![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আন্তন চেখভ একজন রুশ চিকিৎসক, নাট্যকার এবং ছোট গল্পকার।
উনি বিশ্বসাহিত্যের সেরা ছোট গল্পকার। দরিদ্র পরিবারে জন্ম। তিনি লিখতে শুরু করেন পড়াশোনার খরচ চালাতে। চিকিৎসক হওয়ার পর তিনি, লেখায় আরো বেশি মনোযোগ দেন। লেখালেখি করে টাকা আসতে থাকে, তাই তিনি রোগীদের কাছ থেকে ভিজিট নিতেন না। এই মহান চিকিৎসক ও লেখক ৪৪ বছর বয়সে মারা যান। সাল ১৯০৪। চেখভের গল্প পড়ে বিশ্বের সকল পাঠক মুগ্ধ। চেখভের নাটক আমি বিটিভিতে দেখেছি। আগে বিটিভিতে বিশ্ব সাহিত্যের সেরা গল্প নিয়ে নাটক তৈরি হতো। চমৎকার কিছু নাটক দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমার।
চেখভের বাবা মা ব্যবসা করতেন।
পুরো রাশিয়া তারা ঘুরে বেড়াতেন। চেখভ তার বাবা মায়ের কাছে ভ্রমনের গল্প শুনতেন। চেখভ মানুষের জীবনের গল্প গুলো জানার জন্য পুরো রাশিয়া ঘুরে বেড়িয়েছেন। এক মেয়ে চেখভকে বিয়ে করার জন্য পাগল। চেখভ তাকে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, বিয়ের পর তুমি তোমার মতো থাকবে, আমি আমার মতো। আমার কোনো বিষয়ে নাক গলাবে না। বিশেষ করে আমার লেখালেখি নিয়ে। মেয়েরা সাহিত্য কম বুঝে। তারা বুঝে শপিং। তারা পছন্দ করে বিলাসিতা। ৪২ বছর বয়সে চেখভ অসুস্থ হয়ে পড়েন। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি। ঘরবাড়ি বিক্রি করে দিয়ে হয়েছে।
আন্তন ৫২২ টি ছোট গল্প লিখেছেন।
সমাজের বাস্তব ঘটনা গুলো নিয়ে তিনি লিখেন। তার সেরা একটা গল্প হচ্ছে 'কেরানির মৃত্যু'। অতি চমৎকার গল্প। ছোট গল্পের জন্য আমাদের আছেন, রবীন্দ্রনাথ। কলকাতার সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আর আমাদের হুমায়ুন আহমেদ ছোট গল্প ভালো লিখেছেন। চেখভ তার গল্পের চরিত্র গুলোর বর্ননা এমন ভাবে দিতেন, যেন চরিত্র গুলো আপনি চোখের সামনে দেখতে পাবেন। চেখভের একটা গল্পের নাম 'দ্য ডার্লিং'। চমৎকার গল্প। অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর একটা গল্প। 'প্রজাপতি' গল্পটা আমার ভীষণ পছন্দের। তার গল্পের প্লট অতি সাধারণ। চেখভ গল্প বলেন দারুণ ভাবে।
চেখভ বলেছেন, যে লিখতে পারে,
সে একটা ছাইদানি নিয়েও সুন্দর গল্প লিখতে পারে। তার লেখায় উঠে আসে মানুষের মনের গোপন কথা গুলো। চেখভের লেখায় বারবার উঠে এসেছে, রাশিয়ার সমাজ ব্যবস্থা ও জীবন। লেখকের শৈশব কেটেছে অভাবে। 'দি আইল্যান্ড অব সাখালিন' নামে তিনি একটা ভ্রমণ কাহিনী লিখেছেন। চেখভ সব সময় বলতেন, জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত হতে হবে। কুসংস্কার থেকে দূরে থাকতে হবে। মহল্লায় মহল্লায় পাঠাগার গড়ে তোলো, উপসনালয় নয়। যে সমাজে উপসনালয় বেশি, সেই সমাজের উন্নয়ন হয় না। উপসনালয় গুলো মানুষকে ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যায়।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনারা গরীবস।
ভুখা মানুষ, ধরো বই, ওটা হাতিয়ার'- কার্ল মার্কস।
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৯
নতুন বলেছেন: এখন সুধু পাঠ্য বইয়ের জন্য লাইব্রেরী আছে।
সামনে সেগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে।
সবাই এখন ফেসবুক পড়ে, বিশ্বসাহিত্যের বুক পড়ার সময় নাই।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখজনক।
আমি যত রাতেই বাসায় ফিরি, কয়েক পাতা হলেও পড়ে ঘুমাতে যাই।
৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪২
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
পর্ণের বই রাখলে লোকজন লাইব্রেরীতে আসবে।
৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৭
কামাল১৮ বলেছেন: পাঠাগার জ্ঞানের বাতিঘর।
৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
সিলেটে আমার পাঠাগারটির বয়স ১ বছর হলো। ওটাকে চালাতে কষ্ট হচ্ছে।
৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমাদের ছোট্ট গ্রামে কম পক্ষে হাফ ডজন মসজিদ আছে।
তবে কোন লাইব্রেরী নেই।
যাদের যেটা দরকার তারা তো সেটাই বানাবে।
৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫১
মাস্টারদা বলেছেন: পাঠাগার বেশি দরকার।
শুরুটা ইকরা দিয়ে। "তোমাদের রবের দোহাই লাগে; পড়।" বলার মধ্য দিয়ে।
৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৪
বিজন রয় বলেছেন: মহল্লায় মহল্লায় পাঠাগার গড়ে তোলো, উপসনালয় নয়........... ৯৫% এর দেশে আপনি এটা কিভাবে আশা করেন?
৬০/৭০ এর দশকে আশা করতে পারতেন।
এখন আর সেটা সম্ভব নয়।
৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
প্রধানমন্ত্রী উপজেলায় উপজেলায় মডেল মসজিদ বানিয়েছেন।
কিন্তু মডেল লাইব্রেরী বানাননি।
তাই মানুষ পয়দা না হয়ে দানব পয়দা হয়েছে।
তারা এখন দেশ ধ্বংস করার মহান কাজটাই করছে।
১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মানুষের সর্ব নিকৃষ্টতম আবিষ্কার হচ্ছে ধর্ম।
ইহা মানব জাতিকে বিভক্ত করেছে।
ধর্ম পরিত্যাগ করা অপরিহার্য।
১১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:০২
বিজন রয় বলেছেন: আপনি তো মন্তব্যের উত্তর করেন না।
কারন কি?
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:২৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মানুষ পাঠাগার কিভাবে গড়ে তুলবে ? বইয়ের দাম কেমনে বেড়েছে সে খেয়াল আছে ? কাগজের উপর শুলকো বাড়াতে বাড়াতে আপনার আপা মানুষের পড়ালেখা কে জয় বাংলা করে দিয়েছে। সব বইয়ের দাম ডাবল।