![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
শেখ হাসিনা চলে যাবার পর-
উপদেষ্টারা ভালো কিছু করে দেখাতে পারেননি। বরং সমগ্র বাংলাদেশে চুরী, ডাকাতি, ছিনতাই এবং চাঁদাবাজি ত্রিশ গুন বেড়েছে। সেই সাথে দূর্নীতি ও ধর্ষন অব্যহত আছে। এমন পরিস্থিত গত ৫৪ বছরে কেউ দেখেনি। ভয়াবহ এক অরাজকতার মধ্যে আছে দেশ এবং দেশের মানুষ। দেশের সবাই কেমন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে আছে! আওয়ামীলীগের পতনের পর- দেশের মানুষ ইউনুসের উপর বিশ্বাস ও ভরসা করতে চেয়েছিলেন। গত ১৫ বছর আওয়ামীলীগ যত না ক্ষতি করেছে, অন্তবর্তী সরকার মনে হচ্ছে আওয়ামীলগকে ছাড়িয়ে যাবে। বিএনপির এত দিন যারা গর্তে লুকিয়ে ছিলো- তারা আজ খুব চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলছেন। রিজভী থেকে শুরু করে মির্জা আব্বাসও। নারায়নগঞ্জে এক সন্ত্রাসী ২২ বছর পর কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছে। সে-ও চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলছে। আর জামাতের লোকজন তো মুখে কথার খই ফুটেছে। ইউনুস সাহেবও বড্ড চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলছেন।
কিছু দিনের মধ্যে হয়তো ইউনুস সাহেব বলবেন-
দেশে/বিদেশে কোনো মুক্তিযোদ্ধা নেই। সব মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছে। তাই মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বন্ধ। জুলাই মাসে ছাত্ররা দেশ নতুন করে স্বাধীন করেছে। অর্থ্যাত দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে- ৩৬জুলাই। এই যুদ্ধে অংশ গ্রহন করা সকল ছাত্র-জনতা আমাদের মুক্তিযোদ্ধা। এদের ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। যেহেতু ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধারা নাই। সব মারা গেছে। অর্থ্যাত সারজিস, হাসনাত, নাহিদ এরা মুক্তিযুদ্ধের জন্য (২য় স্বাধীনতা) সরকারি ভাতা পাবে। ভেবে দেখুন, দেশের কি করুন অবস্থা! রাজাকারের ছত্রছায়ায় থাকা দিকভ্রষ্টদের মুক্তিযোদ্ধা ভাবা হচ্ছে! কি নৈতিক অবক্ষয় আমাদের! ইউনুস সাহেব হয়তো এইসব পথভ্রষ্টদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেট প্রকাশ করে দিবেন। মীর জাফরদের কালো ছায়া থেকে কি এই দেশ কোনোদিন মুক্ত হতে পারবে না? আমার বিশ্বাস এই জাতি ৭১ এর পরাজিত শক্তিদের যথাসময়ে থামিয়ে দেবে।
ইউনুস সাহেব নির্বাচন দেবেন।
কিন্তু উনি হয়তো নতুন নিয়ম চালু করবেন। নতুন কেবিনেট করবেন। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলেও কিছু ক্ষমতা থাকবে কেবিনেটের হাতে। কেবিনেটের প্রধান থাকবেন উনি। উনি উপর থেকে কলকাঠি নাড়বেন। এরকম হবারও সম্ভবনা আছে। বাংলাদেশ হচ্ছে সব সম্ভবের দেশ। বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিন নোবেল কমিটিকে চিঠি দিয়েছেন, ইউনুসের নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়া হোক। চারপাশ দেখে শুনে তসলিমা নাসরিন ক্ষেপে গিয়েছেন। কি হচ্ছে দেশে! তসলিমা নাসরিন গভীর সত্যটা অনুভব করতে পেরেছেন। কম কষ্টে তিনি এরকম চিঠি লিখেন নি। এখন আশা করি ইউনুস সাহেব তার ভুল গুলো অনুধাবন বুঝতে পারবেন এবং লজ্জা পাবেন। উনি নিজেকে শুধরে নেবেন। এখনও যদি উনি নিরপেক্ষ না হোন, তাহলে দেশের সমস্ত মানুষ উনার বিপক্ষে চলে যাবে। দেশের মানুষ আজ গভীর দুঃখে দুঃখী। স্বাধীন দেশে মানুষ আজ না খেয়ে থাকে। চিকিৎসা পায় না। অসহায় আর দরিদ্র মানুষের সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। বেকার বাড়ছে।
অন্যায় করলে শাস্তি পেতে হবেই।
এই কথাটা মানুষ ভুলে যায়। অপরাধ করে কেউ পার পায় না। এখন যারা অন্যায় করছে, অপরাধ করছে তারাও পার পাবে না। নো নেভার। রাজনীতির খাতায় যারা নাম লেখাবে তাদের নানান দুর্ভোগ পোহাতে হবেই। শেখ মুজিবের মতো মানুষকে করুন ভাবে মরতে হয়েছে। শুধু আমাদের দেশের মানুষ নয়, বিশ্বের যে কোনো দেশের মানুষকেই রাজনীতিতে নামলে- কপালে দুঃখ আছে। গান্ধী, মেন্ডেলা, কেনেডি, চে সহ কেউই রাজনীতির করুন পরিণতি থেকে বাচতে পারেনি। এই ইউনুস, সমন্বয়ক ও বৈষম্যবিরোধীরাও পাচতে পারবে না। কপালে তাদের অনেক দুর্ভোগ রয়েছে। দেরী হোক, যায়নি সময়। জামাত শিবিরের চেয়ে আওয়ামীলীগ ভালো। মন্দের ভালো হলেও ভালো। রাজাকারদের বিচার, শেখ মুজিবের হত্যাকারীদের বিচার করেছে আওয়ামীলীগ। দাগী আসামীদের গ্রেফতার করেছে আওয়ামীলীগ। কিন্তু ইউনুস সাহেব দাগী আসামীদের ছেড়ে দিচ্ছেন। এরপরেই দেশে চুরী, ডাকাতি, ছিনতাই বেড়ে গেছে।
রিকশাচালক থেকে শুরু করে সবজি বিক্রেতা-
ছাত্র থেকে শুরু করে- চাকরিজীবি। কেউ কিছু মানছে না। যেন দেশের কোনো মা বাপ নেই। যার যা খুশি করছে। যেন দেশে কোনো আইন নেই। পুলিশকে ধ্মক দিচ্ছে গাড়ি চালক। অথচ গাড়ি চালকের ভুল। অটো রিকশা চালক ধমক দিচ্ছে পাঠাও চালককে। সবাই ক্ষমতা দেখাচ্ছে। ১৯৭১ সালের ছাত্র আর ২০২৫ এর ছাত্র, এক নয়। রাত দিন প্রার্থক্য। এযুগের এরা ছাত্র না এরা জল্লাদ। এরা সন্ত্রাস। এরা কেন বিপথে গেলো আমি ভেবে পাই না। ছাত্রদের প্রধান কাজ লেখাপড়া করা, এরা লেখাপড়াটাই করে না। ভারতের ছাত্র ছাত্রীরা লেখাপড়া করে নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য করে তুলেছে। আর আমাদের দেশের ছাত্ররা নিজেদের সন্ত্রাস ও জঙ্গি হিসেবে তৈরি করছে। এখন সময় ৭১ এর পরাজিত শক্তি জামাত শিবিরের। তারা সমানে গলা ফাটাচ্ছে। জামাতের আমির চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলছেন। একটা শিশু যখন নতুন কথা শিখে, তখন সে সারাদিন কথা বলতে থাকে। দীর্ঘদিন জামাতকে অফ করে রেখেছিলো আওয়ামীলীগ। এখন আওয়ামীলীগ না থাকাতে জামাত কথা বলার সুযোগ পেয়েছে।
০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ৯:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০২ রা মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৫০
কাঁউটাল বলেছেন: হতাশা লীগ
০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: !
৩| ০২ রা মে, ২০২৫ দুপুর ২:৩৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আগামী কয়েকমাস শেখ হাসিনার বিচার হবে, রায় হবে।
০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ৯:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনা অন্যায় টা কি করেছেন?
আর কোন শালা শেখ হাসিনার বিচার করবে?
৪| ০২ রা মে, ২০২৫ বিকাল ৩:১৩
Sulaiman hossain বলেছেন: হাসিনার দলের মধ্যে কয়েকটি ডগ থাকার কারনে আজকে হাসিনার এ-ই দশা
০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ৯:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।
৫| ০২ রা মে, ২০২৫ বিকাল ৩:২৬
আমি নই বলেছেন: সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আগামী কয়েকমাস শেখ হাসিনার বিচার হবে, রায় হবে।
০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:০১
রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনাকে অনেকের মতো কুতুব সাহেবও ভয় পান।
৬| ০২ রা মে, ২০২৫ বিকাল ৫:২২
যামিনী সুধা বলেছেন:
ড: ইউনুস সুদের কাজটা বুঝে, এই লিলিপুটিয়ান এর বাইরে কিছুই জানে না।
০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:০২
রাজীব নুর বলেছেন: ইউনুস সাহেব জাতির বিরাট ক্ষতি করে চলেছেন।
৭| ০২ রা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৮
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।সহমত ।
০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৮| ০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:৩১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমরা সবাই রাজা আমাদেরি রাজার রাজত্বে।
০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: না আমরা সবাই রাজা নই। কেউ কেউ প্রজা।
৯| ০৩ রা মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৬
আমি নই বলেছেন: লেখক বলেছেন: শেখ হাসিনাকে অনেকের মতো কুতুব সাহেবও ভয় পান।
একমত আপনার সাথে।
রক্তপিপাসু দানবকে সবাই ভয় পায়। কুতুব সাহেব আবার কোন কুতুব যে ভয় পাবেনা?
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৫
আদিত্য ০১ বলেছেন: নোবেল ধুইয়া ধুইয়া শফির সোনার ছেলেরা আর ২৪-এর লাল বাহিনীরা ২৪ ঘন্টা পানি খাক, তাতে যদি তাদের ভাত না খেতে হয়। আমাদের ভাত মাছ খেতে হয়, সেই ভাত মাছের জন্য আমরা ঘাম জড়িয়ে সৎভাবে পরিশ্রম করে উপার্জন করি। এই সব তিন শূণ্যে কল্প কাহিনী গরীবের জোকের মুখে শুনে আমাদের গ্রামের হত দরিদ্র মানুসের জিবন মান পরিবর্তন হয় নি, বরং তাদের রক্ত চুষে খেয়ে এই মানি লোক আম্রিকায় হিলারি ইলেকশনে টাকা ঢালে, পদ্মা সেতু না হওয়ার জন্য ভেটু দেয়, বিশ্বব্যাঙ্কে লবিং করে মিথ্যা দোষারোপ করে। পদ্মাসেতু দিয়ে জীবন মান পরিবর্তনে সারাদেশে কতটা ফেলছে তা হিসাবে সামান্য হলেও, দক্ষিন বঙ্গের মানুসগুলো যে কতটা উপকৃত হইছে, তা দক্ষিন বঙ্গের মানুসগুলো জানে। এই নোবেল দিয়ে পদ্মাসেতুর পিলারও করতে পারতো না। এই নোবেল কি চিবিয়ে খাবে এই গরীব নাখাবুঙ্গা মানুসগুলা। উনি নাকি আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়, এই জন্য উলটা ১ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকাইয়া তাকে ভালো করে খেলে দিছে জান্তা সরকার। যা করে গেছে শেখের বেটি করে গেছে। আগামী ২০ বছরেও পদ্মাসেতু মেট্রোরেল এর মত অনেক কিছুই হবে না
স্লোগান এখন উল্টা হবে দেইখেন
আমি কে তুমি কে আওয়ামীলীগের দালাল,
আমি কে তুমি আওয়ামীলীগের দোসর,
এই স্লোগান গণ মানুসের হব একদিন