নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওসমান হাদির মৃত্যু এবং কিছু কথা

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪০



প্রতিটা মৃত্যুই দুঃখজনক।
আমার এক বন্ধু সৌদি থাকে। সে হঠাত মারা গেলো। আমার খুবই কষ্ট লেগেছে। ভালো ছেলে ছিলো। আমরা একসাথে স্কুলে পড়তাম। ওসমান হাদিকে মেরে ফেলা হলো। বেচারা নামাজ শেষ করে রিকশায় করে যাচ্ছিলো। হঠাত বাইক থেকে এক সন্ত্রাসী হাদিকে গুলি করে। সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে পুরো দৃশ্য দেশবাসী দেখেছে। সন্ত্রাসী হয়তো কপাল বরাবর গুলি করতে চেয়েছিলো। কিন্তু গুলিটা লেগে যায় কান বরাবর। অত্যন্ত দুঃখজনক। হাদির অন্যায় থাকলে তার বিচার দেশের আইন অনুযায়ী। কেন তাকে এভাবে গুলি করে হত্যা করা হবে? মব সন্ত্রাসীরাও আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। ইউনুস সাহেব তাদের থামানোর কোনো চেষ্টা করেন নাই।
ইউনূস সাহেব সম্পূর্ন অদক্ষ অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন- রাষ্ট্র পরিচালনায়। আওয়ামীলীগ থাকলে হাদির খুনীকে ধরে ফেলতো। সাভারে একবার এক বিল্ডিং ধ্বসে পড়ে। সেই বিল্ডিং এ গার্মেন্স ছিলো। আসামী রানাকে আওয়ামীলীগ সরকার ধরে ফেলে। বর্ডার পার হওয়ার আগেই। আবার করোনা চলাকালীন সাহেদ নামের একজন করোনা টেস্ট নিয়ে প্রতারনা করেছিলো। তাকে বর্ডার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। দেশে আওয়ামীলীগ থাকলে ওসমান হাদির হত্যাকারীকে ধরে ফেলতো। ইউনুস সরকার ব্যর্থ। সব কিছুতেই ব্যর্থ। একদিন হয়তো এই কেয়ারটেকার সরকারের বিচার হবে। মহাত্মা গান্ধীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েরছিলো। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছিলো।

ওসমান হাদিকে কে মারলো?
কেন মারলো? জামাত মারতে পারে। জামাতের ক্ষমতা পাওয়ার বড় লোভ। ক্ষমতার জন্য এরা সব করতে পারে। হাদিকে আওয়ামীলীগের কেউ মারেনি। কারন, দেশে যারা আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতো, যারা নেতাকর্মী ছিলো তারা সবাই এখন পলাতক। নিজের জীবন নিয়ে লুকিয়ে আছে। পালিয়ে আছে। নির্বাচনের পর তারা দেশে ফিরবে। নইলে ইউনুস গং এদের মব সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেবে। মব সন্ত্রাসীরা জীবন্ত আগুন জ্বালিয়ে মেরে ফেলিবে। মব সন্ত্রাসী কারা? মব সন্ত্রাসীদের ভাড়া করা ভয়। এরা মূলত বিহারী। আর মব সন্ত্রাসীতে আরো যোগ দিয়েছে মাদ্রাসার তালেবুল উলুমরা।
আওয়ামীলীগের বেশির ভাগ নেতাকর্মী পালিয়ে আছে ভারতে। ভারতে পালিয়ে যাওয়া সবচেয়ে সহজ। ভারত বিশাল দেশ ওদের মনও বড়। যাইহোক, ওসমানকে হত্যা করে কারা লাভবান হলো? এরকম হত্যা কি চলতেই থাকবে? কতদিন চলবে? এরপর কার পালা? যারা খুনখারাবি করে তারা কেন বুঝে না- মৃত্যু কোনো সমাধান নয়। হাদি এমন কোনো বড় নেতা ছিলো না যে তাকে হত্যা করতে হবে। এক হিসেবে সে চুনোপুটি। তাকে মানুষ চিনেছে জুলাইয়ের আন্দোলনের পর থেকে। হাদি জামাতের প্রোডাক্ট। হাদি একবার নজরুলের কবিতা আবৃত্তি করেছিলো। বড় কঠিন কবিতা। অথচ হাদি চমৎকার ভাবে আবৃত্তি করলো। নজরুলের কবিতায় তেজ থাকে। সেই তেজ ভর করেছিলো হাদির মননে।

গতকাল প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার এর অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে।
এমনকি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই কাজ করেছে মাদ্রাসার ছেলেপুলেরা আর ভাড়া করা বিহারী ক্যাম্পের সন্ত্রাসী ছেলেরা। আমি বুঝলাম না হাদির মৃত্যুর সাথে প্রথম আলো বা ডেইলি স্টারের কি সম্পর্ক? কেন তছনছ করে দিতে হবে দেশসেরা পত্রিকা অফিস। কোন ছাগলের মাথা থেকে এই আইডিয়া এসেছে? এরপর ছায়ানটের কার্যালয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। কেন? কেন? যেই শালারা রাতের বেলা এসব ভেঙ্গেছে এবং লুটপাট করেছে তাদের পিটিয়ে পিঠের ছাল তুলে ফেলা দরকার। পুলিশ- র‍্যাব এবং আর্মি কেন এই সমস্ত ছাগলদের পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে নাই? কেন তাদের গ্রেফতার করে নাই? শালারা আবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ভেঙ্গেছে। ৩২ নম্বর তো অনেক আগেই ভাঙ্গা হয়েছে। আবার নতুন করে কেন? কেন?
একবার হেফাজত মতিঝিলে গিয়েছিলো। উজাইছিলো। আওয়ামীলীগ তাদের এমন সাইজ করেছে, এক রাতের মধ্যে মতিঝিল পুরো ক্লিন করে ফেলেছে। যাইহোক, মূলত গত দেড় বছর ধরে যারা এই ভাঙ্গাভাঙ্গি করছে তাদের কোনো দল নেই। তারা খুজে শুধু একটা ইস্যু। ইস্যু পেলেই তারা লুটপাট করবে, জ্বালাও পোড়াও করবে। এই জ্বালাও পোড়াও কারীরা বড় ভয়ংকর, বড় হিংস্র। এই গ্রুপটা জামাত শিবিরের মতো ক্ষতিকর। এদের থামাতে হবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও এদের ভয় পায়। এনসিপিও স্পষ্ট বলে দিয়েছে, যারা এই ভাঙচুর করছে তারা কেউ ছাত্র নয়, জুলাই আন্দোলনের কেউ না। র‍্যাব আর পুলিশের উচিৎ ছিলো- এদের ইচ্ছে মতো সাইজ করা।

শেখ হাসিনার আমলে কেউ অন্যায় করে বাচতে পারে নাই।
এমন কি সে তার নিজের দলের লোককেও ছাড় দেননি। সম্রাটকে গ্রেফতার করেছে। বিশ্বজিত হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের পোলাপানদের গ্রেফতার করছে। আজ যে দেশে এত-এত অরাজকতা এর কারন শেখ হাসিনা দেশে নেই বলে। শেখ হাসিনার আমলেও শেখ হাসিনা প্রথম আলো'র উপর খুশি ছিলেন না। তাই বলে তিনি প্রথম আলো পুড়িয়ে দেননি। ধার্মিকদের লেলিয়ে দিয়ে লুটপাট করাননি। ভাইরা শুনেন- ভারতের উপর রাগ তেজ দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। ভারত আপনাদের তেজের ধারধারেন না। ভারত আপনাদের গোনায় ধরে না। ভারতের কাছে আপনাদের দুই পয়সার মূল্য নেই। ভারত আপনাদের থেকে সব কিছুতেই এগিয়ে। কাজেই ভারতের দিকে আঙ্গুল তাক করার আগে নিজেদের যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলুন। ভারত পিসাব করে দিলে আপনারা ভেসে যাবেন। ভুল জায়গায় তেজ দেখিয়ে লাভ নাই। এবার থামেন।
তেজ দেখান অন্যায়কারীদের উপর। জুলুমকারীদের উপর। মব সন্ত্রাসীদের উপর। ভন্ডদের উপর। রাজাকার, জামাত, শিবিরের উপর রাগ তেজ দেখান। ভালো হোন, লাইনে আসুন। ধার্মিক হোন সমস্যা নাই। কিন্তু লাইনে থাকুন। স্বাধীনতার বহু বছর পর রাজাকারদের বিচার হয়েছিলো। শেখ মুজিবের হত্যার বহু বছর পর তার খুনীদের বিচার হয়ে ছিলো। আজ আপনারা যারা অন্যায় করছেন, অবিচার করছেন- আপনাদেরও কিন্তু শান্তি ভোগ করতে হবে। কাজেই যা করবেন ভবিষ্যতের কথা ভেবে করবেন। আজকের দিন তো দিন না, আরো দিন আছে।

মূলত ইউনুস সাহেবের কারণে দেশের এই অবস্থা।
উনি যদি নিরপেক্ষ হতেন তাহলে আজ কেউ পত্রিকা অফিসে আগুন দিতে সাহস পেতো না। তাহলে লুটপাট করতে সাহস পেতো না। জ্বালাও পোড়াও করতে সাহস পেতো না। ইউনুস সাহেব সত্যিকারের ভালো মানুষ হলে- ধানমন্ডি ৩২ নম্বর কেউ ভাঙতে পারতো না। উনি শেখ হাসিনার উপর রেগে ছিলেন, তাই প্রতিশোধ নিলেন। যারা ৩২ নম্বর ভাঙল তাদের গ্রেফতার করা হলো না। যারা পুলিশদের আগুনে পুড়িয়ে মারলো তাদের গ্রেফতার করা হলো না। যারা পুলিশের অস্ত্র লুট করলো তাদের গ্রেফতার করা হলো না। একের পর এক অন্যায় করার পরও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এজন্য অপরাধীরা সুযোগ পেয়ে গেছে, তাদের সাহস বেড়ে গেছে। এর মধ্যে কারাগার থেকে সমস্ত অপরাধীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ফলাফল দেশে- অন্যায়, অত্যাচার, চুরী, ডাকাতি, খুন, ধর্ষন কয়েক হাজার গুন বেড়ে গেছে। এজন্য দায়ী মূলত উপদেষ্টারা। আওয়ামীলীগকে যতটা খারাপ তারা বলে, আওয়ামীলীগ তত খারাপ না। আওয়ামীলীগের মধ্যে দেশপ্রেম আছে। সবচেয়ে বড় কথা তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক। গত ৫৪ বছরে দেশের উন্নয়ন সবচেয়ে বেশি করেছে আওয়ামীলীগ। আমাদের মতো দরিদ্র দেশে- শেখের বেটি মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ইত্যাদি উন্নয়ন করে দেখিয়ে দিয়েছে। তার মানে আওয়ামীলীগ দুধের ধোয়া তুলসী পাতা নয়। আওয়ামীলীগের অনেক লোকজন ইচ্ছা মতো দূর্নীতি করেছে। যারা দূর্নীতি করেছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিৎ। শেখ হাসিনা দেশে এলে অনেকে প্যান্টে পিসাব করে দিবে। ইহা সত্য। মিথ্যা নয়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৮

ক্লোন রাফা বলেছেন: আজ যারা সন্ত্রাস করছে তাদের দলীয় পরিচয় আছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে পেশাদার অপরাধীরা। যারা বর্তমানে অবৈধভাবে দেশ দখল করে রেখেছে । তাদের বিন্দুমাত্র দেশপ্রেম নেই । কোনো সাধারণ নাগরিকও দেশের ক্ষতি করার পুর্বে দশবার চিন্তা করে । কারন দিন শেষে তার প্রজন্ম দেশে থাকে । যারা বর্তমানে দেশ চালাচ্ছে তারা সবাই বিদেশী । তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে কিছু দল। যারা এই দেশের স্বাধীনতা চায় নাই । কাজেই দেশ জাহান্নাম হোলে তারা আত্মতৃপ্ত হয়।

নরপশু পিশাচ চিরদিন পিশাচই থাকে।পূর্বেও যারা আমাদের দেশটা জালিয়ে পুড়ায় ছারখার করে দিয়েছিল । তারা এবং তাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই কাজগুলো করছে। সাথে যুক্ত হয়েছে আরো কিছু ক্ষমতালোভী জল্লাদ বাহিনী । ৯০% মুসলিমদের দেশে কখনো ইসলাম বিপদগ্রস্ত হয়না । এই একথা একটা ক্লাস ফাইভের বাচ্চাও বুঝতে পারে । শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় ভুল, তিনি একটা সুশিক্ষিত প্রজন্ম সৃষ্টি করতে ব‍্যার্থ হয়েছেন। সেটা করলে তারা আজকে রুখে দাঁড়াতে পারতো সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে ।

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ॥

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.