![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আজ বাংলা ভাদ্র মাসের ২০ তারিখ।
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী ভাদ্র মাসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হিন্দুরা মনে করে- এই মাস পবিত্র। এজন্য তারা এ মাসে তীর্থে যায়। ভাদ্র মানে যিনি কল্যাণ দান করেন। ভাদ্র মাস গ্রেট শ্রীকৃষ্ণ ও গণেশের জন্মমাস। শ্রী কৃষ্ণের চেয়ে গনেশকে আমার খুবই ভালো লাগে। নাদুস নুদুস দেখতে। তার গলা কেটে যাওয়ার পর হাতির মাথা লাগিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটা এরকমঃ একদিন গনেশের মা গনেশকে বলেন, পুত্র আমি স্নান করিতে যাইতেছি। তুমি দুয়ারে বসিয়া থাকো। খবরদার কেউ যেন না আসে। গনেশ বললেন, মা নিশ্চিন্ত থাকিও। একটা পিপড়াও যাইতে পারিবে না। একটু পর গনেশের বাবা আসে। সে ভিতরে যেতে চায়। গনেশ বলে, তুমি যাইতে পারিবে না বাবা। বাবা বললেন, গাধা ছেলে কয় কি! বাবা রেগে গেলেন। আমার স্ত্রী স্নান করছে আর আমি যাইতে পারিব না!! পুত্র তুই সরে দাঁড়া। নইলে তোর খবর আছে। পুত্র বলিল, স্যরি বাবা। মায়ের আদেশ আমি জীবন দিয়া রক্ষা করিব। বাবা রেগে গিয়ে এক কোপে পুত্রের মাথা কেটে দেন। গনেশের মা স্নান শেষ করে এসে দেখেন তার পুত্রের গলা কাটা। গনেশের মা কান্না শুরু করেন। তখন গনেশের বাবা স্ত্রীকে বলেন, চিন্তা করো না। আমি কিছু একটা ব্যবস্থা করছি। গনেশের বাবা ত্রিশুল ছুড়ে মারেন। এই ত্রিশুল যার গায়ে গিয়ে পড়বে তার মাথা গনশের গলায় লাগিয়ে দেওয়া হবে। বড়ই মজার গল্প। এইসব মজার গল্প অন্য কোনো সময় বলিব।
আর কিছুদিন পর শুরু হবে শরৎ কাল। আহ শরৎ! আমার প্রিয় ঋতু।
শরৎ মানেই কাশফুল। শরৎ মানেই পূজো। শরতেই মনে হয়- আমার জন্ম হয়েছিলো। কেন যে আমার জন্ম হলো? আল্লাহপাক আমাকে কেন দুনিয়াতে পাঠািলেন? তার উদ্দেশ্যটা কি আমাকে নিয়ে? আল্লাহ যদি আমাকে দুনিয়াতে পাঠানোর আগে একটু কষ্ট করে জিজ্ঞেস করতেন- ওহে বৎস, তুমি কি দুনিয়াতে যেতে চাও? আমি স্পষ্ট ও চিৎকার করে বলতাম- না, না। নো নেভার। কিন্তু আল্লাহপাক আমার অনুমতি নেওয়ার ধারধারেন নাই। দুনিয়াতে এসে বিরাট বিপদে পড়ে গেলাম। দুনিয়াতে শান্তি নাই। আর এখন তো গজব অবস্থা কবর থেকে লাশ উঠিয়ে পুড়িয়ে দেয় ধার্মিকেরা। চারপাশ দেখে শুনে- আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। তারপরও বেঁচে আছি। কোটি কোটি মানুষের চেয়ে ভালো আছি। অবশ্য এজন্য আমার লজ্জাবোধ হয়। এই শহরেই অসংখ্য মানুষের নির্দিষ্ট থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। সেই তুলনায় আমি রাজার হালে জীবন কাটিয়ে দিচ্ছি। একটা দরিদ্র পরিবারকে দেখেছি- বছরে একবার গরুর মাংস খেতে পায় না। কোরবানীর সময়। সারা বছর তিনবেলা পানিভাতও জোটে না। পরিবারটি পানি ভাত লবন দিয়ে খেয়ে- আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে। বলে, হে আল্লাহপাক তুমি যে এত ভালো খাবার দিছো, তার জন্য লাখো লাখো শুকরিয়া। আমি বুঝি না, পরিবারটা কি আসলেই শুকরিয়া জানায় না আল্লাহর সাথে রসিকতা করে?
ভিডিও'তে দেখলাম- বেশ কিছু হুজুর শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষ করে।
এক ব্যাক্তির লাশ কবর থেকে তুলছে। মৃত ব্যাক্তির মুখের মধ্যে লাঠি দিয়ে মারা হচ্ছে। তারপর তাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা হলো। একটা মৃত ব্যাক্তিকে কেন কবর থেকে তুলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা হবে? শেখ হাসিনা চলে যাবার পর, আমাদের দেশের কতিপয় লোক তো- দেশটাকে আইয়ামে জাহেলিয়া যুগ বানিয়ে ফেলেছে। হায় কপাল! লোকটার নাম নূরা পাগলা। একদল তৌহিদি জনতা এক আকাশ আনন্দ নিয়ে নির্মম কাজটি করেছে। পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে থাকার পরও কেন এরকম ঘটনা ঘটলো? কথিত আছে- নূরা পাগলা অর্থ্যাত নুরুল হক আশির দশকের মাঝামাঝি নিজেকে 'ইমাম মাহাদি' বলে দাবি করেছিলেন। হয়তো এটাই তার অপরাধ। জুমার নামাজের পর তৌহিদি জনতা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এবং দরবার ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। দরবারের খাদেমকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। আসলে ধর্ম মানুষকে উন্মাদ বানিয়ে দেয়। অনেক পরিবার ১৯৪৭ সালে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। তারা বলেছেন, ধর্মই দেশটারে খাইলো। ধর্ম বিষয়টাই খারাপ। ধর্ম না থাকলে দুনিয়াতে শান্তির হতো। একসময় পৃথিবীতে সবনাই মানুষ ছিলো। তারপর ঈশ্বরের আবির্ভাব হয়। মানুষ হয়ে গেলো- হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান আর বৌদ্ধ।
আজ কড়া রোদ উঠেছে।
আমি সকালবেলাতেই ঘর থেকে বের হয়েছি। নাস্তা করা হয় নাই। একটা ভুল করেছি। খালি পকেটে বের হয়েছি। ঝলমলে একটি দিন। শুন্য পকেটে দিন শুরু। আল্লাহই জানে আজ ভাগ্যে কি রেখেছেন! আজ অনেক গুলো মিছিল দেখলাম। হুজুরদের মিছিল। কেউ কেউ পিকআপ- এ করে যাচ্ছেন। লম্বা পিকআপ ভ্যানের সারি। সবার হাতে পতাকা। কোন দেশের পতাকা আমি জানি না। ত্রিভুজ আকৃতির পতাকা। কোনো কোনো পতাকার গায়ে আরবীতে কিছু লেখা। আমি বুঝতে পারছি না মিছিল কেন? এটাতো কোনো রাজনৈতিক মিছিল নয়। মিছিলে বেশির ভাগ মাদ্রাসার ছাত্র। এই কড়া রোদের মধ্যে বাচ্চাদের নিশ্চয়ই কষ্ট হচ্ছে! হ্যা মনে পড়েছে- মিছিলের ঘটনা হচ্ছে- আজ আমাদের দয়াল নবী, বিশ্ব নবীর জন্মদিন। আবার এই দিনেই নবী ইন্তেকাল করেন। সবই আল্লাহপাকের ইচ্ছা। ২৫ বছর বয়সে নবীজি খাদিজার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে নবীজি নবুয়ত লাভ করেন। আল্লাহ চাইলে নবীজিকে ১৮ বছর বয়সে নবুয়ত দিতে পারতেন। আমাদের দেশে একজন ভোটার ১৮ বছর হলেই ভোট দিতে পারে। ইহা ঠিক নয়। নিয়ম হওয়া উচিত্য- চল্লিশ বছর না হলে কেউ ভোট দিতে পারিবে না। কারণ নবীজি ১৮ বছরে নবুয়ত প্রাপ্ত হননি। আল্লাহর জমিনে আল্লাহর নিয়ম চলিবে। ইহাই ইসলাম। ইহাই আমার ধর্ম।
২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
প্রধানমন্ত্রী উপজেলায় উপজেলায় মডেল মসজিদ বানিয়েছেন।
কিন্তু মডেল লাইব্রেরী বানাননি।
তাই মানুষ পয়দা না হয়ে দানব পয়দা হয়েছে।
তারা এখন দেশ ধ্বংস করার মহান কাজটাই করছে।
৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১১
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
আগামী ১০/১২ বছরে পুরো পশ্চিম, জাপান ও চিনের জনসংখ্যার ২০ ভাগের নতো "হোয়াইট কলার" চাকুরী হারাবে; এতে পুরো বিশ্ব বদলে যাবে; বাংলাদেশে খারাপ সময়ে আমেরিকান ক্যু হয়েছে; ইহা ঘুরে দাঁড়ানোর সময় ও সুযোগ পাবে না।
৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৪
বিজন রয় বলেছেন: এই লেখাগুলোকে আপনি ডায়েরি বলেন কেন?
৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৫
বিজন রয় বলেছেন: @প্রিয় মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন , মাথা ঠান্ডা রাখুন। সামনে অনেক সমস্যা।
৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৯
কবীর হুমায়ূন বলেছেন: পড়লাম ডায়েরি। ছোট ছোট ঘটনার বিরাট তাৎপর্যতার কথা। হয়তো, একদিন এ ডায়েরি ইতিহাসের কাঁচামাল হবে। শুভ কামনা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
তৌহিদী চুতিয়া।
এরা খা*কির পোলা।