নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুনা

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৫



মুনা,

আজকাল আমি অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকতে পারি না। ১০ টা বাজতেই ঘুম এসে পড়ে। তোমাকে লিখছি কিন্তু চোখে ঘুম। গতকাল বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে গেলাম। পাশের ঘরে ফাজ্জা আর তার মা ঘুমে। তিন টায় ঘুম ভেঙে গেলো মশার কামড়ে। এখনকার মশা গুলো যেন কেমন, কামড় দিলে চুলকায়। যাইহোক, ওই ঘরে গিয়ে দেখি পুরো ঘর বরফের মতো ঠান্ডা। আমার শীতধরে গেলো। আমি এসিটা ২৫ করে দিলাম। তারপর এক গ্লাস পানি খেয়ে পাশের রুমে ঘুমাতে গেলাম।

মুহুর্তের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়লাম। ভয়ানক এক স্বপ্ন দেখলাম। আমি সাপ ভয় পাই। স্বপ্নে সেই সাপ দেখলাম। জংলা মতো একটা জায়গা। আমি বসে আছি। তখন গাছের ডাল বেয়ে দুটা সাপ নেমে আসে। স্বপ্নের মধ্যেই ভয়ে কাপতে থাকলাম। ঘুম ভেঙে গেলো। মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি তিনটা কুড়ি। ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখতে আমার ভালো লাগে। কিন্তু ভয়ংকর স্বপ্ন নয়। সহজ সরল সুন্দর স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগে। সেদিন খুব সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখলাম। এই স্বপ্নের কথা তোমাকে অন্য কোনো সময় বলিব।

মুনা, আসলে আমি নিজেকে প্রকাশ করতে পারি না। প্রকাশ করতে গেলে ভুলভাল করি। ধর্ম নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। যার ভালো লাগবে, সে নামাজ পড়বে, হিজাব পড়বে। তাতে আমার কি? কিন্তু যারা ধর্ম নিয়ে ভন্ডামি করে তাদের উপর আমার রাগ এবং ঘৃনা। মাদ্রাসার হুজুররা বলাৎকার। তাবিজ কবজ করা। ঝাড়ফুক করা। ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষকে বোকা বানানো- এসব আমি সহ্য করতে পারি না। আমার খুব রাগ হয়। ধর্মের কারণে দেশভাগ হয়ে গেলো। ধর্ম আবিস্কারের পর তো দাঙ্গা হাঙ্গামা তো কম হয় নাই। কত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে তার হিসাব নাই।

মুনা, আজকাল আমি অনেকটা পথ হাটি। টানা নব্বই মিনিট হাটি। গরমকালে হাটার সমস্যা হলো, শরীর ঘেমে যায়। আমি অবশ্য আস্তে আস্তে হাটতে পারি না। জোরে জাটি। ঢাকা শহরে কি জোরে হাটা যায়? ফুটপাত গুলোর গজব অবস্থা। এর মধ্যে মানুষের সংখ্যা যেন কয়েক গুন বেড়ে গেছে। ইস্পাহানি কলেজের সামনে একটা চায়ের দোকান আছে। টানা ৩০ মিনিট হেটে এই চায়ের দোকানে এসে এক কাপ চা খাই। দুধ চা। বিশ টাকা দাম। চা টা ভালো হয়। চা শেষ করে একটা সিগারেট ধরাই। সিগারেট শেষ করে বাসার দিকে হাটা দেই। হাটতে হাটতে রাস্তার সব কিছু মন দিয়ে দেখি।

মুনা, ভেবেছিলাম আজ তোমাকে লম্বা একটা চিঠি লিখব। কিন্তু ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। রাতে খাবো না। এখনই ঘুমাবো। বাসায় ফেরার পথে রুমালি রুটি আর সবজি খেয়েছি। রেস্টুরেন্টে যে ছেলেটা খাবার দিয়েছে তার নাম রহমত উল্লাহ। আমাকে বেশ পছন্দ করে। কয়েকদিন ওদের রেস্টুরেন্টে না গেলেই ফোন দেয়। এই রেস্টুরেন্টে যে ছেলেটা রুটি বানায় তার নাম সুজন। সুজন আমার ভক্ত হয়ে গেছে। কোনো সমস্যা হলেই সুজন ফোন দিবে। রেস্টুরেন্টে গেলেই সুজন আর রহমান বেশ খাতির করে। আগামীকাল শুক্রবার। অনেক কাজ আছে আমার।

মুনা, তোমার খবর কি বলো? সংসার ধর্ম কেমন পালন করছো? বাচ্চারা কেমন আছে? তোমার স্বামীর কি খবর? তুমি তো হিজাব ধরেছো, বাইরে গেলে বোরখা পড়ো। ধর্মীয় নিয়ম কানুন বেশ রপ্ত করেছো। তুমি নিশ্চয়ই বেহেশতে যাবে! আমার ভাগ্য মন্দ। আমাকে যেতে হবে দোজকে। তবে তুমি চাইলে আমাকে বেহেশতে নিয়ে যেতে পারো। বলতো কিভাবে? আমি বলে দেই, তুমি বেহেশতে যাওয়ার পর যদি ইচ্ছা প্রকাশ করো, রাজীবকে এনে দাও। তখন ফেরেশতারা দৌড়ে গিয়ে আমাকে দোজক থেকে বেহেশতে নিয়ে আসবে। দেখলে অনেক পাপ করেও আমি কত সহজে বেহেশতে চলে যেতে পারি। এখন বলো তুমি কি আমায় বেহেশতে নিবে?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



মুনা কি জান্নাতে গিয়ে ৭২ টা পুলা পাবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.