![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
পাশের বাসায় বিয়ে হচ্ছে।
পুরো বাড়ি আলোকসজ্জা করেছে। আমি মনে মনে ভাবছি, অনেকদিন বিয়ের অনুষ্ঠানের দাওয়াত পাই না। দাওয়াত পেয়ে গেলাম। কিন্তু দাওয়াতে যেতে পারিব না। আমি কিছুটা অসুস্থ। প্রেসার বেড়ে যাচ্ছে। যখন তখন মাথা ঘুরায় আর চোখে ঝাপসা দেখি। কিছুটা দুর্বল লাগে। ডাক্তারের কাছে যাবো যাবো করে এক সপ্তাহ কাটিয়ে দিলাম। আসলে আমার কখনো অসুখ বিসুখ হয় না। শেষ কবে ডাক্তারের কাছে গিয়েছি, মনে পড়ে না। যাইহোক, গতকাল রাত থেকে হঠাৎ জ্বর হলো। কিছুটা শরীর ব্যথা। জ্বরের ওষুধ খেয়ে জ্বর কমিয়েছি। কিন্তু শরীরে জ্বালাপোড়া একটা ভাব আছে। যখন জ্বর আসে, মাথা ব্যথা শুরু হয়।
মা এমনিতেই অসুস্থ মানুষ।
কিডনির সমস্যা। প্রতিদিন অনেক গুলো ওষুধ খেতে হয়। এবং প্রতিমাসে অনেক গুলো টেস্ট করতে হয়। এর মধ্যে মায়ের আকাশ পাতাল জ্বর। সেই সাথে পুরো শরীর ব্যথা। একদিনে মা শুকিয়ে গেছে। হাটতে পারে না, এমন অবস্থা। মাকে কোনো রকমে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম। ডাক্তার অনেক গুলো টেস্ট দিলো। টেস্টের রিপোর্ট আসার পর ডাক্তার সিদ্ধান্ত নেবেন হাসপাতালে ভরতি করতে হবে কিনা। মায়ের ডেংগু জ্বর হয়নি। কিন্তু প্লাটিলেট কমে গেছে অনেক। মাকে হাসপাতালে ভরতি করানো হলো। মা বেশ অসুস্থ। আমরা চার ভাই মায়ের জন্য চিন্তিত। বাসার কাছে এক হাসপাতালে মাকে ভরতি করানো হয়েছে। সেই হাসপাতালের মান সরকারি হাসপাতালের কাছাকাছি।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় সব ঘরেই কারো না কারো জ্বর।
বর্ষাকালে মানুষের অসুখ বিসুখ বেশি হয়। ছোট ছোট বাচ্চারা জ্বরে আক্রান্ত। ওষুধ খেলে জ্বর কমে না। সাপোজিটর ব্যবহার করতে হয়। যুগের সাথে সাথে জ্বরের ধরন বদলে গেছে। যাইহোক, আমি জ্বর নিয়েই লিখতে বসেছি। জ্বর আমাকে কষ্ট দিচ্ছে না। আমাকে কষ্ট দিচ্ছে গোপালগঞ্জের ঘটনা। আর্মি কেন দেশের মানুষকে গুলি করে মারবে? আর্মির কাজ দেশের মানুষের নিরাপত্তা দেবে। গুলি করার মতো কোনো পরিস্থিতি হয়নি। ইহা অত্যন্ত দুখজনক। ইউনুস সাহেব রাজাকারদের ভালোবাসেন। এজন্য রাজাকাররা সমাবেশ করার সাহস পেয়েছে। শেখ হাসিনা তাদের দমিয়ে রাখতে পেরেছিলেন।
মিরপুরে এক কাজে গিয়েছি।
রাস্তায় প্রচুর জ্যাম। বাসায় কি করে ফিরবো, তাই ভাবছি। একলোক রাস্তায় ডাব বিক্রি করছে। বড় বড় ডাব। মাঝে মাঝে বাসার জন্য ডাব কিনি। কিন্তু আমি কখনো খাই না। কি মনে করে, ডাব বিক্রেতা কে বললাম- একটা ডাব দাও। পানি যেন বেশি হয় আর নারকেল যেন না হয়। একদম কচি ডাব দেবে। বিক্রেতা বেছে একটা ডাব দিলো। পুরো ডাব নিমিষে খেয়ে ফেললাম। দাম একটু বেশি নিলো। ১৫০ টাকা। জামাতের লোকজন মিছিল নিয়ে যাচ্ছে। দাড়িয়ে দাড়িয়ে ওদের দেখলাম। বর্ষাকাল, তাই এই রোদ, এই মেঘ। এই বৃষ্টি। সময় মধ্যদুপুর। এক রেস্টুরেন্ট থেকে বিরানীর ঘ্রান আসছে। খেতে বসলাম। খাবারের মান ভালো নয়। দুই নলা খেয়ে উঠে গেলাম।
মেয়ের জন্য আপেল কিনলাম।
ফারাজা আপেল পছন্দ করে। আমি বাসায় থাকলেই মেয়ে আমার কাছে একটা আপেল আর ছুরি নিয়ে এসে বলবে, বাবা আপেল কেটে দাও। অথচ সুরভিকে বলে না। লোকমানকে ফোন দিলাম। লোকমান আমার চুল কেটে দেয়। বললাম, চুল কাটা দরকার। লোকমান বলল, আজ তো রবিবার। রবিবার দুপুরবেলা সেলুন বন্ধ করে দেই। সাপ্তাহিক নিয়ম। আমি বললাম, আর কিছু সময় থাকো। আমি আসিতেছি। লোকমান চুল কেটে দিলো। চা এনে খাওয়ালো। সব সময় তাই করে। চা না খাইয়ে সে ছাড়বে না। বিনিময়ে তাকে দেশের পরিস্থিতি বলতে হয়। আমার কথা সে মন দিয়ে শুনে, এই বিষয়টা আমার ভালো লাগে। এমনকি লোকমান আমার কাছ থেকে কখনো চুলা কাটার জন্য কখনো টাকা নেয় না।
২| ২০ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:২৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লোকমান টাকা নিতে না চাইলেও তাকে দিয়ে দিন।
এটা তাঁর পেশা।
তাঁর আয়ের উৎস।
রুটি রুজির ভরসা।
তাকে সম্ভব হলে উপহার দিন।
৩| ২০ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৭
আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: জীবনের গল্প,লেখাটি ছোটগল্প কিন্তু লেখার ধরন উপন্যাসের মতো । লেখায় একধরনের মাদকতা আছে যা পাঠককে আকৃষ্ট করে - কিছুটা হুমায়ুন আহমেদ এর মতো । । লেখা চালিয়ে যান ...আপনার লেখার হাত ভালো তবে ভাষায় সাধু-চলিত মিশ্রন পাঠকের বিরক্তির কারণ হতে পারে ।
৪| ২০ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কাউটাল আর আপনার মাঝে ১৯/২০ ফারাক। ইউনুস সাহেব কি শেখ হাসিনার মতো রাজাকার রাজাকার বলে বিরোধি দল দমন করবে ? এখন গোপালের মানবাধিকার নিয়ে বড়োই ভাবনা আপনার বাট নিজের আসল মনোভাব এতে লুকানো যায় না । দেশে তো এত রাজাকার ছিলো না । এখন কই থেকে আসলো ? খোজ নিলে দেখা দিবে এদের মাঝে এমন লোক ও আছে যারা আপনার দলের হাতে মাইর খেতে খেতে বিরোধি দলে যোগ দিয়েছে। লিগের মাঝে এতো গোপন দলের মেমবার কেনো ? কারণ হইতেসে দমন । সঠিক পরিবেশে সবাই যার যার দলে ফেরত গিয়েছে বা যাবে । এটা আবারো বোঝা গেলো কোনো আইডিলওজি দমন করে শেষ করা যায় না । আপনি একটা সমাবেশ নিতে পারছেন না কিসের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন ?
৫| ২০ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
শেখ হাসিনা জামাআত, বিএনপিসহ অন্যদের গায়ের জোরে দমিয়ে রেখেছিলেন, মানে অন্যদের গণতান্ত্রিক ও নাগরিক অধিকার হরণ করেছিলেন। দেশকে মগের মুল্লুকে পরিণত করেছিলেন। আজ সেই কাজের প্রতিফল তিনি পালিয়ে গিয়ে ভোগ করছেন, আর তা দেখে আফসোস করছে বোকা এবং আহম্মকরা।
লোকমান চুল কেটে টাকা নেয় না। কারণ কী? টাকা চাইতে ভয় পায় আপনার কাছে?
৬| ২০ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:৪৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার বয়সতো বেশি না। এত অল্প বয়সে প্রেসার , চোখে ঝাপসা দেখাতো ভাল লক্ষন না। আপনার এই অবস্থার জন্য দায়ি আপনার গুরু। আপনাকে বিপথে পরিচালিত করে , নিজে বিদেশে আরামে আছেন। আওয়ামিলীগ সম্পর্কে বর্তমানে আপনি যা লিখেন তা জোর করে নিজেকে দিয়ে লেখাচ্ছেন। আপনার নিজের সাথে অন্তর্দ্বন্দের প্রভাব পড়ছে আপনার শরীরে। ডাক্তার দেখান। ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:২২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ডায়াবেটিসের লক্ষণ আছে।
তৈলাক্ত খাবার বাদ দিতে হবে।
গরু ছাগল কম খান।
সম্ভব হলে গরু হয়ে যান।
মানে শাকপাতা আর ফলমুল বেশী করে খান।