![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
কার্তিক মাস। আকাশ থমথমে!
যে কোনো সময় ঝুম বৃষ্টি এসে সারা শহর ভিজিয়ে দিতে পারে। শাহেদ কি করবে বুঝতে পারছে না। তার ইচ্ছা ছিলো সে রমনা পার্কে যাবে। কোনো একটা বেঞ্চে শুয়ে আরাম করে ঘুম দেবে সন্ধ্যা পর্যন্ত। অবশ্য আজকাল সিকিউরিটি গার্ড গুলো পার্কে ঘুমাতে দেয় না। আজিব, পার্ক কি শুধু প্রেম করার জায়গা? তাহলে বেকার একটা ছেলে দুপুরে কি করবে? কোথায় যাবে? এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সাথে কথা বলা দরকার। রমনা পার্ক কোন মন্ত্রনালয়ের অধীনে? আকাশ ভরা মেঘ জমতে শুরু করেছে। যে কোনো সময় বৃষ্টি নামবে। ঢাকা শহরে বৃষ্টি মানে গজব অবস্থা। তাই শাহেদ রমনা পার্কে যাওয়ার চিন্তা বাদ দিলো। একটা খালি রিকশায় উঠে পড়লো। আজকাল ঢাকা শহরে পা চালিত রিকশা কমে গেছে। রিকশায় মটর লাগানো হয়েছে। রিকশাওলারা এখন সিএনজি- প্রাইভেট কারের আগে যেতে চায়। কোনো নিয়ম কানুন মানে না। আগে যেতে গিয়ে একসিডেন্ট করে।
শাহেদের মনে হচ্ছে-
আকাশ ভরা মেঘ থাকলেও আজ বৃষ্টি হবে না। একটু পরেই হয়তো- মেঘ কেটে গিয়ে রোদ উঠবে। শাহেদের তীব্র বিশ্বাস মেঘ কেটে যাবেই। হ্যা এরকম হয়। এজন্যই কবি বলেছেন, 'মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে।' কিছু কিছু কবি অনেক খাটি কথা বলে গিয়েছেন। কোন কোন কবি খাটি কথা বলেছেন, তার কি কোনো তালিকা আছে? বাংলা একাডেমি করে কি? বাংলা একাডেমির উচিৎ যেসকল কবি খাঁটি কথা বলেছেন- তাদের তালিকা করা। শাহেদ জামাল মনে মনে খাঁটি কবিদের একটা তালিকা করলো- জীবনানন্দ, কাজী নজরুল, রবীন্দ্রনাথ। তালিকায় রবীন্দ্রনাথকে কি রাখা ঠিক হবে? রবীন্দ্রনাথের তেজ কম। তেজ ছিল কবি নজরুলের। যদিও রবীন্দ্রনাথ একজন ম্যাজিসিয়ান। সবার মনের কথা লিখে গেছেন। রবীন্দ্রনাথের ভক্ত ছিলো নীলা। সব সময় তার গানে কবিতায় মজে থাকতো। খাঁটি কবির তালিকা করা গেলেও, খাঁটি মানুষের তালিকা করা যাবে না।
নীলার কথা মনে হলে- বুকের ভেতর দুমড়ে মুচড়ে ওঠে।
নীলা স্বামী সন্তান নিয়ে সুখে আছে। থাকুক সুখে। নীলা সুখে থাকলে শাহেদ জামালের ভালোই লাগবে। নীলা ভালো মেয়ে। সহজ সরল এবং মানবিক। একদম মায়াবতী। নীলা কখনও অন্য মেয়েদের মতো মুখে একগাদা মেকাপ করতো না। শুধু চোখে মোটা করে কাজল দিতো। তাতেই তাকে দেবী স্বরসতীর মতোন লাগতো। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস- নীলা আজ অন্যের হাত ধরে সমুদ্রের পাড়ে হাঁটছে। রাতে অন্য লোককে জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছে, এই বিষয়টা শাহেদ জামালকে যন্ত্রনা দেয়। অথচ একজন নারী তার স্বামীকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাবে এটাই স্বাভাবিক। নীলা কি তার স্বামীকে বলেছে, একদিন শাহেদ তাকে চুমু খেয়েছিলো। কোনো মেয়ে কি তার স্বামীকে বলতে পারে- বিয়ের আগে তার প্রেমিক তাকে চুমু খেয়েছে? বলা যায় না। মানুষের জীবনে প্রেম বারবার আসে। বিয়ের পরও প্রেম আসে। বিয়ের পর প্রেমকে সমাজ মেনে নেয় না। বলে পরকীয়া। পরকীয়া শব্দটা অসুন্দর। শাহেদ জামালের জীবনে একটা মেয়ে এসেছে। মেয়েটার নাম মুনা। সে থাকে হালদা নদীর পাড়ে।
শাহেদ জামাল রিকশা থেকে নামলো।
আকাশের মেঘ কেটে গিয়ে রোদ উঠেছে। ধীরে ধীরে রোদের তার বাড়ছে। শাহেদ যাবে তার বন্ধু রাজীব নূরের বাসায়। শাহেদ দেখলো-
সুন্দর মতো একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে ধানমন্ডি রাপা প্লাজার সামনে। মেয়েটার সাথে নীলার চেহারার বেশ মিল আছে। কি সুন্দর করে শাড়িটা পড়েছে! মুখটা ভীষন মায়াময়। প্রচন্ড রোদ। চারিদিকে গাড়িঘোড়ার বিকট শব্দ। শাহেদের ইচ্ছা করলো, একটা ছাতা নিয়ে মেয়েটার পাশে দাঁড়ায়, চিৎকার করে বলে, সবাই সরে দাড়ান। গাড়ির বিকট হর্ন বন্ধ করুন। শাহেদ কি মেয়েটার পাশে দাড়াবে? দুজন কোথাও বসে ঠান্ডা লেবুর সরবত খেতে খেতে দু'টা সুখ দুঃখের কথা বলবে? অথবা কোনো নদীর পাড়ে গিয়ে চুপচাপ মুখোমুখি বসে থাকবে? উবার এলো, মেয়েটি চলে গেল। তবে যাওয়ার আগে শাহেদকে মিষ্টি একটা হাসি উপহার দিয়ে গেল। কিছু কিছু মানুষের হাসি এত সুন্দর! একদম সহজ সরল স্বচ্ছ পবিত্র।
সুরভি ভাবী অনেক রকম খাবারের আয়োজন করেছেন।
সুরভির রান্নার হাত ভালো। খাবার মুখে দিলেই বুঝা যায় অনেক যন্ত করে রান্না করেছেন। করলা ভাজিতে যে ইলিশ মাছের ডিম দেওয়া যায়, শাহেদ এই বাসায় না এলে জানতেই পারতো না। বন্ধু রাজীবের বাসায় এলেই শাহেদের ভালো। ঝামেলাহীন একটি পরিবার। এই পরিবারের সবাই আন্তরিক। তাদের দুই কন্যা। বড় কন্যা পরী। ছোট কন্যা ফারাজা। এই বাসায় এলেই শাহেদের লোভ হয়, সে একটি বিয়ে করবে। তার দুটা সন্তান হবে। থাকবে একটি মমতাময়ী স্ত্রী। সুন্দর সংসার। সন্ধ্যার পর রাজীবকে ধরে রাখা যায় না। সে বাসায় যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে থাকে। সময় মতো একটা চাকরি শাহেদ পেয়ে গেলে আজ নীলা তার স্ত্রী হতো। টাপুর টুপুর নামে তার দুটা জমজ কন্যা থাকতো। হাসিখুশি একটা পরিবার তার থাকতো। শাহেদও হয়তো সন্ধ্যার পর বাসায় যাওয়ার জন্য তীব্র অস্থির হয়ে থাকতো। সুরভি ভাবী আজকাল বেশ ধার্মিক হয়ে গেছেন। হিজাব ধরেছেন। কথায় কথায় আলহামুলিল্লাহ, মাশাল্লাহ বলেন।
মনে হয় এর চেয়ে অন্ধকারে ডুবে যাওয়া ভালো।
এইখানে পৃথিবীর এই ক্লান্ত এ অশান্ত কিনারা দেশে
এখানে আশ্চর্য সব মানুষ রয়েছে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: হায় হায়!!!
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৮
ফ্রি ইনকাম ফর্মেশন বলেছেন: ফ্রিতে ইনকাম করতে এখনই ক্লিক করুন
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: যা ভাগ।
৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৯
বিজন রয় বলেছেন: শাহেদ জামাল-৮৪!
শাহেদ জামালের কখনো জ্বয় হয়েছে?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা হয়েছে।
সে বিষয় নিয়ে লেখা হয়েছে।
৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৪
সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: চমৎকার লেখা পড়ে আনন্দ পেলাম
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৩
আরোগ্য বলেছেন: এটা কি পুরানা লেখা? আগে পড়েছি মনে হচ্ছে।
৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
বাংগালীরা বেদুইন হয়ে গেছে, আলহামদুলিল্লাহ
৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
তাদের বড় কন্যা ইতিমধ্যেই এক গাদা কাপড়ের তাবুতে আটকা পড়েছে।
তাদের সামনে সমূহ বিপদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১১
খাঁজা বাবা বলেছেন: অনেকটা হিমুর প্রতিচ্ছবি