| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজীব নুর
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
শেখ হাসিনা চলে যাবার পর বাজারে জিনিসপত্রের দাম- তিন দফা বেড়েছে।
কাচা বাজার থেকে শুরু করে, কনজ্যুমার আইটেম সব কিছুর দাম বেড়েছে। কেউ কেউ তাদের প্রোডাক্টের দাম ডবল করে দিয়েছে। ওষুধ কোম্পানী গুলো তাদের ওষুধের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কেউ দেখার নাই। কেউ বলার নাই। কোম্পানী গুলো ভেবেছে, এই তো সুযোগ! শেখ হাসিনা নেই। শেখ হাসিনা থাকতে এক আঁটি লাল শাক ১৫ টাকায় পাওয়া গেছে। এখন এক আঁটি লাল শাক ৩০ টাকা। শেখ হাসিনা চলে যাবার পর দেশের বদমাশ গুলো সব বেড়ে গেছে। তাদের এখন আনন্দের শেষ নেই। কুৎসিত তাদের আনন্দ। এই বদমাশ গুলোকে এতদিন দাবিয়ে রেখেছিলেন আমাদের গ্রেট শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা আবার ফিরে আসবেন। দেরী হোক যায়নি সময়। শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে অনেকের প্যান্ট ভিজে যাবে। খুব মজা হবে। সেদিনের অপেক্ষায় আছি। জয় বাংলা।
আগে যে টাকার বাজার করলে মাস শেষ হয়ে যেতো।
এখন মাস শেষ হয় না। বাজার শেষ হয়ে যায়। টাকা শেষ হয়ে যায়। বড় বেকায়দায় আছি। বেকায়দায় আছে কোটি কোটি জনগন। দেশ যদি আমাকে ভালো না রাখতে পারে তাহলে দেশ ছেড়ে চলে যাবো। এরকম চলে যাচ্ছে বহু মানুষ। অথচ তারা যেতে চায়নি। এদেশেই থাকতে চেয়েছিলো। আওয়ামীলীগ শুধু বলেছে, ১৩' তারিখ। এতেই অনেকের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। উপদেষ্টাদের মাথা নষ্ট। এদিকে অনেক স্কুল অলরেডি ছুটি ঘোষনা করেছে। খুব প্রয়োজনে তারা অনলাইনে ক্লাশ করাবে। রাস্তায় গাড়িঘোড়া কম। জ্যাম নেই। পুলিশ সব এলাকায় টহল দিচ্ছে। কিছু সন্দেহ হলেই চেক করছে। এক কথায় বলা যেতে পারে- ১৩ তারিখের ঘোষনা শুনে অনেকের কলিজা শুকিয়ে গেছে। অনেকে ভয়ে কাঁপছে। আমার কলিজা শুকায়নি। আমি তো আর কোনো অন্যায় করিনি। যারা অন্যায় করে তারাই ভয়ে থাকে। খুব শ্রীঘই যারা এতদিন উজিয়ে ছিলো, তারা এবার ধপাস করে পড়বে।
ইউনুস সাহেব যে এত বড় ধোকাবাজি করবেন-
সেটা দেশের মানুষ বুঝতে পারেনি। উনি যে জামাত শিবির এত পছন্দ করেন, সেটা দেশের মানুষ বুঝে নাই। জাতির খারাপ সন্তান হচ্ছে জামাত শিবির'রা। এরা কোনোদিন ভালো হবে না। এরা কোনো দিন লাইনে আসবে না। যাইহোক, এসব আলাপ আজ নয়। এসব নিয়ে আমি লিখতেও চাই না। এসব লেখা অনেকেই পছন্দ করেন না। জীবনযাপনে ফিরে আসি- এক রেস্টুরেন্টে আমি টানা ১৮ দিন নাস্তা করেছি। সকালের নাস্তা। খাবার আহামরি মজা না। তবু খেয়েছি। কোনোদিন নেহারি, কোনোদিন স্যুপ, কোনোদিন ডালভাজি। হোটেলের নাম দিয়েছে- ফোর স্টার। মানের দিক থেকে টু স্টারও না। সেই হোটেলে নাস্তা খাওয়ার শেষে ওয়েটার ধনিয়া ভাজা এগিয়ে দেয়। ধনিয়ার সাথে কিছু চাল ভাজাও থাকে। আমাই সেটা চিবাই। ভালোই তো লাগে চাবাতে। এভাবে প্রতিদিন নাস্তা শেষে আমি ধনিয়া চিবিয়েছি। এখন ফোর স্টার হোটেলে আর যাওয়া হয় না। ধনিয়া ভাজা চাবানো হয় না। কিন্তু সকালের নাস্তার পরে, ধনিয়া ভাজা খেতে ইচ্ছা করে। অভ্যাস হয়ে গেছে। নেশা হয়ে গেছে।
রাতে সিএনজি করে বাসায় ফিরছি।
মাঝে মাঝে রাতে বাসায় ফিরতে দেরী হয়ে যায়। মোটামোটি অনেক রাত। বারোটা দশ। রাস্তা খালি। তুফানের মতো সিএনজি চলছে। সিএনজি ওলারা আস্তে ধীরে সিএনজি চালাতে পারে না। ফার্মগেট পার হতেই সিএনজি চালক বলল- ভাই কিছু মনে করবেন না। পরিবারের জন্য কারওয়ানবাজার থেকে একটা জিনিস খরিদ করবো। অল্প সময় লাগবে, বেশি সময় লাগবে না। আমি বললাম, ঠিক আছে। সিএনজি চালক হুজুর মানুষ। মাথায় টুপি। মুখ ভরতি দাড়ি। সিএনসজি চালক কারওয়ান বাজার রেললাইনের কাছে সিএনজি থামালো। এক ছেলেকে ইশারা দিলো। সেই ছেলে এসে কি একটা জিনিস সিএনজি চালকের হাতে দিলো। গাঁজা! হুজুর মানুষ গাঁজা খায়। আমি ভীষন অবাক হলাম। সেই সাথে চিন্তিত। এখন যদি পুলিশ আসে, তাহলে আমাকেও ধরবে। সিএনজি চালক বলল, ভয় নেই। জিনিস আমি সিটের নিচে রেখে দিয়েছি। প্রতিদিন খাই। না খেলে ঘুম আসে না। দরিদ্র টাকার অভাবে সস্তার নেশা করে। আমার এক বন্ধু আছে, সে একরাতে এক লাখ টাকার মদ খায় বন্ধুবান্ধব নিয়ে।
সকাল সাতটা পনের মিনিট।
বাসা থেকে বের হয়ে, কিছু দূর যাওয়ার পর- মাছ বিক্রেতাদের দেখা পাওয়া যায়। তিনজন লোক প্রতিদিন সকালে মাছ বিক্রি করে। দুপুর বারোটার মধ্যে মাছ বেচা সব শেষ হতে যায়। মাছ বিক্রেতা আমাকে দেখলেই বলে- মামু মাছ নিয়ে যান। প্রতিদিন একই কথা। মামু মাছ নিয়া যান। আজ বড় চিংড়ি আনছি। একের মাল। আরেকদিন বলে, মামু পাবদা আছে। নদীর পাবদা নিয়ে যান। সেই স্বাদ। তার কথার মধ্যে এক ধরনের তুচ্ছতা দেখতে পাই। অভদ্রতা। যেন আমি মাছ না খেয়েই বড় হয়েছি। মাছ বিক্রেতা প্রতিদিনই এমন করে। যেন তার মাছ অনেক দামী। এত দামী মাছ আমি কিনতে পারবো না। আমার বাসায় মাছ আসে যাত্রাবাড়ি থেকে। মাওয়া থেকে।
সেদিন যাচ্ছি, মাছ বিক্রেতা বলল- মামু মাছ খান না? তার চোখে মুখে তুচ্ছতা। ক্ষুদ্রতা। অভদ্রতা। আমি দেখলাম, আজ মাছ বিক্রেতা তিন রকমের মাছ এনেছে। পাবদা, টেংরা আর চিংড়ি। বললাম, তোমার সব মাছের দাম কত? আমার কথায় মাছ বিক্রেতা বলল- সব মিলিয়ে নয় হাজার টাকা হবে। বললাম, সব মাছ আমার বাসায় দিয়ে আসো। এই নাও তোমাকে দশ হাজার টাকা দিলাম। চারপাশে মোটামোটি একটা ভিড় লেগে গেছে। লোকজনের চোখ মুখ দেখে আমি আনন্দ পেলাম। এই আনন্দের দাম এক লাখেরও বেশি। মাছ বিক্রেতা জানে না, আমার নাম রাজীব। রাজীব নূর খান।
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১২
রাজীব নুর বলেছেন: আমি ভালো আছি।
২|
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৪
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
ভাইয়ে কি যৌবন কালে এক টিকিটে দুইটি বাংলা ছবি দেখার অভ্যাস ছিল নাকি? এমন ফিল্মি ডায়লগ? মাছ বিক্রেতা জানে না, আমার নাম রাজীব। রাজীব নূর খান। সত্য-মিথ্যার সংমিশ্রনে লেখা গল্পটি ভালো হয়েছে।
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার অবিশ্বাস বা মিথ্যা দিয়ে আমার সত্যকে আঘাত করা থেকে বিরত থাকুন।
৩|
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সত্য-মিথ্যার সংমিশ্রনে লেখা গল্পটি ভালো হয়েছে। ![]()
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০০
রাজীব নুর বলেছেন: জাতীয় সংগীত মূখস্ত হয়েছে?
৪|
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: কথায় আছে অলসের মস্তিস্ক শয়তানের লীলাভুমি; আপনার ক্ষেত্রে কথাটি যথাযথ। আপনি ১০০ টি কথার মধ্যে ৯৮টি মিথ্যা বলেন সোনামিয়ার মত।
পিয়াজ আমদানী হয়না তারপর কি ৩০০ টাকা কেজি ছাড়াইছে? হাসিনার সময় আমদানী হতো তারপরও ৩০০ টাকা ছেড়ে গিয়েছিল পিয়াজের দাম মনে আছে সে কথা।
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আসলে মানসিক ভাবে অসুস্থ।
সুস্থ ভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা আপনার নেই।
আপনার মাথায় বাসা বেঁধেছে, ঘুনপোকা।
৫|
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: চমৎকার লেখা ।
৬|
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি সম্ভবতঃ খুবই ভালো মানুষ। ভীষন ধার্মিকও হয়তো। আপনার কোনো এক মন্তব্যে দেখলাম, হজ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন।
৭|
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২৩
নতুন বলেছেন: শেখ হাসিনা চলে যাবার পর দেশের বদমাশ গুলো সব বেড়ে গেছে। তাদের এখন আনন্দের শেষ নেই। কুৎসিত তাদের আনন্দ। এই বদমাশ গুলোকে এতদিন দাবিয়ে রেখেছিলেন আমাদের গ্রেট শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা আবার ফিরে আসবেন। দেরী হোক যায়নি সময়। শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে অনেকের প্যান্ট ভিজে যাবে। খুব মজা হবে। সেদিনের অপেক্ষায় আছি। জয় বাংলা।
আপনি তো হাসিনার বড় পাংখা। ![]()
৮|
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: নতুন নকিব@ ![]()
৯|
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৬
আমি নই বলেছেন: হুমম কাচা মরিচ ১২১০ টাকা কেজি। ইউনুস-জামাত-শিবির মরিচের দাম কমানোর চেষ্টা না করে বরং কাচা মরিচ কিভাবে শুকিয়ে ফ্রিজে রেখে খাওয়া যায় সেই পদ্ধতি বলতেছে। পিয়াজের দামও বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ চলতেছে এখন। আলুর দাম ৭০ টাকা, মানুষ খাবে কি?? ২-৩ বছর আগে যেখানে ১০০ টাকায় বস্তা ভরে বাজার করা যেত, আর এখন? ১০০০ টাকাতেও ছোট পলিথিন ভরতেছেনা।
১০|
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪০
নতুন বলেছেন: অবশ্যই এক বছর আগেই তো বাংলাদেশে শেখ হাসিনা খা এর আমল চলছিলো। এখন কাচা মরিচ ১২১০ টাকা কেজি। চাল ২০০ টাকা কেজি। ডাল ৫০০ টাকা কেজি।
সোনার দাম লাখ টাকা ভরী, আইফুনের দাম লাখ টাকা, একটা গাড়ী কত লক্ষ টাকা।
আপাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন প্লিজ রানু ভাই।
রানু ভাই ভারতের পিয়াজ কত টাকা কিনেছেন? ভারতের পিয়াজ কিন্তু আমদানি হচ্ছে না।
১১|
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২৫
dupur১২৩ বলেছেন: রাজীব ভাই , তরকারিতে পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারছেন তো ?
![]()
১২|
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১:১৬
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
রাজিবের অনুধাবন সঠিক।
১৩|
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩১
শ্রাবণধারা বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের কাছ থেকে আর কিছু না হোক, চাপা মারাটা আপনি বেশ ভালোই শিখেছেন!
যাই হোক, হাসিনা-বন্দনার অংশ ছাড়া লেখাটা মোটামুটি ভালো হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই দূরাবস্থার মধ্যে আপনি চিংড়ি মাছ খেতে পারেনতো বেশ আছেন! আবার দশ হাজার টাকার মাছ কিনার সামর্থ্য মানে হাসিনার আপলে লাখ টাকা ওড়াতেন মনে হয়। দু:খ করে লাভ নেই ভাই সবসময়তো আর একরকম যায়না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকুন। বাকিরাও ভালোই আছে।