![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ঘরে ঘরে একই অবস্থা।
কেউ কেউ মুখে বলে, কেউ কেউ বলতে পারে না। বিয়ের কয়েক বছর পরই বউকে ভালো লাগে না। সেই প্রাচীন কাল থেকেই এমনটা হয়ে আসছে আমাদের সমাজে। তারপরও বেশির ভাগই সংসার করে যাচ্ছে। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কটা একটা গ্রেট সম্পর্ক। অথচ দুজনের একজন বেলাইনে চলে গেলেই সমস্যা। নাটক সিনেমা টিকটক ইউটিউব ফেসবুক এসব মানুষের মাথা নষ্ট করে দিচ্ছে। মানুষ ভুলে গেছে বাস্তব জীবন এবং ভার্চুয়াল জীবন এক নয়।
সমাজ দেশ বদলে গেছে।
স্ত্রী স্বামীকে পছন্দ করে না, স্বামী স্ত্রীকে পছন্দ করে না। এমনও দেখা যায় দুজন দুজনকে ভালোবেসে বিয়ে করে, কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতেই সংসারে অশান্তি। ফলাফল ডির্ভোস। এখন তো প্রতিদিন একশ' ডির্ভোস হয়। গত বিশ পঁচিশ বছর ধরে স্বামী স্ত্রীদের মধ্যে ঝগড়া বেশি হচ্ছে। অনেক স্বামী স্ত্রী দুজন দুজনকে ভালোবেসে তবু তাদের ঝগড়া হচ্ছে। তাহলে সমস্যা টা কোথায়? সংসার মানে হচ্ছে সহ্য করে যাওয়া। মানুষের জীবনে ভালো সময় আসে, মন্দ সময় আসে। তাই বলে ঝগড়া করতে হবে? রাগ তেজ দেখাতে হবে? একটু সহ্য করে নিলেই তো সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
আসলে এযুগের মানুষের মধ্যে সততা নেই,
স্বচ্ছ পবিত্র ভালোবাসা নেই, ব্যাক্তিত্ব নেই। প্রজ্ঞা নেই। ভালোত্ব নেই। মহত্ব নেই। ছাড় দেওয়ার মানসিকতা নেই। এজন্য কেউ কারো সাথে দীর্ঘদিন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারে না। স্ত্রী হতে পারে না স্বামীর মনের মতো, স্বামী হতে পারে না স্ত্রীর মনের মতো। ফলাফল সংসারে অশান্তি। সংসার আনন্দময় করার জন্য স্বামী স্ত্রী দুজনেরই ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। সংসারে যত ছাড় দেওয়া হবে, সংসার তত আনন্দময় হবে। কিছুটা তুমি ছাড়ো, কিছুটা আমি, এভাবেই মিলেমিশে সুখ ডেকে আনি। স্বামী যদি বদ হয়, তাহলে তার সাথে না থাকাই ভালো।
ফিলিংস মানে কি? আপনার প্রতি সে আকর্ষণ বোধ করছে না?
আপনার প্রতি তার ভালোবাসা নেই? আপনার সাথে সহবাস করে আনন্দ পাচ্ছে না? আপনি তার মনের মতো হতে পারছেন না? আপনি কি আপনার স্বামীর উপর খুশি? সন্তুষ্ট? অসংখ্য মেয়ে মুখবুঝে, শত অন্যায় অত্যাচার সহ্য করে সংসার করে যাচ্ছে। আমাদের সমাজে মেয়েরা স্বাধীন নয়। একটা মাস্টার্স পাশ করা মেয়েকে দেখি একা যাতায়াত করতে ভয় পায়। সমাজের পুরুষ গুলো খারাপ বলেই মেয়েদের এত দুখ কষ্ট। যে সমাজে পুরুষ ভালো, সেই সমাজে মেয়েদের দুখ কষ্ট থাকে না। ধর্মীয় কারনে মেয়েরা কোনঠাসা। ধর্ম মেয়েদের এগিয়ে যেতে দেয় না।
প্রতিটা মেয়ের উচিৎ নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলা।
ভালো ভাবে লেখা পড়া করা। ভালো রেজাল্ট করা। তারপর ভালো চাকরি অথবা বিজনেস করা। টাকা ইনকাম করা। প্রচুর টাকা ইনকাম করা। টাকা অনেক বড় শক্তি। মেয়েদের উচিৎ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পর বিয়ে করা। যে নারী টাকা ইনকাম করে তার কদর আছে। আর যে নারী টাকা ইনকাম করতে পারে না, তার কদর নাই। সংসারে সে যতই খাটাখাটুনি করুক না কেন! মেয়েরা কেন চাকরি করবে না? মেয়েরা কেন সংসারে আবদ্ধ হয়ে থাকবে? মেয়েরা কেন সংসার সংসার করে, স্বামী সন্তান নিয়ে জীবন পার করে দিবে? তারা কেন নিজের ইচ্ছে মতো জীবন যাপন করতে পারবে না? নারীরা মানুষ। তাদের মন আছে, স্বপ্ন আছে।
স্বামীরা এরকমই হয়। ঘরের খাবার তাদের ভালো লাগে না।
বাইরের দিকে তাদের নজর বেশি। স্বামীদের ভালো লাগে পরনারী। ছোক ছোক স্বভাব তাদের। অনেক ফুলের মধু খেতে চায়। একজন দিয়ে তাদের মন ভরে না। মূলত এধরনের স্বামীরা ভন্ড, ইতর, বদমাশ। এরা আসলে পরিবার থেকে সঠিক শিক্ষা পায়নি। এরা পুরুষ নামের কলংক। নারী হচ্ছে ধরনী। এই ধরনীতেই আমাদের বসবাস। যে ছেলে নারীকে সম্মান করবে না, যে ঘরে নারীকে সম্মান করা হয় না, যে সমাজে নারীদের সম্মান নেই, সেই ছেলে, সেই ঘর, সেই সমাজ মন্দ সমাজ। আসলে মানুষের দরকার শিক্ষা। সঠিক শিক্ষা। নারীরা এগিয়ে না গেলে পুরো সমাজ পিছিয়ে যাবে।
আমার নিজের কথা একটু বলি, আমার স্ত্রী আছে।
সে অতি ভালো মেয়ে। মানবিক। আমি তার উপর রাগ করি, সে অনেক লেখাপড়া করেছে কিন্তু চাকরি বাকরি কিছু করলো না। ঘরসংসার করতেই তার বেশি পছন্দ। রান্না করে। ঘর দুয়ার সব সময় সাজিয়ে গুছিয়ে রাখে। মেয়ে হওয়ার পর তার ব্যস্ততা আরো বেড়ে গেলো। মেয়েকে স্কুলে দিয়ে আসা, নিয়ে আসা।মেয়েকে পড়তে বসানো। আফসোস। মানব জীবন একবারই। তাই হেলাফেলা করা উচিৎ নয়। মানুষ হয়ে জন্ম নিলে অনেক দায়দায়িত্ব থাকে। সেসব দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করতে হয়। একা ভালো থাকা ভালো নয়। আমাদের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে হবে।
©somewhere in net ltd.