নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাউজে কাউসার

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৭



আসসালামু আলাইকুম।
হাউজে কাউসার বলতে একটা নদীকে বুঝায়। যে নদী পৃথিবীতে নেই। আছে বেহেশতে। এই ঝর্না বা নদীর পানি অতি স্বাদ। কেয়ামতের পর শুধু মাত্র মুমিনরা এই সুস্বাদু পানি পান করার সুযোগ পাবেন। এবং আনন্দে সে অভিভূত হয়ে পড়বে। মূলত এই পানি আমাদের নবীজির পক্ষ থেকে উপহার স্বরুপ। নবীজি বলেছেন, এই পানি অতি পরিস্কার। দুধের চেয়েও সাদা। সুগন্ধ যুক্ত পানি। এই পানি একবার খেলে মন ভরে যাবে। বাকি জীবনে আর পিপাসা পাবে না। এই পানি আমার ভাগ্যে কি জুটবে?

নবীজি যখন মেরাজে যান।
তখন নবীজি এই নদীর পাড়ে যান। এবং জিবরাইল (আ) কে জিজ্ঞেস করেন, নদীর পাড় খুব সুন্দর। মনি মুক্তা দিয়ে বাধানো ঘাট! জিবরাইল বললেন, হুজুর এই নদী আপনার। ইহা আল্লাহপাক আপনাকে উপহার হিসেবে দিয়েছেন। যারা নবীজির হাদিস মেনেছেন, তারা কেয়ামতের পর এই সুমিষ্ট পানি পান করতে পারবেন। যারা সুন্নত মানেননি তাদের এই পানি খেতে দেওয়া হবে না। ফেরেশাতারা তাদের তাড়িয়ে দেবেন। কেয়ামতের পর ভয়ে ডরে মানুষের মারাত্মক পিপাসা যাবে। লোকজন পাগলের মতো ছোটাছুটি করবে। তাদের গলা বুক যাবে শুকিয়ে। তারা দূর থেকে এই ঝর্নার জল দেখবে আর হায়- আফসোস করিবে।

হাউজে কাউসার নিয়ে কোরআনে আয়াত আছে।
আল্লাহ ঘোষণা করলেন, নবীজিকে কাউসার দান করা হলো। এই সূরা নাজিলের ইতিহাস এই রকম: একদিন আছরের নামাজ শেষে নবীজি মসজিদের বারান্দায় বসে ছিলেন, হঠাৎ কয়েক মূহুর্ত নবীজি অচৈতন্য হলেন। তারপর নবীজি ঠোঁট চেপে মুচকি হাসি দিলেন। এক সাহাবী প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! হে আল্লাহর পাঠানো প্রেরিত পুরুষ- আপনার হাসির কারণ কি? নবীজি বললেন, এই মাত্র আমার উপর একটি সূরা অবতীর্ণ হয়েছে। নবীজি সূরা কাউসার পাঠ করে শোনালেন। সাহাবীরা খুশিতে আত্মহারা। সঙ্গে সঙ্গে সাহাবাগন দুই রাকাত শুকরানা নামাজ আদায় করেন।

কেয়ামতের পর নবীজি হাউজে কাউসারে যাবেন সবার আগে।
অপেক্ষা করবেন, মুমিনদের জন্য। নবীর যেসব উম্মত বিদআত করেছেন তারা এই পানি পান করতে পারিবে না। অথচ তারা নবীজির উম্মত। অবাক ব্যাপার এই ঝর্নার পানি সবার আগে পান করবে সমাজের দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ জন। যারা ধনী লোকদের কন্যা বিবাহ করতে পারেন নাই। দামী খাবার খেতে পারেন নাই, ভালো জামা কাপড় পরতে পারেন নাই, তারাই কেয়ামতের পর সবার আগে হাউজে কাউসারের পানি পান করতে পারবে। নবীজি যাদের চিনেন, এমন অনেক লোক এই পানি পান করতে পারবে না।

যাইহোক, জান্নাতের এই পানি পান করতে হলে,
নবীজির প্রতিটি সুন্নত আকড়ে ধরতে হবে। এবং বিদআত, শিরক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। হে আল্লাহ, হে ক্ষমাশীল দয়ালু প্রভু আমার। আমাকে দয়া করুন, আমি যেন প্রিয় নবীর একজন ভালো উম্মত হতে পারি। নবীজির আদর্শে জীবন গড়তে পারি। জান্নাতে গিয়ে এই পানি যেন পান করতে পারি। যেহেতু জমজম পানি পান করতে পেরেছি, রোজ কেয়ামতের ময়দানেও নিশ্চয়ই আমি এই ঝর্নার পানি খেতে পারবো। আল্লাহ পাক আমাকে পিপাসায় কষ্ট দেবেন না। তিনি মহান। তিনি পরম দয়ালু। তিনি ক্ষমাশীল। পরম করুনাময়। রোজ হাশরে আল্লা আমার ক'রো না বিচার। বিচার চাহি না তোমার দয়া চাহে এ গুনাহ্‌গার।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আবার ভোল পাল্টালেন কেন? উদ্দেশ্য কি?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: একজন বেনামাজি মানুষেরও কখনো কখনো নামাজ পড়তে ইচ্ছা করে।

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: লাইনে আসুন, ইসলাম কে ভালোবাসুন।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২১

রাজীব নুর বলেছেন: ইসলাম আমার হৃদয়ে।

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩০

সুলাইমান হোসেন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন,রাজীব নূর খান,লাইনে থাকুন,
জান্নাত আল্লাহর সৃষ্টি এমন এক জগত বা মাখলুখ যেখানে সুধু সুখ শান্তি রাখা হয়েছে।আমরা দুনিয়াতে দেখি কত হাজারো মর্যাদার স্তরের মানুষ রয়েছে অনুরুপ জান্নাতেও বহু স্তরের মানুষ রয়েছে।এক স্তর থেকে আরেক স্তরের দূরত্ব তেমন যেমন আমরা দুনিয়াতে নক্ষত্রদেরকে দেখে থাকি।কুরআন হাদিস থেকেই জান্নাতের বহু মকাম এবং স্তরের কথা জানা যায়।

আরিফদের চোখে জান্নাত এক প্রকার মাখলুক,যেমন দুনিয়া এক প্রকার মাখলুক।দুনিয়ার যেমন একটি একক রুহ আছে অনুরুপ জান্নাতেরও একক রুহ আছে।দুনিয়া থেকে জান্নাতে যাওয়ার জন্য একটি গুপ্ত পথ রয়েছে,দুনিয়াতে এই গুপ্ত পথের নাম সিরাতুল মুসতাকিম,এবং আখিরাতে এটাকেই একটি পথের রুপ দেওয়া হবে যার নাম হবে পুলসিরাত,বুযুর্গদের কিতাব থেকে এটা পাওয়া যায়।

জাহান্নাম

জাহান্নামেও অনেক স্তর রয়েছে।সবার শাস্তি সমান হবেনা।পাপ অনুপাতে শাস্তি ভোগ করতে হবে।কুরআন হাদিস থেকে জানা যায় জাহান্নামে কঠিন হৃদয়ের ফেরেসতারা নিয়োজিত রয়েছে,যাদের হৃদয়ে কোনো মায়া দয়া নেই।তারা লৌহ মুদ্গর দিয়ে জাহান্নামিকে আঘাত করতে থাকবে।

আরিফদের চোখে জাহান্নাম আল্লাহর ক্রোধ বা গজবের বহিঃপ্রকাশ। জাহান্নাম এক ভয়ংকর যায়গা যেখানে আগুন ছাড়াও আরো বহুত শাস্তির উপকরন বিদ্যমান রয়েছে।

সবচেয়ে বড় শাস্তি হলো আল্লাহ তাদের কোনো ডাকের জবাব দিবেননা,তাদের দিকে তাকাবেননা,
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচিয়ে দিন।আমিন।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২২

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৪

হিমেল_বাতাস বলেছেন: রাজীব নুর মাগীর দালালী আর আকাটাগো চাটার দলে না থেকে দ্রুত লাইনে আয় ।তোগো কথা শুনলে মনে হয় তগো আকাটা যন্ত্র দিয়ে পয়দা করা হয়েছে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মন্তব্য দেখে আপনার বাবা মায়ের জন্য আমার মায়া হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.