। সামনে জঙ্গল। মেয়েটা ঝড় তুফান থেকে বাঁচার জন্য জঙ্গলে ঢুকে গেলো। তার ভাগ্য ভালো। জঙ্গলে একটা কাঠের ভাঙ্গা বাড়ি পেলো। সেই ভাঙ্গা বাড়িতে মেয়েটা আশ্রয় নিলো। আশ্রয় নিয়ে লাভ হলো না। ভাঙ্গা বাড়ি, দরজা জানালা কিছুই নেই। মেয়েটার বিরাট বিপদ। আল্লাহ যেন এরকম বিপদে কাউকে না ফেলেন।

অসহায় একজন নারী। তার বাচ্চা হবে।
আমার ভীষন মায়া লাগছে মেয়েটির জন্য। এই মেয়েটিকে আমি বাঁচাবো। মূলত এই খান থেকেই গেমস শুরু হয়। আমার প্রথম কাজ ভাঙ্গা দরজা সারাই করা। দ্বিতীয় কাজ মেয়েটার ডেলিভারির ব্যবস্থা করা। অনেক বড় দায়িত্ব, পারবো কিনা জানি না। ঝড় এখনও থামেনি। এর মধ্যে আরেক বিপদ- ঘরের কোনা দিয়ে বিশাল এক সাপ উকি দিচ্ছে। ঘরের দরজা খোলা পেয়ে ঘরে প্রবেশ করছে এক ভাল্লুক। এবং একদল হায়েনা। গজব অবস্থা। সাপ দেখে মেয়েটা অজ্ঞান হয়ে গেছে। ক্ষুধার্থ সাপ ও হায়েনা গুলো মেয়েটার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমার হাতে কোনো অস্ত্র নেই। আমি কিভাবে মেয়েটাকে বাঁচাবো? আল্লাহ ছাড়া কেউ বাঁচানোর নেই। আল্লাহ নিরাকার। আল্লাহ নিজে কিছু করেন না। উনি উছিলা পাঠান। উছিলা হচ্ছে ফেরেশতারা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৪৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনার পরিমিতি আহার ও প্রচুর হাটাহাটি দৌড়াদৌড়ি করা দরকার।
বেশী মোটা হওয়া কোন আনন্দের কথা নয়।
এতে হার্টের উপর চাপ বাড়ে।


তিনি মানুষরে কল্পনার জীব।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: বড় ভাই, আমার মৃত্যু সন্নিকটে।
মৃত্যুর পর আল্লাহর কাছে কি জবাব দিবো? কবরে মুনকার আর নকির সাহেবের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো তো? নইলে শুরু হয়ে যাবে আযাব। করবের আযাব। অবশ্য আমি সূরা মূলক পড়ছি। নবীজি বলেছেন, সূরা মূলক পড়লে কবরের আযাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: একদম হাটাহাটি হচ্ছে না। রাতে ঘুম কম হচ্ছে। খাওয়া দাওয়া হিসাব ছাড়া হচ্ছে।
বুঝতে পারছি নিয়ম মেনে না চললে কপালে দুঃখ আছে।

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৪২

যামিনী সুধা বলেছেন:



ঢাকায় কোন সুইমিংপুল আছে, যেখানে আপনি যেতে পারবেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.