নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই সমাজ- ৭১

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৯



ইদানিং আমি তুচ্ছ বিষয় গুলো নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছি।
হিরো আলম তার স্ত্রী রিয়ামনিকে তালাক দিয়েছে। ঘটনা এখানেই শেষ না, সে সবার সামনে রাস্তার মধ্যে দুধ দিয়ে গোছল করেছে। এবং চিৎকার করে বলেছে, তালাক, তালাক এবং তালাক। তালাক প্রাপ্ত হয়ে রিয়ামনি কান্নাকাটি করে নাই। সে স্বাভাবিক আছে। এদিকে হিরো আলম ১২টা মেয়ে যোগাড় করেছে। এই ১২টা মেয়েকে সে নায়িকা বানাবে। হিরো আলম ১২টা মেয়ে নিয়ে ধূমধাম করে নিজের জন্মদিন পালন করলো। জন্মদিনে মেয়ে গুলো কুৎসিত ভাবে নাচলো। হিরো আলমের সাথে জড়াজড়ি করলো। মেয়ে গুলোর চাল-চলন, মুখের ভাষা এবং আচার-আচরণ দেখেই মনে হয়- এরা প্রত্যেকে প্রস্টিটিউট। আমি প্রতিনিয়ত মেয়ে গুলো ও হিরো আলমের দিকে নজর রাখছি। এদের সস্তা কর্মকান্ড দেখে মজা পাচ্ছি। অলরেডি এক মেয়ের সাথে হিরো আলমের ঝগড়া হয়ে গেছে। দুজন দুজনকে কুৎসিত গালি দিয়েছে। মনে হচ্ছে ঘটনা অনেক দূর গড়াবে।

ইউটিউবে কিছু চ্যানেল আছে-
এরা ভিউ বাড়ানোর জন্য সব কিছু করতে রাজি। তাদের ভাব ভঙ্গি এমন- ভিউ'র জন্য তারা নিজের মা-বোন এমনকি স্ত্রীকে পতিতা বানাতে রাজী। এইসব ইউটুবার একজন টিকটকার মেয়েকে প্রশ্ন করে- আপনি কেমন ছেলে বিয়ে করবেন? টিকটকার মেয়ে বলে, ছেলেকে সুন্দর হতে হবে। উঁচা লম্বা হতে হবে। ইউটুবার প্রশ্ন করে, সেই ছেলের মাসিক ইনকাম কত টাকা হতে হবে? টিকটকার মেয়ে বলে, সেই ছেলের মাসিক ইনকাম ৫০ লাখ টাকা হতে হবে। তখন ইউটুবার প্রশ্ন করে আপনার মধ্যে কি আছে যে, একজন ৫০ লাখ টাকা ইনকাম করা ছেলে আপনাকে বিয়ে করবে? টিকটকার মেয়ে বলে, আমি সুন্দর। আমি ভার্জিন। আমার স্তন উন্নত। আমি মেয়েটাকে ভালো করে লক্ষ্য করি। না মেয়েটা সুন্দর নয়। হাসলে মাড়ি দেখা যায়। কথা বলার ভঙ্গি বাজারের নটিদের মতোন। সর্বোপরি মেয়েটা মগজহীন। আমি নিশ্চিত এই মেয়ে আবাসিক হোটেল থেকে উঠে এসেছে। সে ২০০ টাকার বিনিময়ে ছেলেদের সঙ্গ দেয়। এখন সে চাচ্ছে- এমন ছেলে বিয়ে করবে, যার ইনকাম হবে মাসে ৫০ লাখ টাকা।

আমি নারীদের অসম্মান করছি না।
আমি নারীদের সম্মান করি। ভালোবাসি। কিন্তু মগজহীণ নারীরা যা শুরু করেছে, সেগুলো দেখে এবং জেনে আমার মুখে গালি চলে আসছে। মনে হচ্ছে আমরা 'আইয়ামে জাহেলিয়া' যুগে চলে গেছি। আর এজন্য দায়ী মেয়েরা নিজেই। বেগম রোকেয়া, মাদার তেরেসা, ডায়না হেডেন- এরাও নারী। আর আমাদের দেশের নারীদের কি করুন, নগ্ন অবস্থা! লায়লা নামে এক মহিলা আছে। ডির্ভোসি। সেই মহিলার বড় ছেলেমেয়ে আছে। লায়লার আর্থিক অবস্থা ভালো। সে এক টিকটকার ছেলে মামুনকে পথ থেকে তুলে নেয়। মামুন নাচ গান করে বস্তি লেভেল থেকে কিছুটা জাতে উঠে। লায়লা এই ছেলের সাথে ভিডিও করে। নাচ-গান করে। লায়লার বয়স ৪৫ থেকে ৫০ হবে। লায়লার সাথে মানুষের ঝগড়া হয়। অতি কুৎসিত ঝগড়া। লায়লা মামুনের নামে পাচ টা মামলা দেয়। কোর্টে গিয়ে হাজিরা দিতে দিতে মানুষের জীবন শেষ। সবই মিথ্যা মামলা। এদিকে লায়লা ওয়ের্স্টান জামা পড়ে অল্প বয়সী ছেলেদের সাথে সমানে ভিডিও করছে। আমি ওদের বস্তি ঘটনাবলীর দিকে নজর রাখছি।

ইদানিং দেখা যাচ্ছে-
কয়েকটা ছেলে পুরস্কার পাচ্ছে। কিসের পুরস্কার জানি না। তবে নিয়মিত তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাচ্ছে এবং নানা রকম পুরস্কার পাচ্ছে। ইউটুবাররা এদের ভিডিও করছে আগ্রহ নিয়ে। ছেলে গুলো সম্ভবত হিজড়া। তাদের চালচলন, পোশাক আকাশ সব হিজড়াদের মতোন। এমনকি তাদের কথাবার্তা সব হিজড়াদের মতোন। এই সমস্ত হিজড়াদের নিয়ে লাফাচ্ছে ইউটুবাররা। তারা শুধু চায় ভিউ। বলা হচ্ছে- এরা সুদর্শন পুরুষ। এরা নাচছে। গাইছে। যা মন চায় তা-ই করছে। বিছানার চাদর দিয়ে শার্ট প্যান্ট বানিয়ে পড়ছে। ঠোঁটে লিপস্টিক দিচ্ছে। তারা নিজেদের ফ্যাশন ডিজাইনার বলে দাবী করছে। সিনেমা করার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে নাকি ডাক পাচ্ছে। হিজড়া নিজেদের ঢোল নিজেরাই পিটাচ্ছে। আমি এই সমস্ত হিজড়াদের নিয়ে চিন্তিত। এরা সমাজের জন্য ক্ষতিকর। এরা সমাজের বিষ্ঠা। এদের থামাতে হবে। নইলে সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। এইসব হিজড়াদের কি বাপ মা নেই? এদের কেউ থামায় না কেন? সমাজ এদের দেখে অধপতনে যাচ্ছে। এদের দেখাদেখি- প্রতিদিন নতুন নতুন হিজড়া তৈরি হচ্ছে।

মূলত ভিউ ব্যবসায়ীরা সমাজের জন্য ক্ষতিকর।
ইউটিউব আর টিকটক আমাদের বিরাট ক্ষতি করছে। লেখাপড়া না করে এই প্রজন্ম টাকা আয় করতে চায়। এরা মগজহীণ। এদের থামানো খুব দরকার। সরকার থেকে পদক্ষেপ নিয়ে এদের থামাতে হবে। এই ইউটুবাররা নিজেদের কন্টেন ক্রিয়েটর বলে দাবী করছে। অনেক বাজে বাজে ঘটনার পরেও কিছু মজার ঘটনা ঘটে যায়। সেগুলো ভালো লাগে। যেমনঃ তাজউদ্দীন আহমদ এর ছেলে সোহেল তাজ। সোহেল তাজ গত কয়েক বছর ধরে খুব জিমটিম করছেন। নিজের ওজন কমিয়েছেন। স্বাস্থ সচেতন মানুষ আমার ভালো লাগে। নোবেল বিজয়ী ইউনুস অন্তবর্তী সরকারের প্রধান হওয়ার পর একদিন সোহেল তাজ ইউনুস সাহেবের সাথে দেখা করতে যান। সেখানে গিয়ে সোহেল ইউনুস সাহেবকে ব্যয়াম করা শিখালেন। কিভাবে ব্যয়াম করলে কি কি লাভ হবে সব দেখালেন। এই বিষয়টা আমার ভালো লেগেছে। ঢাকা শহরে মসজিদ এবং কুকুরের অভাব নেই। কুকুর গুলোর করুন দশা। প্রতিটা কুকুরের গায়ে ঘা। এক খাবলা মাংস নেই। একটা ছেলে এ সমস্ত কুকুরদের খুজে নিজ খরচে চিকিৎসা করাচ্ছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

নতুন বলেছেন: আমি নারীদের অসম্মান করছি না।
আমি নারীদের সম্মান করি। ভালোবাসি। কিন্তু মগজহীণ নারীরা যা শুরু করেছে, সেগুলো দেখে এবং জেনে আমার মুখে গালি চলে আসছে।


আপনি তো উপরে নারীদের ছবি দেখেই তারা পতিতা ঘোষনা করে দিলেন। :|

ভিউ পাবার জন্য মানুষ এখন অনেক কিছুই করছে। কিন্তু আপনি যেই ভাবে ভিডিও দেখে নারীদের পতিতা বললেন সেটা কি ঠিক?

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হিরো আলম যদি একটা রাজনৈতিক দল গঠন করে তাহলে তার প্রধাণমন্ত্রী হওয়া কেউ ঠেকাতে পারবে না, হিরু আলমই হতে পারে বাংলাদেশের জন্য যোগ্যতম একজন প্রধানমন্ত্রী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.